ভূগোল ও পরিবেশ জ্ঞান কেন সমাজের জন্য প্রয়োজন তা জানার জন্য প্রথমেই ভূগোল ও পরিবেশ বিষয় কি এ সম্পর্কে জানা দরকার।
সরলভাবে বললে, ভূগোল হল মানুষের আবাসস্থল হিসাবে পৃথিবী বিষয়ক সমীক্ষা (Study of the Earth as the home of man)। মানুষের এ আবাসস্থল ভূগোলকের সারা বহিরাবরণ জুড়েই বিস্তৃত। এখানেই মানুষের শুরু এবং শেষ এবং আবাসস্থলের প্রায় সর্বত্রই তার উপস্থিতি আছে। মানুষ এ পৃথিবীর আলো, মাটি, পানি বায়ুকে নির্ভর করেই তার সমস্ত ক্রিয়াকলাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
মানুষের যাবতীয় বস্তুগত প্রয়োজনীয় সম্পদ পৃথিবীই তাকে যোগায়। এমনকি পৃথিবীর অনাবিল সৌন্দর্য্য যেমন তার চোখ জুড়িয়ে দেয় আবার কুৎসিত বিষয়াদিও তার দৃষ্টি এড়ায় না। তাই যখন কেউ পৃথিবীর পরিবেশ নিয়ে কথা বলে সে নিশ্চয়ই মানুষের সাথে সম্পর্কবিহীন পরিবেশের কথা বলে না।
মানুষ ও পৃথিবীর পরিবেশ অবিচ্ছেদ্য। মানুষ ও পরিবেশের এ অবিচ্ছেদ্যতাকে দুই ভাব দেখা যায়:
ক. কিভাবে পরিবেশ মানুষের ক্ষমতাকে সীমিত করে, কিভাবে তা কোন কাজে বাঁধা হয় না, আবার অন্যত্র বাঁধার কারণ হয়: কিভবে তা বিকল্প ব্যবস্থাকে সহজ করে তোলে, আবার কোন ক্ষেত্রে বিপত্তি ঘটায় এবং
খ. মানুষ পরিবেশকে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে, ভাল-মন্দ উভয় ধরনের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সে কিভাবে পৃথিবীর পরিবর্তন আনছে।
'কিভাবে' অনেক শাখায়ই পরিবেশের আলোকে মানুষের ক্রিয়াকলাপ আলোচিত হয়। তাহলে ভূগোল ও পরিবেশের বিশেষ প্রয়োজন কেন? নিয়ে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো
১. বিবিধের মধ্যে ঐক্য :
ভূগোল ও পরিবেশের অস্তিত্ব আছে কারণ মানুষ ভূপৃষ্ঠস্থ বৈচিত্র সম্পর্কে অবগত হতে চায় এবং এর স্থানিক তারতম্য জানতে আগ্রহী।
সরলভাবে বললে, ভূগোল হল মানুষের আবাসস্থল হিসাবে পৃথিবী বিষয়ক সমীক্ষা (Study of the Earth as the home of man)। মানুষের এ আবাসস্থল ভূগোলকের সারা বহিরাবরণ জুড়েই বিস্তৃত। এখানেই মানুষের শুরু এবং শেষ এবং আবাসস্থলের প্রায় সর্বত্রই তার উপস্থিতি আছে। মানুষ এ পৃথিবীর আলো, মাটি, পানি বায়ুকে নির্ভর করেই তার সমস্ত ক্রিয়াকলাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
মানুষের যাবতীয় বস্তুগত প্রয়োজনীয় সম্পদ পৃথিবীই তাকে যোগায়। এমনকি পৃথিবীর অনাবিল সৌন্দর্য্য যেমন তার চোখ জুড়িয়ে দেয় আবার কুৎসিত বিষয়াদিও তার দৃষ্টি এড়ায় না। তাই যখন কেউ পৃথিবীর পরিবেশ নিয়ে কথা বলে সে নিশ্চয়ই মানুষের সাথে সম্পর্কবিহীন পরিবেশের কথা বলে না।
মানুষ ও পৃথিবীর পরিবেশ অবিচ্ছেদ্য। মানুষ ও পরিবেশের এ অবিচ্ছেদ্যতাকে দুই ভাব দেখা যায়:
ক. কিভাবে পরিবেশ মানুষের ক্ষমতাকে সীমিত করে, কিভাবে তা কোন কাজে বাঁধা হয় না, আবার অন্যত্র বাঁধার কারণ হয়: কিভবে তা বিকল্প ব্যবস্থাকে সহজ করে তোলে, আবার কোন ক্ষেত্রে বিপত্তি ঘটায় এবং
খ. মানুষ পরিবেশকে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে, ভাল-মন্দ উভয় ধরনের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সে কিভাবে পৃথিবীর পরিবর্তন আনছে।
'কিভাবে' অনেক শাখায়ই পরিবেশের আলোকে মানুষের ক্রিয়াকলাপ আলোচিত হয়। তাহলে ভূগোল ও পরিবেশের বিশেষ প্রয়োজন কেন? নিয়ে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো
১. বিবিধের মধ্যে ঐক্য :
ভূগোল ও পরিবেশের অস্তিত্ব আছে কারণ মানুষ ভূপৃষ্ঠস্থ বৈচিত্র সম্পর্কে অবগত হতে চায় এবং এর স্থানিক তারতম্য জানতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন :- জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?
পৃথিবীর স্থান ও অঞ্চলসমূহে যেমন বৈচিত্র আছে আবার কোন বিশেষ প্রকৃতির বিচারে বেশ কিছু স্থান বা অঞ্চলের সামঞ্জস্যতাও আছে। কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের আলোকে পৃথিবীর এই সব সমধর্মী সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থান এবং এলাকাসমূহকে চিহ্নিত করা ও পৃথকধর্মী এলাকাসমূহকে আলাদা করাই স্থানিক পার্থক্যকরণ (Areal differentiation)।
একমাত্র ভূগোলে পৃথিবীর এ স্থানিক বৈচিত্রতার মধ্যেই সামঞ্জস্যপূর্ণ ঐক্য অনুসন্ধান করে থাকে। ভূগোলে আর একটি বিবেচ্য বিষয় হলো মানুষের অর্থনীতিক বৈচিত্রময় কার্যকলাপের পিছনে যে নিয়ামক কার্যকর তা ব্যাখ্যা করা এবং এর কার্যকারণ সম্পর্কে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক নিয়ামক সমূহের যোগসূত্র নির্ণয় করা।
২. পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান :-
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যেখানে বসবাস করে তার চেয়ে বৃহত্তর পরিমন্ডল নিয়ে তার ক্রিয়াকলাপের ব্যপ্তি এবং স্বভাবতঃই নাগরিক হিসাবে তার দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে। প্রতিটি দেশই বিশ্ব পরিবেশের অংশ হওয়ায় ভূগোলবিদদের আঞ্চলিক ভূগোলে মানুষ পরিবেশ জ্ঞান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
পৃথিবীর স্থান ও অঞ্চলসমূহে যেমন বৈচিত্র আছে আবার কোন বিশেষ প্রকৃতির বিচারে বেশ কিছু স্থান বা অঞ্চলের সামঞ্জস্যতাও আছে। কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের আলোকে পৃথিবীর এই সব সমধর্মী সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থান এবং এলাকাসমূহকে চিহ্নিত করা ও পৃথকধর্মী এলাকাসমূহকে আলাদা করাই স্থানিক পার্থক্যকরণ (Areal differentiation)।
একমাত্র ভূগোলে পৃথিবীর এ স্থানিক বৈচিত্রতার মধ্যেই সামঞ্জস্যপূর্ণ ঐক্য অনুসন্ধান করে থাকে। ভূগোলে আর একটি বিবেচ্য বিষয় হলো মানুষের অর্থনীতিক বৈচিত্রময় কার্যকলাপের পিছনে যে নিয়ামক কার্যকর তা ব্যাখ্যা করা এবং এর কার্যকারণ সম্পর্কে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক নিয়ামক সমূহের যোগসূত্র নির্ণয় করা।
২. পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান :-
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যেখানে বসবাস করে তার চেয়ে বৃহত্তর পরিমন্ডল নিয়ে তার ক্রিয়াকলাপের ব্যপ্তি এবং স্বভাবতঃই নাগরিক হিসাবে তার দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে। প্রতিটি দেশই বিশ্ব পরিবেশের অংশ হওয়ায় ভূগোলবিদদের আঞ্চলিক ভূগোলে মানুষ পরিবেশ জ্ঞান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
আরও পড়ুন :- ভূগোল কাকে বলে?
বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পদ আহরণে ও ব্যবহারে প্রযুক্তি ব্যবহারের তারতম্য এবং এর ফলশ্রুতিতে দেশ ও অঞ্চলগত জীবন-যাত্রার মানের যে বৈষম্য তা জানা প্রয়োজন।
ভূগোল ও পরিবেশ জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলসমূহের সংখ্যাতাত্ত্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিমাপ করা সম্ভব।
ভূগোল ও পরিবেশ জ্ঞান দ্বারা এর পাঠকদের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা যায়। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকই তার চারপাশের প্রাকৃতিক আর্থ-সামাজিক পরিবেশের সাথে নিয়তই খাপ খাইয়ে চলছে। তাই প্রাকৃতিক আর্থ-সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য আহরণ কৌশল অবগত হওয়া জরুরী। ভৌগোলিক জ্ঞানের মাধ্যমে এ কৌশল অর্জন সম্ভব।
৩. মানস মানচিত্র :-
ভৌগোলিক জ্ঞান এর চর্চাকারীকে কোন এলাকা বা অঞ্চল সম্পর্কে একটি মানস মানচিত্র (Mental map) কল্পনা করে নিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে, বিশেষ করে এর প্রাকৃতিক অবস্থান, বৈশিষ্ট্যাবলী, রাস্তাঘাট, নগর, কলকারখানা ইত্যাদি।
এ ধরনের "মানস" মানচিত্রের মাধ্যমে সে যখন জাতীয় বা বিশ্বের কোন বা এলাকা সংবাদ / ঘটনা জানে তাৎক্ষণিকভাবে তার অবস্থান ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে 'মানস চিত্রের সাথে মিলিয়ে নিতে পারে; ফলে তা অনেক বেশী তাৎপর্যবহ হয়ে উঠে।
৪. কারণ অনুসন্ধান:
ভূগোলের চর্চাকারীগণ কোন একটি এলাকা বা অঞ্চলের প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক কোন বৈশিষ্ট্য কেন সে অবস্থানে তার কারণ অনুসন্ধান করে থাকে।
যেমন, নদী অববাহিকায় কেন প্রায় প্রতি বছর বন্যা হয়? প্রতি বছর বন্যা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে জেনেও কেন নদী তীরে লোক বসতি গড়ে উঠে? এ সব প্লাবন ভূমির বসবাসকারীগণ কিভাবে বন্যা মোকাবেলা করে থাকে?
আরও পড়ুন:- মানব ভূগোল কাকে বলে?
ভৌগোলিক জ্ঞান দ্বারা কোন বিশেষ শিল্প বা নগর কেন তার বর্তমান অবস্থানে গড়ে উঠেছে তার ভৌত ও আর্থ সামাজিক নিয়ামকসমূহের আলোকে এর অবস্থানগত ব্যাখ্যা খুঁজে। ফলে সময়ের প্রেক্ষিতে ধরন, ব্যাপ্তি, গুরুত্ব ও বিবর্তন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া সহজ হয়।
৫. সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি :
ভূগোল এর চর্চাকারীগণ কোন একটি স্থান বা অঞ্চল সম্পর্কে সহজেই একটি সমন্বিত ধারণা দিতে পারেন যা ঐ এলাকায় সামগ্রিক বৈশিষ্ট্যাবলীকে চিত্রায়িত করে থাকে।
যেমন, দক্ষিণ এশিয়ার 'মৌসুমী' ও 'ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল শব্দের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সাথে ঘনবসতির যোগসূত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে এ অঞ্চলের একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরা যায়।
৬. মানচিত্র পঠন :
ভূগোল চর্চায় মানচিত্র একটি অন্যতম হাতিয়ার। মানচিত্রের মাধ্যমে বিষয়াদির (যেমন, আবহাওয়া, কৃষি, বন্যা বা খরা কবলিত এলাকা) অবস্থান ও ব্যাপ্তি যেমন তুলে ধরা যায় তেমনি এর মাধ্যমে কোন স্থানের বিভিন্ন সংগঠনসহ কিভাবে স্থানিকভাবে সংঘবদ্ধতাও মানচিত্রের মাধ্যমে দেখানো যায়। ভূগোল চর্চার মাধ্যমে এর চর্চাকারীদের কার্যকরভাবে মানচিত্র ব্যবহার শেখানো হয় যা আর কোন বিষয়ে তেমন গুরুত্ব পায় না।
৭. পর্যবেক্ষণ :
ভূগোল ও পরিবেশ জ্ঞান আমাদের সারা জীবনের জন্য একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। ভূগোল জ্ঞান আহরিত হয় মাঠে প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। মাঠ থেকে সংগ্রহীত সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কোন বিষয়ে বা ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব। তাই ভূগোল চর্চায় পর্যবেক্ষণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পদ আহরণে ও ব্যবহারে প্রযুক্তি ব্যবহারের তারতম্য এবং এর ফলশ্রুতিতে দেশ ও অঞ্চলগত জীবন-যাত্রার মানের যে বৈষম্য তা জানা প্রয়োজন।
ভূগোল ও পরিবেশ জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলসমূহের সংখ্যাতাত্ত্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিমাপ করা সম্ভব।
ভূগোল ও পরিবেশ জ্ঞান দ্বারা এর পাঠকদের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা যায়। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকই তার চারপাশের প্রাকৃতিক আর্থ-সামাজিক পরিবেশের সাথে নিয়তই খাপ খাইয়ে চলছে। তাই প্রাকৃতিক আর্থ-সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য আহরণ কৌশল অবগত হওয়া জরুরী। ভৌগোলিক জ্ঞানের মাধ্যমে এ কৌশল অর্জন সম্ভব।
৩. মানস মানচিত্র :-
ভৌগোলিক জ্ঞান এর চর্চাকারীকে কোন এলাকা বা অঞ্চল সম্পর্কে একটি মানস মানচিত্র (Mental map) কল্পনা করে নিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে, বিশেষ করে এর প্রাকৃতিক অবস্থান, বৈশিষ্ট্যাবলী, রাস্তাঘাট, নগর, কলকারখানা ইত্যাদি।
এ ধরনের "মানস" মানচিত্রের মাধ্যমে সে যখন জাতীয় বা বিশ্বের কোন বা এলাকা সংবাদ / ঘটনা জানে তাৎক্ষণিকভাবে তার অবস্থান ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে 'মানস চিত্রের সাথে মিলিয়ে নিতে পারে; ফলে তা অনেক বেশী তাৎপর্যবহ হয়ে উঠে।
৪. কারণ অনুসন্ধান:
ভূগোলের চর্চাকারীগণ কোন একটি এলাকা বা অঞ্চলের প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক কোন বৈশিষ্ট্য কেন সে অবস্থানে তার কারণ অনুসন্ধান করে থাকে।
যেমন, নদী অববাহিকায় কেন প্রায় প্রতি বছর বন্যা হয়? প্রতি বছর বন্যা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে জেনেও কেন নদী তীরে লোক বসতি গড়ে উঠে? এ সব প্লাবন ভূমির বসবাসকারীগণ কিভাবে বন্যা মোকাবেলা করে থাকে?
আরও পড়ুন:- মানব ভূগোল কাকে বলে?
ভৌগোলিক জ্ঞান দ্বারা কোন বিশেষ শিল্প বা নগর কেন তার বর্তমান অবস্থানে গড়ে উঠেছে তার ভৌত ও আর্থ সামাজিক নিয়ামকসমূহের আলোকে এর অবস্থানগত ব্যাখ্যা খুঁজে। ফলে সময়ের প্রেক্ষিতে ধরন, ব্যাপ্তি, গুরুত্ব ও বিবর্তন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া সহজ হয়।
৫. সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি :
ভূগোল এর চর্চাকারীগণ কোন একটি স্থান বা অঞ্চল সম্পর্কে সহজেই একটি সমন্বিত ধারণা দিতে পারেন যা ঐ এলাকায় সামগ্রিক বৈশিষ্ট্যাবলীকে চিত্রায়িত করে থাকে।
যেমন, দক্ষিণ এশিয়ার 'মৌসুমী' ও 'ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল শব্দের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সাথে ঘনবসতির যোগসূত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে এ অঞ্চলের একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরা যায়।
৬. মানচিত্র পঠন :
ভূগোল চর্চায় মানচিত্র একটি অন্যতম হাতিয়ার। মানচিত্রের মাধ্যমে বিষয়াদির (যেমন, আবহাওয়া, কৃষি, বন্যা বা খরা কবলিত এলাকা) অবস্থান ও ব্যাপ্তি যেমন তুলে ধরা যায় তেমনি এর মাধ্যমে কোন স্থানের বিভিন্ন সংগঠনসহ কিভাবে স্থানিকভাবে সংঘবদ্ধতাও মানচিত্রের মাধ্যমে দেখানো যায়। ভূগোল চর্চার মাধ্যমে এর চর্চাকারীদের কার্যকরভাবে মানচিত্র ব্যবহার শেখানো হয় যা আর কোন বিষয়ে তেমন গুরুত্ব পায় না।
৭. পর্যবেক্ষণ :
ভূগোল ও পরিবেশ জ্ঞান আমাদের সারা জীবনের জন্য একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। ভূগোল জ্ঞান আহরিত হয় মাঠে প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। মাঠ থেকে সংগ্রহীত সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কোন বিষয়ে বা ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব। তাই ভূগোল চর্চায় পর্যবেক্ষণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন :- মানচিত্র কাকে বলে?
1 মন্তব্যসমূহ
ওকে
উত্তরমুছুনPlease do not enter any spam link in the comment box.