মাইটোসিস ও মায়োসিসের মধ্যে পার্থক্য?

মাইটোসিস ও মায়োসিসের মধ্যে পার্থক্য :-

মাইটোসিস -

১. মাইটোসিস প্রধাণত দেহকোষে হয়।

২. হ্যাপ্লয়েড, ডিপ্লয়েড ও বহুপ্লয়েড কোষে হতে পারে।

৩. এতে দেহের বৃদ্ধি ঘটে।

৪. নিউক্লিয়াসের পর্যায়মধ্যক বা ইন্টারফেজ পর্যায় দীর্ঘস্থায়ী।

৫. ক্রোমোজোমের দ্বিত্বন ঘটে ইন্টারফেজের অনুলিপন অংশে এবং এটি কখনও প্রোফেজ পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছায় না।

৬. প্রোফেজ পর্যায় স্বল্পস্থায়ী ও তুলনামূলকভাবে সরল ।

৭. সাধারণত হোমোলোগাস কখনও জোড়ার সৃষ্টি করে না।

৮. ক্রসিং ওভার ঘটে না, ফলে কায়েজমাটা সৃষ্টি হয় না এবং ক্রোমোসোমে জিন বিনিময় ঘটে না।

৯. নিউক্লিয়াস একবার বিভাজিত হয়।

১০. মেটাফেজ-এ সেন্ট্রোমিয়ারসহ ক্রোমোজোম লম্বালম্বি বিভক্ত হয় অর্থাৎ ক্রোমোজোম ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয়।

আরও পড়ুন :- কোষ বিভাজন কি?

১১. অ্যানাফেজ-এ প্রতিটি ক্রোমোজোম দুটি ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয়ে দুমেরুতে যায়, তাই প্রতি মেরুতে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের সমান হয়।

১২. অ্যানাফেজ-এ ক্রোমোজোমগুলো লম্বা ও সরু।

১৩. ক্রোমোজোমগুলি বাইভেলেন্ট; প্রতিটিতে দুটি ক্রোমাটিড থাকে। এদের একটি পিতা থেকে এবং অন্যটি মাতা হতে আসে।

১৪. এ বিভাজনে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়।

১৫. অপত্য কোষের ক্রোমোজোমের গুণাগুণ মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের একই রূপ হয়।

মায়োসিস -

১. মায়েওসিস সাধারণত মাতৃ কোষে প্রজননের কারণে হয়।

২. কখনও হ্যাপ্লয়েড কোষে ঘটে না।

৩. এতে দেহের বৃদ্ধি ঘটে না।

৪. নিউক্লিয়াসের পর্যায়মধ্যক বা ইন্টারফেজ পর্যায় ক্ষণস্থায়ী।

৫. ক্রোমোজোমের দ্বিত্বন আরম্ভ হয় মাইটোসিসের ন্যায় কিন্তু এটি প্রোফেজ - ১ এর প্যাকাইটিন উপ-পর্যায় পর্যন্ত চলতে পারে।

৬. প্রোফেজ- ১ অত্যন্ত জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী, তাই একে পাঁচটি উপ-পর্যায়ে ভাগ করা হয়।

আরও পড়ুন :- সেন্ট্রিওল কি?

৭. হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণের ফলে জাইগোটিন উপ-পর্যায়ে হোমোলোগাস ক্রোমোজোম জোড়ার সৃষ্টি করে।

৮. ক্রসিং ওভার ঘটে ও কায়েজমা সৃষ্টি হয়। ফলে হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের মধ্যে 'জিন' বিনিময় ঘটে ।

৯. জনন মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস দুবার বিভাজিত হয়।

১০. মেটাফেজ- ১ এ সেন্টোসিয়ার অবিভক্ত থাকে।

১১. অ্যানাফেজ- ১ এ অবিভক্ত পূর্ণ ক্রোমোজোম পৌঁছায়, তাই মেরুতে ক্রোমোজোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক হয়।

১২. অ্যানাফেজ-এ ক্রোমোজোমগুলি খাট ও মোটা।

১৩. ক্রোমাটিডগুলো বাইভেলেন্ট অর্থাৎ মাতার দিক থেকে অথবা পিতার দিক থেকে আসে।

১৪. এ বিভাজনে চারটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়।

১৫. অপত্য কোষের ক্রোমোজোম মাতৃকোসের ক্রোমোজোম হতে ভিন্নতর গুণসম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন :- শ্বসন কাকে বলে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ