বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয় হচ্ছে প্রসার (Promotion)। পণ্য উৎপাদন পরিকল্পনা, ঐ পণ্যের মূল্য নির্ধারণ এবং বন্টন এ সব বাজারজাতকরণ কার্যাবলী প্রধান কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ কার্যাবলীর অন্তর্ভুক্ত কিন্তু একটি কোম্পানী তার এ সকল কার্যাবলীর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারে না যে তার উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারে গৃহীত হবে এবং তার বাজারজাতকরণ উদ্দেশ্য সফল হবে।
এক্ষেত্রে তাই কোম্পানীকে বিক্রয় প্রসার নীতি অনুসরণ করতে হয়। যার মাধ্যমে সে পণ্যসামগ্রী সম্পর্কে ক্রেতাদেরকে পরিচিত করাতে পারে এবং ক্রেতাদের সাথে একটি কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
আরও পড়ুন :- ভোক্তার আচরন কাকে বলে?
২. প্রভাবিত করণ (To influence) :-
প্রসার কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রেতাকে সুষ্ঠু অবহিতই করা হয় না বরং পন্য ও সেবার গুনাগুণ, নাম, বৈশিষ্ট্য ও প্রাপ্তি স্থান সম্পর্কে জানানো হয় এবং এই যোগাযোগের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতারা যাতে প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা ক্রয় করে তার জন্য তাদের মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়।
৩. চাহিদা সৃষ্টি (To Create Demand) :-
অধিকাংশ প্রসার কার্যের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে চাহিদা সৃষ্টি করা। অধিক সংখ্যক ক্রেতাকে অবহিত করে দ্রব্য বা সেবা ক্রয়ে প্রলুব্ধ করা। মূল্যের পরিবর্তন ও প্রসার কার্যক্রম বৃদ্ধি করে অনেক প্রতিষ্ঠানেই পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করে থাকে।
৪. পণ্য পৃথকীকরণ (To Differentiate the product) :-
প্রসার কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি কোম্পানী তার উৎপাদিত পণ্যকে প্রতিযোগিদের পণ্য থেকে আলাদা করে ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করতে পারে।
৫. স্মরণকরণ (To remind) :-
আমরা জানি যে, প্রতিযোগীতা মুলক বাজারে একই পণ্যে বা সেবার সমজাতীয় ও অনেক পণ্য থাকে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর ফলে ক্রেতারা অনেক সময় এত পণ্যের ভিড়ে একটি নির্দিষ্ট পণ্যকে ভুলে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক কোম্পানী বারবার প্রসার কার্যক্রম পরিচালনা করে তোদেরকে তাঁর পণ্য ও সেবা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেখার চেষ্টা করে থাকে।
এক্ষেত্রে তাই কোম্পানীকে বিক্রয় প্রসার নীতি অনুসরণ করতে হয়। যার মাধ্যমে সে পণ্যসামগ্রী সম্পর্কে ক্রেতাদেরকে পরিচিত করাতে পারে এবং ক্রেতাদের সাথে একটি কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
আরও পড়ুন :- ভোক্তার আচরন কাকে বলে?
প্রসার কাকে বলে :-
সহজভাবে বাজারজাতকরণ প্রসার বলতে যা বুঝায় তা হলো- পণ্যের বাজার সৃষ্টির জন্য প্রকৃত ভোজ্ঞা ও বিক্রয়তাদের অবহিত করে পণ্যটি ক্রয়ে ক্রেতাদের আগ্রহী করে তুলবার জন্য যে উপায় বা কৌশল ব্যবহার করা হয় তাকে এক কথায় প্রসার বলা হয়।
Patrick E. Murphy এবং Ben M. Enis-এর মতে প্রসার কতগুলো যোগাযোগ নিয়ে গঠিত যা সম্ভাব্য ক্রেতাদের পণ্যের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত করে এবং এই পণ্যগুলোর যে চাহিদা পরিতৃপ্তির ক্ষমতা আছে সে মর্মে তাদেরকে প্ররোচিত করে।
E. Jerome McCarthy & William D. Perreault Jr.-এ মতে প্রসার হচ্ছে মনোভাব ও আচরণ প্রভাবিত করার জন্য বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ।
Patrick E. Murphy এবং Ben M. Enis-এর মতে প্রসার কতগুলো যোগাযোগ নিয়ে গঠিত যা সম্ভাব্য ক্রেতাদের পণ্যের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত করে এবং এই পণ্যগুলোর যে চাহিদা পরিতৃপ্তির ক্ষমতা আছে সে মর্মে তাদেরকে প্ররোচিত করে।
E. Jerome McCarthy & William D. Perreault Jr.-এ মতে প্রসার হচ্ছে মনোভাব ও আচরণ প্রভাবিত করার জন্য বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ।
প্রসারের উদ্দেশ্যাবলী :-
একটি প্রতিষ্ঠান যে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নিয়ে তার বাজারজাতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রসারের গুরুত্ব বা ভূমিকা অপরিসীম। প্রধানত যে সব লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রসারকার্যক্রম গ্রহণ করা হয় সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো -
১. অবহিতকরণ [To inform) :-
ক্রেতাদের কাছে পণ্যকে পরিচিত করা বা তাদেরকে নতুন পণ্য সম্পর্কে জানানো প্রসারের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য। একটি নতুন পণ্য যখন বাজারে আসে তখন ক্রেতারা এই পণ্য সম্পর্কে কিছুই জানে না যতক্ষণ না বিভিন্ন মাধ্যমে (যেমন- খবরের কাগজ, টেলিভিশন, ম্যাগাজিন ইত্যাদি) ক্রেতাদেরকে না জানানো হয়। সে কারণে পণ্য সম্পর্কে তথ্য অবহিতকরণ প্রসারের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
১. অবহিতকরণ [To inform) :-
ক্রেতাদের কাছে পণ্যকে পরিচিত করা বা তাদেরকে নতুন পণ্য সম্পর্কে জানানো প্রসারের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য। একটি নতুন পণ্য যখন বাজারে আসে তখন ক্রেতারা এই পণ্য সম্পর্কে কিছুই জানে না যতক্ষণ না বিভিন্ন মাধ্যমে (যেমন- খবরের কাগজ, টেলিভিশন, ম্যাগাজিন ইত্যাদি) ক্রেতাদেরকে না জানানো হয়। সে কারণে পণ্য সম্পর্কে তথ্য অবহিতকরণ প্রসারের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
আরও পড়ুন :- মূল্য কাকে বলে?
২. প্রভাবিত করণ (To influence) :-
প্রসার কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রেতাকে সুষ্ঠু অবহিতই করা হয় না বরং পন্য ও সেবার গুনাগুণ, নাম, বৈশিষ্ট্য ও প্রাপ্তি স্থান সম্পর্কে জানানো হয় এবং এই যোগাযোগের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতারা যাতে প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা ক্রয় করে তার জন্য তাদের মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়।
৩. চাহিদা সৃষ্টি (To Create Demand) :-
অধিকাংশ প্রসার কার্যের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে চাহিদা সৃষ্টি করা। অধিক সংখ্যক ক্রেতাকে অবহিত করে দ্রব্য বা সেবা ক্রয়ে প্রলুব্ধ করা। মূল্যের পরিবর্তন ও প্রসার কার্যক্রম বৃদ্ধি করে অনেক প্রতিষ্ঠানেই পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করে থাকে।
৪. পণ্য পৃথকীকরণ (To Differentiate the product) :-
প্রসার কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি কোম্পানী তার উৎপাদিত পণ্যকে প্রতিযোগিদের পণ্য থেকে আলাদা করে ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করতে পারে।
৫. স্মরণকরণ (To remind) :-
আমরা জানি যে, প্রতিযোগীতা মুলক বাজারে একই পণ্যে বা সেবার সমজাতীয় ও অনেক পণ্য থাকে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর ফলে ক্রেতারা অনেক সময় এত পণ্যের ভিড়ে একটি নির্দিষ্ট পণ্যকে ভুলে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক কোম্পানী বারবার প্রসার কার্যক্রম পরিচালনা করে তোদেরকে তাঁর পণ্য ও সেবা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেখার চেষ্টা করে থাকে।
আরও পড়ুন :- ব্যক্তিক বিক্রয় কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.