নাম ধাতু ক্রিয়া কাকে বলে :-
ক্রিয়ার মূলকে বলা হয় ধাতু। বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের পর 'আ' প্রত্যয়যোগে যে সব ধাতু গঠিত হয়, সেগুলোকে নাম ধাতু বলা হয়।
নামপদের (বিশেষ্য, বিশেষণ ইত্যাদি) শেষে প্রত্যয় যোগ না-করে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে বলা হয় নামধাতু। সাধারণত 'অ'-প্রত্যয় যোগে নামধাতু গঠিত হয়ে থাকে। যেমন :
আ-প্রত্যয় যুক্ত হয়েও কয়েকটি নামধাতু বাংলা ভাষায় মৌলিক ধাতুর মতো ব্যবহৃত হয়। যেমন
আরও পড়ুনঃ ক্রিয়ারভাব কাকে বলে?
নামপদের (বিশেষ্য, বিশেষণ ইত্যাদি) শেষে প্রত্যয় যোগ না-করে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে বলা হয় নামধাতু। সাধারণত 'অ'-প্রত্যয় যোগে নামধাতু গঠিত হয়ে থাকে। যেমন :
- বেত (বিশেষ্য) + আ (প্রত্যয়) = বেতা। যথা- শিক্ষক ছাত্রটিকে বেতাচ্ছেন (নামধাতুর ক্রিয়াপদ)।
- বাঁকা (বিশেষণ) + আ (প্রত্যয়) = বাঁকা (নামধাতু), যথা- কঞ্চিটি বাঁকিয়ে ধর।
আ-প্রত্যয় যুক্ত হয়েও কয়েকটি নামধাতু বাংলা ভাষায় মৌলিক ধাতুর মতো ব্যবহৃত হয়। যেমন
- ছাপা- আমর বন্ধু বইটা ছেপেছে।
- ফল - বাগানে বেশ কিছু লিচু ফলেছে।
- টক- তরকারি বাসি হলে টকে।
নামধাতুর দ্বারা গঠিত ক্রিয়াপদ :-
- দান + ইল (ইলা) = দানিল (দানিলা );
- গ্রাস + ইল = গ্রাসিল;
- উত্তর + ইল (ইবে) = উত্তরিল (উত্তরিবে);
- পবিত্র + ইলা = পৰিত্রিলা;
- ধমকা + আয় = ধমকায় বা ধমকা + ইয়া= ধমকাইয়া, বা (ধমকা) ধমক + ইয়ে (এ) ধমিকায় (ধমকে);
- চমকা + আয় = চমকায় বা চমকা + ইয়া = চমকাইয়া, বা (চমকা >) চমক + ইয়ে (এ) = চমকিয়ে (চমকে);
- আগলা + আ (য়) = আগলা বা আগলায়;
- আগলা + ইয়া = আগলাইয়া, বা (আগলা > আগল + ইয়ে (এ) = আগলিয়ে (আগলে):
- ফেনা + ইল = ফেনাইল, বা ফেনা + ইয়া ফেনাইয়া, বা (ফেনা >) ফেন + ইয়ে ফেনিয়ে;
- বেত + ইয়া = বেতাইয়া বা (বেতা) বেত + ইয়ে বেতিয়ে;
- ঘনা + অ (য়) = ঘনা বা ঘনায়, বা ঘনাইয়া ঘনাইয়া, বা (ঘনা >) ঘন + ইয়ে = ঘনিয়ে;
- রাঙা + ইল = রাঙাইল, বা রাঙা + ল (লো) = রাঙালো।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.