বাংলা ভাষার বয়স প্রায় হাজার বছরের মতো। এই হাজার বছরে বাংলা ভাষা বিভিন্ন উৎস থেকে অজস্র শব্দ আরোহন করেছে, এবং এখনো করে চলেছে। ভাষাতাত্ত্বিক ড. সুকুমার সেন বাংলা শব্দের প্রধান দুটি উৎসের কথা বলেছেন। যথা-
১. মৌলিক ও
২ আগন্তুক।
১. মৌলিক ও
২ আগন্তুক।
এখন প্রশ্ন হলো আগন্তুক শব্দ কাকে বলে সে বিষয়ে আলোচনা করা;
এই কৃতঋণ শব্দ (Loan Word) বা আগন্তুক শব্দ কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি। যথা-
এই দেশি কৃতঋণ শব্দ কে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে যথা
আগন্তুক বা কৃতঋণ শব্দ কাকে বলে :-
যেসব শব্দ সংস্কৃতের নিজস্ব উৎস থেকে বা অন্য ভাষা থেকে সংস্কৃত হয়ে আসেনি, অন্য ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে সেই শব্দগুলিকে আগন্তুক শব্দ বা কৃতঋণ শব্দ বলা হয়।এই কৃতঋণ শব্দ (Loan Word) বা আগন্তুক শব্দ কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি। যথা-
- দেশি শব্দ ও
- বিদেশি শব্দ
ক. দেশি শব্দ কাকে বলে :-
যেসব শব্দ আমাদের দেশের অন্যান্য ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে তাকে দেশি কৃতঋণ শব্দ বা দেশি শব্দ বলে।এই দেশি কৃতঋণ শব্দ কে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে যথা
আরও পড়ুনঃ রূপমূল বা রূপিম কাকে বলে?
অন আর্য দেশি কৃতঋণ:
এদেশীয় অস্ট্রিক, কোল বা দ্রাবিড়, ভাষা বংশ থেকে যেসব শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে তাকে অন্ আর্য দেশি কৃতঋণ শব্দ বলে।
যেমন- ডাব, ঝাঁটা, ঝোল, ডোম, ঝিঙ্গা, কুলা, কান্দি, মুড়ি, উচ্ছে, খুকি, ইত্যাদি।
আর্য দেশি কৃতঋণ শব্দ:
যে সকল শব্দ ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যান্য শাখা থেকে বাংলায় এসেছে তাকে আর্য দেশি কৃতঋণ শব্দ বলা হয়।
অন আর্য দেশি কৃতঋণ:
এদেশীয় অস্ট্রিক, কোল বা দ্রাবিড়, ভাষা বংশ থেকে যেসব শব্দ সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে তাকে অন্ আর্য দেশি কৃতঋণ শব্দ বলে।
যেমন- ডাব, ঝাঁটা, ঝোল, ডোম, ঝিঙ্গা, কুলা, কান্দি, মুড়ি, উচ্ছে, খুকি, ইত্যাদি।
আর্য দেশি কৃতঋণ শব্দ:
যে সকল শব্দ ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যান্য শাখা থেকে বাংলায় এসেছে তাকে আর্য দেশি কৃতঋণ শব্দ বলা হয়।
যেমন- হিন্দি- সেলাম, মস্তান, ওস্তাদ, ইত্যাদি। গুজরাটি- হরতাল ইত্যাদি।
গ্রিক শব্দ : যবন, কোণ, হোরা, ইত্যাদি।
পোর্তুগিজ শব্দ : আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, আনারস, সাবান, আয়া, পাদ্রী, কাজু, বোমা, আতা, ওলন্দাজ, ফরাসি, বোম্বাই, প্রভৃতি ।
ফরাসি শব্দ : বুর্জোয়া, কাফে, কার্তুজ, মাদাম, রেস্তোরাঁ, গ্যারেজ, এলিট, প্রভৃতি ।
ফারসি শব্দ : সরকার, দরবার, উজির, খরচ, জাহাজ, কামান, প্রভৃতি।
আরবি শব্দ : অহিন, আক্কেল, তাজ্জব, কেচ্ছা, কদর, আমল, সাহেব, হাকিম, প্রভৃতি।
ওলন্দাজ শব্দ : হরতন, রহিতন, ইস্কাপন, তুরুপ, প্রভৃতি। ইংরেজি শব্দ:- পুলিশ, আপিল, ইঞ্জিন, নম্বর, হ্যান্ডেল, ইঞ্চি, টেবিল, ডাক্তার, বান্ডিল, আস্তাবল, মাস্টার, ম্যানেজার, নেট, রোমান্স, ট্রেন, অফিস, কেয়ার, প্রভৃতি।
তুর্কি শব্দ : আলখাল্লা, কাঁচি, কাবু, কুলি, বাবুর্চি, মুচলেকা প্রভৃতি।
খ. বিদেশি শব্দ কাকে বলে :-
যে সকল শব্দ এ দেশের বাইরের কোন ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করেছে সেই শব্দগুলিকে বিদেশি শব্দ বলা হয়। যেমন -গ্রিক শব্দ : যবন, কোণ, হোরা, ইত্যাদি।
পোর্তুগিজ শব্দ : আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, আনারস, সাবান, আয়া, পাদ্রী, কাজু, বোমা, আতা, ওলন্দাজ, ফরাসি, বোম্বাই, প্রভৃতি ।
ফরাসি শব্দ : বুর্জোয়া, কাফে, কার্তুজ, মাদাম, রেস্তোরাঁ, গ্যারেজ, এলিট, প্রভৃতি ।
ফারসি শব্দ : সরকার, দরবার, উজির, খরচ, জাহাজ, কামান, প্রভৃতি।
আরবি শব্দ : অহিন, আক্কেল, তাজ্জব, কেচ্ছা, কদর, আমল, সাহেব, হাকিম, প্রভৃতি।
ওলন্দাজ শব্দ : হরতন, রহিতন, ইস্কাপন, তুরুপ, প্রভৃতি। ইংরেজি শব্দ:- পুলিশ, আপিল, ইঞ্জিন, নম্বর, হ্যান্ডেল, ইঞ্চি, টেবিল, ডাক্তার, বান্ডিল, আস্তাবল, মাস্টার, ম্যানেজার, নেট, রোমান্স, ট্রেন, অফিস, কেয়ার, প্রভৃতি।
তুর্কি শব্দ : আলখাল্লা, কাঁচি, কাবু, কুলি, বাবুর্চি, মুচলেকা প্রভৃতি।
চীনা শব্দ : চা, চিনি, লিচু, প্রভৃতি।
আরও পড়ুনঃ অর্থরূপান্তর কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.