পাললিক শিলা আমাদের শিল্প, সমাজ, সংস্কৃতির উন্নয়নে একটি নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। আদি মানব জাতি অস্তিত্বের জন্য পাললিক শিলা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার তৈরি করে।
বর্তমান সভ্যতার অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ পাললিক শিলা থেকে পাওয়া যায়। যেমন- কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি দালান-ইমারত, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহৃত ইট, সিমেন্ট, বালু সবাই আসে শিলা থেকে গ্যাস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কোয়ার্টজও এ শিলার অবদান।
এ শিলার পলি সাধারণত স্তরে স্তরে সঞ্জিত হয়। ভূ-পৃষ্ঠের প্রাথমিক শিলাগুলো যুগ যুগ ধরে রৌদ্র, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ সাগর তরঙ্গ প্রভৃতি নানা প্রকার ঘাত প্রতিঘাত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খন্ড-বিখন্ড ও চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে বালি, কাঁকর, কাঁদা প্রভৃতিতে পরিণত হয়।
ক্ষয়িত শিলাকণা জলস্রোত, বায়ু এবং হিমবাহ দ্বারা পরিবাহিত হয়ে পলল বা তলানিরূপে কোনো নিম্নভূমি, হ্রদ এবং সাগরগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে। পরবর্তীতে ঐসব পদার্থ ভূ-গর্ভের উত্তাপে ও উপরের শিলান্তরের চাপে জমাট বেঁধে কঠিন শিলায় পরিণত হয়।
পাললিক শিলা ভূ-ত্বকের মোট আয়তনের শতকরা ৫ ভাগ। তবে মহাদেশীয় ভূ-ত্বকের উন্মুক্ত অংশের প্রায় ৭৫ ভাগই পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত পলল বা তলানি থেকে গঠিত হয় বলে এরূপ শিলাকে পাললিক শিলা বলে।
বর্তমান সভ্যতার অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ পাললিক শিলা থেকে পাওয়া যায়। যেমন- কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি দালান-ইমারত, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহৃত ইট, সিমেন্ট, বালু সবাই আসে শিলা থেকে গ্যাস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কোয়ার্টজও এ শিলার অবদান।
পাললিক শিলা কাকে বলে :-
পলি সঞ্চিত হয়ে যে শিলা গঠন করে তাই পাললিক শিলা। পলল বা তলানি থেকে গঠিত হয় বলে এরূপ শিলাকে পাললিক শিলা বলে।এ শিলার পলি সাধারণত স্তরে স্তরে সঞ্জিত হয়। ভূ-পৃষ্ঠের প্রাথমিক শিলাগুলো যুগ যুগ ধরে রৌদ্র, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ সাগর তরঙ্গ প্রভৃতি নানা প্রকার ঘাত প্রতিঘাত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খন্ড-বিখন্ড ও চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে বালি, কাঁকর, কাঁদা প্রভৃতিতে পরিণত হয়।
ক্ষয়িত শিলাকণা জলস্রোত, বায়ু এবং হিমবাহ দ্বারা পরিবাহিত হয়ে পলল বা তলানিরূপে কোনো নিম্নভূমি, হ্রদ এবং সাগরগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে। পরবর্তীতে ঐসব পদার্থ ভূ-গর্ভের উত্তাপে ও উপরের শিলান্তরের চাপে জমাট বেঁধে কঠিন শিলায় পরিণত হয়।
পাললিক শিলা ভূ-ত্বকের মোট আয়তনের শতকরা ৫ ভাগ। তবে মহাদেশীয় ভূ-ত্বকের উন্মুক্ত অংশের প্রায় ৭৫ ভাগই পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত পলল বা তলানি থেকে গঠিত হয় বলে এরূপ শিলাকে পাললিক শিলা বলে।
আরও পড়ুন :- শিলা কাকে বলে?
স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় বলে একে স্তরীভূত শিলাও বলে। চুনাপাথর, বেলেপাথর, পাথুরিয়া কয়লা, সৈদ্ধব লবণ, খড়িমাটি প্রভৃতি পাললিক শিলার উদাহরণ।
ভূ-পৃষ্ঠের ক্রিয়ারত বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াই পাললিক শিলার উৎপত্তির জন্য কাজ করে। তবে, বিচূর্ণীভবন, পরিবহন, সঞ্চায়ন, সুদৃঢ়করণ ও জোড়ন ইত্যাদি প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে।
১. যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত পাললিক শিলা :
এই শিলা দুই ধরনের হতে পারে। যেমন- আগ্নেয় লাভাজাত এবং পূর্ববর্তী পাললিক বা রূপান্তরিত শিলার ক্ষয়িত চূর্ণ। এ জাতীয় পলিসমূহের আকার ও শিলা গঠনকারী খনিজে অনেক ভারতম্য লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণ- বেলেপাথর।
২. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত পাললিক শিলা :
রাসায়নিক বিচূর্ণীভবন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট পলি অনেক্ষণ থেকে এ শিলার উদ্ভব হয়। এ প্রক্রিয়ায় পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকা পদার্থসমূহ বিভিন্ন অজৈব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরাসরি তলায় পতিত হয় এবং অবশেষে জমাটবদ্ধ হয়।
যেমন- কোথাও আটকে পড়া পানি বাষ্পীভূত হলে এর সাথে দ্রবীভূত লবণ থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে বাষ্পায়ন একটি অজৈব প্রতিনা এবং থিতানো লবণকে পলি হিসাবে ধরা হয়। উদাহরণ- চুনাপাথর।
৩. জৈবিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা :
উদ্ভিদ বা প্রাণির দেহাবশেষজ্ঞাত পলি থেকে এ শিলার উৎপত্তি হয়। চুনাপাথর এ জাতীয় শিলা। জলজ পরিবেশে অতীতে যে গাছ ছিল তা ভূ-প্রাকৃতিক কারণে ভূ-অভ্যন্তরে চাপা পড়ে যায় এবং ওপরের পলির প্রচন্ড চাপে এর পরিবর্তন হয় এবং কালক্রমে কয়লায় পরিণত হয়।
স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় বলে একে স্তরীভূত শিলাও বলে। চুনাপাথর, বেলেপাথর, পাথুরিয়া কয়লা, সৈদ্ধব লবণ, খড়িমাটি প্রভৃতি পাললিক শিলার উদাহরণ।
ভূ-পৃষ্ঠের ক্রিয়ারত বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াই পাললিক শিলার উৎপত্তির জন্য কাজ করে। তবে, বিচূর্ণীভবন, পরিবহন, সঞ্চায়ন, সুদৃঢ়করণ ও জোড়ন ইত্যাদি প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে।
পাললিক শিলার শ্রেণিবিভাগ :-
গঠনকারী উপাদানের আকৃতি, আকার এবং গঠনগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পাললিক শিলাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে এগুলো বর্ণনা করা হলো।১. যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত পাললিক শিলা :
এই শিলা দুই ধরনের হতে পারে। যেমন- আগ্নেয় লাভাজাত এবং পূর্ববর্তী পাললিক বা রূপান্তরিত শিলার ক্ষয়িত চূর্ণ। এ জাতীয় পলিসমূহের আকার ও শিলা গঠনকারী খনিজে অনেক ভারতম্য লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণ- বেলেপাথর।
২. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত পাললিক শিলা :
রাসায়নিক বিচূর্ণীভবন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট পলি অনেক্ষণ থেকে এ শিলার উদ্ভব হয়। এ প্রক্রিয়ায় পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকা পদার্থসমূহ বিভিন্ন অজৈব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরাসরি তলায় পতিত হয় এবং অবশেষে জমাটবদ্ধ হয়।
যেমন- কোথাও আটকে পড়া পানি বাষ্পীভূত হলে এর সাথে দ্রবীভূত লবণ থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে বাষ্পায়ন একটি অজৈব প্রতিনা এবং থিতানো লবণকে পলি হিসাবে ধরা হয়। উদাহরণ- চুনাপাথর।
৩. জৈবিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা :
উদ্ভিদ বা প্রাণির দেহাবশেষজ্ঞাত পলি থেকে এ শিলার উৎপত্তি হয়। চুনাপাথর এ জাতীয় শিলা। জলজ পরিবেশে অতীতে যে গাছ ছিল তা ভূ-প্রাকৃতিক কারণে ভূ-অভ্যন্তরে চাপা পড়ে যায় এবং ওপরের পলির প্রচন্ড চাপে এর পরিবর্তন হয় এবং কালক্রমে কয়লায় পরিণত হয়।
আরও পড়ুন :- আগ্নেয় শিলা কাকে বলে?
পাললিক শিলার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা স্তরীভূত অর্থাৎ খনিজ উপাদানসমূহ স্থল বা সূক্ষ্ম স্তরে স্তরে বিনান্ত থাকে। এই স্তরগুলো সাধারণত আনুভূমিকভাবে সজ্জিত থাকে।
২. জীবাশ্ম বিশিষ্ট :
পাললিক শিলাস্তরে জীবাশ্মের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যে সকল জীব এই শিলাঞ্চলে বাস করে তাদের মৃতদেহ কালক্রমে পলির নিচে চাপা পড়ে। এর ফলে এদের দেহের কঠিন অংশ জীবাশ্মো প্রস্তরীভূত হয়ে পরিণত হয়।
৩. অকেলাসিত :
এটি কখনও উত্তপ্ত অবস্থা হতে শীতল হয়ে সৃষ্টি হয় না, বিধায় এই শিলা অকেলাসিত (Non Crystalline) শিলা।
৪. তরঙ্গচিহ্ন :
এটি তরঙ্গ চিহ্নযুক্ত শিলা। জলভাগের তলদেশে এই জাতীয় শিলার সৃষ্টি হয় বলে এর মধ্যে তরঙ্গচিহ্ন (Ripple Marks) বর্তমান থাকে। আবার বায়ু দ্বারা গঠিত পাললিক শিলায়ও বাতাসের দ্বারা তরঙ্গ চিহ্নের সৃষ্টি হয়।
৫. কোমলতা :
আগ্নেয় শিলার ভগ্নাংশ সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয় বলে এই শিলা অন্য শিলা থেকে অপেক্ষাকৃত কোমল থাকে।
১. অন্য শিলা বা খনিজের টুকরা। যেমন- নদীবাহিত নুড়ি।
৩. জৈব পদার্থ, যেমন- প্রবাল, জলজ উদ্ভিদ ইত্যাদি।
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য :-
১. স্তরীভূত :পাললিক শিলার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা স্তরীভূত অর্থাৎ খনিজ উপাদানসমূহ স্থল বা সূক্ষ্ম স্তরে স্তরে বিনান্ত থাকে। এই স্তরগুলো সাধারণত আনুভূমিকভাবে সজ্জিত থাকে।
২. জীবাশ্ম বিশিষ্ট :
পাললিক শিলাস্তরে জীবাশ্মের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যে সকল জীব এই শিলাঞ্চলে বাস করে তাদের মৃতদেহ কালক্রমে পলির নিচে চাপা পড়ে। এর ফলে এদের দেহের কঠিন অংশ জীবাশ্মো প্রস্তরীভূত হয়ে পরিণত হয়।
৩. অকেলাসিত :
এটি কখনও উত্তপ্ত অবস্থা হতে শীতল হয়ে সৃষ্টি হয় না, বিধায় এই শিলা অকেলাসিত (Non Crystalline) শিলা।
৪. তরঙ্গচিহ্ন :
এটি তরঙ্গ চিহ্নযুক্ত শিলা। জলভাগের তলদেশে এই জাতীয় শিলার সৃষ্টি হয় বলে এর মধ্যে তরঙ্গচিহ্ন (Ripple Marks) বর্তমান থাকে। আবার বায়ু দ্বারা গঠিত পাললিক শিলায়ও বাতাসের দ্বারা তরঙ্গ চিহ্নের সৃষ্টি হয়।
৫. কোমলতা :
আগ্নেয় শিলার ভগ্নাংশ সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয় বলে এই শিলা অন্য শিলা থেকে অপেক্ষাকৃত কোমল থাকে।
পাললিক শিলার প্রকৃতি :-
পাললিক শিলার বিশেষ উপাদান পলি। এটি বিভিন্ন পর্যায়ের সংমিশ্রণে হতে পারে। যেমন১. অন্য শিলা বা খনিজের টুকরা। যেমন- নদীবাহিত নুড়ি।
২. রাসায়নিক অবক্ষেপন, যেমন- লবণ, চুল ইত্যাদি।
৩. জৈব পদার্থ, যেমন- প্রবাল, জলজ উদ্ভিদ ইত্যাদি।
৪. পাললিক শিলার পুরানো পলির বয়স নিম্নস্তরে বেশি এবং উপরের দিকের স্তরে কমতে থাকে।
আরও পড়ুন :- পর্বত কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.