অগ্ন্যুৎপাত কাকে বলে :-
ভূ-ত্বকের শিলাস্তর সর্বত্র একইরকম না হওয়ায় শিলাস্তরের দুর্বল অংশ ভূ-গর্ভের চাপে ফেটে ভূ-গর্ভ হতে ভূ পৃষ্ঠ পর্যন্ত বিশাল নলাকৃতির ছিদ্রপথের সৃষ্টি হয়। এই ছিদ্রপথে গলিত ম্যাগমা, উত্তপ্ত প্রস্তরখন্ড, কদম, ধুম, ভস্ম, গলিত ধাতব পদার্থ ইত্যাদি প্রবলবেগে ভূ-পৃষ্ঠে নির্গত হয়ে সুরঙ্গপথের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে একে অগ্ন্যুৎপাত বা Volcanic Eruption বলে।আগ্নেয়গিরি কাকে বলে :-
অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ফাটলের মুখের চারদিকে ক্রমশ জমাট বেঁধে যে উঁচু মোচাকৃতি পর্বতের সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়গিরি বলে।আগ্নেয়গিরি থেকে যে ছিদ্রপথের মাধ্যমে অগ্ন্যুৎপাত হয় তাকে জ্বালামুখ বলে। জ্বালামুখ হতে নির্গত পদার্থকে লাভা (Lava) বলে। যে পথে লাভা বের হয় সেটিকে আগ্নেয় গ্রীবা (Vent) বলা হয়। লাভার ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হওয়াকে অগ্ন্যুৎপাত (Eruption) বলে।
প্রত্যেক আগ্নেয়গিরির লাভা সঞ্চিত হয়ে থাকে যে গহ্বরে তাকে ম্যাগমা চেম্বার (Magma Chamber) বলে।
অগ্ন্যুৎপাতের শ্রেণিবিভাগ :-
গ্যাসের চাপ, পরিমাণ ও লাভার প্রকৃতি ও তীব্রতা অনুসারে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতকে প্রধানত ৬টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।১. হাওয়াই শ্রেণি (Hawaiian Type)
২. স্ট্রম্বোলীয় শ্রেণি (Strombolian Type)
৩. ভলক্যানীয় শ্রেণি (Volcanion Type)
৪. ভিসুভিয়াস শ্রেণি (Vesuvius Type)
৫. পিলীয় শ্রেণি (Pelean Type) এবং
৬. প্লিনীয় শ্রেণি (Plinian Type)।
আরও পড়ুন:- বায়ু দূষণ কাকে বলে?
১. হাওয়াই শ্রেণি :
এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাত প্ৰশান্ত মহাসাগরের তলদেশে সংঘটিত হয়। হাওয়াই দ্বীপের আগ্নেয়গিরিগুলোতে এরূপ অগ্ন্যুৎপাত অধিক দেখা যায় বলে একে হাওয়াই শ্রেণি বলা হয়।
এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাতে কোন বিস্ফোরণ ঘটে না। লাভা তরল হওয়ায় জ্বালামুখ থেকে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। লাভা অধিক তরল হলে প্রবল বাতাসে সুতার ন্যায় উড়তে থাকে। এই উড়ন্ত লাভাকে লিপির কেশ বলা হয়। হাওয়াই দ্বীপের দেবতা লিপির নাম অনুসারে এই রূপ নামকরণ করা হয়েছে।
২. স্ট্রম্বোলীয় শ্রেণি :
সিসিলির উত্তরে লিপারী দ্বীপে স্ট্রম্বোলীয় শ্রেণির আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয় বলে একে স্ট্রম্বোলীয় শ্রেণি বলা হয়।
এই শ্রেণির অগ্ন্যুৎপাতে মাঝারী ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। কিছুদিন পরপর অগ্ন্যুৎপাত হয়। ম্যাগমা তরল কম হওয়ায় শীতল বায়ুর সংস্পর্শে উৎক্ষিপ্ত হওয়ার সময় দ্রুত জমাট বেঁধে প্রস্তরখন্ডের ন্যায় নিচে পতিত হয়।
স্ট্রম্বোলীকে 'ভূ-মধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ (Light House of the Mediterranean) বলা হয়। কারণ অগ্ন্যুপাতের সময় উজ্জ্বল প্রজ্জ্বলিত গ্যাস নির্গত হয়।
৩. ভলক্যানীয় শ্রেণি :
ভূ-মধ্যসাগরে অবস্থিত লিপারী দ্বীপের স্ট্রম্বোলীয় নিকট অবস্থিত 'ভলক্যানো" আগ্নেয়গিরির নাম অনুযায়ী Volcanion Type অগ্ন্যুৎপাত নামকরণ করা হয়েছে। এই শ্রেণির অগ্ন্যুৎপাতে লাভা বেশ শান্ত হওয়ায় একবার অগ্ন্যুৎপাতের পর দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাতের সময়ের মধ্যেই লাভা জমে যায়।
৪. ভিসুভিয়াস শ্রেণি :
ইতালির নেপলসের নিকটবর্তী ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরিতে এরূপ অগ্ন্যুৎপাত হয় বলে এই অগ্ন্যুৎপাতের নামকরণ করা হয়েছে ভিসুভিয়াস শ্রেণি।
এই অগ্ন্যুৎপাতে ম্যাগমার সাথে প্রচুর গ্যাস মিশ্রিত থাকায় প্রচন্ড বিস্ফোরণের ফলে ম্যাগমা নির্গত হয় এবং গ্যাসের সাথে কঠিন পদার্থের প্রচুর ছাই ও ভস্মও মিশ্রিত থাকে।
আরও পড়ুন :- কুয়াশা কাকে বলে?
৫. পিলীয় শ্রেণি :
পিলীয় শ্রেণির স্থিতিস্থাপক আগ্নেয়গিরিটি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের মাটি নিচে অবস্থিত। এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাতে ম্যাগমা অধিক বলে আগ্নেয়গিরির মুখে জমে যায় এবং অভ্যন্তরস্থ গ্যাসকে উপরে উঠতে বাধা দেয়। ফলে আগ্নেয়গিরিটির পার্শ্ব দেশ দিয়ে সমান্তরালভাবে কালো গ্যাস নির্গত হয়।
৬. প্লিনীয় শ্রেণি :
প্লিনি নামক জনৈক ব্যক্তি ১৮৭৯ সালে ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতে হারকিউলেনিয়াম ও পম্পেই নামক দুটো আগ্নেয়গিরির ভয়াবহতার চিত্র একটি চিঠির মাধ্যমে লিপিবন্ধ করেন। সেই সময় হতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতকে প্লিনীয় শ্রেণি বলা হয়।
নির্গত গ্যাসের সাথে প্রচুর প্রস্তরখন্ড ও কঠিন পদার্থ থাকে কিন্তু লাভার পরিমাণ খুবই কম থাকে।
আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ :-
পৃথিবীর আগ্নেয়গিরিসমূহকে প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যেমন:১. সক্রিয় আগ্নেয়গিরি (Active Volcano),
২. সুপ্ত আগ্নেয়গিরি (Dormant Volcano) এবং
৩. মৃত আগ্নেয়গিরি (Extinct Volcano) |
১. সক্রিয় আগ্নেয়গিরি :
এই আগ্নেয়গিরি হলো সেই সব আগ্নেয়গিরি যেখান থেকে এখনও অগ্ন্যুৎপাত হয়। সক্রিয় আগ্নেয়গিরি দুই ধরনের। যেমন- যে সকল আগ্নেয়গিরি থেকে অবিরত লাভা নির্গত হয় সেগুলো অবিরাম আগ্নেয়গিরি। যেমন - ভূমধ্যসাগরের লিপারী দ্বীপের উম্বলী আগ্নেয়গিরি।
অন্যদিকে যে সকল আগ্নেয়গিরি থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর মাঝে মাঝে অগ্ন্যুৎপাত হয়, তাকে সবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন: ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি।
২. সুপ্ত আগ্নেয়গিরি :
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি সমূহ থেকে বহু বছর অগ্ন্যুৎপাত না হলেও যে কোনো সময়ে অগ্ন্যুৎপাত হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন জাপানের ফুজিয়ামা।
৩. মৃত আগ্নেয়গিরি :
মৃত আগ্নেয়গিরি সমূহ থেকে পুনরায় অগ্ন্যুৎপাত হবার সম্ভাবনা থাকে না। যেমন: পোপো আগ্নেয়গিরি। মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে বৃষ্টির পানি জমে হ্রদ সৃষ্টি হলে, তাকে আগ্নেয় হ্রদ (Vent) বলে।
আরও পড়ুন :- খনিজ সম্পদ কাকে বলে?
ভূ-ত্বক পাতলা হলে বা ফাটল থাকলে ভূ-অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা, ভস্ম, বাষ্প, ধাতু, ধুম প্রবল বেগে বের হয়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
২. ভূ-পৃষ্ঠের চাপের হ্রাস :
পৃথিবীর অভ্যন্তরের দিকে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত প্রতি ৩০ মিটার গভীরতায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ভূ-অভ্যন্তরে ৯৬০ কি.মি গভীরতায় শিলাগুলো এত উত্তপ্ত হয় যে গলিত অবস্থায় থাকার পরিবেশ থাকলেও ভূ-পৃষ্ঠস্থ চাপের দরুণ স্থিতিস্থাপক অবস্থায় থাকে।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সংঘটনের কারণ :-
১. ভূ-ত্বকে দুর্বল স্থান বা ফাটলের অবস্থান :ভূ-ত্বক পাতলা হলে বা ফাটল থাকলে ভূ-অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা, ভস্ম, বাষ্প, ধাতু, ধুম প্রবল বেগে বের হয়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
২. ভূ-পৃষ্ঠের চাপের হ্রাস :
পৃথিবীর অভ্যন্তরের দিকে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত প্রতি ৩০ মিটার গভীরতায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ভূ-অভ্যন্তরে ৯৬০ কি.মি গভীরতায় শিলাগুলো এত উত্তপ্ত হয় যে গলিত অবস্থায় থাকার পরিবেশ থাকলেও ভূ-পৃষ্ঠস্থ চাপের দরুণ স্থিতিস্থাপক অবস্থায় থাকে।
আবার ভূ-গর্ভের সঞ্চিত বাষ্পরাশি সর্বদা ভূ পৃষ্ঠে আসতে চায়। ফলে ভূ-ত্বকের তলদেশে প্রবল ঊর্ধ্বচাপ পড়ে। ঊর্ধ্বচাপের প্রভাবে উপরিস্থিত ভূ-ত্বকের নিম্নস্থ কঠিন শিলার উপর চাপ বহুগুণে কমে যায়। ভূ-পৃষ্ঠের এই ধরনের চাপ হ্রাস অগ্ন্যুৎপাতে সহায়তা করে।
৩. ভূ-অভ্যন্তরে পানির প্রবেশ :
কখনও কখনও ভূ-ত্বকের ফাটল দিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের যে কোন উৎসের পানি ভূ-গর্ভে প্রবেশ করলে সেখানে প্রচন্ড উত্তাপে পানি বাষ্পীভূত হয় ও আয়তনে বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল বেগে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়।
৪. ভূ-গর্ভের চাপ বৃদ্ধি :
ভূ-গর্ভস্থ পদার্থসমূহের আয়তন বৃদ্ধির ফলে ভূ-গর্ভে প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হয়। চাপের দরুণ ভূ-ত্বক ফেটে গিয়ে আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করে।
৫. রাসায়নিক ক্রিয়া :
ভূ-অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ক্রিয়ার দরুণ যে গ্যাস ও তাপের সৃষ্টি হয় তাতে ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থসমূহ অধিক উত্তপ্ত হয়ে চাপের সৃষ্টি করে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়।
৬. তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রভাব :
রেডিয়াম, থোরিয়াম, ইউরেনিয়াম প্রভৃতি তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ভূ-অভ্যন্তরে প্রচুর তাপের সৃষ্টি করে এবং অভ্যন্তরীণ পদার্থসমূহ গলে আয়তনে বৃদ্ধি পায় ফলে অগ্ন্যুৎপাতের সৃষ্টি হয়।
৭. ভূ-আন্দোলন :
ভূ-আন্দোলনের সময় মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় প্লেটসমূহের গতিশীলতার সময় উত্তপ্ত তরল লাভা উপরে উঠে আসে অগ্ন্যুৎপাত হয় এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়।
আরও জানুন :- পাললিক শিলা কাকে বলে?
অগ্ন্যুপাতের ফলাফল :-
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূ-পৃষ্ঠের ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও অগ্ন্যুৎপাতের সুফলও রয়েছে। অগ্নুৎপাতের ফলে যে ধরনের ভূমিরূপ তৈরি হয় তা নিম্নরূপ। যথাআগ্নেয় মালভূমি : আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত পদার্থসমূহ বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে উঁচু মালভূমির সৃষ্টি করে। আবার নিচুভূমিতে লাভা সঞ্চিত হয়েও মালভূমির সৃষ্টি করে।
যেমন- ভারতের দক্ষিণাত্যের কৃষ্ণ মৃত্তিকাময় মালভূমি।
আগ্নেয় দ্বীপ : সমুদ্র তলদেশে অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত লাভা সঞ্চিত হয়ে দ্বীপের সৃষ্টি করে। যেমন- প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর বৃহত্তম আগ্নেয় দ্বীপ।
আগ্নেয় গহ্বর : আগ্নেয়গিরির ফলে ভূ-পৃষ্ঠের কোনো অংশ ধ্বসে গভীর গহ্বরের সৃষ্টি করে। ১৮৮৩ সালে সুমাত্রা ও জাভা দ্বীপের মধ্যবর্তী একটি দ্বীপে ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে একদিনের মধ্যে দ্বীপটির প্রায় অর্ধেক অংশ উৎক্ষিপ্ত হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং বাকী অংশে বৃহৎ একটি গহ্বর দেখা যায়।
আগ্নেয় হ্রদ : মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে বৃষ্টির জল জমে হ্রদের সৃষ্টি করে। যেমন- আলাস্কার মাউন্ট আতাকামা, নিকারাগুয়ার কোসেগায়েনা, অ্যারিজোনা ও নেভাদার আগ্নেয় হ্রদ উল্লেখযোগ্য।
আগ্নেয় পর্বত : আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত লাভা, দীর্ঘকাল ধরে একই জায়গায় সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি করে। যেমন- ইতালির ভিসুভিয়াস।
আগ্নেয় সমভূমি : লাভা ভূ-পৃষ্ঠে সঞ্চিত হয়ে সমভূমিরও সৃষ্টি করে যেমন- উত্তর আমেরিকার স্নেক নদীর লাভা সমভূমি।
উপরিউক্ত ভূমিরূপগুলো ছাড়াও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভয়াবহ ধ্বংসলীলাও সাধিত হয়। ১৯৭৯ সালে ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হারকিউলেনিয়াস (Herculeneum) ও পোম্পেই (Pompei) নামক নগর দুটি উত্তপ্ত লাভা ও ভস্মের মাঝে ডুবে গেছে। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোর আগ্নেয়গিরিতে কয়েক হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়। যেমন- দক্ষিণাত্যের লাভা গঠিত কৃষ্ণ মৃত্তিকা কার্পাস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।
অগ্ন্যুৎপাত বলয় (Location of Volcans) :-
পৃথিবীতে ৫১৬টি প্রধান আগ্নেয়গিরির মধ্যে ১১৫টি জীবন্ত এবং ৪০১টি মৃত বা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরায় প্রায় ৭২টি, দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পার্বত্য অঞ্চলে ৪৬টি, আফ্রিকায় ১৮টি, ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ১০টি, আইসল্যান্ডে ২০টি, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ১২টি এবং বেরিং, শাখালিন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও জাভা অঞ্চলে ৩০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ক্ষুদ্র আগ্নেয়গিরিসহ পৃথিবীতে মোট ৮৫০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। অবস্থানের উপর নির্ভর করে আগ্নেয়গিরিকে প্রধান চারটি বলয়ে ভাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :- ভাঁজ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.