স্টোরেজ ডিভাইস কাকে বলে? স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি?

স্টোরেজ ডিভাইস কি :-

স্টোরেজ ডিভাইস বা স্টোরেজ হার্ডওয়ারে বিভিন্ন তথ্য, নির্দেশাবলি, অডিও, ভিডিও, ইমেজ স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায়। তথ্যসমূহ অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। 

অপরদিকে তথ্যসমূহ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইসের ধারণক্ষমতা প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের তুলনায় অনেক বেশি। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে প্রাইমারি স্টোরেজের তথ্যসমূহ মুছে যায় কিন্তু সেকেন্ডারি স্টোরেজের তথ্যসমূহ মুছে যায় না। কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণের সুবিধার জন্য স্টোরেজ মিডিয়াতে ডেটা ও নির্দেশাবলি জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজনে তা সহজে কাজে লাগানো যায়।
আরও পড়ুন :- পেরিফেরাল ডিভাইস কি?

স্টোরেজ ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি :-

স্টোরেজ ডিভাইসকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা
  1. প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস (Primary Storage Device)
  2. সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস (Secondary Storage Device)
স্টোরেজ ডিভাইস কাকে বলে

প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস কাকে বলে :-

প্রাইমারি স্টোরেজ হলো মাইক্রোপ্রসেসরের কর্মক্ষেত্র বা ওয়ার্কপ্লেস। প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে কম্পিউটারে প্রেগ্রামের বিভিন্ন তথ্য ও ফলাফলকে অস্থায়ীভাবে সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসসমূহকে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস বলা হয়। যেমন- র‍্যাম।

আরও পড়ুন :- ওয়াইফাই কাকে বলে?  

প্রাইমারি স্টোরেজের বৈশিষ্ট্য :-

প্রাইমারি স্টোরেজের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো-
  • এ ধরনের স্টোরেজ সাধারণত সিপিইউয়ের সাথে সরাসরি সংযোগ থাকে।
  • প্রত্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ডেটা এবং কম্পিউটারের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত কিছু প্রোগ্রাম প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস ধারণ করে।
  • অ্যাকসেস সময় কম।
  • ধারণক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
  • ডেটা স্থানান্তরের গতি বেশি।
  • বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে এ ধরনের স্টোরেজে সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায় ইত্যাদি।

সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস কাকে বলে :-

কম্পিউটারে বিপুল পরিমাণে তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হার্ডওয়্যারসমূহকে বলা হয় সেকেন্ডারি ডিভাইস।

হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, পেনড্রাইভ, জিপ ড্রাইভ, ম্যাগনেটিক টেপ ইত্যাদি সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইসের উদাহরণ।

সেকেন্ডারি স্টোরেজের বৈশিষ্ট্য :-

সেকেন্ডারি স্টোরেজের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো -
  • এ ধরনের স্টোরেজ সিপিইউয়ের সাথে সরাসরি সংযোগ থাকে না।
  • ধারণক্ষমতা তুলনামূলভাবে অনেক বেশি।
  • দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
  • অ্যাকসেস সময় প্রাইমারি স্টোরেজের চেয়ে অনেক বেশি।
  • বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে এ ধরনের স্টোরেজে সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায় না ইত্যাদি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ