পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলতে এমন এক বাজার ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে অসংখ্য নেতা ও বিক্রেতা একটি সমজাতীয় পণ্য নির্দিষ্ট দামে ক্রয়-বিক্রয় করে। এ বাজারে কোনো ক্রেতা বা বিক্রেতা একক ভাবে পণ্যের নামের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের ক্ষেত্রে ফার্মের মধ্যে প্রতিদ্ধন্ধিত সম্পূর্ণ অনুপস্থিত থাকে। এ বাজারে যে কোনো ফার্ম শিল্পে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারে এবং ক্রেতা ও বিক্রেতা বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে। তাই এ বাজারের পণ্যের জন্য কোনো বিজ্ঞাপন প্রয়োজন হয় না। যে দাম ক্রেতা ও বিক্রেতার মাধ্যমে নির্ধারিত হয় তা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই মেনে নেয়। বাস্তবে, পৃথিবীতে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার দেখা যায় না।
মিসেস জোয়ান রবিনসন এর মতে “যে বাজারে প্রতিটি উৎপাদনকারী ফার্মের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা পরিপূর্ণ স্থিতিস্থাপক, তাকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে।"
১. অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে। অর্থাৎ ক্রেতার সংখ্যা ও বিক্রেতার সংখ্যা গণনা করা যায় না। অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা থাকায় ভোগের ক্ষেত্রে ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে তাদের স্বাধীনতা বজায় থাকে।
আরও পড়ুনঃ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কাকে বলে?
২. সমজাতীয় পণ্য :
সমজাতীয় পণ্য বলতে দ্রব্যের আকার, আকৃতি, ওজন, গুনগত মান ইত্যাদি একই রকম বুঝায়। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিবেচ্য পণ্য সমজাতীয় হয়।
৩. নির্দিষ্ট দাম :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রব্যের দাম নির্দিষ্ট থাকে। কোনো ক্রেতা বা বিক্রেতা এককভাবে দ্রব্যের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
৪. দাম সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতা অবগত :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রব্যের দাম সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতা সম্যক ধারণা রাখে। বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকায় কোনো বিক্রেতা যেমন কোনো ক্রেতার কাছ থেকে বেশি মূল্য আদায় করতে পারে না আবার কোনো ক্রেতাও বেশি দামে দ্রব্য ক্রয় করে না।।
৫. উৎপাদন বাজাওে সহজ প্রবেশ ও প্রস্থান :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যেকোনো ফার্ম উৎপাদনে অংশগ্রহন করতে পারে আবার যেকোনো ফার্ম শিল্প থেকে বের হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ বাজারে ফার্মের অবাধ প্রবেশ ও প্রস্থানের সুযোগ রয়েছে।
৬. ক্রেতা ও বিক্রেতা সিদ্ধান্ত গ্রহনে স্বাধীন :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিটি ফার্মের উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা সর্বোচ্চ করার। এজন্য সে সর্বনিম্ন খরচে সর্বোচ্চ মুনাফা করার চেষ্টা করে। অপরদিকে প্রত্যেক ক্রেতা চেষ্টা করে সর্বোচ্চ উপযোগ পেতে। এক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকে।
আরও পড়ুনঃ একচেটিয়া বাজার কাকে বলে?
৭. পরিবহন ব্যয় :
অবিবেচিত পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যে পণ্যের লেনদেন হয় তার পরিবহন ব্যয় অবিবেচিত হয়। কারণ পণ্যের পরিবহন বাবা বিবেচনা করলে দামের বিভিন্নতা দেখা দেবে। তাই দামের বিভিন্নতা এড়ানোর জন্য এ বাজারে পরিবহন ব্যয় বিবেচনার বাইরে রাখা হয়।
৮. উৎপাদনের উপাদান গুলোর পূর্ণ গতিশীলতা :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উপকরণের গতিশীলতা থাকে। এক শিল্প হতে অন্য শিল্পে উপকরণসমূহ অবাধে স্থানান্তর হতে পারে।
৯. সরকারি নিয়ন্ত্রণ অনুপস্থিত :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এখানে দাম ব্যবস্থা থাকে অনিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ এ বাজারের পণ্যের বিনিময়ের উপর সরকার কোনো বিধি নিষেধ আরোপ করবে না। কোনো প্রকার কর, ভর্তুকি, দামের সীমা বেধে দেয়া ইত্যাদি অনুপস্থিত থাকে ।
১০. অবাধ বাণিজ্য :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের অবাধ বাণিজ্য বিরাজ করে। যেহেতু পণ্য উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা স্বাধীন থাকে তাই এ বাজারে অবাধে পণ্য জন্য বিক্রয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ অবাধ বাণিজ্য হয়ে থাকে।
পূর্ণ প্রতিযোগিতার বাজার কাকে বলে :-
যে বাজারে বহুসংখ্যক ক্রেতা এবং বহুসংখ্যক বিক্রেতা একটি সমজাতীয় পণ্য চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট মূল্যে রুনা-বিরুনা করে তাকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে।মিসেস জোয়ান রবিনসন এর মতে “যে বাজারে প্রতিটি উৎপাদনকারী ফার্মের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা পরিপূর্ণ স্থিতিস্থাপক, তাকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে।"
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বৈশিষ্ট্য :-
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কতগুলো বৈশিষ্ট্য বা শর্ত রয়েছে। নিম্নে এগুলো আলোচনা করা হলো:১. অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে। অর্থাৎ ক্রেতার সংখ্যা ও বিক্রেতার সংখ্যা গণনা করা যায় না। অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা থাকায় ভোগের ক্ষেত্রে ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে তাদের স্বাধীনতা বজায় থাকে।
আরও পড়ুনঃ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কাকে বলে?
২. সমজাতীয় পণ্য :
সমজাতীয় পণ্য বলতে দ্রব্যের আকার, আকৃতি, ওজন, গুনগত মান ইত্যাদি একই রকম বুঝায়। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিবেচ্য পণ্য সমজাতীয় হয়।
৩. নির্দিষ্ট দাম :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রব্যের দাম নির্দিষ্ট থাকে। কোনো ক্রেতা বা বিক্রেতা এককভাবে দ্রব্যের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
৪. দাম সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতা অবগত :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রব্যের দাম সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতা সম্যক ধারণা রাখে। বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকায় কোনো বিক্রেতা যেমন কোনো ক্রেতার কাছ থেকে বেশি মূল্য আদায় করতে পারে না আবার কোনো ক্রেতাও বেশি দামে দ্রব্য ক্রয় করে না।।
৫. উৎপাদন বাজাওে সহজ প্রবেশ ও প্রস্থান :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যেকোনো ফার্ম উৎপাদনে অংশগ্রহন করতে পারে আবার যেকোনো ফার্ম শিল্প থেকে বের হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ বাজারে ফার্মের অবাধ প্রবেশ ও প্রস্থানের সুযোগ রয়েছে।
৬. ক্রেতা ও বিক্রেতা সিদ্ধান্ত গ্রহনে স্বাধীন :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিটি ফার্মের উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা সর্বোচ্চ করার। এজন্য সে সর্বনিম্ন খরচে সর্বোচ্চ মুনাফা করার চেষ্টা করে। অপরদিকে প্রত্যেক ক্রেতা চেষ্টা করে সর্বোচ্চ উপযোগ পেতে। এক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকে।
আরও পড়ুনঃ একচেটিয়া বাজার কাকে বলে?
৭. পরিবহন ব্যয় :
অবিবেচিত পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যে পণ্যের লেনদেন হয় তার পরিবহন ব্যয় অবিবেচিত হয়। কারণ পণ্যের পরিবহন বাবা বিবেচনা করলে দামের বিভিন্নতা দেখা দেবে। তাই দামের বিভিন্নতা এড়ানোর জন্য এ বাজারে পরিবহন ব্যয় বিবেচনার বাইরে রাখা হয়।
৮. উৎপাদনের উপাদান গুলোর পূর্ণ গতিশীলতা :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উপকরণের গতিশীলতা থাকে। এক শিল্প হতে অন্য শিল্পে উপকরণসমূহ অবাধে স্থানান্তর হতে পারে।
৯. সরকারি নিয়ন্ত্রণ অনুপস্থিত :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এখানে দাম ব্যবস্থা থাকে অনিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ এ বাজারের পণ্যের বিনিময়ের উপর সরকার কোনো বিধি নিষেধ আরোপ করবে না। কোনো প্রকার কর, ভর্তুকি, দামের সীমা বেধে দেয়া ইত্যাদি অনুপস্থিত থাকে ।
১০. অবাধ বাণিজ্য :
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের অবাধ বাণিজ্য বিরাজ করে। যেহেতু পণ্য উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা স্বাধীন থাকে তাই এ বাজারে অবাধে পণ্য জন্য বিক্রয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ অবাধ বাণিজ্য হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ উপযোগ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.