শারীরিক সক্ষমতা কাকে বলে :-
শারীরিক শিক্ষার উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো শারীরিক সক্ষমতা যে যোগ্যতা দিয়ে শারীরিক শিক্ষার যেসব কর্মসূচি সুন্দর ও যথার্থভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাকেই শারীরিক সক্ষমতা বলে।শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক দিক হচ্ছে খেলাধুলা। তাই শারীরিক সক্ষমতার বৈশিষ্ট্য, খেলাধুলার সাথে এর সম্পর্ক, শারীরিক সক্ষমতার মূল্যায়ন ইত্যাদি সম্পর্কে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক সক্ষমতা অর্জনের পদ্ধতি, লিঙ্গভেদে ব্যায়ামের ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভ করতে পারবে। শারীরিক সক্ষমতা অর্জনে শক্তি, গতি, ক্ষিপ্রতা ও নমনীয়তার প্রয়োজনীয়তা এবং খেলার ভিন্নতা অনুযায়ী কোনটির ভূমিকা কীরূপ তা জানতে পারবে। শারীরিক সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে সুস্থ ও কর্ম জীবনযাপনে সক্ষম হবে।
কোনো কাজ করার সামর্থ্যকে সাধারণভাবে শারীরিক সক্ষমতা বলে। ব্যাপক অর্থে সক্ষমতা বলতে জৈবিক অস্তিত্ব রক্ষা করে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনধারণ করার সামর্থ্যকে বোঝায়। ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, আবেগময় ও সক্ষমব্যক্তি শারীরিক সুস্থতার সাথে সাথে মানসিক সুস্থতা, আবেগীয় ভারসাম্য ও সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন :- লোহা কাকে বলে?
সুতরাং সক্ষমতা বলতে ব্যক্তির সার্বিক শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্যকে বোঝানো হয়েছে। সামগ্রিক সক্ষমতার বিভিন্ন দিকের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বাস্তব, প্রয়োজনীয় এবং প্রাথমিক দিক হলো শারীরিক সক্ষমতা। শারীরিক সক্ষমতা হলো শারীরিক কাজকর্ম করার সামর্থ্য। দৈহিক কাজের ভিন্নতা অনুসারে শারীরিক সক্ষমতার স্বরূপ বদলায়। তাই সাধারণ জীবনের হাঁটা, চলা, বসা ও অন্যান্য কাজের জন্য শারীরিক সক্ষমতা এবং বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের শারীরিক সক্ষমতা এক নয়। কালের ধরনের উপর শারীরিক সক্ষমতার ধরনও ভিন্ন হয়।
শারীরিক সক্ষমতার সংজ্ঞা হিসেবে ক্লার্ক বলেছেন- "অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে শক্তি ও সচেতনতার সাথে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করা, আনন্দ ও উৎসাহের সাথে অবসর সময় কাটানো এবং সংকট মোকাবেলার সামর্থ্য হলো শারীরিক সক্ষমতা।"
শারীরিক সক্ষমতার গুরুত্ব :-
একজন ব্যক্তি শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করলে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে সুস্থ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হবে। যেমন১. যেকোনো শারীরিক কার্যক্রম অনায়াসে করতে পারবে।
২. দৈব-দুর্ঘটনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৪. শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করলে মন ভালো ফলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারবে।
৫. যেকোনো ধরনের খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জন করতে পারবে।
আরও পড়ুন :- শারীরিক শিক্ষা কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.