পাতা কাকে বলে :-
পাতা গাছের অঙ্গ। কান্ড বা তার শাখা-প্রশাখার পর্ব থেকে পাশের দিকে পাতা বের হয়। পাতা সাধারণত চ্যাপ্টা ও সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। কাও বা শাখা-প্রশাখার নিচের দিকের পাতা বড় এবং উপরের দিকের পাতা ছোট হয়।
কাজেই কাণ্ড বা তার শাখা-প্রশাখার পর্ব হতে উৎপন্ন চ্যাপ্টা ও প্রসারিত সবুজ অঙ্গকে পাতা বলে।
নিম্ন শ্রেণির উদ্ভিদ, যেমন- শৈবাল, ছত্রাক প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতা নেই। সপুষ্পক উদ্ভিদের পাতাই প্রকৃত পাতা।
উদ্ভিদের কান্ড বা তার শাখা-প্রশাখার পর্ব হতে উৎপন্ন চ্যাপ্টা ও প্রসারিত সবুজ অঙ্গকে পাতা বলে।
আরও পড়ুন :- প্লাস্টিড কি?
উদ্ভিদের কান্ড বা তার শাখা-প্রশাখার পর্ব হতে উৎপন্ন চ্যাপ্টা ও প্রসারিত সবুজ অঙ্গকে পাতা বলে।
আরও পড়ুন :- প্লাস্টিড কি?
নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদ যেমন- শৈবাল, ছত্রাক প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতা নেই। মস জাতীয় কোন কোন উদ্ভিদে পাতার মত অঙ্গ দেখা গেলেও সেগুলো প্রকৃতপক্ষে পাতা নয়। সপুষ্পক উদ্ভিদের পাতা প্রকৃত পাতা। একটি আদর্শ পাতায় তিনটি অংশ থাকে। যথা- পত্রমূল, বৃত্ত ও পত্রফলক। আম, জাম, জবা ইত্যাদি পাতা আদর্শ পাতা।
পাতার প্রকারভেদ :-
আপনাদের পরিবেশে খেয়াল করুন, দেখবেন আশেপাশের গাছপালায় নানা রঙের এবং নানা রকমের পাতা দেখা যায়। এসব পাতার কোনটিতে কেবলমাত্র একটি পত্রফলক থাকে, আবার কোনটির পত্রফলক সম্পূর্ণরূপে খন্ডিত হয়ে দুই বা ততোধিক পত্রকে পরিণত হয়।পত্রফলক এবং পত্রকের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে পাতাকে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
(১) সরল পত্র ও
(২) যৌগিক পত্র।
১. সরলপত্র:
যে পাতার বৃত্তের উপরে একটিমাত্র পত্রফলক থাকে তাকে সরলপত্র বলে। যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, বট ইত্যাদি গাছের পাতা।সরল পত্রের কিনারা অখন্ডিত বা আংশিকভাবে খন্ডিত হতে পারে। যেমন- আম, কাঠাল, জাম, কদম, বট প্রভৃতি উদ্ভিদে অখন্ডিত সরলপত্র এবং ঢেঁড়স, সরিষা, কচুপাতা প্রভৃতি উদ্ভিদে খণ্ডিত সরলপত্র দেখা যায়।
আরও পড়ুন:- সম্পূর্ণ ও অসম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে?
২. যৌগিক পত্র:
একাধিক পত্রক নিয়ে গঠিত পাতাকে যৌগিক পত্র বলে। যেমন- গোলাপ, শুষনিশাক, বেল, শিমুল, সজিনা ইত্যাদি।পাতার শিরাবিন্যাস:
পাতার ফলকের মাঝ বরাবর পাতার আগা পর্যন্ত বিস্তৃত বৃত্তের প্রসারিত অংশকে মধ্যশিরা বা প্রধান শিরা বলে। অশ্বথ গাছের মধ্যশিরা বলিষ্ঠ হয়। মধ্যশিরা বা প্রধান শিরার দুই পাশ থেকে উৎপন্ন শিরাকে শাখাশিরা এবং শিরা থেকে উৎপন্ন শিরাকে উপশিরা বলে।
যে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শিরা, উপশিরা ও শাখা শিরাগুলো পত্রফলকে বিন্যস্ত থাকে তাকে শিরাবিন্যাস বলা হয়। সপুষ্পক উদ্ভিদের পত্রফলকে দুই প্রকার শিরাবিন্যাস দেখা যায়, যেথা- সমান্তরাল শিরাবিন্যাস ও জালিকা শিরাবিন্যাস।
সমান্তরাল শিরাবিন্যাস:
মধ্যশিরা হতে উৎপন্ন শিরাগুলো যখন পরস্পরের সাথে সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত থাকে তখন তাকে সমান্তরাল শিরাবিন্যাস বলে। যেমন- বাঁশ, কলা, ধান, রজনীগন্ধা ইত্যাদির পাতা।
জালিকা শিরাবিন্যাস:
মধ্যশিরা থেকে উৎপন্ন শিরাগুলো শাখা-প্রশাখাসহ পরস্পর মিলিত হয়ে একটি জালিকা সৃষ্টি করলে তাকে জালিকা শিরাবিন্যাস বলে। যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.