সমাসবদ্ধ শব্দ কাকে বলে?
যে শব্দে ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দে গঠিত হয় তাকে প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ বলে।যেমন- পঠনীয় পাঠ অনীয় বক্তব্য, দূর্গমতা শব্দ গুলি ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় মিলনে সৃষ্ট শব্দ।
সাধিত শব্দে এক বা একাধিক মৌলিক বা প্রত্যয় নিষ্পন্ন শব্দ পাওয়া যায় সেগুলিই সমাসবদ্ধ শব্দ।
যেমন- রক্তপদ্ম, ভাইবোন, শ্রবন-মনন, নরনারী, পঞ্চবলী, দশানন, প্রভৃতি শব্দ।
শব্দের অর্থগত অনুসরনে তিনটি বিভাগ লক্ষ্য করা যায়। যেমন-
(১) যৌগিক শব্দ
(২) রূঢ়ি শব্দ
(৩) যোগরূঢ় শব্দ।
আরও পড়ুনঃ বাক্য পরিবর্তন কাকে বলে?
এগুলো সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো:
(১) যৌগিক শব্দ:
যে শব্দের অর্থ সাধারণত প্রকৃতি প্রত্যয় থেকে প্রতীয়মান হয় তাকে যৌগিক শব্দের তালিকা ভুক্ত করতে পারি।
উদাহরণ হিসাবে চরান = চর+ অন (যার সাহায্যে গমন বা চলা বোঝায়)
(১) যৌগিক শব্দ:
যে শব্দের অর্থ সাধারণত প্রকৃতি প্রত্যয় থেকে প্রতীয়মান হয় তাকে যৌগিক শব্দের তালিকা ভুক্ত করতে পারি।
উদাহরণ হিসাবে চরান = চর+ অন (যার সাহায্যে গমন বা চলা বোঝায়)
(২) রূঢ়ি শব্দ:
যে শব্দের অর্থ প্রকৃতি জাত অর্থকে না বুঝিয়ে অন্য ব্যবহারিক অর্থকে বোঝায়, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলা হয়।
যেমন - পলাশ = পল+আশ। পল অর্থে মাসে আর আশ অর্থে খাদা এই মূল উৎসের অর্থ না বুঝিয়ে এখন 'ফুল' অর্থে ব্যবহৃত হয়।
জেঠ্যামি = জেঠা + আমি, এই অর্থ না হয়ে এখন জ্যেষ্ঠের বা পরিপক্কের আবরণ বোঝায়। রাখাল, কুশল ও রূঢ়ি শব্দের পর্যায়ভুক্ত।
(৩) যোগরূঢ়ি শব্দ :
কোন শব্দের পরকৃতি প্রত্যয় জাত যে সকল অর্থ হয়। তার মধ্যে থেকে মাত্রা একটি অর্থকে বোঝালে যোগরূঢ়ি শব্দ বলে।
যেমন, পীতাম্বর, জলধর, পঙ্কজ, সুহৃদ প্রভৃতি। এখানে পীতাম্বর = পীত বস্ত্র ধারণকারী সবাইকে না বুঝিয়ে একমাত্র শ্রীকৃষ্ণকেই নির্দেশ করছে।
আরও পড়ুনঃ দেশি ও বিদেশি শব্দ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.