তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে? তৎপুরুষ সমাস কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণ সহ আলোচনা?

তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে :-

তৎপুরুষ শব্দটির ব্যুৎপত্তি হলো তন+ অন= তৎ, অর্থাৎ সে বা তিনি। আর পূ+ ঊষ = পুরুষ। এক্ষেত্রে এর শাব্দিক অর্থ 'তার সম্পর্কীয় পুরুষ। এতে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি পদ থাকে। দুটি পদই বিশেষ্য হতে পারে। এর মধ্যে প্রথমটি দ্বিতীয়টির অর্থকে সীমাবদ্ধ করে দেয়।

প্রথমটির অব্যয় পরবর্তীটির সাথে কর্মরূপে, করণরূপে, সম্প্রদানরূপে, অপাদানরূপে, সম্বন্ধরূপে অথবা অধিকরণরূপে ঘটে। দ্বিতীয় পদটির অর্থ প্রধান অর্থ হয়ে থাকে।

তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞায় বলা হয় 'পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পেয়ে এবং পরপদের অর্থ প্রধানরূপে যে সমাস গঠিত হয়, তাকে বলা হয় তৎপুরুষ সমাস।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, 'যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং উত্তরপদের অর্থ প্রধানরূপে বুঝায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।'

তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো বিভক্তি থাকতে পারে আর পূর্বপদের বিভক্তি হিসেবে এদের নামকরণ হয়।

যেমন- বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন, এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তি কে লোপ পেয়েছে বলে এর নাম হয়েছে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।

তৎপুরুষ সমাস কত প্রকার ও কি কি :-

তৎপুরুষ সমাস গঠনে বিভক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিভক্তির ভিত্তিতে তৎপুরুষ সমাসকে নিম্নোক্ত নয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

  1. দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস,
  2. তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস,
  3. চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস,
  4. পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস,
  5. ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস,
  6. সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস,
  7. নঞ তৎপুরুষ সমাস,
  8. উপপদ তৎপুরুষ সমাস এবং
  9. অলুক তৎপুরুষ সমাস।

আরও পড়ুনঃ
 বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে?

নিচে উদাহরণসহ এসব তৎপুরুষ সমাস আলোচনা করা হলো।

১. দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে) লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তাকে বলা হয় দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস। যথা-

  • দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত, 
  • বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন, 
  • পরলোকে গত = পরলোকগত, 
  • লোককে অতীত = লোকাতীত, 
  • স্বৰ্গকে প্রাপ্ত = স্বর্গপ্রাপ্ত, 
  • ধর্মকে সংক্রান্ত = ধর্মসংক্রান্ত, 
  • অশ্বকে আরুঢ় = অশ্বারুঢ়, 
  • সংখ্যাকে অতীত = সংখ্যাতীত, 
  • বিস্ময়কে আপন্ন = বিস্ময়াপন্ন, 
  • স্মরণকে অতীত = স্মরণাতীত, 
  • গৃহকে প্রবিষ্ট = গৃহপ্রবিষ্ট, 
  • ক্ষমতাকে প্রাপ্ত = ক্ষমতাপ্রাপ্ত, 
  • শরণকে গত = শরণাগত, 
  • দেশকে আশ্রিত = দেশাশ্রিত, 
  • ভারকে প্রাপ্ত = ভারপ্রাপ্ত ইত্যাদি।

এছাড়া যথা, তথা, রূপে, ভাবে ইত্যাদি শব্দের ব্যবহারের মাধ্যমেও দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়ে থাকে। যেমন- আধ রূপে পাকা= আধপাকা, নিমভাবে রাজি= নিমরাজি, ধীর যথা তথা গামী = ধীরগামী, অর্ধরূপে মৃত = অর্ধমৃত, অবশ্য যথা তথা কর্তব্য =অবশ্যকর্তব্য ইত্যাদি।

আবার ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক পদের সাথে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন -

  • অর্ধরূপে স্ফুট = অর্ধস্ফুট,
  • চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী = চিরসুখী,
  • চিরকাল ব্যাপী স্মরণীয় = চিরস্মরণীয়,
  • চিরকাল ব্যাপিয়া কুমারী = চিরকুমারী,
  • চিরকাল ব্যাপী স্থায়ী = চিরস্থায়ী,
  • ক্ষণকাল ব্যাপীয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী প্রভৃতি ।

২. তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস :

যে সমাসে পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, তে ইত্যাদি) লোপ পায়, তাকে বলা হয় তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস। যেমন-

  • মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা,
  • শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ,
  • বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত = বস্ত্রাচ্ছাদিত,
  • লাঠি দ্বারা খেলা = লাঠিখেলা,
  • রক্ত দ্বারা সিক্ত = রক্তসিক্ত,
  • স্নেহ দ্বারা অন্ধ = স্নেহান্ধ,
  • ধামা দ্বারা চাপা = ধামাচাপা,
  • অস্ত্র দ্বারা উপচার = অস্ত্রোপাচার,
  • জরা দ্বারা জীর্ণ = জরাজীর্ণ,
  • স্বনাম দ্বারা ধন্য = স্বনামধন্য,
  • ইন্দ্রিয় দ্বারা = গ্রাহ্য = ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য,
  • দৃষ্টি দ্বারা হীন = দৃষ্টিহীন,
  • বিনয় দ্বারা অবনত = বিনয়াবনত,
  • বাগ দ্বারা দত্তা = বাগদত্তা,
  • মন দ্বারা গড়া = মনগড়া,
  • শোক দ্বারা আর্ত = শোকার্ত,
  • গুণ দ্বারা মুগ্ধ = গুণমুগ্ধ,
  • তৈল দ্বারা আক্ত = তৈলাক্ত,
  • শোক দ্বারা আকুল = শোকাকুল,
  • মধুতে মাখা = মধুমাখা,
  • বিপদ দ্বারা সঙ্কুল = বিপদসঙ্কুল প্রভৃতি।

আরও পড়ুনঃ
 সমাস কাকে বলে?

৩. চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (কে, রে, জন্য, তরে, নিমিত্ত) লোপের মাধ্যমে যে সমাস হয়, তাকে বলা হয় চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস। যেমন-

  • গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি,
  • আরামের জন্য কেদারা = আরামকেদারা,
  • বসতের জন্য বাড়ি = বসতবাড়ি,
  • বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়েপাগলা,
  • হজ্বের জন্য যাত্রা = হজ্বযাত্রা,
  • পাগলের নিমিত্তে গারদ = পাগলাগারদ,
  • মরণের নিমিত্তে কাঠি = মরণকাঠি,
  • শিশুর জন্য সাহিত্য = শিশুসাহিত্য,
  • শয়নের নিমিত্তে কক্ষ = শয়নকক্ষ,
  • রান্নার জন্য ঘর = রান্নাঘর,
  • ছাত্রের জন্য আবাস = ছাত্রাবাস,
  • ছাত্রীর জন্য নিবাস = ছাত্রীনিবাস,
  • জীবনের নিমিত্তে কাঠি = জীবনকাঠি,
  • ডাকের জন্য মাশুল = ডাকমাল প্রভৃতি।

৪. পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস :

যে সমাসে পূর্বপদে পঞ্চমী বিভক্তির (হইতে, থেকে, চেয়ে) লোপ পায় তাকে বলা হয় পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস।

সাধারণত পুত, জাত, আগত, ভীত, গৃহীত, নিয়ত, মুক্ত, উত্তীর্ণ, চালানো, ভ্রষ্ট ইত্যাদি পরস্পরের ফলে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হয়।যেমন-

  • বিলাত থেকে ফেরত = বিলাতফেরত,
  • প্রাণের চেয়ে অধিক = প্রাণাধিক,
  • সত্য থেকে ভ্রষ্ট = সত্যভ্রষ্ট,
  • প্রাণের চেয়ে প্রিয় = প্রাণপ্রিয়,
  • জেল থেকে মুক্ত = জেলমুক্ত,
  • জেল থেকে খালাস = জেলখালাস,
  • পণ হতে মুক্তি = পণমুক্তি,
  • আগা থেকে গোড়া = আগাগোড়া,
  • পদ থেকে চ্যুত = পদচ্যুত প্রভৃতি।

কোনো কোনো সময় পঞ্চমী তৎপুরুষের ব্যাসবাক্য এর চেয়ে ইত্যাদি অনুসর্গের ব্যবহার হয়। যেমন- প্রাণের চেয়ে প্রিয় = প্রাণপ্রিয়, পরাণের চেয়ে প্রিয় = পরাণপ্রিয় ইত্যাদি।

৫. ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস :

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ পায় তাকে বলা হয় ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। যেমন-

  • চায়ের বাগান = চায়বাগান,
  • রাজার পুত্র = রাজপুত্র,
  • খেয়ার ঘাট= খেয়াঘাট,
  • ছাত্রের সমাজ = ছাত্রসমাজ,
  • দেশের সেবা = দেশসেবা,
  • দিল্লীর ঈশ্বর = দিল্লীশ্বর,
  • পাটের ক্ষেত = পাটক্ষেত,
  • ছবির ঘর = ছবিঘর,
  • বিড়ালের ছানা = বিড়ালছানা প্রভৃতি।

ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের কতিপয় নিয়ম :-

ক) ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে রাজা স্থলে রাজ, পিতা, মাতা, ভ্রাতা স্থলে যথাক্রমে পিতৃ মাতৃ, ভ্রাতৃ হয়। যেমন-

  • দিল্লীর রাজা = দিল্লীরাজ,
  • গজনীর রাজা = গজনীরাজ,
  • রাজার পুত্র= রাজপুত্র,
  • পিতার ধন = পিতৃধন,
  • মাতার সেবা = মাতৃসেবা,
  • ভ্রাতার পুত্র = ভ্রাতুষ্পুত্র ইত্যাদি।

খ) পরপদে সহ, তুল্য, খায়, প্রতিম, এ সমস্ত শব্দ থাকলে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন-

  • পত্নীর সহ= পত্নীসহ বা সপত্নীক,
  • কন্যার সহ = কন্যাসহ,
  • সহোদরের প্রতিম= সহোদরপ্রতিম ইত্যাদি।

গ) কালের কোনো কোনো অংশবোধক শব্দ পরে থাকলে তা পূর্বে বসে। যেমন- অহ্নের (দিনের) পূর্বভাগ = পূর্বাহ্ন । পরপদে রাজি, গ্রাম, বৃন্দ, গণ, সূর্য ইত্যাদি সমষ্টিবাচক শব্দ থাকলে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন-

  • ছাত্রের বৃন্দ = ছাত্রবৃন্দ,
  • গুণের গ্রাম = গুণগ্রাম,
  • হস্তির যূথ = হস্তিযূথ ইত্যাদি ।

ঘ) অর্ধ শব্দ পরপদ হলে সমস্ত পদে তা পূর্বপদ হয়। যেমন- পথের অর্ধ = অর্ধপথ ইত্যাদি।

ঙ) শিশু, দুগ্ধ ইত্যাদি শব্দ পরে থাকলে স্ত্রীবাচক পূর্বপদ পুরুষবাচক হয়। যেমন- মৃগীর শিশু = মৃগশিশু, ছাগীর দুগ্ধ = ছাগদুগ্ধ ইত্যাদি।

ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের আরও কয়েকটি উদাহরণ -

  • ফুলের গাছ = ফুলগাছ,
  • খেয়ার ঘাট = খেয়াঘাট,
  • চায়ের বাগান = চাবাগান,
  • চায়ের দোকান = চাদোকান,
  • সূর্যের আলোক = সূর্যালোক,
  • পিতার তুল্য = পিতৃতুল্য,
  • জাতিদের সংঘ = জাতিসংঘ,
  • যমের আলয় = যমালয়,
  • নাটকের অভিনয় = নাটকাভিনয়,
  • মনের রথ = মনোরথ,
  • দীনের বন্ধু = দীনবন্ধু,
  • বাদরের নাচ = বাদরনাচ,
  • বিড়ালের ছানা = বিড়ালছানা,
  • নদীর জল = নদীজল,
  • শিক্ষার মন্দির = শিক্ষামন্দির,
  • দূতের আবাস = দূতাবাস,
  • ভাইয়ের পো = ভাইপো,
  • ঠাকুরের বাড়ি = ঠাকুরবাড়ি,
  • কবিদের গুরু = কবিগুরু প্রভৃতি।

৬. সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস:

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়, তে) লোপ পায়, তাকে বলা হয় সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস। যেমন-

  • গাছে পাকা = গাছপাকা,
  • অকালে মৃত্যু = অকালমৃত্যু,
  • দিবায় নিদ্রা = দিবানিদ্রা,
  • ভোজনে পটু = ভোজনপটু,
  • পূর্বে অদৃষ্ট = অদৃষ্টপূর্ব,
  • দানে বীর = দানবীর,
  • বস্তাতে পচা = বস্তাপচা,
  • বনে বাস = বনবাস,
  • পাপে আসক্ত = পাপাসক্ত,
  • বাক্সতে বন্দী = বাক্সবন্দী,
  • তালে কানা = তালকানা,
  • নামাযে রত = নামাযরত,
  • গোলায় ভরা = = গোলাভরা,
  • পূর্বে ভূত = ভূতপূর্ব,
  • বাকে পটু = বাকপটু,
  • মনে মরা = মনমরা,
  • অকালে পক্ক= অকালপক্ব,
  • পূর্বে শ্রুত = আশ্রুতপূর্ব ইত্যাদি।

৭. নঞ তৎপুরুষ সমাস :

নাবাচক নঞ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে নঞ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন-

  • নয় সুখ = অসুখ,
  • নয় উচিত = অনুচিত,
  • নেই বিশ্বাস = অবিশ্বাস,
  • নেই মিল = অমিল,
  • নয় কাতর = অকাতর,
  • নয় অতি দীর্ঘ = নাতিদীর্ঘ,
  • নয় সত্যি = অসত্যি,
  • নয় সত্য = অসত্য,
  • নেই ভুল = নির্ভুল,
  • নাই হায়া = বেহায়া,
  • নয় = অচল,
  • নাই বৃষ্টি = অনাবৃষ্টি,
  • নয় আচার = অনাচার,
  • নয় অতি খর্ব = নাতিখর্ব,
  • নয় হাজির = গরহাজির প্রভৃতি।

এছাড়া সংস্কৃত নঞ অব্যয়ের বাংলা প্রতিরূপ রূপে অ, অন, আনা, গর, বে, বি. ন, না, নি ইত্যাদি এসেছে। যেমন -

  • নাই আহার = অনাহার,
  • নয় জোড় = বিজোড়,
  • নয় অতি দূর = নাতিদূর,
  • নয় হাজির = গরহাজির,
  • নাই সীমা = অসীম,
  • নাই খুঁত = নিখুঁত,
  • নয় বালক = নাবালক,
  • নয় সৃষ্টি = অনাসৃষ্টি ইত্যাদি।

৮. উপপদ তৎপুরুষ সমাস :

কৃৎ প্রত্যয় সাধিত পদকে বলা হয় কৃদন্ত পদ। কৃদন্ত পদের পূর্বের পদকে বলা হয় উপপদ। উপপদের সাথে কৃদন্ত পদের যে সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। যেমন-

  • পঙ্কে জন্মে যে = পঙ্কজ,
  • যাদু করে যে = যাদুকর,
  • ইন্দ্রকে জয় করেছে যে = ইন্দ্রজিৎ,
  • ছেলে ধরে যে = ছেলেধরা,
  • পকেট মারে যে = পকেটমার,
  • স্থলে চলে যে = স্থলচর,
  • চিত্র আঁকে যে = চিত্রকর,
  • মানুষ খায় যে = মানুষখেকো,
  • জল দেয় যে = জলদ,
  • সত্য কথা বলে যে = সত্যবাদী,
  • জলে চরে যে = জলচর,
  • মধু পান করে = মধুপ,
  • মদ পান করে যে = মদ্যপ ইত্যাদি।

এছাড়া রয়েছে বর্ণচোরা, গলাকাটা, পা-চাটা, পাড়াবেড়ানী, ছা-পোষা, হাড়ভাঙা, ঘরপোড়া, মাছিমারা ইত্যাদি।

৯. অলুক তৎপুরুষ সমাস :

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। যেমন-

  • ঘানি তেল = ঘানিতেল,
  • ঘি দিয়ে ভাজা = ঘিয়ে ভাজা,
  • গোড়ায় গলদ = গোড়ায়গলদ,
  • তেলে ভাজা = তেলেভাজা,
  • হাতে কাটা = হাতেকাটা,
  • কল দ্বারা ছাঁটা = কলেছাটা ইত্যাদি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ