অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের আরেকটি বাজার ধারণা হলো অলিগোপলি। অলিগোপলি শব্দটি গ্রীক শব্দ Oligos এবং ল্যাটিন শব্দ Polis থেকে এসেছে যাদের অর্থ হলো যথাক্রমে কতিপয় এবং বিক্রেতা। তাই অলিগোপলিকে কতিপয় বিক্রেতার বাজার বলা হয়। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ কতিপয় বিক্রেতা বলতে দু'য়ের অধিক কিন্তু বেশি নয় এমন সংখ্যক ফার্মকে বুঝিয়েছেন।
Dou শব্দের অর্থ হলো দু'জন এবং Poly শব্দের অর্থ বিক্রেতা। অর্থাৎ ডুয়োপলি হলো এমন এক বাজার যেখানে দু'জন মাত্র বিক্রেতা পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন করে। ডুয়োপলি অলিগোপলি বাজারের একটি বিশেষ রূপ। অলিগোপলি বাজারে যখন দুটো ফার্ম থাকে তখন ডুয়োপলি বাজারের উদ্ভব হয়। এক্ষেত্রে ফার্ম দুটির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা বিরাজ করে এবং ডুয়োপলি বাজারে ফার্মের মধ্যে নির্ভরশীলতাও থাকে অত্যধিক। অলিগোপলির কুটি মডেল, স্ট্যাকেলবার্গ মডেল অন্যতম ডুয়োপলি মডেল।
আরও পড়ুনঃ অলিগোপলি বাজার কাকে বলে?
১. বিক্রেতার সংখ্যা :
অলিগোপলিতে দুই বা ততোধিক বিক্রেতা থাকে। কিন্তু, ডুয়োপলিতে বিক্রেতার সংখ্যা থাকে মাত্র দু'জন।
২. দ্রব্যের প্রকৃতি :
ডুয়োপলিতে উৎপাদিত দ্রব্য সমজাতীয় হয়। অন্যদিকে অলিগোপলিতে উৎপাদিত পণ্য সমজাতীয় হলে তাকে বিশুদ্ধ অলিগোপলি বলে আর দ্রব্য যদি ঘনিষ্ঠ বিকল্প হয় তবে তাকে পৃথকীকৃত অলিগোপলি বলে।
৩. বিজ্ঞাপন :
অলিগোপলিতে বিক্রয় বাড়ানোর জন্য প্রচুর বিজ্ঞাপন ব্যয় করা হয়ে থাকে। কিন্তু, ডুয়োপলিতে বিজ্ঞাপন ব্যয়ের দরকার হয় না।
৪. দাম নেতৃত্ব :
অলিগোপলিতে মূল্য নেতৃত্ব থাকে। এখানে নেতা ফার্ম পণ্যের একটি মূল্য নির্ধারণ করে। আর সেই মূল্য অন্য অনুসরনকারী ফার্ম মেনে নেয়।
৫. কার্টেল গঠন :
অলিগোপলিতে ফার্মগুলো অনেক সময় স্বাধীন আচরণ না করে বরং দলীয় আচরণ করে থাকে। তবে ফার্ম গুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার কারণে একে অপরকে ঠকানোর প্রবণতা থাকে। ফলে এখানে চুক্তি টেকে না। পক্ষান্তরে, ডুয়োপণিতে কার্টেল গঠিত হয় না।।
৬. গোষ্ঠিগত আচরণ :
অলিগোপলিতে ফার্মসমূহ গোষ্ঠিগত আচরণ করে। কিন্তু, ডুয়োপলিতে গোষ্ঠিগত আচরণ নেই।
৭. প্রতিযোগিতা :
অলিগোপলিতে অনেক সময় প্রতিযোগিতা না হয়ে সমঝোতা তৈরি হয়। অন্যদিকে ডুয়োপলিতে সর্বদা পতিযোগিতা থাকে।
Dou শব্দের অর্থ হলো দু'জন এবং Poly শব্দের অর্থ বিক্রেতা। অর্থাৎ ডুয়োপলি হলো এমন এক বাজার যেখানে দু'জন মাত্র বিক্রেতা পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন করে। ডুয়োপলি অলিগোপলি বাজারের একটি বিশেষ রূপ। অলিগোপলি বাজারে যখন দুটো ফার্ম থাকে তখন ডুয়োপলি বাজারের উদ্ভব হয়। এক্ষেত্রে ফার্ম দুটির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা বিরাজ করে এবং ডুয়োপলি বাজারে ফার্মের মধ্যে নির্ভরশীলতাও থাকে অত্যধিক। অলিগোপলির কুটি মডেল, স্ট্যাকেলবার্গ মডেল অন্যতম ডুয়োপলি মডেল।
অলিগোপলি ও ডুয়োপলির পার্থক্য :-
আমরা জানি, ডুয়োপলি অলিগোপলি বাজারের একটি বিশেষ রূপ। কিন্তু, তাদের মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য বিদ্যমান। নিন্মে ডুয়োপলি ও অলিগোপলি বাজারের পার্থক্য আলোচনা করা হলো:আরও পড়ুনঃ অলিগোপলি বাজার কাকে বলে?
১. বিক্রেতার সংখ্যা :
অলিগোপলিতে দুই বা ততোধিক বিক্রেতা থাকে। কিন্তু, ডুয়োপলিতে বিক্রেতার সংখ্যা থাকে মাত্র দু'জন।
২. দ্রব্যের প্রকৃতি :
ডুয়োপলিতে উৎপাদিত দ্রব্য সমজাতীয় হয়। অন্যদিকে অলিগোপলিতে উৎপাদিত পণ্য সমজাতীয় হলে তাকে বিশুদ্ধ অলিগোপলি বলে আর দ্রব্য যদি ঘনিষ্ঠ বিকল্প হয় তবে তাকে পৃথকীকৃত অলিগোপলি বলে।
৩. বিজ্ঞাপন :
অলিগোপলিতে বিক্রয় বাড়ানোর জন্য প্রচুর বিজ্ঞাপন ব্যয় করা হয়ে থাকে। কিন্তু, ডুয়োপলিতে বিজ্ঞাপন ব্যয়ের দরকার হয় না।
৪. দাম নেতৃত্ব :
অলিগোপলিতে মূল্য নেতৃত্ব থাকে। এখানে নেতা ফার্ম পণ্যের একটি মূল্য নির্ধারণ করে। আর সেই মূল্য অন্য অনুসরনকারী ফার্ম মেনে নেয়।
৫. কার্টেল গঠন :
অলিগোপলিতে ফার্মগুলো অনেক সময় স্বাধীন আচরণ না করে বরং দলীয় আচরণ করে থাকে। তবে ফার্ম গুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার কারণে একে অপরকে ঠকানোর প্রবণতা থাকে। ফলে এখানে চুক্তি টেকে না। পক্ষান্তরে, ডুয়োপণিতে কার্টেল গঠিত হয় না।।
৬. গোষ্ঠিগত আচরণ :
অলিগোপলিতে ফার্মসমূহ গোষ্ঠিগত আচরণ করে। কিন্তু, ডুয়োপলিতে গোষ্ঠিগত আচরণ নেই।
৭. প্রতিযোগিতা :
অলিগোপলিতে অনেক সময় প্রতিযোগিতা না হয়ে সমঝোতা তৈরি হয়। অন্যদিকে ডুয়োপলিতে সর্বদা পতিযোগিতা থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.