ঋতুভিত্তিক ব্যবসায় বা সাময়িক কোন ব্যবসায়ের দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে মিলিত হয়ে যৌথ উদ্যোগ ব্যবসার পরিচালনা করে থাকে। এটা অনেকটা অংশীদারী কারবারের মতো। তবে এতে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম থাকে না। সাধারণত: মেলা, ফটকা কারবার, ঠিকাদারি কাজ, ঝুঁকিপূর্ণ প্রচেষ্টা প্রভৃতি, সাময়িক ব্যবসায়ীক উদ্দেশে যৌথ উদ্যোগ কারবার গড়ে উঠে এবং উদ্দেশ্য অর্জনের সাথে সাথে কারবারের সমাপ্তি ঘটে।
যেমন: কোন গ্রামে বৈশাখি মেলা উপলক্ষ্যে যদি দুই জন বন্ধু যৌথ উদ্যোগে কোন দোকান পরিচালনা করে, তাহলে ঐ মেলা শেষ হলে তাদের কারবার বা দোকান শেষ হয়ে যাবে। চুক্তি অনুযায়ী সহ-উদ্যোগীগণ মূলধনের যোগান দিয়ে থাকে এবং লাভ-লোকসান ভাগ করে নেয়।
যৌথ উদ্যোগ কারবার প্রতিষ্ঠানে মূলধন যোগদানকারি ব্যক্তিবর্গকে সহ-অংশীদার (Co-Partner) বা সহ-উদ্যোগী (Co Venturer) বলা হয়। এটা এক ধরণের অংশীদারি কারবার, তবে এর পরিচয় জ্ঞাপক কোন নাম থাকে না।
১. যৌথ উদ্যোগ সীমিত সময়ের জন্য একটি অংশীদারি করাবার। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা উদ্যোগের কাজ শেষ হলেই এর সমাপ্তি ঘটে।
২. এ জাতীয় উদ্যোগের পরিচয় জ্ঞাপক কোনো নাম থাকে না।
৩. যৌথ উদ্যোগের মুখ্য উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা চুক্তি অনুযায়ী মুনাফা বন্টন হয়। চুক্তির অবর্তমানে সমানভাবে মুনাফা বণ্টিত হয়।
৪. এ কারবার সাধারনত ছোট আকারের এবং কম পুঁজির হয়ে থাকে ।
৫. চুক্তি অনুযায়ী সহ-উদ্যোগীগণ মূলধনের যোগান দেন।
৬. হিসাববিজ্ঞানের চলমান প্রতিষ্ঠান ধারনা এখানে কার্যকর হয় না।
৭. যৌথ উদ্যোগে সকল স্থায়ী সম্পত্তিকে খরচ হিসেবে দেখানো হয় এবং পরবর্তীতে ভগ্নাবশেষ মূল্যকে আয় হিসেবে দেখানো হয়।
যেমন: কোন গ্রামে বৈশাখি মেলা উপলক্ষ্যে যদি দুই জন বন্ধু যৌথ উদ্যোগে কোন দোকান পরিচালনা করে, তাহলে ঐ মেলা শেষ হলে তাদের কারবার বা দোকান শেষ হয়ে যাবে। চুক্তি অনুযায়ী সহ-উদ্যোগীগণ মূলধনের যোগান দিয়ে থাকে এবং লাভ-লোকসান ভাগ করে নেয়।
আরও পড়ুন :- পাইকারী ব্যবসায় কাকে বলে?
যৌগ উদ্যোগ ব্যবসায় কাকে বলে :-
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি, ফার্ম, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে কোনো নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন, পণ্য সামগ্রী বিক্রয় বা অন্য কোন ব্যবসায়িক কার্য পরিচালনা করলে তাকে যৌথ উদ্যোগ ব্যবসার বলে।যৌথ উদ্যোগ কারবার প্রতিষ্ঠানে মূলধন যোগদানকারি ব্যক্তিবর্গকে সহ-অংশীদার (Co-Partner) বা সহ-উদ্যোগী (Co Venturer) বলা হয়। এটা এক ধরণের অংশীদারি কারবার, তবে এর পরিচয় জ্ঞাপক কোন নাম থাকে না।
চুক্তি অনুযায়ী সহ-উদ্যোগীগণ মূলধনের যোগান দেন এবং এর লাভ-লোকসান নিজেদের মধ্যে বন্টন করেন। সাধারনত মেলা, প্রদর্শনী, সম্মেলন, ফটকা কারবার, ঠিকাদারি কাজ, প্রভৃতি সাময়িক উপলক্ষকে কেন্দ্র করে যৌথ উদ্যোগ গড়ে ওঠে এবং উপলক্ষের সমাপ্তির সাথে সাথে এর অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন :- লেনদেন কাকে বলে?
যৌথ উদ্যোগের বৈশিষ্ট্য :-
যৌথ উদ্যোগী ব্যবসায় মূলতঃ মুনাফা অর্জনের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সৃষ্ট ক্ষণস্থায়ী অংশীদারী কারবার। যৌথ উদ্যোগের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে এর কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। নিয়ে এর কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:১. যৌথ উদ্যোগ সীমিত সময়ের জন্য একটি অংশীদারি করাবার। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা উদ্যোগের কাজ শেষ হলেই এর সমাপ্তি ঘটে।
২. এ জাতীয় উদ্যোগের পরিচয় জ্ঞাপক কোনো নাম থাকে না।
৩. যৌথ উদ্যোগের মুখ্য উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা চুক্তি অনুযায়ী মুনাফা বন্টন হয়। চুক্তির অবর্তমানে সমানভাবে মুনাফা বণ্টিত হয়।
৪. এ কারবার সাধারনত ছোট আকারের এবং কম পুঁজির হয়ে থাকে ।
৫. চুক্তি অনুযায়ী সহ-উদ্যোগীগণ মূলধনের যোগান দেন।
৬. হিসাববিজ্ঞানের চলমান প্রতিষ্ঠান ধারনা এখানে কার্যকর হয় না।
৭. যৌথ উদ্যোগে সকল স্থায়ী সম্পত্তিকে খরচ হিসেবে দেখানো হয় এবং পরবর্তীতে ভগ্নাবশেষ মূল্যকে আয় হিসেবে দেখানো হয়।
আরও পড়ুন :- হস্তান্তরযোগ্য দলিল কি?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.