পরিসংখ্যান কাকে বলে? পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা লিখ?

পরিসংখ্যান এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Statistics. আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সর্বইে পরিসংখ্যানের ধারণা কাজে লাগাতে হয়। কোথায় এবং কোন সময়ে প্রথমে পরিসংখ্যান বা Statistics শব্দের ব্যবহার হয় তা সঠিকভাবে বলা কঠিন প্রাচীনকালে রাষ্ট্রীয় তথ্যশালা যথা- রাজকোষের পরিমাণ, সৈন্যসংখ্যা, প্রজার সংখ্যা, জন্ম-মৃত্যুর সংখ্যা ইত্যাদি বুঝাবার জন্য পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হতো।

কালক্রমে পরিসংখ্যানকে শুধু রাষ্ট্রীয় তথ্য সংগ্রহেই নহে, মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের রাজনৈতিক, সামাজিক, শিল্প-বানিজ্য তথা অর্থনৈতিক ঘটনার সংখ্যাত্মক প্রকাশ বলে ধরা হয়।

এছাড়াও সড়ক দূর্ঘটনার পরিসংখ্যান, জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান, মূল্যের পরিসংখ্যান, উৎপাদনের পরিসংখ্যান প্রভৃতি ধরনের পরিসংখ্যান রয়েছে।

পরিসংখ্যান কাকে বলে :-

প্রাথমিকভাবে পরিসংখ্যান কি তা বলতে বুঝায় কোন অনুসন্ধানের সংখ্যা ভিত্তিক তথ্য। অন্যভাবে বলা যায়, সংখ্যা ভিত্তিক উপাত্তের সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা দানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।

এ সত্বেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যানবিদ গবেষণা শ্রমলব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্নভাবে পরিসংখ্যানকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

Webster এর মতে “পরিসংখ্যান বিজ্ঞান হলো একটি রাষ্ট্রে জনসাধারণের অবস্থা সম্পর্কিত শ্রেণিবদ্ধ তথ্যাবলী বিশেষ করে সেসব তথ্য যা সংখ্যায় বা সংখ্যা সারণি বা যে কোন আকারে বা শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।”

পরিসংখ্যান কাকে বলে এ সম্পর্কে Yule and Kendall এর মত “পরিসংখ্যান বিজ্ঞান দ্বারা সেসব সংখ্যাত্নক তথ্যাবলী বুঝায় যা বহুবিধ বিষয় দ্বারা লক্ষণীয় পরিমাণে প্রভাবিত হয়।”

আরও পড়ুন :- সূচক সংখ্যা কাকে বলে?

R. A. Fisher এর মতে “পরিসংখ্যান বিজ্ঞান হলো ব্যবহারিক গণিতের একটি শাখা যা সংখ্যাত্মক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে প্রয়োগ করা হয়।"

Croxton and Cowden পরিসংখ্যান কাকে বলে এ সম্পর্কে বলেছেন “পরিসংখ্যানকে তথ্য সংগ্রহ, উপস্থাপন, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা প্রদান করায় বিজ্ঞান বলা যেতে পারে। "

উপরিউক্ত সংজ্ঞার আলোকে বলা যায় পরিসংখ্যান বিজ্ঞান হচ্ছে কোন সংখ্যাত্নক তথ্যাবলীর সংগ্রহ, সংঘবদ্ধকরণ, উপস্থাপন, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা প্রদান করার বিজ্ঞান।

পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য :-

১. পরিসংখ্যানে সংখ্যা সূচক প্রকাশ আবশ্যক :

পরিসংখ্যান উপাত্তকে সংখ্যায় প্রকাশ করতে হবে। কোন গুন বাচক তথ্যকে পরিসংখ্যান বলা হবে না। যদি না তা ব্যাংকিং, স্কেলিং বা কোডিং এ প্রকাশ করা না হয়।

২. পরিসংখ্যান হচ্ছে তথ্যের সমষ্টি :

শুধু একটি পর্যবেক্ষণ বা সংখ্যা পরিসংখ্যান নয়। তবে তথ্যসেট হতে কোনো বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করলে তা পরিসংখ্যান।

৩. পরিসংখ্যান অনুসন্ধান কোন একটি ক্ষেত্রের সহিত সম্পর্কিত হতে হবে :

পরিসংখ্যান তথ্যাবলী কোন একটি পূর্ব নির্ধারিত ক্ষেত্রের সহিত সম্পর্কিত অনুসন্ধানের ফল হিসাবে উদ্ভূত হতে হবে। অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট ও স্বার্থহীন হওয়া বাঞ্ছনীয়।

৪. পরিসংখ্যান তথ্য বহুবিধ কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয় :

পরিসংখ্যান তথ্যকে একাধিক আন্ত সম্পর্কিত উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হতে হবে। পরিসংখ্যান কেবল একটি মাত্র কারণের ফল নয়।

আরও পড়ুন :- শারীরিক শিক্ষা কাকে বলে?

৫. পরিসংখ্যান তুলনাযোগ্য ও সমজাতীয় হতে হবে :

পরিসংখ্যান তথ্য এমনভাবে সংগ্রহ করতে হবে যেন এদের মধ্যে পারস্পরিক তুলনা সম্ভব হয়। তাই তথ্যাবলীকে সমজাতীয় ও সমপ্রকৃতির হতে হবে।

৬. পরিসংখ্যান প্রাক্কলনে যুক্তি সংগত পরিমানে সঠিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন :

পরিসংখ্যান গবেষনায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সুতরাং ফলাফল নিরূপণে একটি যুক্তি সংগত পরিমাণে সঠিকতার মাত্রা বজায় রাখা দরকার।
পরিসংখ্যান কাকে বলে

পরিসংখ্যানের গুরুত্ব :-

জ্ঞান বিজ্ঞানের যে সব শাখায় সংখ্যা বিশ্লেষণ করে বা সংখ্যার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সে সব ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম:

১. নীতি প্রণয়ন ও সুষ্ঠু সিদ্ধান্তে :

নীতি প্রণয়ন সুষ্ঠ ও কার্যকরী হতে হলে আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট আকারে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা দরকার। পরিসংখ্যান কোন নির্দিষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান দান করে ও নীতি প্রণয়নে সাহায্যে করে।

২. মানব কল্যাণের ক্ষেত্রে :


সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মানব কল্যাণের সহিত সম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। পরিসংখ্যান প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে এবং সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে যে কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়।

৩. সমাজ সমীক্ষার ক্ষেত্রে :

সমাজ সমীক্ষার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। বহু জটিল ঘটনা সমাজ সমীক্ষার সাথে জড়িত থাকে এবং অসংখ্য প্রাসঙ্গিক অপ্রাসঙ্গিক অবস্থার কারণে সামাজিক ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়। এ সব ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান অপরাধ, সামাজিক স্তরবিন্যাস প্রভৃতি সামাজিক ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক যাচাই করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন :- শ্রেনীবদ্ধকরণ কি?

৪. বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে :

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলো হতে যে সব তথ্য পাওয়া যায় সেগুলোতে কিছু দৈব শান্তি থেকে যায়। পরিসংখ্যান পদ্ধতি এ ধরনের ভ্রাপ্তি কমানোর উপযুক্ত হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে। কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন কারণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের পর্যালোচনা ও ফলাফলের পূর্বাভাস প্রদানে পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. সরকারী প্রশাসনের ক্ষেত্রে :

প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনায় রাষ্ট্রের আয় ব্যয়, বাজেট ইত্যাদি প্রণয়নের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিসংখ্যান তথ্য সংগ্রহকে আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রয়োজনীয় দায়িত্ব বলে পরিগণিত হয়।

৬. অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে :

পরিসংখ্যানিক তথ্য ও পদ্ধতিগুলো অর্থনীতিবিদদের হাতে নীতি সিদ্ধতার পরিষ্কার হাতিয়ার।

৭. ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে :

ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ব্যবহার অপরিহার্য। বাণিজ্যিক চক্র যেমন মুদ্রাস্ফীতি জনিত পরিস্থিতির পূর্ণজ্ঞান লাভ করে সে ভাবে পরিসংখ্যানের ব্যবহার করে নিজেকে প্রস্তুত রাখা যায়। পরিসংখ্যান ব্যবসায়ে ভবিষ্যত কর্মপদ্ধতির মূল্যবান পথ প্রদর্শক।

বলতে গেলে পরিসংখ্যান মানব জীবণের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিসংখ্যান জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা মানুষের চলমান জীবনের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে।

পরিসংখ্যানের ব্যবহার :-

পরিসংখ্যান বলতে শুধুমাত্র পরিসংখ্যানিক তথ্য সংগ্রহকে বুঝায় না, এ দ্বারা তথ্যাবলীর বিশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। নিম্নে আমরা পরিসংখ্যানের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব।

১. কৃষি পরিসংখ্যান :

কৃষি ক্ষেত্রে কৃষি তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশনার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

২. পরিকল্পনা :

সুস্থ অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য পরিসংখ্যান ব্যবহার করে বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব।

৩. অর্থনীতি :

পরিসংখ্যান অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও ফলিত অর্থশাস্ত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন স্বরূপ। তাই অর্থনৈতিক তত্ত্ব বিকাশে পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়

৪. ব্যবসা বাণিজ্য :

নানারূপে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। এ সব ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য পরিসংখ্যানের ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন :- বিস্তার পরিমাপ কাকে বলে?

৫. শিল্প প্রতিষ্ঠান :

আধুনিক বিশ্বে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান বিচারে পরিসংখ্যান ব্যবহৃত হয়।

৬. জীববিজ্ঞান :


জন্ম ও বংশ বৃদ্ধি সম্পর্কিত এবং উদ্ভিদ প্রজ্ঞাপন বিজ্ঞানে পরিসংখ্যান ব্যবহৃত হয়।

৭. শিক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক :

শিক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে নানা রূপে যথার্থতা যাচাইয়ের বৈধতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা নির্ণয়ে পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়।

৮. অন্যান্য রোগব্যাধি সম্পর্কিত নানা তথ্য বিশ্লেষণে পরিসংখ্যান ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন বিশ্লেষাত্মক কার্যক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়। অন্যভাবে বলতে পারি, বর্তমানে প্রায় সকল বিষয়ে তথ্যাবলীর বিশ্লেষণে পরিসংখ্যানিক পদ্ধতির ব্যবহার অপরিহার্য।

পরিসংখ্যানের কার্যক্ষেত্র :-

পরিসংখ্যানভিত্তিক যে কোন গবেষণা বা অনুসন্ধানই পরিসংখ্যানের কার্যক্ষেত্র। পরিসংখ্যান অতীত ও বর্তমান তথ্যের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতের কোন কার্যের উপর আলোকপাত করে। অনিশ্চিত কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তথ্য সংগ্রহ, উপস্থাপন, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষনের নীতি ও পদ্ধতি প্রণয়নই হচ্ছে পরিসংখ্যানের কাজ।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কাজে পরিসংখ্যান ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে গবেষণার সঠিকতা নিরূপণে পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। প্রশাসনিক কার্য পরিচালনা নীতি প্রণয়ন ও পরিকল্পনায় পরিসংখ্যানের প্রয়োগ স্বীকৃত।

এ ছাড়া দেশের জনসংখ্যার বন্টন ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান, জন্ম মৃত্যু, কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও উৎপাদন ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। মানব কল্যাণের সাথে জড়িত যে কোন সংখ্যাত্মক গবেষণাই পরিসংখ্যানের আওতায় পড়ে।

পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা :-

প্রতিটি বিষয়েরই যেমন কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে ঠিক তেমনি মানবজাতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিসংখ্যানের সার্থক প্রযোগ থাকলেও এর কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। নিম্নে পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা আলোচনা করা হলো

১. পরিসংখ্যান গুণবাচক তথ্য নিয়ে আলোচনা করে না :

বিভিন্ন গুণবাচক তথ্য যেমনঃ সততা, বুদ্ধি, চিন্তাধারা ইত্যাদি উপাত্ত পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগের অনুপোযোগী। কিন্তু যদি তাকে জাকিং, স্কেলিং বা গ্রেডিং করে সংখ্যার বা ক্যাটাগরিতে পরিণত করা যায়, তবে সেগুলো পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগের উপযোগী হয়। যেমন: কোন ছাত্রের মেধা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে পরিমাপ করা যায়।

২. পরিসংখ্যান গড়ে সত্য এবং স্বতন্ত্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করে না :

পরিসংখ্যান সর্বদা সমষ্টি নিয়ে আলোচনা করে। এককের উপর কখনো পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ একজন লোকের মাসিক আয় পরিসংখ্যান নয় কিন্তু একদল লোকের মাথাপিছু গড় মাসিক আয় পরিসংখ্যান।

আরও পড়ুন :- ধ্রুবক ও চলক কাকে বলে?  

৩. পরিসংখ্যানের ফলাফল পুরোপুরি সঠিক নয় :

পরিসংখ্যান এক অর্থে সম্ভাব্যতার বা অনুমানের বিজ্ঞান। এটি কাছাকাছি মান অনুমান করে মাত্র যেমন পশ্চিমবঙ্গের লোকের গড় আয়ু ৭০ বছর বলতে এটি বুঝায় না যে সবাই ৭০ বছরে মারা যায়। তবে এটুকু বোঝায় যে ঐ লোক ৭০ বছরের জীবন প্রত্যাশা করতে পারে।

৪. তথ্যসমূহ সমসত্ব না হলে এ পদ্ধতি অনুপোযোগী :

সমসত্ব তথ্য পরিসংখ্যান পদ্ধতির তথ্য তুলনার জন্য উপযোগী নতুবা এটি প্রদান করতে পারে।

৫. পরিসংখ্যান অপব্যবহৃত হতে পারে :

পরিসংখ্যানের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো এর অপব্যবহার। পরিসংখ্যান পদ্ধতিগুলো অসম্পূর্ণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে কিংবা অদক্ষ পরিসংখ্যানবিদদের দ্বারা ব্যবহৃত হলে খুবই বিপদজনক হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ