রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কি :-
রাষ্ট্র বা সরকার কর্তৃক গঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায়ই হলো রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়। এ ধরনের ব্যবসায়ে যে ধরনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।১. গঠনপ্রণালী :-
দেশের সরকারের বিশেষ আদেশ বলে, রাষ্ট্রপতির আদেশে বা আইনসভার বিশেষ বিধান মোতাবেক রাষ্ট্রীয় কারবার স্থাপিত বা জাতীয়করণকৃত হয়ে থাকে। এ ধরনের ক্ষেত্রে নতুন কারবারী প্রতিষ্ঠান স্থাপন কিংবা পূর্বেকার কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কারবারের জন্ম।
২. কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা :-
রাষ্ট্রপতির আদেশে কিংবা বিশেষ আইনে প্রতিষ্ঠিত হয় বলে রাষ্ট্রীয় কারবারের ক্ষেত্রে পৃথক বা কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা থাকে। এরূপ কারবারের নামে মামলা দায়ের করা যাবে এবং কারবারও নিজেই অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা দায়ের করতে পারবে।
৩. মালিকানা :-
রাষ্ট্রীয় কারবারের একচ্ছত্র মালিক রাষ্ট্র। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার অর্ধেকের চেয়ে কম মূল্যের শেয়ার জনগণের নিকট বিক্রয় করে থাকেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শেয়ার মালিকগণ এবং সরকার উভয় পঞ্চই কারবারের মালিক হিসেবে গণ্য হয়।
৪. স্থায়িত্ব :-
রাষ্ট্রীয় কারবারের স্থায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। সরকার কোনো কারবারের প্রয়োজনীয়তা নেই মনে করলে তার বিলোপসাধন করতে পারেন। বিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোম্পানির আইনানুগ পৃথক ব্যক্তি সত্তা থাকা সতেও সরকার কারবারটি অপ্রয়োজনীয় মনে করলে বিলুপ্ত করে দিতে পারেন।
৫. মুনাফা বণ্টন :-
রাষ্ট্রীয় কারবারের লাভ-লোকসানের ভোগকারী সরকার নিজেই। তবে আংশিক বেসরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ক্ষেত্রে মুনাফার শেয়ার অনুপাতে সরকার এবং শেয়ার মালিক জনগণের মধ্যে হয়।
৬. ঝুঁকি :-
রাষ্ট্রীয় কারবারের ঝুঁকি সরকারই বহন করেন। কোম্পানির ক্ষেত্রে ঝুঁকি শেয়ারের মূল্য দ্বারা সীমিত।
৭. ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা :-
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার নিজেই রাষ্ট্রীয় কারবারের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কার্য চালিয়ে থাকেন। অর্থাৎ সরকার নিযুক্ত কর্মচারীরাই এ কাজ করে থাকে।
৮. বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন :-
রাষ্ট্রীয় কারবার সাধারণত কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গঠিত হয়ে থাকে। সরকার রাষ্ট্রেয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এরূপ উদ্যোগ নেন। আবার কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে বা এলাকায় কারবার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও সরকার এরূপ কারবার স্থাপন করতে পারেন।
৯. শেয়ারের মালিকানা :-
কোম্পানির ক্ষেত্রে সাধারণত সরকার সমুদয় শেয়ার কিংবা শেয়ারের বেশি অংশ ক্রয় করে থাকেন।
১০. স্বায়ত্ত্বশাসন :-
রাষ্ট্রীয় কারবার পরিচালকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তক্রমে পরিচালিত হয়। সরকারই এ পরিচালকমণ্ডলী মনোনীত করেন।
১১. কল্যাণমূলক উদ্দেশ্য :-
রাষ্ট্রীয় কারবারের প্রধানতম উদ্দেশ্য হচ্ছে জনকল্যাণ সাধন করা। কোনো অবস্থাতেই অধিক মুনাফা অর্জন করা নয়।
আরও পড়ুন:- ব্যবস্থাপনার কার্যাবলি ও নীতিমালা সম্পর্কে লিখ?
১২. জাতীয় সংসদে কৈফিয়ত তলব :-
রাষ্ট্রীয় কারবারের সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে জাতীয় পরিষদে বিতর্কের অবতারণা হতে পারে, এক্ষেত্রে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে এসবের জবাব দিতে হবে।
১৩. আকার :-
সাধারণত বৃহদাকার কারবারগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় গঠিত হয়ে থাকে।
১৪. দায়দায়িত্ব :-
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের দায়দায়িত্ব সীমিত। আবার শেয়ার বিক্রয় করা হলে শেয়ার মালিকদের দায়ও সীমিত।
১. একচেটিয়া ব্যবসায়ের অবসান :-
ব্যক্তিগত মালিকানায় কোনো বিশেষ ব্যবসায় শুরু করা হলে যদি সরকার মনে করেন যে, এতে একচেটিয়া পদ্ধতি চালু হতে পারে এবং এর কুফলগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক হবে তখন সে ব্যবসায় রাষ্ট্রায়ত্ত বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গঠন করা হয়।
২. নোট প্রচলন ও ব্যাংকিং পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ :-
কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। দেশে নোট প্রচলনের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নাস্ত থাকে। বেসরকারি পর্যায়ে নোট প্রচলনের দায়িত্ব দেওয়া হলে যে কোনো সময় প্রয়োজনাতিরিক্ত নোট ইস্যুর মাধ্যমে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ঘটতে পারে। তদুপরি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনাও কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে থাকে।
১২. জাতীয় সংসদে কৈফিয়ত তলব :-
রাষ্ট্রীয় কারবারের সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে জাতীয় পরিষদে বিতর্কের অবতারণা হতে পারে, এক্ষেত্রে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে এসবের জবাব দিতে হবে।
১৩. আকার :-
সাধারণত বৃহদাকার কারবারগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় গঠিত হয়ে থাকে।
১৪. দায়দায়িত্ব :-
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের দায়দায়িত্ব সীমিত। আবার শেয়ার বিক্রয় করা হলে শেয়ার মালিকদের দায়ও সীমিত।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য কী :-
দেশের অর্থনৈতিক উন্নায়ন, সম্পদের গতিশীলতা সৃষ্টি, দেশ রক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, প্রভৃতি নানাবিধ প্রয়োজনে সরকার রাষ্ট্রীয় সংগঠনের পত্তন করেন। যে সমস্ত উদ্দেশ্যে বা কারণে সরকার রাষ্ট্রীয় সংগঠন গঠন করেন সেগুলো নিম্নরূপ:১. একচেটিয়া ব্যবসায়ের অবসান :-
ব্যক্তিগত মালিকানায় কোনো বিশেষ ব্যবসায় শুরু করা হলে যদি সরকার মনে করেন যে, এতে একচেটিয়া পদ্ধতি চালু হতে পারে এবং এর কুফলগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক হবে তখন সে ব্যবসায় রাষ্ট্রায়ত্ত বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গঠন করা হয়।
২. নোট প্রচলন ও ব্যাংকিং পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ :-
কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। দেশে নোট প্রচলনের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নাস্ত থাকে। বেসরকারি পর্যায়ে নোট প্রচলনের দায়িত্ব দেওয়া হলে যে কোনো সময় প্রয়োজনাতিরিক্ত নোট ইস্যুর মাধ্যমে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ঘটতে পারে। তদুপরি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনাও কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে থাকে।
৩. দেশ রক্ষায় শিল্প :-
যে সমস্ত শিল্প কারখানা বহিরুর আক্রমণ হতে দেশ রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্যে পরিচালিত হয় তা অবশ্যই সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।
৪. সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা :-
দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে সরকার চালু ব্যবসায়গুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আনয়ন এবং নতুন করে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠন করতে পারেন।
৫. সম্পদের সুষম বণ্টন :-
দেশের সম্পদকে কতিপয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হবার সুযোগ না দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সুষম বণ্টনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়।
৬. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি :-
দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় শুরু করতে পারেন।
৭. দুর্নীতি দমন :-
বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ের দুর্নীতি অনুসৃত হতে পারে। এর ফলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এমতাবস্থায় সরকার কোনো বিশেষ ব্যবসায় হতে দুর্নীতি দুর করার জন্য তা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গঠন করতে পারেন।
৮. অপচয় রোধ :-
সরকার যদি মনে করেন, কোনো বিশেষ ব্যবসায় বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত বা পরিচালিত হলে জাতীয় সম্পদের অপচয় হতে পারে তবে অপচয় রোধকল্পে সেই ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় মালিকানায় গঠিত হতে পারে।
৯. বিশেষ সেবামূলক বিভাগ :-
ডাক, তার, বিদ্যুৎ ইত্যাদির মতো বিশেষ জনসেবামূলক ব্যবসায়গুলো জনস্বার্থে সরকার নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন:- ব্যবসায়ের দায়িত্ব কি কি?
১০. অতি বিনিয়োগমূলক ব্যবসায় :-
কোনো কোনো ব্যবসায় আছে যাতে প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি, তদুপরি আয়ের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে কম। এগুলো সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন: রেলওয়ে।
১১. জীবন রক্ষাকারী পণ্যের উৎপাদন ও বণ্টন :-
ঔষধ বা এরকম জীবন রক্ষাকারী পণ্যের উৎপাদন ও বন্টন অনেক সময় সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন হয় বলে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় স্থাপিত হতে পারে।
১২. মাদক দ্রব্যাদির উৎপাদন ও বন্টন :-
বিশ্বের কোনো কোনো দেশে মাদক দ্রব্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকায় ঐ সব দেশে শুধুমাত্র রপ্তানি ও বিদেশিদের নিকট বিক্রয়ের জন্য মাদক দ্রব্য উৎপাদন করা হয়। তাই এর বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যবসায় শুরু করেন।
১৩. মূল্যের স্থিরতা রক্ষা :-
ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়ে দ্রব্য মূল্যের অস্বাভাবিক ওঠানামা বন্ধ করার জন্য সরকার কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য নিজ আওতাধীনে আনতে পারেন।
১৪. দ্রব্যের উৎকর্ষতা বজায় :-
পণ্যদ্রব্যের মান বজায় ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কিছু ব্যবসায় নিজ মালিকানায় আনতে পারেন।
১৫. শিল্পায়ন :-
দেশকে শিল্প সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সরকার বেসরকারি মালিকানার পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠা করে থাকেন।
১৬. ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে বিনিয়োগ :-
দেশের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও সাফল্য অনিশ্চিত থাকায় কোনো শিল্পে যখন বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ উৎসাহ দেখায় না তখন সরকার সেখানে বিনিয়োগ করেন।
১৭. দেশের সব এলাকায় শিল্প স্থাপন :-
দেশের অনুন্নত এলাকাগুলোতে শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার শিল্প স্থাপন করতে পারেন। কারণ অনুন্নত এলাকায় বেসরকারি মালিকানায় কেউ শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হবে না।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বা সংগঠনের উদ্দেশাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটি দেশে এর গুরুত্বও অনেক রয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নিই এ ধরনের সংগঠনগুলোর গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা কী।
১০. অতি বিনিয়োগমূলক ব্যবসায় :-
কোনো কোনো ব্যবসায় আছে যাতে প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি, তদুপরি আয়ের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে কম। এগুলো সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। যেমন: রেলওয়ে।
১১. জীবন রক্ষাকারী পণ্যের উৎপাদন ও বণ্টন :-
ঔষধ বা এরকম জীবন রক্ষাকারী পণ্যের উৎপাদন ও বন্টন অনেক সময় সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন হয় বলে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় স্থাপিত হতে পারে।
১২. মাদক দ্রব্যাদির উৎপাদন ও বন্টন :-
বিশ্বের কোনো কোনো দেশে মাদক দ্রব্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকায় ঐ সব দেশে শুধুমাত্র রপ্তানি ও বিদেশিদের নিকট বিক্রয়ের জন্য মাদক দ্রব্য উৎপাদন করা হয়। তাই এর বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যবসায় শুরু করেন।
১৩. মূল্যের স্থিরতা রক্ষা :-
ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়ে দ্রব্য মূল্যের অস্বাভাবিক ওঠানামা বন্ধ করার জন্য সরকার কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য নিজ আওতাধীনে আনতে পারেন।
১৪. দ্রব্যের উৎকর্ষতা বজায় :-
পণ্যদ্রব্যের মান বজায় ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কিছু ব্যবসায় নিজ মালিকানায় আনতে পারেন।
১৫. শিল্পায়ন :-
দেশকে শিল্প সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সরকার বেসরকারি মালিকানার পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠা করে থাকেন।
১৬. ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে বিনিয়োগ :-
দেশের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও সাফল্য অনিশ্চিত থাকায় কোনো শিল্পে যখন বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ উৎসাহ দেখায় না তখন সরকার সেখানে বিনিয়োগ করেন।
১৭. দেশের সব এলাকায় শিল্প স্থাপন :-
দেশের অনুন্নত এলাকাগুলোতে শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার শিল্প স্থাপন করতে পারেন। কারণ অনুন্নত এলাকায় বেসরকারি মালিকানায় কেউ শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হবে না।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বা সংগঠনের উদ্দেশাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটি দেশে এর গুরুত্বও অনেক রয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নিই এ ধরনের সংগঠনগুলোর গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা কী।
রাষ্ট্রীয় সংগঠনের গুরুত্ব :-
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, দেশে এমন কিছু শিল্প বা ব্যবসায় ক্ষেত্র রয়েছে যে সব ক্ষেত্রকে জাতীয় স্বার্থে বেসরকারী মালিকানায় প্রদান করা সম্ভব হয় না।
যেমন- হাতিয়ার প্রস্তুতকারী শিল্প, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নোট প্রচলনকারী কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি। এসব ব্যবসায় সর্বদাই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
উন্নত দেশগুলোতে যেখানে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য প্রকট সেখানে বেসরকারি মালিকানাধীন ব্যবসায় ক্রমে বৈষম্য বাড়ায়। অর্থাৎ ধনী লোক আরো ধনী হয় এবং পরিব পোক আরো গরিব হয়। এমতাবস্থায় দেশের সম্পদ যাতে কতিপয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত না হয় সেজন্য সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় শুরু করেন।
আবার দেশকে দ্রুত শিল্পায়িতকরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন ইত্যাদির লক্ষ্যেও রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় স্থাপিত হয়ে থাকে।
জনগণের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বা এ ধরনের অন্যান্য ব্যবসায় যা কোনো ব্যক্তির মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবার সুযোগ হলে জনগণের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন হতে পারে সেগুলো কেবল রাষ্ট্রীয় মালিকানায়ই হওয়া বাঞ্ছনীয়।
সর্বোপরি ব্যক্তি মালিকানার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের মুখ্য উদ্দেশ্য হয় অধিক মুনাফা অর্জন। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রধানতম উদ্দেশ্য হবে জনকল্যাণ সাধন ও সম্পদের সুষম বণ্টন।
সমস্ত ব্যবসায় বেসরকারি মালিকানায় স্থাপিত হবার সুযোগ দিলে শুধুমাত্র অতি মুনাফার নিশ্চয়তা বা সম্ভাবনা বিশিষ্ট ব্যবসায়গুলোই একতরফাভাবে গড়ে ওঠবে কোনো ব্যক্তি মালিকই জনকল্যাণার্থে কম মুনাফা বা ঝুঁকিবহুল ভারবারের দিকে এগুতে চাইবেন না।
কোনো মেয়ের মুখমণ্ডল যদি অত্যন্ত সুন্দর, নিরোগ ও প্রসাধনী সমৃদ্ধ হয় এবং তার সারা শরীরে যদি খোস-পাঁচড়া ভর্তি থাকে তবে তাকে যেমন স্বাস্থ্যবতী বা সুন্দরী কিংবা নিরোগ বলা যাবে না- একটি দেশের ক্ষেত্রে কারবারের কোনো কোনো খাত চরমভাবে উন্নতি লাভ করেও যদি অন্যান্য খাত অনুন্নত থেকে যায় তবে তাকে উন্নত বা উন্নয়নশীল কিংবা সুন্দর অর্থনীতির দেশ ব যাবে না।
যেমন- হাতিয়ার প্রস্তুতকারী শিল্প, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নোট প্রচলনকারী কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি। এসব ব্যবসায় সর্বদাই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
উন্নত দেশগুলোতে যেখানে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য প্রকট সেখানে বেসরকারি মালিকানাধীন ব্যবসায় ক্রমে বৈষম্য বাড়ায়। অর্থাৎ ধনী লোক আরো ধনী হয় এবং পরিব পোক আরো গরিব হয়। এমতাবস্থায় দেশের সম্পদ যাতে কতিপয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত না হয় সেজন্য সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় শুরু করেন।
আবার দেশকে দ্রুত শিল্পায়িতকরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন ইত্যাদির লক্ষ্যেও রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় স্থাপিত হয়ে থাকে।
জনগণের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বা এ ধরনের অন্যান্য ব্যবসায় যা কোনো ব্যক্তির মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবার সুযোগ হলে জনগণের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন হতে পারে সেগুলো কেবল রাষ্ট্রীয় মালিকানায়ই হওয়া বাঞ্ছনীয়।
সর্বোপরি ব্যক্তি মালিকানার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের মুখ্য উদ্দেশ্য হয় অধিক মুনাফা অর্জন। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রধানতম উদ্দেশ্য হবে জনকল্যাণ সাধন ও সম্পদের সুষম বণ্টন।
সমস্ত ব্যবসায় বেসরকারি মালিকানায় স্থাপিত হবার সুযোগ দিলে শুধুমাত্র অতি মুনাফার নিশ্চয়তা বা সম্ভাবনা বিশিষ্ট ব্যবসায়গুলোই একতরফাভাবে গড়ে ওঠবে কোনো ব্যক্তি মালিকই জনকল্যাণার্থে কম মুনাফা বা ঝুঁকিবহুল ভারবারের দিকে এগুতে চাইবেন না।
কোনো মেয়ের মুখমণ্ডল যদি অত্যন্ত সুন্দর, নিরোগ ও প্রসাধনী সমৃদ্ধ হয় এবং তার সারা শরীরে যদি খোস-পাঁচড়া ভর্তি থাকে তবে তাকে যেমন স্বাস্থ্যবতী বা সুন্দরী কিংবা নিরোগ বলা যাবে না- একটি দেশের ক্ষেত্রে কারবারের কোনো কোনো খাত চরমভাবে উন্নতি লাভ করেও যদি অন্যান্য খাত অনুন্নত থেকে যায় তবে তাকে উন্নত বা উন্নয়নশীল কিংবা সুন্দর অর্থনীতির দেশ ব যাবে না।
আবার ডাক, তার, রেল এ ধরনের ব্যবসায়ে কেউ এগিয়ে না এলেও অন্যান্য ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এগুলোর সেবা অপরিহার্য। এতসব বিবেচনা করলে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, কোনো দেশের বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়শীল দেশের অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় কারবারের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
আরও পড়ুন :- শেয়ার সার্টিফিকেট কি?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.