কালীন সারি কাকে বলে? কালীন সারির বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব ও ব্যবহার?

কালীন সারি কাকে বলে :-

সময়ের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন চলকের পরিবর্তন যে সারণীর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় তাকে কালীন সারি বলে। সম্পর্কযুক্ত পরিবর্তনশীল সংখ্যাভিত্তিক তথ্যাবলীকেই কালীন সারি (Time Series) বলে।

কালীন সারি সম্পর্কে Ya-Lem Chue বলেন. "A time series may be defined as a collection of readings belonging to different time periods of some economic variable or composite of variables." অর্থাৎ কালীন সারি হল বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত অর্থনৈতিক উপাত্ত"।

আরও পড়ুন :- শারীরিক শিক্ষা কাকে বলে?

কালীন সারির বৈশিষ্ট্য :-

১. কালীন সারির সময় সাধারণত: সমঅন্তর বিবেচনা করা হয়।

২. কালীন সারি সাধারণত: দ্বিচলক অন্তর্গত।

৩. কালীন সারিতে সময়কে স্বাধীন চলক ও বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত মানগুলো নির্ভরশীল চলক বলে অভিহিত হয়।

৪. কালীন সারির তথ্য সাধারণত: বাৎসরিক, মাসিক, সাপ্তাহিক ইত্যাদি সময়ে সংগৃহীত হয় এবং এরূপ তথ্যাবলী শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে না এতে ব্যবসা বাণিজ্যসহ আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের ব্যবহার্য বিভিন্ন তথ্যাবলীর ক্ষেত্রে আলোচিত হয়।
কালীন সারি কাকে বলে

কালীন সারির ব্যবহার :-

কালীন সারির ব্যবহার নিয়ে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হল-

১. অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের জন্য কালীন সারির বিশ্লেষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইহা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতা এবং ভবিষ্যত কি হবে তার ইঙ্গিত দেয়।

২. কালীন সারির অতীতের ঘটনা সম্বন্ধে তথ্য সরবরাহ করে তাই পরিসংখ্যান উপাত্ত পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়।

৩. কালীন সারি বিশ্লেষণ স্বল্পকালীন হ্রাস-বৃদ্ধি সমূহের দীর্ঘকালীন গতিশীলতা হতে পার্থক্যকরণের মাধ্যমে ব্যবসায়ীগণকে স্বল্পকালের মধ্যেও ব্যবসায়ের সমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৪. কালীন সারির তথ্যাবলী হতে পূর্বাভাস দান একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।

আরও পড়ুন :- পরিসংখ্যান কাকে বলে?

কালীন সারির গুরুত্ব :-

ব্যবসা-বাণিজ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালীন সারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিম্নে এর কারণসমূহ বর্ণিত হল-

১. কালীন সারির সাহায্যে অতীতের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। ফলে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হয়।

২. কালীন সারি ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করে ফলে বিনিয়োগ, উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হয়।

৩. কালীন সারির সাহায্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রকৃত ও প্রত্যাশিত অবস্থার তুলনামূলক ধারণা পাওয়া যায়। ফলে প্রকৃত ও প্রত্যাশিত অবস্থার পার্থক্যের কারণ নির্ণয় করা সহজতর হয়। দুই বা ততোধিক কালীন সারীর মধ্যে তুলনা করা যায়। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ