সফটওয়্যার কাকে বলে :-
কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলি সম্পাদন করার জন্য কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় ডেটা ও নির্দেশনা প্রদান করতে হয়। এ ধরনের নির্দেশনাবলির সমষ্টিকেই বলা হয় সফটওয়্যার। সফটওয়্যার অদৃশ্য শক্তি। একে ধরা বা ছোঁয়া যায় না।
সাধারণত সফটওয়্যার বলতে কম্পিউটারের প্রোগ্রামসমূহের সমষ্টিকে বোঝানো হয়।
সাধারণত সফটওয়্যার বলতে কম্পিউটারের প্রোগ্রামসমূহের সমষ্টিকে বোঝানো হয়।
অর্থাৎ সফটওয়্যার হলো কতকগুলো প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টি, যা হার্ডওয়্যারকে কর্মক্ষম করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রদান করে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে কার্যোপযোগী করা হয়। Dos, Windows, MS Office, Adobe Photoshop, Video Player, Pagemaker ইত্যাদি হলো সফটওয়্যারের উদাহরণ।
হার্ডওয়্যার কাকে বলে :-
হার্ডওয়্যার হলো কম্পিউটারের ভৌত সংগঠন। কম্পিউটার তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস বা যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশসমূহকে বলা হয় কম্পিউটার হার্ডওয়্যার।সাধারণত কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে আমরা দেখতে পারি এবং স্পর্শ করতে পারি। কি-বোর্ড, মাউস, মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড ডিস্ক, ডিস্ক ড্রাইভ, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের উদাহরণ।
আরও জানুন :- হার্ডওয়ার সম্পর্কে ?
হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সম্পর্ক :-
সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম সমষ্টি, যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তোলে। সফটওয়্যারকে স্পর্শ করা যায় না তবে মানুষের ব্রেনের সাথে তুলনা করা যায়। অন্যদিকে হার্ডওয়্যারকে মানুষের দেহের সাথে তুলনা করা যায়। সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার অর্থহীন। সফটওয়্যার ব্যবহারকারী এবং হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।কম্পিউটারের সাহায্যে ব্যবহারকারীর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়ার জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উভয়েরই প্রয়োজন। এককথায় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার একে অপরের পরিপূরক। সফটওয়্যার ছাড়া শুধুমাত্র হার্ডওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটারের কোনো কাজই সম্পাদন করা সম্ভব হয় না। তেমনি হার্ডওয়্যার ব্যতীত শুধুমাত্র সফটওয়্যারের সাহায্যে কিছুই করা যায় না।
সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি :-
সফটওয়্যারের ওপর কম্পিউটারের ক্ষমতা ও কাজের গতি অনেকাংশে নির্ভর করে। তবে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারের সফটওয়্যারকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software) ও
- অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software) বা ব্যবহারিক সফটওয়্যার
সিস্টেম সফটওয়্যার কাকে বলে :-
সিস্টেম সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রক। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারিক প্রোগ্রামের মধ্যে যোগসূত্র রচনা ও রক্ষা করে। সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার অচল।তাই কম্পিউটারকে সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সকল প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি দরকার তাদেরকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলে।
সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম চালনার জন্য কম্পিউটারকে তৈরি রাখে। আবার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে।
DOS, Windows, Xp, Linux, Unix. Mac OS, ইত্যাদি হলো সিস্টেম সফটওয়্যারের উদাহরণ। আবার Compiler Interpreter. Assembler প্রোগ্রামসমূহও সিস্টেম সফটওয়্যারের অন্তর্গত।
সিস্টেম সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি :-
সিস্টেম সফটওয়্যারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট বা সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম (System Management or Control Program)
- সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (System Development Program) এবং
- সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম (System Support Program)
সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট বা সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম :-
সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার সিস্টেমের সকল অংশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অর্থাৎ সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ডেটা প্রোগ্রাম, বিভিন্ন ডিভাইস এবং নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আবার এ ধরনের প্রোগ্রাম কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে, ইনপুট অংশ হতে ডেটা গ্রহণ ও আউটপুট প্রদর্শন ইত্যাদি কার্যাবলি সম্পাদন করে। সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রামের সমন্বয়ে গঠিত
১. অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রাম
২. ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ও
৩. নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম
আরও পড়ুন :- কম্পিউটার ভাইরাস কাকে বলে?
সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম :-
সাধারণত সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা যায় এবং ব্যবহারিক প্রোগ্রাম উন্নয়ন করা যায়।
আবার সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কম্পিউটারের নতুন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার তৈরি করা যায় এবং সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজও করা যায়। সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামকে সাধারণত নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
১. প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক
২. প্রোগ্রামিং এডিটর টুলস
৩. কম্পিউটার এইডেড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টুলস; ইত্যাদি।
সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম :-
সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সার্ভিস প্রোগ্রাম, নিরাপত্তা প্রদানের প্রোগ্রাম এবং কাজের হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করা হয়।
আবার কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ, সফটওয়্যার ত্রুটিমুক্তকরণ ইত্যাদি প্রয়োজনেও সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয়। সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রামগুলো নিয়ে গঠিত।
১. সিস্টেম ইউটিলিটি প্রোগ্রাম
২. সিস্টেম পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম ও
৩. সিস্টেম সিকিউরিটি প্রোগ্রাম।
তাই ব্যবহারকারী যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করতে পারে তাকে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা ব্যবহারিক সফটওয়্যার বলা হয়। যেমন-
1. Word Processing Package Program : Word Star, Word Perfect, Ms-Word, Word Note.
2. Spreadsheet Package Program : Lotus 1-2-3, Ms-Excel, Qrafter Pro.
3. Database Package Program : dBase, Foxpro, Oracle, Informix, Access ইত্যাদি।
সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বা প্যাকেজ প্রোগ্রাম :-
বাণিজ্যিকভাবে সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরীকৃত সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামকে সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বলা হয়।
অর্থাৎ ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরি যে সমস্ত বাণিজ্যিক সফটওয়্যার পাওয়া যায় তাদেরকে সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বা প্যাকেজ প্রোগ্রাম বলা হয়।
যেমন- এমএসওয়ার্ড প্রোগ্রামের সাহায্যে ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজ করা যায়; এমএস এক্সেল প্রোগ্রামের সাহায্যে হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়; এমএস এক্সেস প্রোগ্রামের সাহায্যে ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার কাজ করা যায় ইত্যাদি।
মূলত কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রামের সাহায্যে প্রাত্যহিক সমস্যার সমাধান করে থাকেন। উল্লেখযোগ্য সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো হলো এমএস অফিস, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, নেটস্কেপ নেভিগেটর, নেটস্কেপ কমিউনিকেটর, ইলেকট্রনিক মেইল, পেজ মেকার, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি।
অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম :-
অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড হলো কাজের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী ব্যবহারকারীর জন্য কোনো দক্ষ প্রোগ্রামার বা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশেষভাবে তৈরীকৃত প্রোগ্রাম। সমস্যার ধরন ও প্রকৃতি অনুসারে ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি হয়ে থাকে।
যেমন- ব্যাংকিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিস কমার্স, পেরোল সিস্টেম ইত্যাদি হলো অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম। কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম মূলত ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম :-
সাধারণত সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা যায় এবং ব্যবহারিক প্রোগ্রাম উন্নয়ন করা যায়।
আবার সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কম্পিউটারের নতুন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার তৈরি করা যায় এবং সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজও করা যায়। সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামকে সাধারণত নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
১. প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক
২. প্রোগ্রামিং এডিটর টুলস
৩. কম্পিউটার এইডেড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টুলস; ইত্যাদি।
সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম :-
সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সার্ভিস প্রোগ্রাম, নিরাপত্তা প্রদানের প্রোগ্রাম এবং কাজের হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করা হয়।
আবার কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ, সফটওয়্যার ত্রুটিমুক্তকরণ ইত্যাদি প্রয়োজনেও সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয়। সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রামগুলো নিয়ে গঠিত।
১. সিস্টেম ইউটিলিটি প্রোগ্রাম
২. সিস্টেম পারফরম্যান্স প্রোগ্রাম ও
৩. সিস্টেম সিকিউরিটি প্রোগ্রাম।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাকে বলে :-
অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক কাজের জন্য তৈরি হয়। কাজের প্রকৃতি অনুসারে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়।তাই ব্যবহারকারী যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করতে পারে তাকে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা ব্যবহারিক সফটওয়্যার বলা হয়। যেমন-
1. Word Processing Package Program : Word Star, Word Perfect, Ms-Word, Word Note.
2. Spreadsheet Package Program : Lotus 1-2-3, Ms-Excel, Qrafter Pro.
3. Database Package Program : dBase, Foxpro, Oracle, Informix, Access ইত্যাদি।
অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি :-
অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বা প্যাকেজ প্রোগ্রাম (General Application Program or Package Program) ও
- অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম (Application Specific or Customized Program)
সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বা প্যাকেজ প্রোগ্রাম :-
বাণিজ্যিকভাবে সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরীকৃত সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামকে সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বলা হয়।
অর্থাৎ ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরি যে সমস্ত বাণিজ্যিক সফটওয়্যার পাওয়া যায় তাদেরকে সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বা প্যাকেজ প্রোগ্রাম বলা হয়।
যেমন- এমএসওয়ার্ড প্রোগ্রামের সাহায্যে ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজ করা যায়; এমএস এক্সেল প্রোগ্রামের সাহায্যে হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়; এমএস এক্সেস প্রোগ্রামের সাহায্যে ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার কাজ করা যায় ইত্যাদি।
মূলত কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রামের সাহায্যে প্রাত্যহিক সমস্যার সমাধান করে থাকেন। উল্লেখযোগ্য সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো হলো এমএস অফিস, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, নেটস্কেপ নেভিগেটর, নেটস্কেপ কমিউনিকেটর, ইলেকট্রনিক মেইল, পেজ মেকার, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি।
অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম :-
অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড হলো কাজের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী ব্যবহারকারীর জন্য কোনো দক্ষ প্রোগ্রামার বা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশেষভাবে তৈরীকৃত প্রোগ্রাম। সমস্যার ধরন ও প্রকৃতি অনুসারে ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি হয়ে থাকে।
যেমন- ব্যাংকিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিস কমার্স, পেরোল সিস্টেম ইত্যাদি হলো অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম। কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম মূলত ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন :- মেমরি কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.