ফার্ম ও শিল্পের পার্থক্য?

অনেকে ফার্ম ও শিল্প শব্দ দুটিকে একই অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, শব্দ দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ এককগুলো হলো প্লান্ট। আর একই ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একাধিক সম্পূর্ণ উৎপাদন প্লান্টসমূহকে ফার্ম বলা হয়। ফার্ম হলো শিল্পের একটি অংশ। 

যেমন: একটি সিমেন্ট কারখানা হলো একটি ফার্ম। আর এর অধীনে একই ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইউনিটগুলো হলো এক একটি প্লান্ট। 

অন্যদিকে একই দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থাপনার অধীনে সকল ফার্মকে বলা হয় শিল্প। যেমন: দেশের সকল সিমেন্ট কারখানাকে সিমেন্ট শিল্প বলা হয়। অর্থাৎ শিল্প হচ্ছে সকল ফার্মের সমষ্টি।

ফার্ম ও শিল্পের পার্থক্য :-

ফার্ম ও শিল্পের পার্থক্য নিম্নে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে আলোচনা করা হলো।

১. সংজ্ঞাগত পার্থক্য :

একটি সমজাতীয় দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থাপনার অধীনে সকল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বা ফার্মকে শিল্প বলা হয়। আর একই ব্যবস্থাপনার অধীনে স্বয়ংসম্পূর্ণ একাধিক প্লান্টকে ফার্ম বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ অর্থনীতি কাকে বলে?

২. বাজার ভিত্তিক :

একচেটিয়া বাজারে ফার্ম ও শিল্পের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু, পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ফার্ম ও শিল্পের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

৩. আওতাগত :

শিল্পের আওতা ও পরিধি ব্যাপক। অন্যদিকে ফার্মের আওতা ও পরিধি ক্ষুদ্র ।

৪. পূর্ণ প্রতিযোগিতায় চাহিদা রেখা :

পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শিল্পের চাহিদা রেখা ডানদিকে নিম্নগামী। কিন্তু এ বাজারে ফার্মের চাহিদা রেখা ভূমি অক্ষের সমান্তরাল।

৫. মুনাফা অর্জন :

পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শিল্প সবসময় স্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করে। কিন্তু, এ বাজারে একটি ফার্ম স্বাভাবিক মুনাফা অস্বাভাবিক মুনাফা, ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

৬. মূল্য নির্ধারণ :

দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণে ফার্ম এককভাবে ভূমিকা রাখতে পারে না। কিন্তু, দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণে শিল্প সরাসরি ভূমিকা রাখে।

এভাবে ফার্ম ও শিল্পের পার্থক্য করা যায়।

আরও পড়ুনঃ ফার্ম কাকে বলে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ