পাত সঞ্চালন :-
সমুদ্রের তলদেশ, মহাদেশ, মালভূমি, পর্বত প্রভৃতি গঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন মতবাদের মধ্যে সর্বাধুনিক মতবাদ পাত সঞ্চালন মতবাদ (Plate Tectonic Theory)।এ মতবাদটি ১৯১২ সালে আলফ্রেড ওয়েগনার (Alfred Wegener ) সর্বপ্রথম প্রবর্তন করেন যা মহাদেশীয় ভূ-ভাগ সঞ্চালন মতবাদ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে ফরাসী ভূ বিজ্ঞানী জেভিয়ার লি-পিচ (Xavier-le-Pichon) এ মতবাদ প্রদান করেন।
পাত সঞ্চালন তত্ত্বের মূল বক্তব্য :-
জেভিয়ার লি-পিনচন (Xavier-le-Pichon) এর মতে, পৃথিবীর ভূ-ত্বক, প্রধান ৭টি পাত, ৯টি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র পাত এবং ১৯টি অতি ক্ষুদ্র পাতের সমন্বয়ে গঠিত।বিভিন্ন আকৃতির পাতের মধ্যে ৭টি বৃহৎ আকৃতির পাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যথা-
আরও পড়ুন :- সুনামি কাকে বলে?
১. প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত
২. ইউরেশিয়ান পাত
৩. উত্তর আমেরিকান পাত
৪. দক্ষিণ আমেরিকান পাত ৫
৫. আফ্রিকান পাত
৬. অস্ট্রেলীয় পাত এবং
৭. অ্যান্টার্কটিকা পাত।
বড় বড় পাতগুলো মহাসাগরীয় খাড়ী (Mid Oceanic Ridge) এবং ছোট ছোট পাতগুলো চ্যুতি (Fault) দ্বারা বিভক্ত। মহাদেশীয় পাতগুলো মহাসাগরীয় পাতের ওপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। আবার মহাসাগরীয় পাতের নীচে রয়েছে ভূ ত্বকের নিম্নাংশ যা স্থিতিস্থাপক হলেও চাপের তারতম্যের কারণে গতিশীল হয়।
এছাড়া প্রচন্ড তাপের দরুণ ভূ-অভ্যন্তরে যে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয় তাতে মহাসাগরীয় পাতের ফাটল দিয়ে ম্যাগমা ওপরের দিকে উঠতে থাকে এতে মহাদেশীয় পাতগুলোও গতিশীল হয়। গতিশীলতার পরিমাণ খুব কম, বছরে ১০-২০ মি.মি.। ফলশ্রুতিতে বিশাল পাতগুলো কোনো কোনো স্থানে পরস্পরকে আঘাত করে, পরস্পর হতে দূরে সরে যায়। আবার কোথাও পাশাপাশি বিপরীত দিকে গতিশীল হয়। পাতসমূহের এই ধরনের গতিশীলতার জন্য ভূমিকম্প হয় এবং সমুদ্রের তলদেশে পাললিক শিলান্তর সংকুচিত হয়ে দুটি পাতের সংযোগ রেখা বরাবর ভঙ্গিল সৃষ্টি হয়।
ক. সংকোচন গতি (Compressional Movement)
খ. সম্প্রসারণ গতি (Extensional Movement) এবং
গ. পার্শ্বীয় গতি (Lateral Movement)।
এগুলো সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো -
সংকোচন গতি :
দু'টো পাতের পরস্পরের দিকের গতিকে সংকোচন গতি বলে। সংকোচন গতি মহাদেশীয়-মহাদেশীয়, মহাদেশীয়-মহাসাগরীয় এবং মহাসাগরীয় মহাসাগরীয় প্লেটের মধ্যে হতে পারে।
সম্প্রসারণ গতি :
দুটি পাত তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে পরস্পর দূরে সরে গেলে যাওয়ার গতিকে সম্প্রসারণ গতি বলে।
এই গতিতে পাত সীমান্তে সামুদ্রিক শৈলশিরা সৃষ্টি হয়। যেমন- দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার পাতসমূহের সম্প্রসারণ গতির ফলে সামুদ্রিক শৈলশিরার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রসারণ গতির ফলে বিস্তৃতি ঘটে। যেমন- আফ্রিকার পাত ও আরব পাতের সম্প্রসারণ গতির লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর পেয়েছে।
পার্শ্বীয় গতি :
দুটি পাশাপাশি অবস্থিত পাতের তাদের সীমানা বরাবর পরস্পর বিপরীত দিকের গতিকে পার্শ্বীয় গতি বলে।
পার্শ্বীয় গতির ফলে ভাঁজ, ফাটল ও চ্যুতির সৃষ্টি হয়। যেমন- তুর্কিস্তানের আনাতোলী চ্যুতি ও নিউজিল্যান্ডের আপলাই চ্যুতি। এক্ষেত্রে চ্যুতির সীমানা বরাবর প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
১. প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত
২. ইউরেশিয়ান পাত
৩. উত্তর আমেরিকান পাত
৪. দক্ষিণ আমেরিকান পাত ৫
৫. আফ্রিকান পাত
৬. অস্ট্রেলীয় পাত এবং
৭. অ্যান্টার্কটিকা পাত।
বড় বড় পাতগুলো মহাসাগরীয় খাড়ী (Mid Oceanic Ridge) এবং ছোট ছোট পাতগুলো চ্যুতি (Fault) দ্বারা বিভক্ত। মহাদেশীয় পাতগুলো মহাসাগরীয় পাতের ওপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। আবার মহাসাগরীয় পাতের নীচে রয়েছে ভূ ত্বকের নিম্নাংশ যা স্থিতিস্থাপক হলেও চাপের তারতম্যের কারণে গতিশীল হয়।
এছাড়া প্রচন্ড তাপের দরুণ ভূ-অভ্যন্তরে যে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয় তাতে মহাসাগরীয় পাতের ফাটল দিয়ে ম্যাগমা ওপরের দিকে উঠতে থাকে এতে মহাদেশীয় পাতগুলোও গতিশীল হয়। গতিশীলতার পরিমাণ খুব কম, বছরে ১০-২০ মি.মি.। ফলশ্রুতিতে বিশাল পাতগুলো কোনো কোনো স্থানে পরস্পরকে আঘাত করে, পরস্পর হতে দূরে সরে যায়। আবার কোথাও পাশাপাশি বিপরীত দিকে গতিশীল হয়। পাতসমূহের এই ধরনের গতিশীলতার জন্য ভূমিকম্প হয় এবং সমুদ্রের তলদেশে পাললিক শিলান্তর সংকুচিত হয়ে দুটি পাতের সংযোগ রেখা বরাবর ভঙ্গিল সৃষ্টি হয়।
পাত সঞ্চালন গতি :-
বিভিন্ন ধরনের পাতগুলোর মধ্যে যেগুলো সমুদ্রতলে অবস্থান করছে তাদের মহাসাগরীয় পাত এবং যে পাতগুলো মহাদেশ গঠন করছে তাদের মহাদেশীয় পাত বলা হয়। পাতসমূহের প্রধান তিন ধরনের গতি লক্ষ্য করা যায়। যথা ।ক. সংকোচন গতি (Compressional Movement)
খ. সম্প্রসারণ গতি (Extensional Movement) এবং
গ. পার্শ্বীয় গতি (Lateral Movement)।
আরও পড়ুন :- সমুদ্র তলদেশ কেমন?
এগুলো সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো -
সংকোচন গতি :
দু'টো পাতের পরস্পরের দিকের গতিকে সংকোচন গতি বলে। সংকোচন গতি মহাদেশীয়-মহাদেশীয়, মহাদেশীয়-মহাসাগরীয় এবং মহাসাগরীয় মহাসাগরীয় প্লেটের মধ্যে হতে পারে।
সম্প্রসারণ গতি :
দুটি পাত তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে পরস্পর দূরে সরে গেলে যাওয়ার গতিকে সম্প্রসারণ গতি বলে।
এই গতিতে পাত সীমান্তে সামুদ্রিক শৈলশিরা সৃষ্টি হয়। যেমন- দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার পাতসমূহের সম্প্রসারণ গতির ফলে সামুদ্রিক শৈলশিরার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রসারণ গতির ফলে বিস্তৃতি ঘটে। যেমন- আফ্রিকার পাত ও আরব পাতের সম্প্রসারণ গতির লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর পেয়েছে।
পার্শ্বীয় গতি :
দুটি পাশাপাশি অবস্থিত পাতের তাদের সীমানা বরাবর পরস্পর বিপরীত দিকের গতিকে পার্শ্বীয় গতি বলে।
পার্শ্বীয় গতির ফলে ভাঁজ, ফাটল ও চ্যুতির সৃষ্টি হয়। যেমন- তুর্কিস্তানের আনাতোলী চ্যুতি ও নিউজিল্যান্ডের আপলাই চ্যুতি। এক্ষেত্রে চ্যুতির সীমানা বরাবর প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন :- মহীসোপান কি?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.