জীব সম্প্রদায় কাকে বলে :-
জীব সম্প্রদায় (Biotic Community) হলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং একই পরিবেশে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীসমূহের প্রাকৃতিক সমাবেশ যেখানে প্রত্যেকে নিজেদের মধ্যে একে অন্যের প্রতি সহনশীল, নির্ভরশীল এবং পরস্পর ক্রিয়াশীল।অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট স্থানে জীবসমূহের সমষ্টিগত অবস্থানকে জীব সম্প্রদায় বলা হয়।
একটি বড় মরুভূমি বা তৃণভূমির যেমনি নির্দিষ্ট জীব সম্প্রদায় থাকে, তেমনি আবার ছোট একটি ডোবারও একটি জীব সম্প্রদায় থাকে। একই বসতিতে বিরাজমান উদ্ভিদ সম্প্রদায় এবং প্রাণী সম্প্রদায় একত্রে জীব সম্প্রদায় গঠন করে। জীব সম্প্রদায়ের সাথে এদের পরিবেশ মিলে ইকোসিস্টেম তৈরি হয়।
জীব সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য :-
জীব সম্প্রদায়ে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যথা-
আরও পড়ুন:- বিবর্তন কাকে বলে?
প্রজাতির বিভিন্নতা- একটি জীব সম্প্রদায়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিভিন্ন প্রজাতি বসবাস করায় প্রজাতি বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে এটা বেশ সমৃদ্ধ।
বৃদ্ধির ধরন ও গঠন- একটি জীব সম্প্রদায়ে বসবাসকারী বিভিন্ন জীবের বৃদ্ধি, ধরন ও গঠন বিভিন্ন রকম হয়। যথা- উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বৃক্ষ, গুলা, তৃণ, মস ইত্যাদি। এসব পর্যায় সম্প্রদায়ে উল্লম্ব স্তরায়নের সৃষ্টি করে।
আধিপত্য- জীব সম্প্রদায়ের প্রকৃতি নির্ণয়ে সম্প্রদায়ভুক্ত সব প্রজাতি সমান ভূমিকা পালন করে না। সম্প্রদায়ভুক্ত বহু প্রজাতির মধ্যে মাত্র কয়েকটি প্রজাতি এদের সংখ্যা, আকার ও অন্যান্য কর্মকান্ড দ্বারা পুরো সম্প্রদায়ের উপর আধিপত্য বিস্তার করে।
স্তরবিন্যাস- প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট প্রতিটি সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের অবস্থান অনুসারে লম্বালম্বি স্তরবিন্যাস থাকে। যথা- একটি বন সম্প্রদায়ে ওভারস্টোরি স্তর, আন্ডারস্টোরি স্তর, ট্রান্সগ্রেসিভ স্তর, চারা স্তর এবং ভূসংলগ্ন স্তর দেখা যায়।
ক্রমাগমন- সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমাগমন একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারণ প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ক্রমবিকাশ বা ধারা রয়েছে।
খাদ্য স্তর গঠন ও পুষ্টির স্বয়ংসম্পূর্ণতা- একটি সম্প্রদায়ভুক্ত জীব প্রজাতিসমূহের মধ্যে একটি খাদ্য শৃঙ্খল ও একটি শক্তি প্রবাহ নিশ্চিত হয়। এতে উৎপাদনকারী, তৃণভোজী, মাংসভোজী, পঁচনকারী সব ধরনের জীবেরই সমাবেশ ঘটে।
সময়ের সাথে সম্প্রদায়ের পরিবর্তন- সময় ও ঋতু পরিবর্তনের সাথে সম্প্রদায়ভূক্ত জীব প্রজাতিরও পরিবর্তন হয়। তাই বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন জীব প্রজাতির সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। শীত, বর্ষা ও বসন্ত ঋতুতে এ পরিবর্তন লক্ষণীয়।
প্রজাতির বিভিন্নতা- একটি জীব সম্প্রদায়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিভিন্ন প্রজাতি বসবাস করায় প্রজাতি বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে এটা বেশ সমৃদ্ধ।
বৃদ্ধির ধরন ও গঠন- একটি জীব সম্প্রদায়ে বসবাসকারী বিভিন্ন জীবের বৃদ্ধি, ধরন ও গঠন বিভিন্ন রকম হয়। যথা- উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বৃক্ষ, গুলা, তৃণ, মস ইত্যাদি। এসব পর্যায় সম্প্রদায়ে উল্লম্ব স্তরায়নের সৃষ্টি করে।
আধিপত্য- জীব সম্প্রদায়ের প্রকৃতি নির্ণয়ে সম্প্রদায়ভুক্ত সব প্রজাতি সমান ভূমিকা পালন করে না। সম্প্রদায়ভুক্ত বহু প্রজাতির মধ্যে মাত্র কয়েকটি প্রজাতি এদের সংখ্যা, আকার ও অন্যান্য কর্মকান্ড দ্বারা পুরো সম্প্রদায়ের উপর আধিপত্য বিস্তার করে।
স্তরবিন্যাস- প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট প্রতিটি সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের অবস্থান অনুসারে লম্বালম্বি স্তরবিন্যাস থাকে। যথা- একটি বন সম্প্রদায়ে ওভারস্টোরি স্তর, আন্ডারস্টোরি স্তর, ট্রান্সগ্রেসিভ স্তর, চারা স্তর এবং ভূসংলগ্ন স্তর দেখা যায়।
ক্রমাগমন- সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমাগমন একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারণ প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ক্রমবিকাশ বা ধারা রয়েছে।
খাদ্য স্তর গঠন ও পুষ্টির স্বয়ংসম্পূর্ণতা- একটি সম্প্রদায়ভুক্ত জীব প্রজাতিসমূহের মধ্যে একটি খাদ্য শৃঙ্খল ও একটি শক্তি প্রবাহ নিশ্চিত হয়। এতে উৎপাদনকারী, তৃণভোজী, মাংসভোজী, পঁচনকারী সব ধরনের জীবেরই সমাবেশ ঘটে।
সময়ের সাথে সম্প্রদায়ের পরিবর্তন- সময় ও ঋতু পরিবর্তনের সাথে সম্প্রদায়ভূক্ত জীব প্রজাতিরও পরিবর্তন হয়। তাই বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন জীব প্রজাতির সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। শীত, বর্ষা ও বসন্ত ঋতুতে এ পরিবর্তন লক্ষণীয়।
আরও পড়ুন:- প্রানী বৈচিত্র্য কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.