প্রত্যেক সঞ্জীব কোষে সবসময় বিভিন্ন প্রকার জীব ক্রিয়া বিক্রিয়া সংঘটিত হয় এ সব ক্রিয়া বিক্রিয়ার জন্য শক্তি প্রয়োজন হয়। এ প্রয়োজনীয় শক্তি কোষে অবস্থিত বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, তথা কার্বোহাইড্রেট (শর্করা), প্রোটিন (আমিষ) ও লিপিড এর মাঝে যে স্থিতিশক্তি থাকে তা বিশেষ শারীরিক (জৈব রাসায়নিক) প্রক্রিয়ার গতিশক্তি ও তাপশক্তিতে রুপান্তরিক হয়।
এ গতিশক্তি (kinetic energy) বার করে জীবদেহের সকল প্রকার জীব ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। উপরোক্ত তিন প্রকার খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে কার্বোহাইডেট ই প্রধানত শক্তির প্রধান উৎস, এ ছাড়া তৈল উৎপাদনকারী উদ্ভিদের বীজে এবং আমিষ উৎপাদনকারী উদ্ভিদের বীজে লিপিড ও প্রোটিন শক্তিদা প্রাথমিক উৎস।
সবাত শ্বসনের এক অণু গ্লুকোজ সম্পূর্ণ জারনের সর্বশেষ ধাপ কোষের মাইটোকনড্রিয়াতে হয় এবং অন্যান্য উচ্চশক্তিসম্পন্ন রাসায়নিক পদার্থ ATP তে রুপান্তরিত হয় এবং সেজন্য মাইটোকনড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বা powerhouse of a cell বলে।
শ্বসন প্রক্রিয়ায় কোষে অবস্থিত যে যৌগিক প্রাণরাসায়নিক বস্তুসমূহ জারিত হয়ে সরল প্রাণরাসায়নিক অথবা কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানিতে পরিণত হয় সে সব যৌগিক প্রাণরাসায়নিক বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে।
বাহ্যিক প্রভাবকগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলো, কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি, তাপমাত্রা অক্সিজেন ইত্যাদি।
অভ্যন্তরীণ প্রভাবকগুলোর মধ্যে রয়েছে- এনজাইম, জটিল খাদ্যদ্রব্য, কোষের বয়স, কোষস্থ অজৈব লবণ, কোষ মধ্যস্থ পানি, মাটিস্থ অজৈব লবণ এবং অন্যান্য প্রভাবক ইত্যাদি।
আরও পড়ুন :- রাইবোজোম কি?
১. উদ্ভিদের প্রতিটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন। আর এ শক্তি আসে শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। উদ্ভিদদেহে উপস্থিত যৌগিক খাদ্য সরল পদার্থে রূপান্তরিত হবার ফলে, শ্বসন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। সালোকসংশ্লেষণের সময় সৌর শক্তি (solar energy) রাসায়নিক শক্তি (chemical energy) রূপে জটিল খাদ্যে জমা হয় । শ্বসনের সময় বিভিন্ন প্রকার জটিল খাদ্য ভেঙ্গে সরল খাদ্য বা পদার্থে রূপান্তরিত হবার সময় সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি যা জটিল খাদ্যসমূহে প্রচ্ছন্ন শক্তি (potential energy) রূপে জমা থাকে তা ব্যবহার উপযোগী গতি শক্তি (kinetic energy) হিসাবে পরিবর্তিত হয়।
সূতরাং শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে উদ্ভিদ জীবনের সকল জৈবিক প্রক্রিয়া পরিচালিত করার মধ্যেই রয়েছে উদ্ভিদ তথা জীবের জীবনে শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রকৃত গুরুত্ব।
২. শ্বসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত CO2, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় এবং খাদ্যবস্ত্র উৎপন্ন হয়। এসব খাদ্যবস্তুসমূহ উদ্ভিদ জীবনের প্রয়োজনে আসে এবং উদ্ভিদ জীবনকে রক্ষা করে, তেমনই সমস্ত প্রাণিকূল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসব খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে।
৩. উদ্ভিদের কোষ বিভাজনের জন্য শক্তির প্রয়োজন। এ প্রয়োজনীয় শক্তি শ্বসনে উদ্ভূত শক্তি জোগান দেয়।
৪. শ্বসন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার জৈব অ্যাসিড তৈরি হয়। এ জৈব অ্যাসিডসমূহ পরবর্তীতে অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার জৈব দ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়।
৫. শ্বসনে উদ্ভূত শক্তি উদ্ভিদের পানি ও খনিজ দ্রবীভূত লবণ শোষণে ব্যবহৃত হয় ও উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বর্ধনে ব্যবহৃত হয়।
এ গতিশক্তি (kinetic energy) বার করে জীবদেহের সকল প্রকার জীব ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। উপরোক্ত তিন প্রকার খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে কার্বোহাইডেট ই প্রধানত শক্তির প্রধান উৎস, এ ছাড়া তৈল উৎপাদনকারী উদ্ভিদের বীজে এবং আমিষ উৎপাদনকারী উদ্ভিদের বীজে লিপিড ও প্রোটিন শক্তিদা প্রাথমিক উৎস।
শ্বসন কাকে বলে :-
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহের কোষে অবস্থিত জটিল যৌগিক খাদ্যদ্রব্য জারিত হয়ে সরল দ্রব্যে পরিণত হয় এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন (respiration) বলে।আরও পড়ুন :- লাইসোসোম কাকে বলে?
শ্বসনের সময় খাদ্যদ্রব্য জারিত হয়। শ্বসন একটি তাপমোচী প্রক্রিয়া। জৈব খাদ্যদ্রব্যের জারণ অক্সিজেনের উপস্থিতি অথবা অনুপস্থিতে হতে পারে। তবে উদ্ভিদে প্রধানত শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে হয়।
(ক) সবাত শ্বসন বা বায়বীয় শ্বসন (aerobic respiration) ও
খ) অবাত শ্বসন, অবায়বীয় শ্বসন (anaerobic respiration)।
শ্বসন বলতে সাধারণত সবাত শ্বসনকেই বোঝায়। উচ্চশ্রেণির সকল জীবে এ ধরনের শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। সবাত শ্বসনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বায়ু থেকে আসে এবং ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে, পরে কোষের পানিতে দ্রবীভূত হয়। দ্রবীভূত এ অক্সিজেন শ্বসনিক বস্তুকে সম্পূর্ণ জারিত করে এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করে।
এ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য সম্পূর্ণরূপে না ভেঙ্গে আংশিকভাবে ভাঙ্গে এবং কতকগুলো মধ্যবর্তী যৌগ যেমন ইথাইল, অ্যালকোহল উৎপন্ন করে। খাদ্যদ্রব্য অসম্পূর্ণভাবে জারিত হবার কারণে অবাত শ্বসনে সবাত শ্বসন অপেক্ষা কম শক্তি নির্গত হয়।
উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদে অবাত শ্বসন ঘটে না। অবাত শ্বসন ঘটে নিম্নশ্রেণির কিছু উদ্ভিদে, যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি। তবে উচ্চশ্রেণির কিছু উদ্ভিদের মূলের চারদিকে মাটি বন্যায় প্লাবিত হলে ক্ষণস্থায়ী অবস্থায় অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া চলতে পারে।
আরও পড়ুন :- দ্বিপদী নামকরণ কি?
শ্বসনের সময় খাদ্যদ্রব্য জারিত হয়। শ্বসন একটি তাপমোচী প্রক্রিয়া। জৈব খাদ্যদ্রব্যের জারণ অক্সিজেনের উপস্থিতি অথবা অনুপস্থিতে হতে পারে। তবে উদ্ভিদে প্রধানত শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে হয়।
শ্বসনের প্রকারভেদ :-
অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে শ্বসন প্রক্রিয়াকে দুভাগে ভাগ করা হয় যথা :(ক) সবাত শ্বসন বা বায়বীয় শ্বসন (aerobic respiration) ও
খ) অবাত শ্বসন, অবায়বীয় শ্বসন (anaerobic respiration)।
সবাত শ্বসন কাকে বলে :-
যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে সবাত শ্বসন বলা হয়।শ্বসন বলতে সাধারণত সবাত শ্বসনকেই বোঝায়। উচ্চশ্রেণির সকল জীবে এ ধরনের শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। সবাত শ্বসনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বায়ু থেকে আসে এবং ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে, পরে কোষের পানিতে দ্রবীভূত হয়। দ্রবীভূত এ অক্সিজেন শ্বসনিক বস্তুকে সম্পূর্ণ জারিত করে এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করে।
অবাত শ্বসন কাকে বলে :-
যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের দরকার হয় না তথা অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে সংঘটিত শ্বসনকে বলা হয় অবাত শ্বসন।এ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য সম্পূর্ণরূপে না ভেঙ্গে আংশিকভাবে ভাঙ্গে এবং কতকগুলো মধ্যবর্তী যৌগ যেমন ইথাইল, অ্যালকোহল উৎপন্ন করে। খাদ্যদ্রব্য অসম্পূর্ণভাবে জারিত হবার কারণে অবাত শ্বসনে সবাত শ্বসন অপেক্ষা কম শক্তি নির্গত হয়।
উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদে অবাত শ্বসন ঘটে না। অবাত শ্বসন ঘটে নিম্নশ্রেণির কিছু উদ্ভিদে, যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি। তবে উচ্চশ্রেণির কিছু উদ্ভিদের মূলের চারদিকে মাটি বন্যায় প্লাবিত হলে ক্ষণস্থায়ী অবস্থায় অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া চলতে পারে।
আরও পড়ুন :- দ্বিপদী নামকরণ কি?
শ্বসন কোথায় এবং কখন হয় :-
শ্বসন প্রতিটি সজীব কোষে, দিন ও রাত্রির সর্বসময়ে, ঘটে। কোষের সাইটোপ্লাজম বা সাইটোসল (cytosol) এবং কোষস্থ মাইটোকনড্রিয়া নামক অঙ্গানুতে সবাত শ্বসন হয়। অবাত শ্বসন হয় সাইটোপ্লাজমে। সবাত ও অবাত শ্বসনে খাদ্যদ্রব্য জারিত হয়ে যে রাসায়নিক শক্তি উৎপাদন করে তা কোষের বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করার জন্যে প্রধানত ATP হিসাবে তৈরি ও পরবর্তীতে ব্যবহৃত হয়। সেজন্য ATP কে জৈবনিক মুদ্রা বা biological coin বলা হয়।সবাত শ্বসনের এক অণু গ্লুকোজ সম্পূর্ণ জারনের সর্বশেষ ধাপ কোষের মাইটোকনড্রিয়াতে হয় এবং অন্যান্য উচ্চশক্তিসম্পন্ন রাসায়নিক পদার্থ ATP তে রুপান্তরিত হয় এবং সেজন্য মাইটোকনড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বা powerhouse of a cell বলে।
শ্বসন প্রক্রিয়ায় কোষে অবস্থিত যে যৌগিক প্রাণরাসায়নিক বস্তুসমূহ জারিত হয়ে সরল প্রাণরাসায়নিক অথবা কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানিতে পরিণত হয় সে সব যৌগিক প্রাণরাসায়নিক বস্তুকে শ্বসনিক বস্তু বলে।
শ্বসনের প্রভাবক :-
সালোকসংশ্লেষণ-এর ন্যায় শ্বসনও কতগুলো প্রভাবক দ্বারা প্রভাবিত হয়। এগুলো বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ এ দু'ধরনের হয়।বাহ্যিক প্রভাবকগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলো, কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি, তাপমাত্রা অক্সিজেন ইত্যাদি।
অভ্যন্তরীণ প্রভাবকগুলোর মধ্যে রয়েছে- এনজাইম, জটিল খাদ্যদ্রব্য, কোষের বয়স, কোষস্থ অজৈব লবণ, কোষ মধ্যস্থ পানি, মাটিস্থ অজৈব লবণ এবং অন্যান্য প্রভাবক ইত্যাদি।
আরও পড়ুন :- রাইবোজোম কি?
শ্বসনের গুরুত্ব :-
সর্বপ্রকার জীবের জীবনকালে শ্বসনের গুরুত্ব খুব বেশি। উদ্ভিদ বা প্রাণীর প্রতিটি সজীব কোষে দিন রাত্রির প্রতিটি মুহুর্তে শ্বসন প্রক্রিয়া চলে। শ্বসন প্রক্রিয়া বন্ধ হলে সাধারণত: জীবিত কোষের মৃত্যু ঘটে। উদ্ভিদ জীবনে শ্বসনের গুরুত্ব নিচে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল১. উদ্ভিদের প্রতিটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন। আর এ শক্তি আসে শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। উদ্ভিদদেহে উপস্থিত যৌগিক খাদ্য সরল পদার্থে রূপান্তরিত হবার ফলে, শ্বসন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। সালোকসংশ্লেষণের সময় সৌর শক্তি (solar energy) রাসায়নিক শক্তি (chemical energy) রূপে জটিল খাদ্যে জমা হয় । শ্বসনের সময় বিভিন্ন প্রকার জটিল খাদ্য ভেঙ্গে সরল খাদ্য বা পদার্থে রূপান্তরিত হবার সময় সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি যা জটিল খাদ্যসমূহে প্রচ্ছন্ন শক্তি (potential energy) রূপে জমা থাকে তা ব্যবহার উপযোগী গতি শক্তি (kinetic energy) হিসাবে পরিবর্তিত হয়।
সূতরাং শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে উদ্ভিদ জীবনের সকল জৈবিক প্রক্রিয়া পরিচালিত করার মধ্যেই রয়েছে উদ্ভিদ তথা জীবের জীবনে শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রকৃত গুরুত্ব।
২. শ্বসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত CO2, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় এবং খাদ্যবস্ত্র উৎপন্ন হয়। এসব খাদ্যবস্তুসমূহ উদ্ভিদ জীবনের প্রয়োজনে আসে এবং উদ্ভিদ জীবনকে রক্ষা করে, তেমনই সমস্ত প্রাণিকূল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসব খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে।
৩. উদ্ভিদের কোষ বিভাজনের জন্য শক্তির প্রয়োজন। এ প্রয়োজনীয় শক্তি শ্বসনে উদ্ভূত শক্তি জোগান দেয়।
৪. শ্বসন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার জৈব অ্যাসিড তৈরি হয়। এ জৈব অ্যাসিডসমূহ পরবর্তীতে অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার জৈব দ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়।
৫. শ্বসনে উদ্ভূত শক্তি উদ্ভিদের পানি ও খনিজ দ্রবীভূত লবণ শোষণে ব্যবহৃত হয় ও উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বর্ধনে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন:- ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.