ক্রিয়ারভাব কাকে বলে? ক্রিয়ার ভাব কত প্রকার ও কি কি?

ক্রিয়ারভাব কাকে বলে :-

ক্রিয়ার যে অবস্থা দ্বারা কার্য ঘটার ধরন, প্রকার বা রীতি প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার ভাব বলে।

অর্থাৎ ক্রিয়ার কাজ যেভাবে প্রকাশিত হয় তাকে 'ক্রিয়ার ভাব' বলে। যেমন -
  • মহিউদ্দীন এখানে আসে।
  • যদি মহিউদ্দীন আসে, তবে আমার সাথে দেখা করবে।
  • রিসাদ, এখানে এসো।
  • আল্লাহ্ তোমার মঙ্গল করুন।

ক্রিয়ার ভাব কত প্রকার ও কি কি :-

ক্রিয়ার ভাব বা ধরন চার প্রকার। যথা

ক. নির্দেশক বা অবধারক ভাব

খ. অনির্দেশক বা সংযোজক বা ঘটান্তরাপেক্ষিত ভাব

গ. অনুজ্ঞা বা আজ্ঞাদ্যোতক ভাব এবং

ঘ. আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব।

ক. নির্দেশক ভাব :-

ক্রিয়ার যে অবস্থা কোনো কার্য ঘটার সাধারণ নির্দেশ বা ধারণা দেয়, তাকে ক্রিয়ার নির্দেশক ভাব বলে।

যেমন

• সাধারণ ঘটনা নির্দেশ : সে আসে। তারা খায় না।

• প্রশ্ন জিজ্ঞাসা : তুমি কি ভালো আছো?

খ. অনির্দেশক ভাব :-

একই বাক্য এক ক্রিয়ার কাজ আর এক ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল রয়েছে এমন ভাব প্রকাশ করলে ক্রিয়ার অনির্দেশক ভাব হয়।

যেমন-

• যদি সে আসে তবে আমি যাব।

• আজ বাবা বেঁচে থাকলে আমার কষ্ট হতো না।

গ. অনুজ্ঞা ভাব :-

আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, প্রার্থনা, অনুনয় প্রভৃতি অর্থে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কালে মধ্যম পুরুষে ক্রিয়াপদের যে রূপ হয় তাকে অনুজ্ঞা পদ বলে।

• উত্তম পুরুষের অনুজ্ঞা পদ হতে পারে না। কারণ, কেউ নিজেকে আদেশ করতে পারে না।

• অপ্রত্যক্ষ বলে নাম পুরুষের অনুজ্ঞা হয় না। তবে এই মত সকলে সমর্থন করেন না।

আরও পড়ুনঃ মৌলিক ধাতু কাকে বলে?

বর্তমান কাল অনুজ্ঞা :-

• আদেশ : কাজটি করে ফেল। তোমরা এখন যাও।

• উপদেশ : সত্য কথা গোপন করো না। কড়া রোদে ঘোরাফেরা করিস না।

• অনুরোধ : আমার কাজটা এখন কর। অঙ্কটা বুঝিয়ে দাও না।

• প্রার্থনা : আমার দরখাস্তটা পড়ুন।

• অভিশাপ : মর, পাপিষ্ঠ।

ভবিষ্যৎ কালের অনুজ্ঞা :-

• আদেশ: সদা সত্য কথা বলবে।

• সম্ভাবনায় : চেষ্টা কর, সবই বুঝতে পারবে।

• বিধান অর্থে : রোগ হলে ওষুধ খাবে।

• অনুরোধে : কাল একবার এসো।

ঘ. আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব :-

যে ক্রিয়াপদের বক্তা সোজাসুজি কোনো ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, তাকে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাবের ক্রিয়া বলা হয়।

যেমন - সে যাক। যা হয় হোক। সে একটু হাসুক। বৃষ্টি আসে আসুক। তার মঙ্গল হোক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ