বৃক্ক বিকল কাকে বলে :-
বৃক্ককে দেহের ছাঁকন যন্ত্র বলে। এটি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। বৃক্ক বিভিন্ন কারণে আক্রান্ত হতে পারে অথবা অন্য কোন রোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার স্বাভাবিক ফিস্টারিং বা ছাঁকন ক্ষমতা লোপ পায়।বৃক্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া বা লোপ পাওয়াকে বৃক্ক বিকল (Kidney failure) বলে।
বৃক্ক যখন কোন রোগে আক্রান্ত হয়, এর কার্যকারিতা অনেক দিন ধরে ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগত হ্রাস পেতেই থাকে। তাকে দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা chronic বিকল বলে।
অন্যদিকে কোন সুস্থ লোকের যদি হঠাৎ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃক্কের কার্যক্রম কমে যায় বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় তখন তাকে বৃক্কের তাৎক্ষণিক বিকল (instantaneous kidney failure) বলে।
আরও পড়ুন :- পেশা কলা কাকে বলে?
বৃক্কে পাথর, মূত্রনালিতে পাথর বা টিউমার থাকলে, মূত্র নালিতে ক্যান্সার থাকলে বৃক্ক মূত্র উৎপাদনে সক্ষম হলেও মূত্র মূত্রথলিতে পৌছাতে পারে না।
এছাড়াও রেনিন অ্যানজিওটেনসিন এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাওয়া, নেফ্রনের টিউবিউলার কোষগুলো ফুলে যাওয়া এবং কোষের মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃক্ক হঠাৎ বিকল হতে পারে।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ গ্রহণ করা, বৃক্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন ওষুধ গ্রহণ না করা।
৪. রক্ত থেকে বিষাক্ত দ্রব্য অপসারণের জন্য ডায়ালাইসিস করা। একটি বৈষম্যভেদ্য পর্দার মধ্য দিয়ে নির্বাচনমূলক প্রক্রিয়ায় কোষের দ্রবণের কলয়ডাল পদার্থ থেকে দ্রবীভূত অপদ্রব্য পৃথকীকরণকে ডায়ালাইসিস (Dialysis) বলে।
তাৎক্ষণিক বৃক্ক বিকল চিকিৎসায় ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম বৃত্তের পরিবেশ সৃষ্টি করে রক্ত থেকে তরল বর্জ্য ও অতিরিক্ত পানি অপসারণ করা হয়।
৫. বৃক্ক প্রতিস্থাপন একটি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। বৃক্ক বিকলের দীর্ঘকালীন সমাধানে রোগীর দেহে ভিন্ন ব্যক্তির সুস্থ ও সঠিক বৃক্ক স্থাপনকে বৃক্ক প্রতিস্থাপন বলে। বৃক্ক প্রতিস্থাপনের সময় প্রথমে রোগীর শ্রোণিদেশ অপারেশনের মাধ্যমে দান করা বৃক্কটি স্থাপন করা হয়। নতুন বৃক্কের ধমনী ও শিরাকে রোগীর ধমনী ও শিরার সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়।
বৃক্কের তাৎক্ষণিক বিকলের কারণ :-
ডায়রিয়া বা তীব্র পানি ও লবণ শূন্যতা, আগুনে পোড়া, হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিউর, যকৃত সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে বৃক্কে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পায় ও মূত্র উৎপাদন বাঁধাগ্রস্ত হয়।বৃক্কে পাথর, মূত্রনালিতে পাথর বা টিউমার থাকলে, মূত্র নালিতে ক্যান্সার থাকলে বৃক্ক মূত্র উৎপাদনে সক্ষম হলেও মূত্র মূত্রথলিতে পৌছাতে পারে না।
এছাড়াও রেনিন অ্যানজিওটেনসিন এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাওয়া, নেফ্রনের টিউবিউলার কোষগুলো ফুলে যাওয়া এবং কোষের মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃক্ক হঠাৎ বিকল হতে পারে।
লক্ষণ :-
বৃক্ক তাৎক্ষণিক বিকলের লক্ষণ হলো বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত পায়খানা, প্রস্রাব কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া, পাঁজর ও কোমরের মাঝামাঝি দু'পাশে প্রস্রাবে ইনফেকশন, কারণ ছাড়াই শরীর চুলকানো, অনেকক্ষণ ধরে হেঁচকি তোলা, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া ইত্যাদি।প্রতিকার :-
বৃক্ক বিকল রোগের প্রতিকার করতে হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তা না হলে আরও সমস্যা হতে পারে। যেমন-আরও পড়ুন :- বৃক্ক কাকে বলে?
১. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা ও প্রতিকারের ব্যবহার করা।
২. নিয়ন্ত্রিত আহার, যেমন- কম প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ, খাদ্যে লবণ কম গ্রহণ, অল্প পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান করা।
২. নিয়ন্ত্রিত আহার, যেমন- কম প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ, খাদ্যে লবণ কম গ্রহণ, অল্প পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান করা।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ গ্রহণ করা, বৃক্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন ওষুধ গ্রহণ না করা।
৪. রক্ত থেকে বিষাক্ত দ্রব্য অপসারণের জন্য ডায়ালাইসিস করা। একটি বৈষম্যভেদ্য পর্দার মধ্য দিয়ে নির্বাচনমূলক প্রক্রিয়ায় কোষের দ্রবণের কলয়ডাল পদার্থ থেকে দ্রবীভূত অপদ্রব্য পৃথকীকরণকে ডায়ালাইসিস (Dialysis) বলে।
তাৎক্ষণিক বৃক্ক বিকল চিকিৎসায় ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম বৃত্তের পরিবেশ সৃষ্টি করে রক্ত থেকে তরল বর্জ্য ও অতিরিক্ত পানি অপসারণ করা হয়।
৫. বৃক্ক প্রতিস্থাপন একটি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। বৃক্ক বিকলের দীর্ঘকালীন সমাধানে রোগীর দেহে ভিন্ন ব্যক্তির সুস্থ ও সঠিক বৃক্ক স্থাপনকে বৃক্ক প্রতিস্থাপন বলে। বৃক্ক প্রতিস্থাপনের সময় প্রথমে রোগীর শ্রোণিদেশ অপারেশনের মাধ্যমে দান করা বৃক্কটি স্থাপন করা হয়। নতুন বৃক্কের ধমনী ও শিরাকে রোগীর ধমনী ও শিরার সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন :- মূত্র কি?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.