শেয়ার কাকে বলে :-
কোম্পানি অনুমোদিত মূলধনকে সমান অংশবিশিষ্ট কতকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এককে বিভক্ত করা হয়। মূলধনের প্রতিটি ক্ষুদ্র একককে একেকটি শেয়ার বলে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্যমান সমান হয় এবং এর একটি নির্দিষ্ট আংকিক মূল্য (face value) থাকে।
ধরুন, একটি কোম্পনির মোট মূলধনের পরিমাণ ৫,০০,০০০ টাকা। এ পরিমাণকে ৫০০০ অংশে ভাগ করা হলে প্রতি অংশে ১০০ টাকা পড়ে। সুতরাং, প্রতিশেয়ার ১০০ টাকা বলা হবে। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমেই এর ক্রেতাগণ (shareholder) কোম্পানির মালিকানা স্বত্ব লাভ করেন।
শেয়ার এর দুটি সার্বজনীন সংজ্ঞা আলোচনা করা হলো-
বিচারপতি জে ফারওয়েল এর ভাষ্য অনুযায়ী, "শেয়ার বলতে টাকার অংককে বোঝায় না, এরদ্বারা টাকার পরিমাপযোগ্য একটি স্বার্থকে বোঝায় যা চুক্তি দ্বারা বিভিন্ন প্রকার অধিকারের সৃষ্টি করতে পারে।"
শেয়ার কাকে বলে? তা ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২(১)(ধ) ধারায় বলা হয়েছে, শেয়ার বলতে কোম্পানির মূলধনের কোনো অংশকে বোঝাবে এবং ব্যক্ত বা অব্যক্তভাবে কোনো স্টক বা শেয়ারের পার্থক্য প্রকাশ পেলে সেই স্টক ব্যতীত অন্যান্য স্টকও এ সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে।
ওপরে উল্লিখিত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি, কোম্পানি সংগঠনের মোট মূলধনকে কতগুলো সমান মূল্যবিশিষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হলে এর প্রতিটি অংশই এক একটি শেয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়।
শেয়ার এর দুটি সার্বজনীন সংজ্ঞা আলোচনা করা হলো-
বিচারপতি জে ফারওয়েল এর ভাষ্য অনুযায়ী, "শেয়ার বলতে টাকার অংককে বোঝায় না, এরদ্বারা টাকার পরিমাপযোগ্য একটি স্বার্থকে বোঝায় যা চুক্তি দ্বারা বিভিন্ন প্রকার অধিকারের সৃষ্টি করতে পারে।"
শেয়ার কাকে বলে? তা ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২(১)(ধ) ধারায় বলা হয়েছে, শেয়ার বলতে কোম্পানির মূলধনের কোনো অংশকে বোঝাবে এবং ব্যক্ত বা অব্যক্তভাবে কোনো স্টক বা শেয়ারের পার্থক্য প্রকাশ পেলে সেই স্টক ব্যতীত অন্যান্য স্টকও এ সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে।
ওপরে উল্লিখিত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি, কোম্পানি সংগঠনের মোট মূলধনকে কতগুলো সমান মূল্যবিশিষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হলে এর প্রতিটি অংশই এক একটি শেয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়।
শেয়ার কত প্রকার ও কি কি :-
শেয়ার হচ্ছে কোম্পানি সংগঠনের মোট মূলধনের ক্ষুদ্রতম একক। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, সুবিধা ইত্যাদি বিবেচনা করে কোম্পানি বিভিন্ন প্রকারের শেয়ার ইস্যু করে থাকে। রেখা চিত্রে প্রদর্শনপূর্বক শেয়ার কত প্রকার ও কি কি? সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।১. সাধারণ শেয়ার কাকে বলে (Ordinary or equity share) :-
যে শেয়ারের মালিকের অধিকার, কর্তব্য ও দায়িত্ব কোম্পানিতে সর্বাধিক কিন্তু লভ্যাংশ পাবার ক্ষেত্রে ও মূলধন ফেরত পাবার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায় না তাকে সাধারণ শেয়ার বলে।এ শেয়ারের মালিকেরা অধিকারযুক্ত শেয়ারের লভ্যাংশ বন্টিত হবার পর শতকরা হারে লভ্যাংশ পায় এবং কোম্পানির বিলুপ্তিকালে সবার শেষে মূলধন ফেরত পায়।
২. অগ্রাধিকার শেয়ার কাকে বলে (Preference share) :-
কোম্পানি যে শেয়ারের ওপর নির্দিষ্ট হারে অন্যান্য শেয়ারের আগে লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ব্যবসায়ের বিলুপ্তিকালে মূল্য ফেরত দেওয়া হয় তাকে অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।অগ্রাধিকার শেয়ার কত প্রকার ও কি কি :-
অগ্রাধিকারযুক্ত শেষারকে নিম্নোক্ত আট শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়।
ক. সঞ্চয়ী বা নিরবচ্ছিন্ন অগ্রাধিকার শেয়ার (Cumulative preference share) :-
এ ধরনের অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ারের ওপর নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ সঞ্চিতি হিসাবে জমা হতে থাকে। কোম্পানির লাভ-লোকসান যাই হোক না কেন যখনই মুনাফা হবে তখনই শেয়ারহোল্ডাররা বর্তমানের এবং পূর্বের যাবতীয় পাওনা আদায় করতে পারে।
ক. সঞ্চয়ী বা নিরবচ্ছিন্ন অগ্রাধিকার শেয়ার (Cumulative preference share) :-
এ ধরনের অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ারের ওপর নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ সঞ্চিতি হিসাবে জমা হতে থাকে। কোম্পানির লাভ-লোকসান যাই হোক না কেন যখনই মুনাফা হবে তখনই শেয়ারহোল্ডাররা বর্তমানের এবং পূর্বের যাবতীয় পাওনা আদায় করতে পারে।
আরও পড়ুন:- ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে?
খ. সঞ্চয়ী বা অনিরবচ্ছিন্ন অগ্রাধিকার শেয়ার (Non-cumulative preference share) :-
এরূপ শেয়ারের উপর শুধুমাত্র যে বছর মুনাফা অর্জিত হয় সে বছরই লভ্যাংশ দেয়া হয়। অর্থাৎ এ ধরনের শেয়ারের মালিকগণ নিরবচ্ছিন্ন লভ্যাংশ ভোগের অধিকারী নয়।
গ. পরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার (Redeemable preference share) :-
এরুপ শেয়ার নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বিপি করা হয় এবং মেয়াদ শেষে কোম্পানি এগুলোর মূল্য পরিশোধ করে দিতে পারে।
ঘ. অপরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার (Non Redeemable preference share) :-
এ ধরনের শেয়ারের মূল্য কোম্পানির বিলোপসাধন পর্যন্ত ফেরত দেওয়া যায় না। শেয়ার মালিকেরা কোম্পানির জীবদ্দশায় নির্দিষ্ট হারে মুনাফা ভোগ করতে থাকে।
ঙ. লভ্যাংশের দাবিযুক্ত বা অংশগ্রহণমূলক অগ্রাধিকার শেয়ার (Participating share) :-
নির্দিষ্ট লভ্যাংশ ছাড়াও যে শেয়ারের ওপর অতিরিক্ত লভ্যাংশ দেওয়া হয় তাকে লভ্যাংশের দাবিযুক্ত বা অংশগ্রহণমূলক অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
চ. লভ্যাংশের দাবিবিহীন বা অংশগ্রহণবর্জিত অগ্রাধিকার শেয়ার (Non-Participating share) :-
জাতীয় শেয়ারের ওপর শুধুমাত্র নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। কিন্তু অন্যান্য শেয়ারের সাথে অতিরিক্ত লভ্যাংশ দেওয়া হয় না।
ছ. পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার (Convertible preference share) :-
মেয়াদ সমাপ্নান্তে বিক্রয়ের শর্ত অনুযায়ী যে অগ্রাধিকার শেষারকে সাধারণ শেয়ারে পরিবর্তন করা যায় তাকে পরিবর্তনযোগ্য শেয়ার বলে।
ড. অপরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার (Non-Convertible preference share) :-
এরকম শেয়ারকে কখনই পরিবর্তন করে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা যায় না।
আরও পড়ুন:- বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ কি?
৩. বিলম্বিত শেয়ার কি (Deferred share) :-
অগ্রাধিকার শেয়ার ও সাধারণ শেয়ারের ওপর লভ্যাংশ দেওয়ার পর কোম্পানির মুনাফা বাকি থাকলে সেখান থেকে যে শেয়ারে ওপর লভ্যাংশ প্রদান করা হয় তাকে প্রবর্তক শেয়ার বা বিলম্বিত শেয়ার বা উদ্যোক্তার শেয়ার বলে।8. বিশেষ শেয়ার (Special share) :-
উপরিউক্ত কয়েক প্রকারের শেয়ার ছাড়াও আরও কিছু শেয়ার রয়েছে যা নিম্নরূপঃ
ক. অধিকারযোগ্য শেয়ার (Right share) :-
কোনো কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে যদি এরূপ বিধান থাকে যে, ভবিষ্যতে কোম্পানি যে সব নতুন শেয়ার বিলি করবে তা বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের ক্রয়ের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এরূপ শেয়ারকে অধিকারযোগ্য শেয়ার নামে পরিচিত।
খ. অধিবৃত্তি বা বোনাস শেয়ার কাকে বলে (Bonus share) :-
কোম্পানি অনেক সময় অর্জিত মুনাফার কিছু অংশ বা পুরোটাই লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে তা কোম্পানির মূলধনে রূপান্তরিত করে নেয় এবং পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের নামে লভ্যাংশের পরিবর্তে এ শেয়ার ইস্যু করে। এ জাতীয় শেয়ারকে অধিবৃত্তি বা বোনাস শেয়ার বলা হয়।
গ. অনির্ধারিত বা অনায়িক মূল্যের শেয়ার (Non-par value share) :-
যে শেয়ারের কোনো মূল্য নির্ধারিত থাকে না তাকে অনির্ধারিত বা অনাস্তিক শেয়ার বলে। এ শেয়ার সাধারণত বছর শেষে হিসাব নিকাশের পর মোট সম্পদ থেকে অন্যান্য আয়ের পরিমাণ বাদ দিয়ে যে অর্থ পাওয়া যায় তার ওপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারিত হয়।
ক. অধিকারযোগ্য শেয়ার (Right share) :-
কোনো কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে যদি এরূপ বিধান থাকে যে, ভবিষ্যতে কোম্পানি যে সব নতুন শেয়ার বিলি করবে তা বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের ক্রয়ের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এরূপ শেয়ারকে অধিকারযোগ্য শেয়ার নামে পরিচিত।
খ. অধিবৃত্তি বা বোনাস শেয়ার কাকে বলে (Bonus share) :-
কোম্পানি অনেক সময় অর্জিত মুনাফার কিছু অংশ বা পুরোটাই লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে তা কোম্পানির মূলধনে রূপান্তরিত করে নেয় এবং পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের নামে লভ্যাংশের পরিবর্তে এ শেয়ার ইস্যু করে। এ জাতীয় শেয়ারকে অধিবৃত্তি বা বোনাস শেয়ার বলা হয়।
গ. অনির্ধারিত বা অনায়িক মূল্যের শেয়ার (Non-par value share) :-
যে শেয়ারের কোনো মূল্য নির্ধারিত থাকে না তাকে অনির্ধারিত বা অনাস্তিক শেয়ার বলে। এ শেয়ার সাধারণত বছর শেষে হিসাব নিকাশের পর মোট সম্পদ থেকে অন্যান্য আয়ের পরিমাণ বাদ দিয়ে যে অর্থ পাওয়া যায় তার ওপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারিত হয়।
আরও পড়ুন:- মোটিভেশন কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.