আমরা যে এলাকায় বাস করি সে এলাকার আশপাশ লক্ষ্য করলে মানুষ ছাড়া দেখতে পাবো কিছু গাছ-পালা, পশু-পাখি, পোকা-মাকড় ইত্যাদি। এ ছাড়া ঘর-বাড়ি, দালান-কোঠা, মাটি, পানি, আলো-বাতাস এসবতো আছেই। পরিবেশের এসব উপাদানের মধ্যে মানুষ, পশু-পাখি, পোকা-মাকড়, গাছ-পালা এসবের জীবন আছে, তাই এরা জীব। মাটি, পানি, ইট-পাথর এগুলোর জীবন নেই তাই এরা জড়। জীব এবং জড়বস্তু নিয়েই আমাদের বস্তুজগৎ বা প্রকৃতি ।
মানুষ, পশু-পাখি, গাছ-পালা এসব জীব আমরা খালি চোখে দেখতে পাই, কিন্তু প্রকৃতিতে এমন অনেক জীব আছে যাদেরকে খালি চোখে দেখতে পাই না, কারণ এরা অতিক্ষুদ্র। অতিক্ষুদ্র বলে এসব জীবকে বলা হয় অণুজীব, এদেরকে মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়। অধিকাংশ রোগের জীবাণুই অণুজীব। পৃথিবীর সকল জীব এবং অণুজীব নিয়েই জীবজগৎ (Biota) গঠিত।
অন্যভাবে বলা যায় জীব তথা জীবনের বিজ্ঞানই হলো জীববিজ্ঞান।
আরও পড়ুন:- যোগান কাকে বলে?
১. মনেরা রাজ্য,
২. প্রোটিস্টা রাজ্য,
৩. ছত্রাক রাজ্য,
৪. উদ্ভিদ রাজ্য এবং
৫. প্রাণী রাজ্য।
অর্থাৎ বর্তমানে জীববিজ্ঞানের প্রধান শাখা পাঁচটি বলা যায়, তবে মনেরা, প্রোটিস্টা ও ছত্রাক রাজ্যের সদস্যদেরকে স্থল বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উদ্ভিদ অথবা প্রাণি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে আলোচনা করা চলে। তাই জীববিজ্ঞানের প্রধান শাখা দু'টি অর্থাৎ উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞান।
পরবর্তীতে সায়ানোব্যাকটেরিয়ার আবির্ভাব ঘটে যা সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন যোগ করতে থাকে। মাত্র ৫৪ কোটি বছর আগে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বর্তমান সময়ে বায়ুমণ্ডলে বিরাজমান অক্সিজেন-এর সমান হয়। ফলে বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তন আসে। অক্সিজেনবিহীন বায়ুমন্ডল অক্সিজেনে পূর্ণ হয়। একে অক্সিজেন বিপ্লব বলে। এর পরই উন্নত যেমন অক্সিজেন যুক্ত ( Aerobic) জীব সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। পুষ্পক উদ্ভিদ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব ঘটে মাত্র ১৩ কোটি বছর আগে।
২. পৃথিবীতে কত ধরনের জীব আছে তা জানতে পারি ।
৩. পৃথিবীতে বিরাজমান সকল জীবের নাম, পরিচিতি, স্বভাব ও গুণাগুণ সম্বন্ধে জানতে পারি।
৪. মানব কল্যাণে জীবসমূহকে ব্যবহার ও প্রয়োগ করতে পারি।
৫. জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব ও এদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারি।
ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা ইত্যাদি জীব মাত্র একটি কোষ দ্বারা গঠিত, তাই এরা এককোষী (Unicellular) জীব।
বৃক্ষ, গুলু, পশু-পাখি, মানুষ প্রভৃতি জীব অসংখ্য জীবকোষ দ্বারা গঠিত, তাই এরা বহুকোষী (Multicellular) জীব।
জীবকোষে সজীব প্রোটোপ্লাজম থাকে। নিউক্লিয়াসসহ অন্যান্য কোষাঙ্গাণু প্রোটোপ্লাজমে অবস্থান করে। তাই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়। জড়বস্তু কোন জীবকোষ দ্বারা গঠিত নয় এবং জড়বস্তুতে কোন প্রোটোপ্লাজম নেই।
২. জীবের বংশবৃদ্ধির (Reproduction) তথা শিশু জীব জন্ম দেয়ার ক্ষমতা থাকে যা জড়বস্তুতে নেই ।
৩. জীবদেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় (Physiological) কার্যকলাপ, যেমন- শ্বসন, পরিপাক, বৃদ্ধি, উত্তেজনায় সাড়া দেয়া, পরিবেশের সাথে অভিযোজন ইত্যাদি সংঘটিত হয়। জড় বস্তুতে কোন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ ঘটে না।
৪. জীবের মৃত্যু আছে। জড় বস্তুর মৃত্যু নেই।
মানুষ, পশু-পাখি, গাছ-পালা এসব জীব আমরা খালি চোখে দেখতে পাই, কিন্তু প্রকৃতিতে এমন অনেক জীব আছে যাদেরকে খালি চোখে দেখতে পাই না, কারণ এরা অতিক্ষুদ্র। অতিক্ষুদ্র বলে এসব জীবকে বলা হয় অণুজীব, এদেরকে মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়। অধিকাংশ রোগের জীবাণুই অণুজীব। পৃথিবীর সকল জীব এবং অণুজীব নিয়েই জীবজগৎ (Biota) গঠিত।
জীববিজ্ঞান কাকে বলে :-
জীবজগতের বিজ্ঞানভিত্তিক পঠন-পাঠন, আলোচনা, গবেষণা এবং প্রয়োগই হলো Biology বা জীববিজ্ঞান।অন্যভাবে বলা যায় জীব তথা জীবনের বিজ্ঞানই হলো জীববিজ্ঞান।
আরও পড়ুন:- যোগান কাকে বলে?
জীববিজ্ঞান শব্দের অর্থ :-
ফরাসী বিজ্ঞানী ল্যামার্ক (১৭৪৪-১৮২৯) জীবনের বিজ্ঞান বোঝাতে Biology শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। দু'টি গ্রীক শব্দ Bios (অর্থ জীবন) এবং Logos (অর্থ জ্ঞান)-এর সমন্বয়ে ইংরেজি Biology শব্দটি গঠিত হয়েছে। Biology শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ করা হয়েছে জীববিজ্ঞান।জীববিজ্ঞানের জনক :-
বিজ্ঞানের যে কোনো শাখায় প্রথম বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা বা গবেষণার যিনি সূত্রপাত করেন তাকে বিজ্ঞানের ঐ শাখার জনক বলা হয়ে থাকে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রকৃতি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল (খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২), তাই অ্যারিস্টটল ( Aristotle )-কে জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
তবে এরও বেশ আগে ভারতীয় উপমহাদেশে ঋিষি অথবান, সুব্রত প্রভৃতি ব্যক্তিগণ উদ্ভিদ ও চিকিৎসা শাস্ত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ছিলেন।
১। উদ্ভিদবিজ্ঞান বা উদ্ভিদবিদ্যা (Botany) এবং
২। প্রাণিবিজ্ঞান বা প্রাণিবিদ্যা (Zoology) ।
আধুনিক জ্ঞানের আলোকে জীববিজ্ঞানকে দুটির পরিবর্তে পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করা হয়ে থাকে, যথা-
তবে এরও বেশ আগে ভারতীয় উপমহাদেশে ঋিষি অথবান, সুব্রত প্রভৃতি ব্যক্তিগণ উদ্ভিদ ও চিকিৎসা শাস্ত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ছিলেন।
জীববিজ্ঞান কত প্রকার ও কি কি :-
জীববিজ্ঞানের সূচনা কালে অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছিল না, ছিল না কোন উন্নত প্রযুক্তি। তাই পরিবেশে বিরাজমান জীবগুলোকে তাদের দৃশ্যমান মূল বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উদ্ভিদ ও প্রাণী এ দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। কোন ধরনের জীব নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে জীববিজ্ঞানকে দুটি প্রধান শাখায় ভাগ করা হয়। যথা-১। উদ্ভিদবিজ্ঞান বা উদ্ভিদবিদ্যা (Botany) এবং
২। প্রাণিবিজ্ঞান বা প্রাণিবিদ্যা (Zoology) ।
আধুনিক জ্ঞানের আলোকে জীববিজ্ঞানকে দুটির পরিবর্তে পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করা হয়ে থাকে, যথা-
১. মনেরা রাজ্য,
২. প্রোটিস্টা রাজ্য,
৩. ছত্রাক রাজ্য,
৪. উদ্ভিদ রাজ্য এবং
৫. প্রাণী রাজ্য।
অর্থাৎ বর্তমানে জীববিজ্ঞানের প্রধান শাখা পাঁচটি বলা যায়, তবে মনেরা, প্রোটিস্টা ও ছত্রাক রাজ্যের সদস্যদেরকে স্থল বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উদ্ভিদ অথবা প্রাণি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে আলোচনা করা চলে। তাই জীববিজ্ঞানের প্রধান শাখা দু'টি অর্থাৎ উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞান।
আরও পড়ুন:- প্রজাতি কাকে বলে?
১. উদ্ভিদবিজ্ঞান কাকে বলে :-
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় সব ধরনের উদ্ভিদ, তাদের গঠন, স্বভাব, আবাসস্থল, শ্রেণিবিন্যাস, পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত, মানব কল্যাণে প্রয়োগ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তা হলো উদ্ভিদবিজ্ঞান।
উদ্ভিদের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও গবেষণাই উদ্ভিদবিজ্ঞান। গ্রীক দার্শনিক থিওফ্রাস্টাসকে (খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০-২৮৫) উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
২. প্রাণিবিজ্ঞান কাকে বলে :-
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় সব ধরনের প্রাণী, তাদের গঠন, স্বভাব, আবাসস্থল, শ্রেণিবিন্যাস, জীবন বৃত্তান্ত, মানব কল্যাণে প্রয়োগ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তা হলো প্রাণিবিজ্ঞান।
প্রাণীর বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও গবেষণাই প্রাণিবিজ্ঞান। গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটলকে (খ্রিস্টপূর্ব (৩৮৪-৩২২) প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
আরও পড়ুন :- জীব সম্প্রদায় কি?
১. উদ্ভিদবিজ্ঞান কাকে বলে :-
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় সব ধরনের উদ্ভিদ, তাদের গঠন, স্বভাব, আবাসস্থল, শ্রেণিবিন্যাস, পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত, মানব কল্যাণে প্রয়োগ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তা হলো উদ্ভিদবিজ্ঞান।
উদ্ভিদের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও গবেষণাই উদ্ভিদবিজ্ঞান। গ্রীক দার্শনিক থিওফ্রাস্টাসকে (খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০-২৮৫) উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
২. প্রাণিবিজ্ঞান কাকে বলে :-
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় সব ধরনের প্রাণী, তাদের গঠন, স্বভাব, আবাসস্থল, শ্রেণিবিন্যাস, জীবন বৃত্তান্ত, মানব কল্যাণে প্রয়োগ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তা হলো প্রাণিবিজ্ঞান।
প্রাণীর বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও গবেষণাই প্রাণিবিজ্ঞান। গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটলকে (খ্রিস্টপূর্ব (৩৮৪-৩২২) প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
জীবনের সূচনা ও বিকাশ :-
আজ থেকে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয় এবং প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সূচনা হয় বলে ধারণা করা হয়। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তখন কোন অক্সিজেন ছিল না, তাই জীবন সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে জীবগুলো ছিল অণুজীব, আদিকোষী এবং ব্যাকটেরিয়া জাতীয় যারা অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচতে পারতো।আরও পড়ুন :- জীব সম্প্রদায় কি?
পরবর্তীতে সায়ানোব্যাকটেরিয়ার আবির্ভাব ঘটে যা সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন যোগ করতে থাকে। মাত্র ৫৪ কোটি বছর আগে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বর্তমান সময়ে বায়ুমণ্ডলে বিরাজমান অক্সিজেন-এর সমান হয়। ফলে বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তন আসে। অক্সিজেনবিহীন বায়ুমন্ডল অক্সিজেনে পূর্ণ হয়। একে অক্সিজেন বিপ্লব বলে। এর পরই উন্নত যেমন অক্সিজেন যুক্ত ( Aerobic) জীব সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। পুষ্পক উদ্ভিদ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব ঘটে মাত্র ১৩ কোটি বছর আগে।
জীববিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব :-
১. জীববিজ্ঞান পাঠ করে আমরা জীবন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে পারি।২. পৃথিবীতে কত ধরনের জীব আছে তা জানতে পারি ।
৩. পৃথিবীতে বিরাজমান সকল জীবের নাম, পরিচিতি, স্বভাব ও গুণাগুণ সম্বন্ধে জানতে পারি।
৪. মানব কল্যাণে জীবসমূহকে ব্যবহার ও প্রয়োগ করতে পারি।
৫. জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব ও এদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারি।
জীবের বৈশিষ্ট্য :-
১. জীবদেহ জীবকোষ (Cell) দ্বারা গঠিত।ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা ইত্যাদি জীব মাত্র একটি কোষ দ্বারা গঠিত, তাই এরা এককোষী (Unicellular) জীব।
বৃক্ষ, গুলু, পশু-পাখি, মানুষ প্রভৃতি জীব অসংখ্য জীবকোষ দ্বারা গঠিত, তাই এরা বহুকোষী (Multicellular) জীব।
জীবকোষে সজীব প্রোটোপ্লাজম থাকে। নিউক্লিয়াসসহ অন্যান্য কোষাঙ্গাণু প্রোটোপ্লাজমে অবস্থান করে। তাই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়। জড়বস্তু কোন জীবকোষ দ্বারা গঠিত নয় এবং জড়বস্তুতে কোন প্রোটোপ্লাজম নেই।
২. জীবের বংশবৃদ্ধির (Reproduction) তথা শিশু জীব জন্ম দেয়ার ক্ষমতা থাকে যা জড়বস্তুতে নেই ।
৩. জীবদেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় (Physiological) কার্যকলাপ, যেমন- শ্বসন, পরিপাক, বৃদ্ধি, উত্তেজনায় সাড়া দেয়া, পরিবেশের সাথে অভিযোজন ইত্যাদি সংঘটিত হয়। জড় বস্তুতে কোন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ ঘটে না।
৪. জীবের মৃত্যু আছে। জড় বস্তুর মৃত্যু নেই।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.