বৈচিত্যময় এ পৃথিবীতে বাস করে নানা ধরনের অসংখ্য প্রাণী। এমনকি মরুভূমি, অরণ্য, বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালা, সমুদ্রের বিশাল জলরাশি সর্বত্রই এদের বিচরণ। পরিবেশের বিভিন্নতার জন্য পৃথিবীর এ সকল প্রাণী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অভিযোজিত হয়েছে।
জীববিজ্ঞানিগণ এখন পর্যন্ত ১.৩ মিলিয়ন প্রাণীর বর্ণনা করেছেন। কোনোটি আকারে অনেক বড়, কোনোটি এতোই ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। প্রাণীদের এ বৈচিত্র্য রয়েছে এদের বাহ্যিত গঠনে, স্বভাবে, জীবন ধারণে ও আচরণে।
১। জিনগত বৈচিত্র্য (Genetic diversity):
একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে জিনগত পার্থক্যের কারণে যে বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয় তাকে জিনগত বৈচিত্র্য বলে।
আরও পড়ুন:- জীবগোষ্ঠী কাকে বলে?
এ ধরনের বৈচিত্র্য যেহেতু একই প্রজাতির মধ্যে ঘটে তাই একে অন্তঃপ্রজাতিক বৈচিত্র্যও বলে। যেমন- মানব প্রজাতির বিভিন্ন রেস এর মধ্যে নাক ও কানের গঠনগত পার্থক্য, একই পিতা-মাতার সন্তানের মধ্যে পার্থক্য আবার মানুষ (Homo sapiens) একই প্রজাতিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মঙ্গোলয়েড, ককেশয়েত, নিম্নয়েড ইত্যাদি রেস দেখা যায় এবং এদের দেহের গঠন, গায়ের রং, চুলের রং ও আকৃতি ইত্যাদিতে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
২। প্রজাতিগত বৈচিত্র্য (Species diversity):
ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বলে।
এ ধরনের বৈচিত্র যেহেতু একই গঞণভুক্ত প্রজাতিগুলোর মধ্যে ঘটে তাই একে আন্তরজাতিক বৈচিত্র্যও বলে। একই গনভুক্ত প্রজাতির মধ্যে ক্রোমোসোম সংখ্যা ও আঙ্গিক গঠনে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। যেমন- রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris) ও সিংহ (Panthera lev) একই গণভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ক্রোমোসোম সংখ্যা ও জিনের বিন্যাস ভিন্ন হওয়ার ফলে এদের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বিরাজ করে।
৩। বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য (Ecosystem diversity):
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ুর সাথে জীবজগতের মিথষ্ক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশিয় একক বা বায়োম সৃষ্টি হয়। যেমন- তুন্দ্রা বায়োম, মরূ বায়োম, তৃণ ভূমি বায়োম ইত্যাদি । বিভিন্ন বায়োমে বসবাসকারি জীবের বৈচিত্র্য্যকে বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য বলে।
যেমন- বন, তৃণভূমি, জলাভূমি, হ্রদ, পাহাড়, সাগর, মরুভূমি প্রভৃতি বাস্তুতন্ত্রে গড়ে উঠে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন জীব সম্প্রদায়।
জীববিজ্ঞানিগণ এখন পর্যন্ত ১.৩ মিলিয়ন প্রাণীর বর্ণনা করেছেন। কোনোটি আকারে অনেক বড়, কোনোটি এতোই ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। প্রাণীদের এ বৈচিত্র্য রয়েছে এদের বাহ্যিত গঠনে, স্বভাবে, জীবন ধারণে ও আচরণে।
প্রাণী বৈচিত্র্য কাকে বলে :-
বৈচিত্র্যময় এ পৃথিবীতে বিরাজমান সকল প্রাণীর মধ্যে যে জিনগত, বাস্তুসংস্থানগত ও প্রজাতিগত বিভিন্নতা দেখা যায় তাকে প্রাণী বৈচিত্র্য বলে (Animal diversity)। প্রকৃতিতে তিন ধরনের প্রাণী বৈচিত্র্য দেখা যায়।১। জিনগত বৈচিত্র্য (Genetic diversity):
একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে জিনগত পার্থক্যের কারণে যে বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয় তাকে জিনগত বৈচিত্র্য বলে।
আরও পড়ুন:- জীবগোষ্ঠী কাকে বলে?
এ ধরনের বৈচিত্র্য যেহেতু একই প্রজাতির মধ্যে ঘটে তাই একে অন্তঃপ্রজাতিক বৈচিত্র্যও বলে। যেমন- মানব প্রজাতির বিভিন্ন রেস এর মধ্যে নাক ও কানের গঠনগত পার্থক্য, একই পিতা-মাতার সন্তানের মধ্যে পার্থক্য আবার মানুষ (Homo sapiens) একই প্রজাতিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মঙ্গোলয়েড, ককেশয়েত, নিম্নয়েড ইত্যাদি রেস দেখা যায় এবং এদের দেহের গঠন, গায়ের রং, চুলের রং ও আকৃতি ইত্যাদিতে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
২। প্রজাতিগত বৈচিত্র্য (Species diversity):
ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বলে।
এ ধরনের বৈচিত্র যেহেতু একই গঞণভুক্ত প্রজাতিগুলোর মধ্যে ঘটে তাই একে আন্তরজাতিক বৈচিত্র্যও বলে। একই গনভুক্ত প্রজাতির মধ্যে ক্রোমোসোম সংখ্যা ও আঙ্গিক গঠনে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। যেমন- রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris) ও সিংহ (Panthera lev) একই গণভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ক্রোমোসোম সংখ্যা ও জিনের বিন্যাস ভিন্ন হওয়ার ফলে এদের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বিরাজ করে।
৩। বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য (Ecosystem diversity):
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ুর সাথে জীবজগতের মিথষ্ক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশিয় একক বা বায়োম সৃষ্টি হয়। যেমন- তুন্দ্রা বায়োম, মরূ বায়োম, তৃণ ভূমি বায়োম ইত্যাদি । বিভিন্ন বায়োমে বসবাসকারি জীবের বৈচিত্র্য্যকে বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য বলে।
যেমন- বন, তৃণভূমি, জলাভূমি, হ্রদ, পাহাড়, সাগর, মরুভূমি প্রভৃতি বাস্তুতন্ত্রে গড়ে উঠে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন জীব সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন:- জীব সম্প্রদায় কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.