গলগি বডি কাকে বলে :-
নিউক্লিয়াসের নিকটে অবস্থিত দু'স্তরবিশিষ্ট ঝিল্লী দিয়ে বেষ্টিত নালিকা, জালিকা, ফোস্কা, খলি ইত্যাদি আকৃতির সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুকে গলগি বড়ি বলা হয়।
ইতালীয় স্নায়ুতত্ত্ববিদ ক্যামিলো গলগি (১৮৯৮) পেঁচা ও বিড়ালের মস্তিষ্কের কোষে গলগি বড়ি আবিষ্কার করেন এবং তাঁর নামানুসারেই এ ক্ষুদ্রাঙ্গের নাম রাখা হয়।
আরও পড়ুন :- ক্রসিং ওভার কি?
ইতালীয় স্নায়ুতত্ত্ববিদ ক্যামিলো গলগি (১৮৯৮) পেঁচা ও বিড়ালের মস্তিষ্কের কোষে গলগি বড়ি আবিষ্কার করেন এবং তাঁর নামানুসারেই এ ক্ষুদ্রাঙ্গের নাম রাখা হয়।
আরও পড়ুন :- ক্রসিং ওভার কি?
গলগি বডির কাজ কি :-
১. গলগি বডি লাইসোসোম তৈরি করে।
২. এরা হরমোনসহ বিভিন্ন প্রকার বিপাকীয় দ্রব্য ক্ষরণ ও নিঃসরণ করে।
৩. এরা শুক্রাণু গঠনে সহায়তা করে।
৪. কোষ প্রাচীর ও প্লাজমা মেমব্রেন গঠনে সাহায্য করে।
৫. এরা প্রোটিন সঞ্চয় করে।
৬. মাইটোকন্ড্রিয়ায় এটিপি (ATP) সৃষ্টির জন দরকারী এনজাইম সৃষ্টি করে।
গলগি বডির অবস্থান :-
গলগি বড়ি প্রাণী কোষের একটি অনন্য সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু। উদ্ভিদ কোষে এরা সংখ্যায় কম থাকে। অধিকাংশ কোষে সাধারণত নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি দলবদ্ধ অবস্থায় গলগি বড়ি দেখা যায়। নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় গলগি বড়ি বিদ্যমান থাকে।গলগি বডির গঠন :-
এর গঠনকে দু'ভাবে আলোচনা করা হয়। যথা-১. ভৌত গঠন-
গলগি বড়িতে তিন ধরনের উপাদান বিদ্যমান থাকে। যথা- সিস্টার্নি, ভ্যাকুওল ও ভেসিকল।সিস্টার্নি :
অসমান দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ও সমান্তরালভাবে অবস্থিত লম্বা ও চ্যাপ্টা নালিকাসদৃশ বস্তুগুলো সিস্টার্নি নামে পরিচিত। সম্ভবত মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা হতে সিস্টার্নির উৎপত্তি হয়।
ভ্যাকুওল :
এগুলো সিস্টার্নির কাছে অবস্থিত গোলাকৃতির থলির ন্যায় অংশ। সিস্টার্নির প্রাচীর চওড়া হয়ে ভ্যাকুণ্ডলের সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন :- ট্যিসু কাকে বলে?
ভেসিকল :
সিস্টার্নির নিচের দিকে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র থলির ন্যায় বস্তুগুলোকে ভেসিকল বলে।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.