অভিস্রবন নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে :-
দেহের পানি, সোডিয়াম ও পটাসিয়াম লবণ এবং ক্লোরাইড আয়নের মধ্যে আন্তঃসাম্য রক্ষা প্রক্রিয়াকে অভিস্রবণ নিয়ন্ত্রণ (Osmoregulation) বলে।
যে প্রক্রিয়ায় প্রাণীদেহের ভেতর অসমোটিক চাপ (Osmotic pressure)-এর কারণে একটি উপযোগী পরিবেশ বজায় থাকে তাকে অভিস্রবণ নিয়ন্ত্রণ বলা হয়।
প্রাণীদের জীবন সজীব রাখতে দেহকোষের তরল পদার্থ ও কোষের বাইরের তরল পদার্থ অর্থাৎ রক্তের প্লাজমা, কলারস, লসিকা ইত্যাদির মধ্যে পানি ও লবণের ঘনত্বের সমতা বজায় রাখা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন:- ধূমপান কাকে বলে?
মানবদেহের অভিস্রবণ নিয়ন্ত্রণে রেচনতন্ত্র তথা বৃক্ক প্রধান ভূমিকা পালন করে। এটি দু'টি উপায়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। যথা-
১। দেহের পানি সাম্যতা রক্ষা:-
মানবদেহে পানি দুভাবে অবস্থান করে। যেমন- বহিঃকোষীয় তরল হিসেবে এবং অন্তঃকোষীয় তরল হিসেবে। স্বাভাবিক অবস্থায় দেহে পানি গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে সাম্যাবস্থা বজায় থাকে।
অতিরিক্ত পানি যেমন দেহের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে দেহকোষ পানিশূন্য হয়ে জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়। কোষে সঠিক মাত্রায় তরল থাকা বাঞ্চনীয়।
এ সাম্যতা বজায় রাখতে বৃক্ক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত পানি গ্রহণের ফলে দেহকোষে তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তখন মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালামাস নিঃসৃত এন্টি ডাইইউরেটিক হরমোন (ADH) এর প্রভাবে বৃক্কের বৃত্তীয় নালিকা দিয়ে পানি পুনঃশোষিত হয় না। ফলে অতিরিক্ত পানি মূত্রের সাথে দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
মানবদেহের অভিস্রবণ নিয়ন্ত্রণে রেচনতন্ত্র তথা বৃক্ক প্রধান ভূমিকা পালন করে। এটি দু'টি উপায়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। যথা-
১। দেহের পানি সাম্যতা রক্ষা:-
মানবদেহে পানি দুভাবে অবস্থান করে। যেমন- বহিঃকোষীয় তরল হিসেবে এবং অন্তঃকোষীয় তরল হিসেবে। স্বাভাবিক অবস্থায় দেহে পানি গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে সাম্যাবস্থা বজায় থাকে।
অতিরিক্ত পানি যেমন দেহের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে দেহকোষ পানিশূন্য হয়ে জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়। কোষে সঠিক মাত্রায় তরল থাকা বাঞ্চনীয়।
এ সাম্যতা বজায় রাখতে বৃক্ক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত পানি গ্রহণের ফলে দেহকোষে তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তখন মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালামাস নিঃসৃত এন্টি ডাইইউরেটিক হরমোন (ADH) এর প্রভাবে বৃক্কের বৃত্তীয় নালিকা দিয়ে পানি পুনঃশোষিত হয় না। ফলে অতিরিক্ত পানি মূত্রের সাথে দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
আরও পড়ুন :- নিষেক কাকে বলে?
আবার বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে দেহ কোষের তরলে পানির পরিমাণ হ্রাস পেলে ADH এর বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বৃক্কীয় নালিকা অতিরিক্ত পানি পুনঃশোষণ করে রক্তে প্রেরণ করে। ফলে দেহের পানি সাম্যতা রক্ষা হয়।
২। দেহের লবণ সাম্যতা রক্ষা :-
দেহ তরলের ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য বৃক্ক দেহ থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ, যেমন- সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড প্রভৃতি বিমুক্ত করে লবণের সমতা নিয়ন্ত্রণ করে বিপাকীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্বাভাবিক খাদ্য ও পানীয় এর সাথে দেহের চাহিদার চেয়ে বেশী Na+ ও K+ আয়ন দেহে প্রবেশ করে। মল, মূত্র ও ঘামের সাথে অতিরিক্ত আয়ন দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
বৃক্কের অ্যাডরেনাল কর্টেক্স থেকে ক্ষরিত হরমোন অ্যান্ডোস্টেরন এসকল আয়ন পুনঃশোষণ ও নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দেহে অন্তঃকোষীয় ও বহিঃকোষীয় তরলে সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ক্লোরাইডের সমতা নিয়ন্ত্রিত হয়।
আবার বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে দেহ কোষের তরলে পানির পরিমাণ হ্রাস পেলে ADH এর বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বৃক্কীয় নালিকা অতিরিক্ত পানি পুনঃশোষণ করে রক্তে প্রেরণ করে। ফলে দেহের পানি সাম্যতা রক্ষা হয়।
২। দেহের লবণ সাম্যতা রক্ষা :-
দেহ তরলের ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য বৃক্ক দেহ থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ, যেমন- সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড প্রভৃতি বিমুক্ত করে লবণের সমতা নিয়ন্ত্রণ করে বিপাকীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্বাভাবিক খাদ্য ও পানীয় এর সাথে দেহের চাহিদার চেয়ে বেশী Na+ ও K+ আয়ন দেহে প্রবেশ করে। মল, মূত্র ও ঘামের সাথে অতিরিক্ত আয়ন দেহ থেকে বের হয়ে যায়।
বৃক্কের অ্যাডরেনাল কর্টেক্স থেকে ক্ষরিত হরমোন অ্যান্ডোস্টেরন এসকল আয়ন পুনঃশোষণ ও নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দেহে অন্তঃকোষীয় ও বহিঃকোষীয় তরলে সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ক্লোরাইডের সমতা নিয়ন্ত্রিত হয়।
আরও পড়ুন :- প্রজনন কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.