ক্ষয়ীভবন কাকে বলে :-
ভূ-ত্বকের উপরের শিলারাশি বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদীপ্রবাহ, হিমবাহ ও সাগর তরঙ্গ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে অবিরত ক্ষয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্ষয়জাত পদার্থ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবাহিত ও স্থানান্তরিত হয়। এভাবে প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ভূ-ত্বকের শিলারাশির ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্ষয়ীভবন বলে।সূর্যরশ্মি, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদীপ্রবাহ, হিমবাহ ও সাগর তরঙ্গ প্রভৃতি ক্ষয়ীভবনের প্রাকৃতিক নিয়ামক।
ক্ষয়ীভবনের প্রক্রিয়া :-
প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ভূ-ত্বকের শিলারাশি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হলো-১. সূর্যরশ্মির তাপ :
সূর্যরশ্মির তাপের প্রভাবে দিনের বেলায় ভূ-ত্বক উত্তপ্ত হয় এবং রাতের বেলায় তা শীতল ও সংকুচিত সূর্যরশ্মির তাপের হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে ভূ-ত্বকের শিলারাশি এভাবে ধীরে ধীরে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং ভূ-ত্বক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। দীর্ঘদিনের এইরূপ প্রসারণ ও সঙ্কোচনের ফলে ভূ-ত্বক চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ক্ষুদ্র মৃত্তিকার কণা ও শিলাকণায় পরিণত হয়। এর ফলে সহজেই ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়া কার্যকর হয়।
২. বায়ুপ্রবাহ :
মরু এলাকায় বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সর্বাধিক ক্ষয়ীভবন হয়। মরুভূমিতে গাছপালা না থাকায় মৃত্তিকা শিলারাশির দৃঢ়তা খুবই কম। যার দরুণ ভূ-ত্বকের উপরিভাগ থেকে ও মৃত্তিকা সাথে অন্যত্র চলে যায়।
আরও পড়ুন :- আগ্নেয় শিলা কাকে বলে?
৩. বৃষ্টিপাত :
পানিতে কঠিন শিলা নরম ও আলগা হয়ে যায়। এর ফলে মাটি ও বালির স্তুপ পানিতে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূ-পৃষ্ঠের উপর দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় যান্ত্রিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের ব্যাপক ক্ষয় হয়।
৪. নদীপ্রবাহ :
নদী স্রোতের প্রভাবে নদীর তলদেশ এবং পার্শ্বদিক ঘর্ষণের ফলে ক্ষয় হয়ে ক্ষয়জাত পদার্থ স্রোতের সাথে পরিবাহিত হয়।
৫. সমুদ্রের কাজ :
সমুদ্রের জোয়ার ভাঁটা ও প্রবল তরঙ্গ উপকূলের শিলার সাথে ঘর্ষণের ফলে শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
৬. হিমবাহ :
হিমবাহ ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহের সময় যে পথ দিয়ে বাহিত হয় সে পথের ভূমি ক্ষয় হয়।
৭. উদ্ভিদ ও প্রাণি :
উদ্ভিদের শিকড় শিলার ফাটলের মধ্যে প্রবেশ চূর্ণ-বিচূর্ণ থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রাণি যেমন-কেঁচো, ইঁদুর প্রভৃতি মাটি খুঁড়ে মাটিকে বিচূর্ণ করে থাকে।
৮. মানুষের কাজ :
মানুষ জীবনধারণের জন্য কৃষিকাজ, কূপ খনন, খনির কাজ, রাস্তা তৈরি, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি করে থাকে। যার ফলে ভূমি ক্ষয় হয়।
৩. বৃষ্টিপাত :
পানিতে কঠিন শিলা নরম ও আলগা হয়ে যায়। এর ফলে মাটি ও বালির স্তুপ পানিতে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূ-পৃষ্ঠের উপর দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় যান্ত্রিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের ব্যাপক ক্ষয় হয়।
৪. নদীপ্রবাহ :
নদী স্রোতের প্রভাবে নদীর তলদেশ এবং পার্শ্বদিক ঘর্ষণের ফলে ক্ষয় হয়ে ক্ষয়জাত পদার্থ স্রোতের সাথে পরিবাহিত হয়।
৫. সমুদ্রের কাজ :
সমুদ্রের জোয়ার ভাঁটা ও প্রবল তরঙ্গ উপকূলের শিলার সাথে ঘর্ষণের ফলে শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
৬. হিমবাহ :
হিমবাহ ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহের সময় যে পথ দিয়ে বাহিত হয় সে পথের ভূমি ক্ষয় হয়।
৭. উদ্ভিদ ও প্রাণি :
উদ্ভিদের শিকড় শিলার ফাটলের মধ্যে প্রবেশ চূর্ণ-বিচূর্ণ থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রাণি যেমন-কেঁচো, ইঁদুর প্রভৃতি মাটি খুঁড়ে মাটিকে বিচূর্ণ করে থাকে।
৮. মানুষের কাজ :
মানুষ জীবনধারণের জন্য কৃষিকাজ, কূপ খনন, খনির কাজ, রাস্তা তৈরি, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি করে থাকে। যার ফলে ভূমি ক্ষয় হয়।
আরও পড়ুন :- শাখা কাকে বলে?
অন্য কথায়, বিচূর্ণীভবন, ক্ষয়ীভবন ও অপসারণের সমুদয় কার্যকে একত্রে বলা হয় নগ্নীভবন (বিচূর্ণীভবন + ক্ষয়ীভবন= নগ্নীভবন)। নগ্নীভবনের প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় সর্বত্র বিরামহীনভাবে কার্যকর।
আরও পড়ুন :- অগ্নুৎপাত কাকে বলে?নগ্নীভবন কাকে বলে :-
নগ্নীভবন (Denudation) অর্থ উন্মুক্ত করা। যে প্রক্রিয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের শিলাসমূহ অনবরত চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং কালক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাগুলি সৃষ্ট নদীস্রোত, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা অন্যত্র অপসারিত হয় এবং নিচের কঠিন শিলাগুলি অপরিবর্তিত অবস্থায় উন্মুক্ত হয়, তাকে নগ্নীভবন বলে।অন্য কথায়, বিচূর্ণীভবন, ক্ষয়ীভবন ও অপসারণের সমুদয় কার্যকে একত্রে বলা হয় নগ্নীভবন (বিচূর্ণীভবন + ক্ষয়ীভবন= নগ্নীভবন)। নগ্নীভবনের প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় সর্বত্র বিরামহীনভাবে কার্যকর।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.