পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা আগে আমাদের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায় কাকে বলে তার জানা জরুরী।
উৎপাদকের নিকট থেকে বেশি পরিমাণে পণ্য ক্রয় করে খুচরা ব্যবসায়ীর নিকট অল্প পরিমাণে পণ্য বিক্রয় করার কাজকে পাইকারী ব্যবসায় বলা হয়।
পাইকারি ব্যবসায়ের মাধ্যমে পণ্য খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য হলো- পণ্য সংগ্রহ; অধিক পরিমাণে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়; অধিক পণ্যের সংখ্যা; ভোক্তার নিকট পণ্য বিক্রয়: পাইকারী ব্যবসায়ের অবস্থান; একর প্রতি কম মুনাফা; অধিক মূলধন ও অত্যধিক ঝুঁকি গ্রহণ।
এই ব্যবসায়ে যোগাযোগ স্থাপন ছাড়াও আরও যেসব কার্যাবলি যুক্ত থাকে সেগুলো হলোঃ পূর্বানুমান, পণ্য এনা, বিক্রয়, সংরক্ষণ, পণ্য সজ্জা, পরিবহন, ঝুঁকি গ্রহণ, বিভক্তকরণ, মোড়কবদ্ধকরণ, প্রচার, ধারে বিক্রয়, পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান ও তথ্য সরবরাহ।
ক্রয় ও বিক্রয়ের পরিমাণ, ধার্যকৃত পণ্য মূল্য, ক্রেতার প্রকারভেদ, পণ্যের ব্যবহার, কার্য পদ্ধতি, ব্যবসায়ের স্থান, ক্রয়ের উৎস, মূলধনের পরিমাণ, সম্পর্কের প্রকৃতি, পণ্য সংরক্ষণ, পণ্যের বৈচিত্র্য ও ব্যবসায়ে বিস্তৃতি ইত্যাদির ভিত্তিতে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ের পার্থক্য রয়েছে। নীচে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হয়েছে।
উৎপাদকের নিকট থেকে বেশি পরিমাণে পণ্য ক্রয় করে খুচরা ব্যবসায়ীর নিকট অল্প পরিমাণে পণ্য বিক্রয় করার কাজকে পাইকারী ব্যবসায় বলা হয়।
পাইকারি ব্যবসায়ের মাধ্যমে পণ্য খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য হলো- পণ্য সংগ্রহ; অধিক পরিমাণে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়; অধিক পণ্যের সংখ্যা; ভোক্তার নিকট পণ্য বিক্রয়: পাইকারী ব্যবসায়ের অবস্থান; একর প্রতি কম মুনাফা; অধিক মূলধন ও অত্যধিক ঝুঁকি গ্রহণ।
পাইকারি ব্যবসায়ী বা পাইকার বিভিন্ন প্রকারের বিপণন কার্য সম্পাদন করে থাকে। যথা ক্রয় কার্য, বিক্রয় কার্য, পৃথককরণ, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, পণ্য পর্যায়িতকরণ, মোড়ক বাঁধাই, অর্থসংস্থান, ঝুঁকি বহন, ব্যবস্থাপনা সেবা ও পরামর্শ দান, মূল্য নির্ধারণ, মূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও উন্নতমানের পণ্য সরবরাহ।
চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করার কার্যকে খুচরা ব্যবসায় বলা হয়।
খুচরা ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য হলোঃ এটি পাইকার ও ভোক্তাদের মধ্যে একটি মধ্যস্থ কারবার, খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারের নিকট থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পটে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে থাকে; খুচরা ব্যবসায়ে পুঁজির পরিমাণ কম লাগে। খুচরা ব্যবসায়ে পণ্য মূল্যের উঠানামাজনিত ঝুঁকি থাকে না।
চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করার কার্যকে খুচরা ব্যবসায় বলা হয়।
খুচরা ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য হলোঃ এটি পাইকার ও ভোক্তাদের মধ্যে একটি মধ্যস্থ কারবার, খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারের নিকট থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পটে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে থাকে; খুচরা ব্যবসায়ে পুঁজির পরিমাণ কম লাগে। খুচরা ব্যবসায়ে পণ্য মূল্যের উঠানামাজনিত ঝুঁকি থাকে না।
আরও পড়ুন :- যোগাযোগ পদ্ধতি কাকে বলে?
এই ব্যবসায়ে যোগাযোগ স্থাপন ছাড়াও আরও যেসব কার্যাবলি যুক্ত থাকে সেগুলো হলোঃ পূর্বানুমান, পণ্য এনা, বিক্রয়, সংরক্ষণ, পণ্য সজ্জা, পরিবহন, ঝুঁকি গ্রহণ, বিভক্তকরণ, মোড়কবদ্ধকরণ, প্রচার, ধারে বিক্রয়, পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান ও তথ্য সরবরাহ।
ক্রয় ও বিক্রয়ের পরিমাণ, ধার্যকৃত পণ্য মূল্য, ক্রেতার প্রকারভেদ, পণ্যের ব্যবহার, কার্য পদ্ধতি, ব্যবসায়ের স্থান, ক্রয়ের উৎস, মূলধনের পরিমাণ, সম্পর্কের প্রকৃতি, পণ্য সংরক্ষণ, পণ্যের বৈচিত্র্য ও ব্যবসায়ে বিস্তৃতি ইত্যাদির ভিত্তিতে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ের পার্থক্য রয়েছে। নীচে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হয়েছে।
বিষয় | পাইকারী ব্যবসায় | খুচরা ব্যবসায় |
---|---|---|
ক্রয় ও বিক্রয়ের পরিমাণ | পাইকারি ব্যবসায়ে খুচরা ব্যসায়ের তুলনায় বহুল পরিমাণে লটে পণ্য ক্রয় করা হয় এবং খুচরা দোকানীদের নিকট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লটে বিক্রি করা হয়। | একসাথে বহুল পরিমাণ পণ্য ক্রয় করা হলেও তা পাইকারী ব্যবসায়ের তুলনায় কম। |
ধার্যকৃত পণ্যমূল্য | পাইকারি ব্যবসায়ীদের ধার্যকৃত মূল্য অপেক্ষাকৃত কম হয়। | খুচরা ব্যবসায়ীরা যে মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে থাকেন তা সাধারণত পাইকারি ব্যবসায়ের তুলনায় অধিক হয়। |
ক্রেতার প্রকারভেদ | পাইকার ব্যবসায়ী তার পণ্য অন্য যে কোন পাইকার, শিল্প পণ্য ব্যবহারকারী কিংবা খুচরা ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রয় করে থাকে। | খুচরা ব্যবসায়ী শুধুমাত্র চূড়ান্ত ভোক্তার নিকটই পণ্য বিক্রয় করেন। |
পণ্যের ব্যবহার | পাইকার ব্যবসায়ীর ক্রেতা পুনঃবিক্রয় বা উৎপাদনের জন্য পণ্যদ্রব্য ক্রয় করেন । | খুচরা ব্যবসায়ীর ক্রেতা (অর্থাৎ ভোক্তা) পণ্যের উপযোগিতা চূড়ান্তভাবে করার জন্য পণ্য ক্রয় করে। |
কার্য পদ্ধতি | পাইকারগণ সাধারণত বিভিন্ন স্থাপনা, যেমন গুদামঘর ও সংরক্ষণাগার ব্যবহার করে পণ্যসামগ্রী সংরক্ষণের জন্য। | জনসাধারণের নিকট পণ্য বিক্রির জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দোকান পরিচালনা করে । |
ব্যবসায়ের স্থান | ব্যবসায়ের স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্বল্প সংরক্ষণ ব্যয় বিবেচনা করা হয়। | ভোক্তাদেরকে সরাসরি আকৃষ্ট করার প্রয়োজন হয় বলে আকর্ষণীয় স্থান, সুবিধাজনক অবস্থান ও সাজসজ্জার দিকে খেয়াল রাখা হয়। |
ক্রয়ের উৎস | পাইকার উৎপাদক বা আমদানিকারকের নিকট থেকে পণ্য ক্রয় করে। | খুচরা ব্যবসায়ীর পণ্য ক্রয়ের প্রধান উৎস হলো পাইকার। তবে অনেক ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ী উৎপাদক বা আমদানিকারকদের নিকট থেকেও পণ্য ক্রয় করে। |
মূলধনের পরিমাণ | প্রচুর পরিমাণ মূলধনের দরকার হয়। | তুলনামূলক কম মূলধনের প্রয়োজন হয়। |
সম্পর্কের প্রকৃতি | উৎপাদক এবং আমদানিকারকের সাথে পাইকারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। | চূড়ান্ত ভোক্তার সাথে তার সম্পর্ক থাকে। |
পণ্য সংরক্ষণ | পাইকার নিজস্ব গুদামে কিংবা ভাড়া করা পণ্যাগারে পণ্যসামগ্রী সংরক্ষণ করে রাখে । | খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজের দোকানের মধ্যেই স্বল্প সময়ের জন্য পণ্য সংরক্ষণ করে রাখে। |
পণ্যের বৈচিত্র্য | পাইকারী ব্যবসায়ী সাধারণত কয়েকটি সীমিত ধরনের পণ্যের লেনদেন করে। | খুচরা ব্যবসায়ী বহুবিধ ধরনের পণ্য কেনাবেচায় জড়িত থাকে । |
ব্যবসায়ে বিস্তৃতি | পাইকারগণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করে। | খুচরা ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় স্থানীয় অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে। |
আরও পড়ুন :- পাইকারী ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.