বাস্তুসংস্থানের সজীব উপাদানগুলো হচ্ছে কতকগুলো স্বতন্ত্র জীব বা একই প্রজাতির জীব; যেমন-উদ্ভিদ, প্রাণি ও অনুজীব। এ সমস্ত জীব বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্নভাবে সংগঠিত হয়ে সমষ্টিবদ্ধ জীবন যাপন করে।
এজন্য বায়োম সম্পর্কে ধারণা লাভের পূর্বে প্রজাতি সমষ্টি ও জীব সম্প্রদায় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থানে একই প্রজাপতির সকল জীব একত্রিতভাবে গড়ে তোলে এক একটি প্রজাতি সমষ্টি (population)।
প্রজাতি সমষ্টি কখনও এককভাবে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারে না অর্থাৎ শুধুমাত্র উদ্ভিদ সমষ্টি বা প্রাণি সমষ্টি এককভাবে কোনো কাজ করতে পারে না। তবে একটি নির্দিষ্ট বাসস্থানে উদ্ভিদ প্রজাতি সমষ্টি ও প্রাণি প্রজাতি সমষ্টির মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি স্বতন্ত্র প্রজাতির প্রত্যেকটা সদস্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।
কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থানে সকল উদ্ভিদ প্রজাতি-সমষ্টি ও প্রাণি প্রজাতি-সমষ্টি একত্রিতভাবে গড়ে তোলে জীব সম্প্রদায় (Community)। একই সম্প্রদায়ে বসবাসকারী জীব সমষ্টি পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরকে প্রভাবিত করে এবং পরিশেষে সৃষ্টি হয় একটি বাস্তুসংস্থান।
আরও পড়ুন :- জৈবিক আবহবিকার কি?
প্রতিটি জীব বাস্তুসংস্থানের কোনো একটি নির্দিষ্ট স্তরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। কোনো জড় পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষেত্রে জীবগোষ্ঠী সফল হলে, সেখানে প্রজাতি সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে। তেমনি জড় পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তনে সে বসবাসকারী জীবগোষ্ঠীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।
অন্যভাবে বায়োম কি? তা বলা যায়, জলবায়ু প্রভাবিত এক একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জীব-সম্প্রদায়কে বায়োম বলে।
অথবা, বায়োম কি? এর উত্তরে বলতে পারি, পৃথিবীর কোনো বিশাল অঞ্চলে প্রায় একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব সম্প্রদায় একত্রে যে সুসংহত জীবন গড়ে তুলে তাকে বায়োম বলে।
আরও পড়ুন :- খাদক কাকে বলে?
বায়োমে যারা বাস করে তারা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে একে অন্যকে প্রভাবিত করে। পৃথিবীর সকল বায়োম বা সঞ্জীব বস্তু মিলে গড়ে উঠে জীবমণ্ডল। জীবমণ্ডল হলো এক বিশাল বাস্তুসংস্থান যেখানে জীবের সম্মিলিত অস্তিত্ব গড়ে তুলে এক নতুন পরিবেশ।
বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে একটি বায়োমের জীবগোষ্ঠী অন্য একটি বায়োমের জীবগোষ্ঠী থেকে আলাদা এবং প্রত্যেকেরই ভিন্ন ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে- সুন্দরবন অঞ্চলের আবহাওয়া ও পরিবেশ ভিন্ন ধরনের, সে কারণে সেখানে গড়ে উঠেছে একটি স্বতন্ত্র বায়োম। এমনিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ু ও মাটির প্রভাবে গড়ে উঠেছে ভিন্ন ভিন্ন বায়োম। যেমন- অরণ্য, মরুভূমি, তৃণভূমি, মেরুঅঞ্চল ইত্যাদি।
১. বায়োমে বৈশিষ্ট্যসূচক উদ্ভিদ ও প্রাণি বিদ্যমান থাকে।
২. সকল বায়োম ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে সিরিজ অতিক্রম করে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে।
৩. আঞ্চলিক পরিবেশে এগুলোর প্রত্যেকটি মোটামুটি ভারসাম্য অবস্থা বহন করে।
৪. প্রত্যেক বায়োম প্রাকৃতিক অবস্থায় নিজস্ব ভারসাম্য প্রকাশ করে এবং এই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অন্য বায়োম হতে পৃথক।
এজন্য বায়োম সম্পর্কে ধারণা লাভের পূর্বে প্রজাতি সমষ্টি ও জীব সম্প্রদায় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থানে একই প্রজাপতির সকল জীব একত্রিতভাবে গড়ে তোলে এক একটি প্রজাতি সমষ্টি (population)।
প্রজাতি সমষ্টি কখনও এককভাবে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারে না অর্থাৎ শুধুমাত্র উদ্ভিদ সমষ্টি বা প্রাণি সমষ্টি এককভাবে কোনো কাজ করতে পারে না। তবে একটি নির্দিষ্ট বাসস্থানে উদ্ভিদ প্রজাতি সমষ্টি ও প্রাণি প্রজাতি সমষ্টির মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি স্বতন্ত্র প্রজাতির প্রত্যেকটা সদস্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।
কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থানে সকল উদ্ভিদ প্রজাতি-সমষ্টি ও প্রাণি প্রজাতি-সমষ্টি একত্রিতভাবে গড়ে তোলে জীব সম্প্রদায় (Community)। একই সম্প্রদায়ে বসবাসকারী জীব সমষ্টি পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরকে প্রভাবিত করে এবং পরিশেষে সৃষ্টি হয় একটি বাস্তুসংস্থান।
আরও পড়ুন :- জৈবিক আবহবিকার কি?
প্রতিটি জীব বাস্তুসংস্থানের কোনো একটি নির্দিষ্ট স্তরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। কোনো জড় পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষেত্রে জীবগোষ্ঠী সফল হলে, সেখানে প্রজাতি সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে। তেমনি জড় পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তনে সে বসবাসকারী জীবগোষ্ঠীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।
বায়োম কাকে বলে :-
পৃথিবীর কোনো একটি বিশেষ অঞ্চলের জীবগোষ্ঠীর জীবগুলি যখন ক্রম পরিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়ে থেকেও সহনশীলভাবে ও শৃংখলাবদ্ধভাবে বসবাস করে তখন সে জীবগোষ্ঠীকে বায়োম বলে।অন্যভাবে বায়োম কি? তা বলা যায়, জলবায়ু প্রভাবিত এক একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জীব-সম্প্রদায়কে বায়োম বলে।
অথবা, বায়োম কি? এর উত্তরে বলতে পারি, পৃথিবীর কোনো বিশাল অঞ্চলে প্রায় একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব সম্প্রদায় একত্রে যে সুসংহত জীবন গড়ে তুলে তাকে বায়োম বলে।
আরও পড়ুন :- খাদক কাকে বলে?
বায়োমে যারা বাস করে তারা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে একে অন্যকে প্রভাবিত করে। পৃথিবীর সকল বায়োম বা সঞ্জীব বস্তু মিলে গড়ে উঠে জীবমণ্ডল। জীবমণ্ডল হলো এক বিশাল বাস্তুসংস্থান যেখানে জীবের সম্মিলিত অস্তিত্ব গড়ে তুলে এক নতুন পরিবেশ।
বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে একটি বায়োমের জীবগোষ্ঠী অন্য একটি বায়োমের জীবগোষ্ঠী থেকে আলাদা এবং প্রত্যেকেরই ভিন্ন ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে।
উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে- সুন্দরবন অঞ্চলের আবহাওয়া ও পরিবেশ ভিন্ন ধরনের, সে কারণে সেখানে গড়ে উঠেছে একটি স্বতন্ত্র বায়োম। এমনিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ু ও মাটির প্রভাবে গড়ে উঠেছে ভিন্ন ভিন্ন বায়োম। যেমন- অরণ্য, মরুভূমি, তৃণভূমি, মেরুঅঞ্চল ইত্যাদি।
বায়োমের বৈশিষ্ট্য :-
বায়োমের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-১. বায়োমে বৈশিষ্ট্যসূচক উদ্ভিদ ও প্রাণি বিদ্যমান থাকে।
২. সকল বায়োম ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে সিরিজ অতিক্রম করে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে।
৩. আঞ্চলিক পরিবেশে এগুলোর প্রত্যেকটি মোটামুটি ভারসাম্য অবস্থা বহন করে।
৪. প্রত্যেক বায়োম প্রাকৃতিক অবস্থায় নিজস্ব ভারসাম্য প্রকাশ করে এবং এই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অন্য বায়োম হতে পৃথক।
আরও পড়ুন :- প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.