DNA কাকে বলে:-
ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (Deoxyribonucleic Acid) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো DNA / ডিএনএ। DNA এর গাঠনিক একক নিউক্লিয়োটাইড। এটি একটি বৃহদাণুর জৈব অ্যাসিড যা জীবনের আণবিক ভিত্তি। প্রকৃত কোষের ক্রোমোসোমের মূল উপাদান ডিএনএ। কতক ভাইরাসে ডিএনএ থাকে। এটি সাধারণত সূত্রাকার কিছু আদি কোষ, মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টে এর আকার বৃত্তের ন্যায়।
এখন আমরা dna kake bole তা জানার চেষ্টা করি; স্বপ্রজননশীল, পরিব্যক্তিক্ষম, সকল প্রকার জৈবিক কার্যের নিয়ন্ত্রক এবং বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক, যা সজীব কোষে অবস্থিত থাকে তাকে DNA বলে।
১। পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার (কার্বনের ২নং স্থানে অক্সিজেন অনুপস্থিত বিধায় ডিঅক্সি বলা হয়),
২। ফসফোরিক অ্যাসিড,
৩। নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক (অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন এবং থাইমিন)।
এখন আমরা dna kake bole তা জানার চেষ্টা করি; স্বপ্রজননশীল, পরিব্যক্তিক্ষম, সকল প্রকার জৈবিক কার্যের নিয়ন্ত্রক এবং বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক, যা সজীব কোষে অবস্থিত থাকে তাকে DNA বলে।
ডিএনএ-এর রাসায়নিক গঠন :-
ডিএনএ এর রাসায়নিক উপাদানগুলো হলো-১। পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার (কার্বনের ২নং স্থানে অক্সিজেন অনুপস্থিত বিধায় ডিঅক্সি বলা হয়),
২। ফসফোরিক অ্যাসিড,
৩। নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক (অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন এবং থাইমিন)।
আরও পড়ুন :- জেনেটিক কোড কি?
১. ক্রোমোসোমের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
২. বংশগতির আণবিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৩. জীবের সকল বৈশিষ্ট্য ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. জীবের বৈশিষ্ট্যসমূহ বংশপরম্পরায় অধঃস্তন প্রজন্মে স্থানান্তর করে।
৫. জীবের সকল শারীরতাত্ত্বিক ও জৈবিক কাজ কর্মের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
৬. জীবের পরিবৃত্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৭. ডিএনএ এবং তার হেলিক্সের কোন অংশে গোলযোগ দেখা দিলে তা মেরামত করে নিতে সক্ষম।
প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে ডিএনএ এর জিন সিকুয়েন্স অর্থাৎ নিউক্লিক অ্যাসিডের ক্রম মিলানো হয়।
ডিএনএ টেস্টের বিজ্ঞানভিত্তিক এক ব্যবহারিক পদ্ধতিকে বলা হয় ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং। এছাড়া ডিএনএ টাইপিং, ডিএনএ টেস্টিং ইত্যাদি নামও প্রচলিত রয়েছে।
কারণ এ সকল জৈবিক নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা সহজ। অপরাধস্থল কিংবা অপরাধের শিকার এমন ব্যক্তির কাছ থেকে জৈবিক নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ নকশা তৈরি করা হয়। আবার সন্দেহভাজন ব্যক্তি থেকে জৈবিক নমুনা নিয়ে ডিএনএ নকশা তৈরি করা হয়।
ডিএনএ এর কাজ :-
ডিএনএ এর কাজ সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো -
২. বংশগতির আণবিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৩. জীবের সকল বৈশিষ্ট্য ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. জীবের বৈশিষ্ট্যসমূহ বংশপরম্পরায় অধঃস্তন প্রজন্মে স্থানান্তর করে।
৫. জীবের সকল শারীরতাত্ত্বিক ও জৈবিক কাজ কর্মের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
৬. জীবের পরিবৃত্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৭. ডিএনএ এবং তার হেলিক্সের কোন অংশে গোলযোগ দেখা দিলে তা মেরামত করে নিতে সক্ষম।
ডিএনএ / dna টেস্ট কি :-
এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট নমুনার ডিএনএ নকশার সাথে অন্য কোন নমুনার ডিএনএ নকশার তুলনা করে নমুনা দুটির মধ্যে মিল বা অমিল নির্ণয় করা হয়।প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে ডিএনএ এর জিন সিকুয়েন্স অর্থাৎ নিউক্লিক অ্যাসিডের ক্রম মিলানো হয়।
ডিএনএ টেস্টের বিজ্ঞানভিত্তিক এক ব্যবহারিক পদ্ধতিকে বলা হয় ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং। এছাড়া ডিএনএ টাইপিং, ডিএনএ টেস্টিং ইত্যাদি নামও প্রচলিত রয়েছে।
ডিএনএ টেস্ট প্রক্রিয়া :-
ডিএনএ টেস্ট সুসম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক উপাদান হচ্ছে জৈবিক নমুনা। বিভিন্ন ধরনের জৈবিক নমুনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যক্তির হাড়, দাঁত, রক্ত, লালা, বীর্য বা টিস্যু, উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পাতা, মূল এর অগ্রভাগ ইত্যাদি।কারণ এ সকল জৈবিক নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা সহজ। অপরাধস্থল কিংবা অপরাধের শিকার এমন ব্যক্তির কাছ থেকে জৈবিক নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ নকশা তৈরি করা হয়। আবার সন্দেহভাজন ব্যক্তি থেকে জৈবিক নমুনা নিয়ে ডিএনএ নকশা তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন :- সেন্ট্রিওল কি?
এ দু'ব্যক্তির জৈবিক নমুনা থেকে করা ডিএনএ নকশার মধ্যে তুলনা করে অপরাধী চিহ্নিত করা হয় অথবা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়।
একইভাবে উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও কোন উদ্ভিদ প্রজাতি বা কোন উদ্ভিদ গোত্রকে শনাক্ত করা যায়। সম্ভাব্য পিতা-মাতা অথবা নির্দিষ্ট উদ্ভিদের ডিএনএ এর সাথে সন্তান সন্ততি বা কাঙ্ক্ষিত উদ্ভিদের ডিএনএ এর ৯৯.৯% মিলে গেলে ঐ পিতা-মাতাকে বা নির্দিষ্ট উদ্ভিদটি প্রকৃত পিতা মাতা বা পূর্ব পুরুষ বলে গণ্য হবে।
এ পদ্ধতিতে প্রথমে নমুনা থেকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ডিএনএ আলাদা করা হয়। পরে একাধিক রেস্ট্রিকশন এনজাইম ( ডিএনএ কর্তনকারী) দিয়ে নমুনা ডিএনএকে ছোট ছোট টুকরা করা হয়। এক বিশেষ পদ্ধতি এগারোজ বা পলিএক্রিলামাইড জেল ইলেকট্রোফোরেসিস (Agarose Gel Electrophoresis) এর মাধ্যমে ডিএনএ টুকরাগুলো তাদের আকার অনুসারে বিভিন্ন ব্যান্ড আকারে আলাদা করা হয়।
এক ধরনের বিশেষ নাইট্রোসেলুলোজ কাগজে রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ ডিএনএ টুকরা প্রোবের সাথে হাইব্রিডাইজ করে এক্স-রে ফিল্মের উপর রেখে অটোরেডিওগ্রাফি পদ্ধতিতে দৃশ্যমান ব্যান্ডের সারিগুলো নির্ণয় করা হয়।
অপরাধস্থল থেকে প্রাপ্ত নমুনার সাথে সন্দেহভাজন নমুনার মিল ও অমিল চিহ্নিত করে তুলনা করা হয়। এ পদ্ধতিকে ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং বলা হয়। বর্তমানে পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া (Polymerase Chain Reaction) বা পিসিআর (PCR) পদ্ধতিতে আরও নিপুণভাবে অল্প নমুনা ব্যবহার করে নির্ভুলভাবে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হচ্ছে।
আবার অনেক সময় কেউ যদি কোন সন্তানকে তার নিজের সন্তান দাবি করে তখনও ডিএনএ টেস্ট দ্বারা এ ধরনের বিবাদ বর্তমানে নিষ্পত্তি করা যায়। অনেক সময় বিমান দূর্ঘটনা ও লঞ্চ দূর্ঘটনায় অনেক লোক মারা যায়। এ সকল দূর্ঘটনার ক্ষেত্রেও ডিএনএ টেস্ট দ্বারা কোন নির্দিষ্ট লোককে চিহ্নিত করা সম্ভব।
বর্তমান সময়ে ডিএনএ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং এর ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃষি, মৎস্য, প্রাণীসম্পদ এবং ঔষধ শিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। এতদিন প্রচলিত সাক্ষ্য প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীর উপর নির্ভর করে বিচার করা হতো। প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বে সুবিচার পাওয়ার এক নতুন অধ্যায় ডিএনএ টেস্ট। এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ প্রজাতি বা কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ গোত্রকে অল্প সময়ে সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব।
এ দু'ব্যক্তির জৈবিক নমুনা থেকে করা ডিএনএ নকশার মধ্যে তুলনা করে অপরাধী চিহ্নিত করা হয় অথবা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়।
একইভাবে উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও কোন উদ্ভিদ প্রজাতি বা কোন উদ্ভিদ গোত্রকে শনাক্ত করা যায়। সম্ভাব্য পিতা-মাতা অথবা নির্দিষ্ট উদ্ভিদের ডিএনএ এর সাথে সন্তান সন্ততি বা কাঙ্ক্ষিত উদ্ভিদের ডিএনএ এর ৯৯.৯% মিলে গেলে ঐ পিতা-মাতাকে বা নির্দিষ্ট উদ্ভিদটি প্রকৃত পিতা মাতা বা পূর্ব পুরুষ বলে গণ্য হবে।
এ পদ্ধতিতে প্রথমে নমুনা থেকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ডিএনএ আলাদা করা হয়। পরে একাধিক রেস্ট্রিকশন এনজাইম ( ডিএনএ কর্তনকারী) দিয়ে নমুনা ডিএনএকে ছোট ছোট টুকরা করা হয়। এক বিশেষ পদ্ধতি এগারোজ বা পলিএক্রিলামাইড জেল ইলেকট্রোফোরেসিস (Agarose Gel Electrophoresis) এর মাধ্যমে ডিএনএ টুকরাগুলো তাদের আকার অনুসারে বিভিন্ন ব্যান্ড আকারে আলাদা করা হয়।
এক ধরনের বিশেষ নাইট্রোসেলুলোজ কাগজে রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ ডিএনএ টুকরা প্রোবের সাথে হাইব্রিডাইজ করে এক্স-রে ফিল্মের উপর রেখে অটোরেডিওগ্রাফি পদ্ধতিতে দৃশ্যমান ব্যান্ডের সারিগুলো নির্ণয় করা হয়।
অপরাধস্থল থেকে প্রাপ্ত নমুনার সাথে সন্দেহভাজন নমুনার মিল ও অমিল চিহ্নিত করে তুলনা করা হয়। এ পদ্ধতিকে ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং বলা হয়। বর্তমানে পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া (Polymerase Chain Reaction) বা পিসিআর (PCR) পদ্ধতিতে আরও নিপুণভাবে অল্প নমুনা ব্যবহার করে নির্ভুলভাবে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হচ্ছে।
ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজনীয়তা :-
যখন কোন সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় অথবা যখন কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ প্রজাতি শনাক্তকরণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তখনই ডিএনএ টেস্টের দরকার হয়।আবার অনেক সময় কেউ যদি কোন সন্তানকে তার নিজের সন্তান দাবি করে তখনও ডিএনএ টেস্ট দ্বারা এ ধরনের বিবাদ বর্তমানে নিষ্পত্তি করা যায়। অনেক সময় বিমান দূর্ঘটনা ও লঞ্চ দূর্ঘটনায় অনেক লোক মারা যায়। এ সকল দূর্ঘটনার ক্ষেত্রেও ডিএনএ টেস্ট দ্বারা কোন নির্দিষ্ট লোককে চিহ্নিত করা সম্ভব।
বর্তমান সময়ে ডিএনএ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং এর ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃষি, মৎস্য, প্রাণীসম্পদ এবং ঔষধ শিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। এতদিন প্রচলিত সাক্ষ্য প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীর উপর নির্ভর করে বিচার করা হতো। প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বে সুবিচার পাওয়ার এক নতুন অধ্যায় ডিএনএ টেস্ট। এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ প্রজাতি বা কোন নির্দিষ্ট উদ্ভিদ গোত্রকে অল্প সময়ে সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব।
আরও পড়ুন :- ভাইরাস কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.