বায়ুর আদ্রতা কাকে বলে :-
বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতাকে বায়ুর আদ্রতা (Air Humidity) বলে।বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর জলীয়বাষ্পের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বায়ু যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। তার চাইতে অধিক জলীবাস্প ধারণ করতে পারে না। বায়ুর এরূপ অবস্থাকে বলে পরিপৃক্ত বায়ু।
একইভাবে বায়ুর তাপমাত্রা কমতে থাকলে পূর্বের ন্যায় বায়ু জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে না এবং জলীয়বাষ্পের কিছু অংশ পানিতে পরিণত হয়। বায়ুর এইরূপ অবস্থাকে ঘণীভবন বলে।
সাধারণত হাইগ্রোমিটারের সাহায্যে বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়।
নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপ, চাপ ও আয়তনের বায়ুতে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে সেই পরিমাণ জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে সম্পৃক্ত অবস্থা বলা হয়।
জলীয়বাষ্পজনিত বায়ুচাপ জলীয়বাষ্প চাপ নামে পরিচিত। বায়ুতে উপস্থিত এই জলীয়বাষ্প নানা কারণে হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে। যেমন
১. তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে জলীয়বাষ্প বৃদ্ধি পায়।
২. চাপবৃদ্ধির সাথে জলীয়বাষ্প হ্রাস পায়।
বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ পদ্ধতি :-
বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য সংখ্যাতাত্ত্বিক মানে প্রকাশের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি উলেখযোগ্য। এগুলো হলোআপেক্ষিক আর্দ্রতা (Relative Humidity) :
নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প উপস্থিত থাকে তার পরিমাণকে বলা হয় বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা।
আরও পড়ুন :- বায়ু প্রবাহ কাকে বলে?
আপেক্ষিক আর্দ্রতা দ্বারা বায়ুর চাপ বা তাপমাত্রার কোনো তারতম্য ঘটে না বরং তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বায়ুতে জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। এ কারণেই আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া সাপেক্ষে তাপমাত্রার বৃদ্ধির ফলে বৃদ্ধি পায়।
সাধারণত বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প উপস্থিত থাকে তার মান গ্রাম/ কিলোগ্রামে প্রকাশ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এই মান একক আয়তনের বায়ুর মধ্যে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণকে বুঝায়। যেমন- এক কিলোগ্রাম বায়ুতে এক গ্রাম জলীয়বাষ্প আছে।
তুল্য আর্দ্রতা (Absolute Humidity) :
কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অবস্থিত জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাপকে তুল্য আর্দ্রতা বলে।
তুল্য আর্দ্রতা দুই পদ্ধতিতে পরিমাপ করা যায়। যথা- হাইগ্রোমিটার এবং সাইক্রোমিটার।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২৫০° সে. তাপমাত্রায় সম্পৃক্ত ১ কিলোগ্রাম বায়ুতে ২০ গ্রাম জলীয়বাষ্প থাকে। যদি কোনো সময়ের বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ১০ গ্রাম হয় তবে ঐ সময়ের তুল্য আর্দ্রতা হবে ১০/২০ অথবা ৫০ শতাংশ। তুলা আর্দ্রতার সাথে শিশিরাক্ষের সম্পর্ক রয়েছে। যে তাপমাত্রার বায়ু জলীয়বাষ্পে সম্পৃক্ত হয় তা শিশিরাঙ্ক নামে পরিচিত।
অর্থাৎ বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্প দ্বারা ঐ বায়ুতে সম্পৃক্ত করতে হলে যে তাপমাত্রা পর্যন্ত শীতল করা প্রয়োজন সেই তাপমাত্রাকে শিশিরাঙ্ক (Dew Point) বলে। শিশিরাক্ষের চেয়ে কম তাপমাত্রার বায়ুস্থ জলীয়বাষ্প শিশির (Dew) হিসেবে জমে যেতে পারে।
আপেক্ষিক আর্দ্রতা দ্বারা বায়ুর চাপ বা তাপমাত্রার কোনো তারতম্য ঘটে না বরং তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বায়ুতে জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। এ কারণেই আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া সাপেক্ষে তাপমাত্রার বৃদ্ধির ফলে বৃদ্ধি পায়।
সাধারণত বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প উপস্থিত থাকে তার মান গ্রাম/ কিলোগ্রামে প্রকাশ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এই মান একক আয়তনের বায়ুর মধ্যে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণকে বুঝায়। যেমন- এক কিলোগ্রাম বায়ুতে এক গ্রাম জলীয়বাষ্প আছে।
তুল্য আর্দ্রতা (Absolute Humidity) :
কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অবস্থিত জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাপকে তুল্য আর্দ্রতা বলে।
তুল্য আর্দ্রতা দুই পদ্ধতিতে পরিমাপ করা যায়। যথা- হাইগ্রোমিটার এবং সাইক্রোমিটার।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২৫০° সে. তাপমাত্রায় সম্পৃক্ত ১ কিলোগ্রাম বায়ুতে ২০ গ্রাম জলীয়বাষ্প থাকে। যদি কোনো সময়ের বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ১০ গ্রাম হয় তবে ঐ সময়ের তুল্য আর্দ্রতা হবে ১০/২০ অথবা ৫০ শতাংশ। তুলা আর্দ্রতার সাথে শিশিরাক্ষের সম্পর্ক রয়েছে। যে তাপমাত্রার বায়ু জলীয়বাষ্পে সম্পৃক্ত হয় তা শিশিরাঙ্ক নামে পরিচিত।
অর্থাৎ বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্প দ্বারা ঐ বায়ুতে সম্পৃক্ত করতে হলে যে তাপমাত্রা পর্যন্ত শীতল করা প্রয়োজন সেই তাপমাত্রাকে শিশিরাঙ্ক (Dew Point) বলে। শিশিরাক্ষের চেয়ে কম তাপমাত্রার বায়ুস্থ জলীয়বাষ্প শিশির (Dew) হিসেবে জমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন :- বায়ু দূষণ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.