মরুভূমি কাকে বলে :-
মরুভূমি বলতে বুঝায় অত্যন্ত শুষ্ক, বৃষ্টিবিরল ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বালি দ্বারা আবৃত অঞ্চল।কোনো একটি বৃহৎ এলাকা যে প্রক্রিয়ায় শুষ্কতায় পরিবর্তিত হয় সে প্রক্রিয়াকে মরুকরণ বলে।
মরুভূমি বসবাসের জন্য অত্যন্ত অনুপযোগী। মরুভূমির দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য খুব বেশি। দিনে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পায় এবং রাতে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্যের কারণে পাথর প্রতিদিন সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে বৃহৎ পাথর খন্ডগুলো ক্রমেই ভেঙে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে বালুকণার আকার ধারণ করে।
সাহারা মরুভূমি হলো পৃথিবীর বৃহত্তর মরু এলাকা। মরুভূমির আবহাওয়া অত্যন্তড় রুক্ষ হওয়ায় এখানে স্বাভাবিক গাছপালার অস্তিত্ব নেই। কষ্ট সহিষ্ণু কিছু কাঁটা ও ঝোপ জাতীয় গাছ এখানে জন্মায়। এসব গাছের শিকড় মাটির অনেক নিচে প্রবেশ করেও পানি সংগ্রহ করতে পারে না।
আরও পড়ুন :- বায়োম কাকে বলে?
২. রাতের বেলা তাপমাত্রা ০° এর নিচে নেমে যায়,
৩. গাছ-পালা খুবই কম। কাঁটা ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিজ্জের উপস্থিতি বেশি,
৪. বৃষ্টিপাত অনেক কম ও অনিয়মিত,
৫. গ্রীষ্মকালে খরার প্রভাব থাকে,
৬. মাটি ও বায়ু উভয়ই শুষ্ক থাকে,
৭. মাটি থেকে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি,
৮. আর্দ্রতা অনেক কম এবং
৯. ভূমিক্ষয়ের মাত্রা অনেক বেশি।
১. উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি
২. শুষ্ক প্রায় মরুভূমি
৩. উপকূলীয় মরুভূমি এবং
৪. শীতল মরুভূমি।
এই চার প্রকার মরুভূমি সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো -
মরুভূমির বৈশিষ্ট্য :-
১. দিনের বেলা তাপমাত্রা প্রায় ৫০° বা এর উপরে থাকে,২. রাতের বেলা তাপমাত্রা ০° এর নিচে নেমে যায়,
৩. গাছ-পালা খুবই কম। কাঁটা ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিজ্জের উপস্থিতি বেশি,
৪. বৃষ্টিপাত অনেক কম ও অনিয়মিত,
৫. গ্রীষ্মকালে খরার প্রভাব থাকে,
৬. মাটি ও বায়ু উভয়ই শুষ্ক থাকে,
৭. মাটি থেকে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি,
৮. আর্দ্রতা অনেক কম এবং
৯. ভূমিক্ষয়ের মাত্রা অনেক বেশি।
মরুভূমির শ্রেণিবিভাগ :-
মরুভূমি প্রধানত চার প্রকার। যথা১. উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি
২. শুষ্ক প্রায় মরুভূমি
৩. উপকূলীয় মরুভূমি এবং
৪. শীতল মরুভূমি।
এই চার প্রকার মরুভূমি সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো -
আরও পড়ুন :- বায়ুর আর্দ্রতা কাকে বলে?
১. উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি :
আমেরিকার চিহুয়ান, সোনোরান, মোজাভি ও গ্রেট বেসিন মূলত এই প্রকারের মরুভূমি। এসব মরুভূমি সারা বছরই খুব উষ্ণ ও শুষ্ক থাকে। গ্রীষ্মকালে খুব গরম হয় এবং শীতকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়।
এখানে গড় তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ৪৩-৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কখনো সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ নেমে আসে। এ ধরনের মরুভূমিতে সর্বোচ্চ ২৮ সেমি বৃষ্টিপাত হয়।
মাটি সাধারণত পাথুরে হয়ে থাকে। এ মরুভূমিতে গাছ পালা খুব কম। প্রাণিকূলের মধ্যে ক্যাঙ্গার, ইঁদুর, পোকামাকড়, সরীসৃপ জাতীয় কিছু প্রাণি দেখতে পাওয়া যায়।
২. শুষ্ক প্রায় মরুভূমি :
এ ধরনের মরুভূমিতে দিনে খুব গরম হয় এবং রাতে সমান্য তাপমাত্রা হ্রাস পায়। শীতকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়। এখানে গড় তাপমাত্রা ২১-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে ৩৮ ডিগ্রির বেশি হয় না। বিকাল ও রাতে সাধারণত তাপমাত্রা থাকে ১০° সে.। এ ধরনের মরুভূমিতে বছরে গড়ে ২-৪ সেমি বৃষ্টিপাত হয়। মাটি সাধারণত পাথুরে ও বালুময় হয়ে থাকে। ভারতের রাজস্থানে এ ধরনের মরুভূমি দেখা যায়।
৩. উপকূলীয় মরুভূমি :
এ মরুভূমিতে সাধারণত মাঝারি ধরনের আবহাওয়া হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১৩-২৪° সে. শীতকালে ৫° সে. হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮° সে. আর সর্বনিম্ন ৫° সে নেমে যায়। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৩৭ সেমি, সর্বনিম্ন ৫ সেমি এবং বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ৫-১৩ সেমি। উদাহরণ: চিলির আতাকামা মরুভূমি।
৪. শীতল মরুভূমি :
এ মরুভূমি সাধারণত মেরু অঞ্চলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় দেখা যায়। গ্রীনল্যান্ড হচ্ছে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ২১-২৬° সে. এবং শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ১৫ ২৬ সে.মি।
১. উষ্ণ ও শুষ্ক মরুভূমি :
আমেরিকার চিহুয়ান, সোনোরান, মোজাভি ও গ্রেট বেসিন মূলত এই প্রকারের মরুভূমি। এসব মরুভূমি সারা বছরই খুব উষ্ণ ও শুষ্ক থাকে। গ্রীষ্মকালে খুব গরম হয় এবং শীতকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়।
এখানে গড় তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ৪৩-৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কখনো সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ নেমে আসে। এ ধরনের মরুভূমিতে সর্বোচ্চ ২৮ সেমি বৃষ্টিপাত হয়।
মাটি সাধারণত পাথুরে হয়ে থাকে। এ মরুভূমিতে গাছ পালা খুব কম। প্রাণিকূলের মধ্যে ক্যাঙ্গার, ইঁদুর, পোকামাকড়, সরীসৃপ জাতীয় কিছু প্রাণি দেখতে পাওয়া যায়।
২. শুষ্ক প্রায় মরুভূমি :
এ ধরনের মরুভূমিতে দিনে খুব গরম হয় এবং রাতে সমান্য তাপমাত্রা হ্রাস পায়। শীতকালে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়। এখানে গড় তাপমাত্রা ২১-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে ৩৮ ডিগ্রির বেশি হয় না। বিকাল ও রাতে সাধারণত তাপমাত্রা থাকে ১০° সে.। এ ধরনের মরুভূমিতে বছরে গড়ে ২-৪ সেমি বৃষ্টিপাত হয়। মাটি সাধারণত পাথুরে ও বালুময় হয়ে থাকে। ভারতের রাজস্থানে এ ধরনের মরুভূমি দেখা যায়।
৩. উপকূলীয় মরুভূমি :
এ মরুভূমিতে সাধারণত মাঝারি ধরনের আবহাওয়া হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১৩-২৪° সে. শীতকালে ৫° সে. হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮° সে. আর সর্বনিম্ন ৫° সে নেমে যায়। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৩৭ সেমি, সর্বনিম্ন ৫ সেমি এবং বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ৫-১৩ সেমি। উদাহরণ: চিলির আতাকামা মরুভূমি।
৪. শীতল মরুভূমি :
এ মরুভূমি সাধারণত মেরু অঞ্চলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় দেখা যায়। গ্রীনল্যান্ড হচ্ছে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ২১-২৬° সে. এবং শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ১৫ ২৬ সে.মি।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.