শাখা কাকে বলে :-
বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ অধিক বিক্রয়, অধিক মুনাফা অর্জন, পণ্যের বাজার বৃদ্ধি, পণ্যের প্রচার ও প্রসার, ক্রেতাকে উত্তম সেবাদান, বিক্রয়োত্তর সেবা দান, ইত্যাদি নিশ্চিত করার জন্যে দেশ বা বিদেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিনা কেন্দ্র বা ব্যবসায় কেন্দ্র স্থাপন করে ব্যবসায় পরিচালনা করে। এ সব বিনা কেন্দ্রকে শাখা প্রতিষ্ঠান বলা হয়।প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন শাখা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কারবারের প্রধান কেন্দ্রকে প্রধান অফিস বা হেড অফিস এবং পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রকে শাখা অফিস বলা হয়।
আরও পড়ুন :- নির্দেশনা কাকে বলে?
শাখা প্রতিষ্ঠানের আলাদা কোনো আইনগতসত্ত্বা নেই। এটি হেড অফিস বা প্রধান অফিসের নিয়ন্ত্রণে থাকে। শাখাকে একটি মুনাফা কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
শাখা কত প্রকার ও কি কি :-
একটি হেড অফিসের অধীনে অনেকগুলো শাখা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। শাখাগুলোকে প্রধান অফিসের এক একটি স্ব মনে করা হয়। তবে কার্যাবলীর ভিন্নতার জন্যে শাখাগুলোর ধরণ একরকম হয় না। শাখার অবস্থান, প্রয়োজনীয়তা প্রভৃতির আলোকে শাখাগুলো প্রধানত নিম্নরূপ হয়ে থাকে১. দেশীয় শাখা :-
দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা, ক্রেতার সংখ্যা, ক্রেতাদের রুচি ও অভ্যাস, ভোক্তাদের বাসস্থান, ইত্যাদি বিচার বিশ্লেষণ করে যে বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়, তাকে দেশীয় শাখা প্রতিষ্ঠান বলে। দেশীয় শাখা দেশীয় মুদ্রায় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে।আরও পড়ুন :- অবচয় কাকে বলে?
দেশীয় শাখা প্রতিষ্ঠানকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি। যথা:
ক) স্বাধীন শাখা :-
যেসব শাখা প্রতিষ্ঠান প্রধান অফিসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকলেও স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করে থাকে, তাকে স্বাধীন শাখা বলে। এ সব শাখা হেড অফিস কর্তৃক প্রেরিত পণ্য দ্রব্য কেনা-বেচা করার পাশাপাশি নিজেরাও পণ্য জন্য করে নিজ দায়িত্বে বিক্রয় করে।
খ) নির্ভরশীল শাখা :-
যখন কোনো শাখা প্রতিষ্ঠান বিক্রয়, মুনাফা অর্জন, পণ্যের বাজার বৃদ্ধি, পণ্যের প্রচার ও প্রসার, ক্রেতাকে উত্তম সেবাদান, বিক্রয়োত্তর সেবা দান, ইত্যাদি কার্যক্রমগুলো সরাসরি হেড অফিসের তত্ত্বাবধানে থেকে পরিচালনা করে, তখন তাকে নির্ভরশীল শাখা বলে ।
প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ভরশীল শাখাকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
- নগদ মূল্যে পণ্য বিক্রয়কারী শাখা
- নগদ ও ধারে পণ্য বিক্রয়কারী শাখা
- পণ্য ক্রয়কারী শাখা ইত্যাদি।
২. বিদেশী শাখা :-
দেশীয় স্বতন্ত্র বা স্বাধীন শাখা দেশের মধ্যে দেশীয় মুদ্রায় পণ্য বিক্রয় করলেও বিদেশি শাখা বৈদেশিক মুদ্রায় স্বাধীন সত্ত্বায় পণ্য বিক্রয় করে। সাধারণত প্রধান অফিস বিদেশের বাজারকে দখল করার জন্যে এবং বিদেশে নিজের পণ্যের বাজার প্রসার করার উদ্দেশ্যে বিদেশি শাখা খুলে থাকে।আরও পড়ুন :- হিসাব সমীকরণ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.