আমরা জানি যে বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও অসংখ্য বিক্রেতা একটি সমজাতীয় নির্দিষ্ট দামে না বিনা করে তাকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে। আর যে বাজারে একজনমাত্র বিক্রেতা পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন করে তাকে একচেটিয়া বলে।
৪. মূল্যের উপর প্রভাব :
পূর্ণ প্রতিযোগী বাজারে বাজার চাহিদার তুলনায় কোন একজন ক্রেতার চাহিদা অতি নগণ্য বলে তার পক্ষে এককভাবে বাজার চাহিদা ও মূল্যের উপর প্রভাব ফেলা সম্ভব নয়।
পূর্ণ প্রতিযোগিতা ও একচেটিয়া বাজারের পার্থক্য :-
পূর্ণ প্রতিযোগিতা ও একচেটিয়া বাজারের মধ্যে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আবার তাদের মধ্যে কিছু মিলও রয়েছে। নিচে এই দুটো বাজারের মধ্যেকার পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হল -
১. ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা :
পূর্ণ প্রতিযোগীতামূলক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে। কিন্তু, একচেটিয়া কারবারে একজন বিক্রেতা এবং অসংখ্য ক্রেতা থাকে।
২. দ্রব্যের প্রকৃতি :
পূর্ণ প্রতিযোগীতামূলক বাজারে পণ্য সমজাতীয় হয়। কিন্তু, একচেটিয়া বাজারে পণ্য সমজাতীয় হয় না। এখানে বিক্রীত পণ্যের ঘনিষ্ঠ পরিবর্তক দ্রব্য থাকে না।
৩. প্রান্তিক আয় ও গড় আয় :
পূর্ণ প্রতিযোগিতায় প্রান্তিক গড় আয় রেখা বা চাহিদা রেখা ভূমি অক্ষের সাথে সমান্তরাল হয়। এখানে প্রান্তিক আয় ও গড় আয় পরস্পর সমান হয়। প্রান্তিক আয় রেখা গড় আয় রেখার সাথে মিশে ভূমি অক্ষের সাথে সমান্তরাল হয়। পক্ষান্তরে, একচেটিয়া বাজারে গড় আয় লেখা ও প্রান্তিক আয় রেখা দুটোই ডানদিকে নিম্নগামী হয় এবং নাস্তিক আয় রেখা গড় আয় রেখার নিচের দিকে অবস্থান করে।
আরও পড়ুনঃ ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতি কি?
১. ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা :
পূর্ণ প্রতিযোগীতামূলক বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে। কিন্তু, একচেটিয়া কারবারে একজন বিক্রেতা এবং অসংখ্য ক্রেতা থাকে।
২. দ্রব্যের প্রকৃতি :
পূর্ণ প্রতিযোগীতামূলক বাজারে পণ্য সমজাতীয় হয়। কিন্তু, একচেটিয়া বাজারে পণ্য সমজাতীয় হয় না। এখানে বিক্রীত পণ্যের ঘনিষ্ঠ পরিবর্তক দ্রব্য থাকে না।
৩. প্রান্তিক আয় ও গড় আয় :
পূর্ণ প্রতিযোগিতায় প্রান্তিক গড় আয় রেখা বা চাহিদা রেখা ভূমি অক্ষের সাথে সমান্তরাল হয়। এখানে প্রান্তিক আয় ও গড় আয় পরস্পর সমান হয়। প্রান্তিক আয় রেখা গড় আয় রেখার সাথে মিশে ভূমি অক্ষের সাথে সমান্তরাল হয়। পক্ষান্তরে, একচেটিয়া বাজারে গড় আয় লেখা ও প্রান্তিক আয় রেখা দুটোই ডানদিকে নিম্নগামী হয় এবং নাস্তিক আয় রেখা গড় আয় রেখার নিচের দিকে অবস্থান করে।
আরও পড়ুনঃ ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতি কি?
৪. মূল্যের উপর প্রভাব :
পূর্ণ প্রতিযোগী বাজারে বাজার চাহিদার তুলনায় কোন একজন ক্রেতার চাহিদা অতি নগণ্য বলে তার পক্ষে এককভাবে বাজার চাহিদা ও মূল্যের উপর প্রভাব ফেলা সম্ভব নয়।
একইভাবে বাজারে বিপুল সংখ্যক বিক্রেতা থাকায় প্রত্যেক বিক্রেতা পণ্যের মোট যোগানের একটি ক্ষুদ্র অংশ সরবরাহ করে। এর ফলে কোন বিক্রেতা এককভাবে পণ্যের যোগান ও মূল্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
কিন্তু, একচেটিয়া বাজারে মূল্য কমিয়ে পণা অধিক পরিমাণে এবং মূল্য বাড়িয়ে কম পরিমাণ বিভনয় করতে পারে। এখানে বিক্রেতার পক্ষে মূল্যের উপর প্রভাব ফেলা সম্ভব।
৫. স্বল্পকালীন মুনাফা :
ভারসাম্যের দিক থেকে একচেটিয়া কারবারী স্বল্পকালে অসস্বাভাবিক মুনাফা, ক্ষতি, স্বাভাবিক মুনাফার সম্মুখীন হতে পারে। আবার পূর্ণ প্রতিযোগি ফার্মও স্বল্পকালে অসস্বাভাবিক মুনাফা, ক্ষতি, স্বাভাবিক মুনাফার সম্মুখীন হতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, পূর্ণ প্রতিযোগি ফর্ম ও একচেটিয়া ফার্ম একই আচরন করে।
৬. দীর্ঘকালীন মুনাফা :
একচেটিয়া কারবারির পক্ষে দীর্ঘকালে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু, পূর্ণ প্রতিযোগী ফার্মের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে শুধু স্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
৭. ফার্মের প্রবেশ ও প্রস্থান :
একচেটিয়া বাজারে কোন ফার্মের পক্ষে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। কিন্তু, পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অস্বাভাবিক মুনাফার লোভে ফার্ম শিল্পে প্রবেশ করতে পারে এবং লোকসানের ভয়ে শিল্প হতে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে ফার্মের অবাধ প্রবেশ ও প্রস্থানের অধিকার রয়েছে।
৮. চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের চাহিদা সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক। অন্যদিকে একচেটিয়া কারবারে বিবেচ্য পণ্যের চাহিদা সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক নয়। কারণ একচেটিয়া বাজারে দ্রব্যে দামের ভিন্নতা থাকে। এখানে একই পণ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নাম আবার বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে একই দাম আনায় সম্ভব।
৯. ব্যয় অবস্থা :
একচেটিয়া কারবারী স্থির, ক্রমহ্রাসমান এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় অবস্থায় কাজ করতে পারে। অপরদিকে, পূর্ণ প্রতিযোগী ফার্মের ভারসাম্য শুধু ক্রমবর্ধমান ব্যয় অবস্থার সাথে সংগতিপূর্ণ হতে পারে।
সুতরাং দেখা যায়, পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একচেটিয়া বাজারের মধ্যে কাঠামোগত মূল্যগত, প্রবাগত, আওতাগত অনেক পার্থক্য রয়েছে।
৫. স্বল্পকালীন মুনাফা :
ভারসাম্যের দিক থেকে একচেটিয়া কারবারী স্বল্পকালে অসস্বাভাবিক মুনাফা, ক্ষতি, স্বাভাবিক মুনাফার সম্মুখীন হতে পারে। আবার পূর্ণ প্রতিযোগি ফার্মও স্বল্পকালে অসস্বাভাবিক মুনাফা, ক্ষতি, স্বাভাবিক মুনাফার সম্মুখীন হতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, পূর্ণ প্রতিযোগি ফর্ম ও একচেটিয়া ফার্ম একই আচরন করে।
৬. দীর্ঘকালীন মুনাফা :
একচেটিয়া কারবারির পক্ষে দীর্ঘকালে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু, পূর্ণ প্রতিযোগী ফার্মের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে শুধু স্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
৭. ফার্মের প্রবেশ ও প্রস্থান :
একচেটিয়া বাজারে কোন ফার্মের পক্ষে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। কিন্তু, পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অস্বাভাবিক মুনাফার লোভে ফার্ম শিল্পে প্রবেশ করতে পারে এবং লোকসানের ভয়ে শিল্প হতে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে ফার্মের অবাধ প্রবেশ ও প্রস্থানের অধিকার রয়েছে।
৮. চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের চাহিদা সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক। অন্যদিকে একচেটিয়া কারবারে বিবেচ্য পণ্যের চাহিদা সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক নয়। কারণ একচেটিয়া বাজারে দ্রব্যে দামের ভিন্নতা থাকে। এখানে একই পণ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নাম আবার বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে একই দাম আনায় সম্ভব।
৯. ব্যয় অবস্থা :
একচেটিয়া কারবারী স্থির, ক্রমহ্রাসমান এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় অবস্থায় কাজ করতে পারে। অপরদিকে, পূর্ণ প্রতিযোগী ফার্মের ভারসাম্য শুধু ক্রমবর্ধমান ব্যয় অবস্থার সাথে সংগতিপূর্ণ হতে পারে।
সুতরাং দেখা যায়, পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং একচেটিয়া বাজারের মধ্যে কাঠামোগত মূল্যগত, প্রবাগত, আওতাগত অনেক পার্থক্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজার কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.