প্রজনন কাকে বলে :-
প্রজনন জীবের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। জড় বস্তুর প্রজনন ক্ষমতা থাকে না। মাতৃ জীব থেকে নতুন জীব সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রজনন।প্রতিটি জীবেরই তার নিজের অনুরূপ বংশধর সৃষ্টির প্রাকৃতিক অবস্থা রয়েছে। প্রজননের ফলে আমের বীজ থেকে এক সময় আম গাছ, কাঁঠালের বীজ থেকে কাঁঠাল গাছ পাই। একইভাবে কলা গাছের গোড়া থেকে এক সময় কলা গাছই পাই।
শিমুল, সজিনা, মাদার, জীবল ইত্যাদি গাছের ডাল কেটে মাটিতে লাগালে তা সঞ্জীব হয় এবং এক সময় পূর্ণাঙ্গ গাছে পরিণত হয়। অনুরূপভাবে পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলে তার কিনার থেকে নতুন পাঁথরকুচি চারা সৃষ্টির মাধ্যমে এক সময় পূর্ণাঙ্গ পাথরকুচি গাছে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন :- নেফ্রন কাকে বলে?
তাই বলা যায়, প্রজনন একটি শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় জীব তার নিজের অনুরূপ অপত্য বংশধর সৃষ্টি করে।
প্রজননের প্রকারভেদ :-
জীবের প্রজনন দু'প্রকার। যথা-(ক) অযৌন প্রজনন এবং
(খ) যৌন প্রজনন ।
অযৌন প্রজনন-
পুং (শুক্রাণু) ও স্ত্রী (ডিম্বাণু) গ্যামিটের মিলন ছাড়া জীবের প্রজননকে বলা হয় অযৌন প্রজনন (Asexual reproduction)।
এ ধরনের প্রজননে একসঙ্গে বহু সংখ্যক জীব উৎপন্ন হয়। একটি প্রজনক থেকে উৎপন্ন হয় বলে এ প্রক্রিয়ায় জীবে কোন বৈচিত্র আসে না। নিম্নশ্রেণির জীব, যেমন- শৈবাল, ছত্রাক, মস, ফার্ণ প্রভৃতিতে সাধারণত স্পোর উৎপাদনের মাধ্যমে অযৌন জননসম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন :- পুরুষ প্রজননতন্ত্র কাকে বলে?
তাছাড়া বিভাজন, মুকুল উৎপাদান পুনরুৎপাদন, অঙ্গজ জনন প্রভৃতি প্রতিনায় জীবকূলে সাধারণত অযৌন প্রজনন সম্পন্ন হয়।
যৌন প্রজনন-
দুটি ভিন্ন প্রকৃতির যথা পুং ও স্ত্রী গ্যামিট পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে যে প্রজনন ঘটে তাকে যৌন প্ৰজনন (Sexual reproduction) বলা হয়।
পুং জনন কোষকে শুক্রাণু ও স্ত্রী জনন কোষকে ডিম্বাণু বলা হয়। এ দু'ধরনের জনন কোষ একই ফুলে বা একই দেহে সৃষ্টি হতে পারে। উন্নত উদ্ভিদে এ দু'ধরনের জনন কোষ একই দেহে সৃষ্টি হয়। এদেরকে সহবাসী উদ্ভিদ বলা হয়।
যখন দু'ধরনের জনন কোষ আলাদা আলাদা দেহে সৃষ্টি হয় তখন সে উদ্ভিদকে ভিন্নবাসী উদ্ভিদ বলা হয়।
একটি ব্যাকটেরিয়া হতে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত সকল জীবে প্রজনন ঘটে। তাই প্রজাতির অস্তিত্ব টিকে আছে। যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদে বীজ ও ফল উৎপাদিত হয়। বীজ উদ্ভিদের বংশ রক্ষা করে।
এ বীজ এবং ফলের উপর খাদ্যের জন্য প্রাণীকূল বিশেষ করে মানুষ সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, বেল, ধান, গম, ভূট্টা ইত্যাদি আমরা খাই। এগুলো উদ্ভিদে যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। তাছাড়া প্রাণীকূল দুধ ও ডিম উৎপাদন করে যা প্রজনন প্রক্রিয়ার ফল।
তাছাড়া বিভাজন, মুকুল উৎপাদান পুনরুৎপাদন, অঙ্গজ জনন প্রভৃতি প্রতিনায় জীবকূলে সাধারণত অযৌন প্রজনন সম্পন্ন হয়।
যৌন প্রজনন-
দুটি ভিন্ন প্রকৃতির যথা পুং ও স্ত্রী গ্যামিট পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে যে প্রজনন ঘটে তাকে যৌন প্ৰজনন (Sexual reproduction) বলা হয়।
পুং জনন কোষকে শুক্রাণু ও স্ত্রী জনন কোষকে ডিম্বাণু বলা হয়। এ দু'ধরনের জনন কোষ একই ফুলে বা একই দেহে সৃষ্টি হতে পারে। উন্নত উদ্ভিদে এ দু'ধরনের জনন কোষ একই দেহে সৃষ্টি হয়। এদেরকে সহবাসী উদ্ভিদ বলা হয়।
যখন দু'ধরনের জনন কোষ আলাদা আলাদা দেহে সৃষ্টি হয় তখন সে উদ্ভিদকে ভিন্নবাসী উদ্ভিদ বলা হয়।
প্রজননের গুরুত্ব :-
প্রজনন প্রক্রিয়ায় জীব তার ভবিষ্যৎ বংশধর সৃষ্টি করে বংশধারা রক্ষা করে। প্রজনন না হলে প্রজাতি তথা জীবের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতো।একটি ব্যাকটেরিয়া হতে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত সকল জীবে প্রজনন ঘটে। তাই প্রজাতির অস্তিত্ব টিকে আছে। যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদে বীজ ও ফল উৎপাদিত হয়। বীজ উদ্ভিদের বংশ রক্ষা করে।
এ বীজ এবং ফলের উপর খাদ্যের জন্য প্রাণীকূল বিশেষ করে মানুষ সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, বেল, ধান, গম, ভূট্টা ইত্যাদি আমরা খাই। এগুলো উদ্ভিদে যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। তাছাড়া প্রাণীকূল দুধ ও ডিম উৎপাদন করে যা প্রজনন প্রক্রিয়ার ফল।
আরও পড়ুন :- টেন্ডন ও লিগামেন্ট কি?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.