এই পোস্টে আমরা দ্বিকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? দ্বিকর্মক ক্রিয়ার উদাহরণ সহ সহজ উপায়ে বোঝার চেষ্টা করবো। কিন্তু তার আগে আমাদের ক্রিয়া কাকে বলে তা জানা অত্যন্ত জরুরী।
বাক্য তৈরির জন্য ক্রিয়াপদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যে কোনো বাক্যে ক্রিয়াপদ থাকবেই। তবে কখনও কখনও হয়ত তার চেহারা চোখে পড়ে না, তার সাহচর্য মেনে আড়ালে। যেমন- রহিম ভালো ছেলে। এখানে ক্রিয়াপদটি উহ্য, রহিম হয় ভালো ছেলে- এমন লেখা হলে 'হ' ধাতু থেকে তৈরি ক্রিয়াপদটি লক্ষ্যযোগ্য হত। কিন্তু বাক্য গঠনে 'হয়' ক্রিয়াপদটির প্রয়োজন নেই। ক্রিয়া বর্তমানকালে প্রায়ই উহ্য থাকে। বাক্যে সাধারণত 'হ' এবং 'আছ' ধাতু দ্বারা গঠিত ক্রিয়াপদ উহা থাকে।
যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদনা করা বুঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
আমারা জানি এই ক্রিয়াপদকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা - সমাপিকা ক্রিয়া এবং অসমাপিকা ক্রিয়া।
কিন্তু এই সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার পাশাপাশি বিবিধ অর্থে ক্রিয়াকে আরো কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন
আরও পড়ুনঃ মৌলিক ধাতু কাকে বলে?
তাহলে দ্বিকর্মক ক্রিয়া হলো ক্রিয়ার নানা বিভাগের মধ্যে অন্যতম একটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দ্বিকর্মক ক্রিয়া কি তা জানা তো শুরু করা যাক।
দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্ম পদটিকে মুখ্য বা প্রধান কর্ম এবং ব্যক্তিবাচক কর্ম পদটিকে গৌণ কর্ম বলে।
যেমন- বাবা আমাকে একটি কলম দিয়েছেন। এই বাক্যে "কলম" (বস্তু) মুখ্যকর্ম এবং 'আমাকে' (ব্যক্তি) গৌণ কর্ম।
যেমন— শিক্ষিকা ছাত্রীকে ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন। এই বাক্যটিতে দুটি কর্ম—ছাত্রীকে এবং ব্যাকরণ। এদের মধ্যে একটি মুখ্য কর্ম অপরটি গৌণ কর্ম। সাধারণত বস্তুবাচক ও অপ্রাণীবাচক শব্দ মুখ্য কর্ম এবং প্রাণীবাচক শব্দ গৌণ কর্ম হয়ে থাকে।
সমধাতুজ কর্ম :
বাক্যের ক্রিয়া ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে ঐ কর্মপদকে সমধাতুজ কর্ম বা ধাতুর্থক কর্মপদ বলে।
যেমন- আর কত খেলা খেলবে।
✓ খেল্ + আ = খেলা (কর্মপদ)
✓ খেল্ + বে = খেলবে (ক্রিয়াপদ)
মূল 'খেল' ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ 'খেলবে' এবং কর্মপদ 'খেলা' উভয় গঠিত হয়েছে। তাই 'খেলা' পদটি সমধাতুজ বা ধাতুর্থক কর্ম। অনেক ক্ষেত্রে সমধাতুজ কর্মপদ অকর্মক ক্রিয়াকে সকর্মক করে। যেমন
✓ বেশ এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
✓ আর মায়াকান্না কেঁদো
✓ না গো বাপু।
✓ এমন সুখের মরণ কে মরতে পারে?
বাক্য তৈরির জন্য ক্রিয়াপদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যে কোনো বাক্যে ক্রিয়াপদ থাকবেই। তবে কখনও কখনও হয়ত তার চেহারা চোখে পড়ে না, তার সাহচর্য মেনে আড়ালে। যেমন- রহিম ভালো ছেলে। এখানে ক্রিয়াপদটি উহ্য, রহিম হয় ভালো ছেলে- এমন লেখা হলে 'হ' ধাতু থেকে তৈরি ক্রিয়াপদটি লক্ষ্যযোগ্য হত। কিন্তু বাক্য গঠনে 'হয়' ক্রিয়াপদটির প্রয়োজন নেই। ক্রিয়া বর্তমানকালে প্রায়ই উহ্য থাকে। বাক্যে সাধারণত 'হ' এবং 'আছ' ধাতু দ্বারা গঠিত ক্রিয়াপদ উহা থাকে।
যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদনা করা বুঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
আমারা জানি এই ক্রিয়াপদকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা - সমাপিকা ক্রিয়া এবং অসমাপিকা ক্রিয়া।
কিন্তু এই সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার পাশাপাশি বিবিধ অর্থে ক্রিয়াকে আরো কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন
- অকর্মক ক্রিয়া
- সকর্মক ক্রিয়া
- দ্বিকর্মক ক্রিয়া
- প্রযোজক ক্রিয়া
- যৌগিক ক্রিয়া এবং
- মিশ্র ক্রিয়া।
তাহলে দ্বিকর্মক ক্রিয়া হলো ক্রিয়ার নানা বিভাগের মধ্যে অন্যতম একটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দ্বিকর্মক ক্রিয়া কি তা জানা তো শুরু করা যাক।
দ্বিকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে ক্রিয়ার দুটো কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে।দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্ম পদটিকে মুখ্য বা প্রধান কর্ম এবং ব্যক্তিবাচক কর্ম পদটিকে গৌণ কর্ম বলে।
যেমন- বাবা আমাকে একটি কলম দিয়েছেন। এই বাক্যে "কলম" (বস্তু) মুখ্যকর্ম এবং 'আমাকে' (ব্যক্তি) গৌণ কর্ম।
যেমন— শিক্ষিকা ছাত্রীকে ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন। এই বাক্যটিতে দুটি কর্ম—ছাত্রীকে এবং ব্যাকরণ। এদের মধ্যে একটি মুখ্য কর্ম অপরটি গৌণ কর্ম। সাধারণত বস্তুবাচক ও অপ্রাণীবাচক শব্দ মুখ্য কর্ম এবং প্রাণীবাচক শব্দ গৌণ কর্ম হয়ে থাকে।
সমধাতুজ কর্ম :
বাক্যের ক্রিয়া ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে ঐ কর্মপদকে সমধাতুজ কর্ম বা ধাতুর্থক কর্মপদ বলে।
যেমন- আর কত খেলা খেলবে।
✓ খেল্ + আ = খেলা (কর্মপদ)
✓ খেল্ + বে = খেলবে (ক্রিয়াপদ)
মূল 'খেল' ধাতু থেকে ক্রিয়াপদ 'খেলবে' এবং কর্মপদ 'খেলা' উভয় গঠিত হয়েছে। তাই 'খেলা' পদটি সমধাতুজ বা ধাতুর্থক কর্ম। অনেক ক্ষেত্রে সমধাতুজ কর্মপদ অকর্মক ক্রিয়াকে সকর্মক করে। যেমন
✓ বেশ এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
✓ আর মায়াকান্না কেঁদো
✓ না গো বাপু।
✓ এমন সুখের মরণ কে মরতে পারে?
আরও পড়ুনঃ অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.