ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার ঠিক উল্টো ধারণাটিই হলো সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। ১৯১৭ সালে ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তথা রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কাকে বলে :-
যে অর্থব্যবস্থায় সম্পদের সরকারি মালিকানা বজায় থাকে এবং অর্থনীতির সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কেন্দ্রীয়ভাবে তাকে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলে।
এ অর্থব্যবস্থাকে নির্দেশনামূলক অর্থব্যবস্থাও বলা হয়। এখানে দ্রব্যমূল্য নির্ধারনে স্বয়ংক্রিয় বাজার ব্যবস্থার কোন ভূমিকা থাকে না। দেশের উৎপাদন ও বন্টনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রন প্রতিয়মান হয়। বর্তমানে ইউরোপের একমাত্র সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির দেশ পোল্যান্ড। এছাড়া কিউবা, চীন এসব দেশে সমাজতন্ত্র চালু আছে।
১. সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা :
সমাজতন্ত্রে দেশের সকল সম্পদের মালিক রাষ্ট্র। উৎপাদনের সকল উপাদানের মালিক থাকে রাষ্ট্র। কি দ্রব্য, কিভাবে এবং কার জন্য উৎপাদিত হবে তার সবকিছুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সরকার তথা রাষ্ট্র। এখানে ব্যক্তিগত মালিকানার বিষয়টি কল্পনাতীত।
আরও পড়ুনঃ জীবগোষ্ঠী কাকে বলে?
২. কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত :
সমাজতন্ত্রে সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায় সম্পন্ন হয়। এখানে উৎপাদন, বিনিময়, বন্টন, দ্রব্য মূল্য নির্ধারণ সব কিছুই কেন্দ্রীয়ভাবে হয়ে থকে। দেশের উন্নয়ন তথা জনগনের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাষ্ট্রের উপর।
৩. সামাজিক কল্যাণ :
সমাজতন্ত্রে জনগনের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি নিশ্চিত করে সরকার। এসব ক্ষেত্রে সরকার সকল অসমতা দূর করে সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করার পথে অগ্রসর হয়।
৪. দাম ব্যবস্থা :
সমাজতন্ত্র বা নির্দেশনামূলক অর্থব্যবস্থায় দ্রব্য ও সেবার মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয় না। এখানে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কোন দ্রব্যের মূল্য কত হবে। কোন দ্রব্য উৎপাদন করা যাবে আর কোন দ্রব্য উৎপাদন করা যাবে না।
৫. শোষণহীন সমাজ :
সমাজতন্ত্রে ব্যক্তি মালিকানায় সম্পদ না থাকায় মানুষের মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য থাকে না। পুঁজিপতির সৃষ্টি হয় না। তাই শ্রমিক শোষণ বা অন্য কোনো শোষণের চিত্র পাওয়া যায় না।
৬. মুদ্রাস্ফীতির অনুপস্থিতি :
সমাজতন্ত্রে দ্রব্যের দাম কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রন করায় মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা কম থাকে। জনগনের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকার দ্রব্য মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।
৭. ভোগ ও বণ্টন ব্যবস্থা :
এ অর্থব্যবস্থায় কোন দ্রব্য কতটুকু উৎপাদিত হবে, কে কতটুকু দ্রব্য ভোগ করবে তা রাষ্ট্রীয়ভাবেই নির্ধারিত হয়। এখানে সমাজে যে যতটুকু অবদান রাখবে সে অনুপাতে বন্টন করা হয়। ফলে এখানে জাতীয় আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়।
এ অর্থব্যবস্থাকে নির্দেশনামূলক অর্থব্যবস্থাও বলা হয়। এখানে দ্রব্যমূল্য নির্ধারনে স্বয়ংক্রিয় বাজার ব্যবস্থার কোন ভূমিকা থাকে না। দেশের উৎপাদন ও বন্টনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রন প্রতিয়মান হয়। বর্তমানে ইউরোপের একমাত্র সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির দেশ পোল্যান্ড। এছাড়া কিউবা, চীন এসব দেশে সমাজতন্ত্র চালু আছে।
সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য :-
ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মত সমাজতন্ত্রেরও কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হলো১. সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা :
সমাজতন্ত্রে দেশের সকল সম্পদের মালিক রাষ্ট্র। উৎপাদনের সকল উপাদানের মালিক থাকে রাষ্ট্র। কি দ্রব্য, কিভাবে এবং কার জন্য উৎপাদিত হবে তার সবকিছুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সরকার তথা রাষ্ট্র। এখানে ব্যক্তিগত মালিকানার বিষয়টি কল্পনাতীত।
আরও পড়ুনঃ জীবগোষ্ঠী কাকে বলে?
২. কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত :
সমাজতন্ত্রে সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায় সম্পন্ন হয়। এখানে উৎপাদন, বিনিময়, বন্টন, দ্রব্য মূল্য নির্ধারণ সব কিছুই কেন্দ্রীয়ভাবে হয়ে থকে। দেশের উন্নয়ন তথা জনগনের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাষ্ট্রের উপর।
৩. সামাজিক কল্যাণ :
সমাজতন্ত্রে জনগনের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি নিশ্চিত করে সরকার। এসব ক্ষেত্রে সরকার সকল অসমতা দূর করে সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করার পথে অগ্রসর হয়।
৪. দাম ব্যবস্থা :
সমাজতন্ত্র বা নির্দেশনামূলক অর্থব্যবস্থায় দ্রব্য ও সেবার মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয় না। এখানে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কোন দ্রব্যের মূল্য কত হবে। কোন দ্রব্য উৎপাদন করা যাবে আর কোন দ্রব্য উৎপাদন করা যাবে না।
৫. শোষণহীন সমাজ :
সমাজতন্ত্রে ব্যক্তি মালিকানায় সম্পদ না থাকায় মানুষের মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য থাকে না। পুঁজিপতির সৃষ্টি হয় না। তাই শ্রমিক শোষণ বা অন্য কোনো শোষণের চিত্র পাওয়া যায় না।
৬. মুদ্রাস্ফীতির অনুপস্থিতি :
সমাজতন্ত্রে দ্রব্যের দাম কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রন করায় মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা কম থাকে। জনগনের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকার দ্রব্য মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।
৭. ভোগ ও বণ্টন ব্যবস্থা :
এ অর্থব্যবস্থায় কোন দ্রব্য কতটুকু উৎপাদিত হবে, কে কতটুকু দ্রব্য ভোগ করবে তা রাষ্ট্রীয়ভাবেই নির্ধারিত হয়। এখানে সমাজে যে যতটুকু অবদান রাখবে সে অনুপাতে বন্টন করা হয়। ফলে এখানে জাতীয় আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়।
আরও পড়ুনঃ সম্পদ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.