কম্পিউটার ভাইরাস কি :-
কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ, সংক্রমণ ও নিজস্ব সংখ্যা বৃদ্ধি করে। কম্পিউটার ভাইরাস কম্পিউটারকে অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য এবং অস্বস্তিদায়ক কাজ করতে বাধ্য করে। এ ধরনের প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে বিড়ম্বনায় ফেলা।১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কম্পিউটারজনিত ভাইরাসের আগমন ঘটে। সাধারণত অভিজ্ঞ প্রোগ্রামাররাই কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করে থাকে।
VIRUS পুরো নাম হলো Vital Information Resources under Siege. প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কোহেন কম্পিউটার ভাইরাস এর নামকরণ করেন।
মূলত কম্পিউটার ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করার পর ভাইরাসের বংশবিস্তার হতে থাকে এবং একপর্যায়ে সম্পূর্ণ কম্পিউটারকে সংক্রমিত করে অচল করে দেয়।
কয়েকটি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম হলো- ভিবিএস / হেল্পার, ওয়ার্ম, ভিবিএস/আকুই, ট্রোজান হর্স, এক্স ৯৭এম/ইপার, আর, মাইক্রো ভাইরাস, বুট সেক্টর ভাইরাস, জেরুজালেম, স্টোন, ঢাকা ভাইরাস, ভিয়েনা, সিআইএইচ ইত্যাদি।
সাধারণত ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য, ফাইল, সফটওয়্যার, ই-মেইল ইত্যাদির মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারের সাথে আদান-প্রদানের ফলে ভাইরাস আক্রমণ হতে পারে।
আরও পড়ুন :- অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে?
ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারের লক্ষণ :-
কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে কম্পিউটারের লক্ষণ বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে বোঝা যাবে কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে।১. কম্পিউটার চালু হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগে।
২. কম্পিউটারের কাজের গতি কমে যায়।
৩. প্রোগ্রাম লোড হতে বেশি সময় লাগে।
৪. হার্ডডিস্কের পার্টিশন নষ্ট করে ফেলে ফলে সকল ডেটা হারিয়ে যায়।
৫. Disk-এর Volume-এর নাম পরিবর্তন হয়ে গেলে।
৬. ফাইলের আকার পরিবর্তন হয়ে গেলে।
৭. তারিখ ও সময় অপ্রত্যাশিতভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেলে।
৮. অপ্রত্যাশিত কিছু Message কাজের সময় প্রদর্শিত হলে।
৯. কাজের সময় অপ্রত্যাশিত শব্দ হলে।
১০. কম্পিউটারের Free memory-এর পরিমাণ কমে গেলে।
১১. অনেক সময় কম্পিউটারের বায়োসের ডাটা মুছে ফেলে কম্পিউটারকে অচল করে ফেলে ইত্যাদি।
কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিকারের উপায় :-
ভাইরাসের প্রতিকারের চেয়ে কম্পিউটারকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মুক্ত করা অধিকতর ভালো হয়। কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত করার উপায়সমূহ নিম্নরূপ -
১. কম্পিউটারের প্রতিটি ফাইল, ফোল্ডার নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা।
২. অন্য কম্পিউটারের কোনো ফাইল নিজের কম্পিউটারে ব্যবহারের পূর্বে ফাইলটিকে অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা।
৩. ব্যবহারের পূর্বে প্রতিটি ডিস্ক, অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা।
৪. পাইরেটেড বা কপি করা, সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
৫. Internet-এর ফাইল গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করা।
৬. ইন্টারনেট হতে যেকোনো ধরনের তথ্য বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় সতর্ক থাকা।
২. অন্য কম্পিউটারের কোনো ফাইল নিজের কম্পিউটারে ব্যবহারের পূর্বে ফাইলটিকে অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা।
৩. ব্যবহারের পূর্বে প্রতিটি ডিস্ক, অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা।
৪. পাইরেটেড বা কপি করা, সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
৫. Internet-এর ফাইল গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করা।
৬. ইন্টারনেট হতে যেকোনো ধরনের তথ্য বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় সতর্ক থাকা।
আরও পড়ুন :- সফটওয়্যার কাকে বলে?
৭. ই-মেইল আদান-প্রদানে সতর্কতা অবলম্বন করা।
৮. বাইরের ফ্লপি ডিস্ক বা পেনড্রাইভ ব্যবহারের পূর্বে অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা।
৯. গেমস ফাইল ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভাইরাস চেক করা।
১০. কম্পিউটারের সেট আপে অটোভাইরাস গার্ড রাখা যাতে কম্পিউটার বুট করলেই কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস চেক করতে পারে।
১১. সব সময় Up-Dated অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা ইত্যাদি।
অ্যান্টিভাইরাস কি :-
অ্যান্টিভাইরাস এক ধরনের কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিষেধক। কম্পিউটার প্রোগ্রামসমূহকে ভাইরাসমুক্ত করার জন্য এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করাই এর কাজ।অর্থাৎ অ্যান্টিভাইরাস হলো কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত করা বা ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য প্রোগ্রামবিশেষ।
বর্তমানে জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হচ্ছে- Anti-Virus Toolkit, Dr. Solomon's Antivirus, Cure Anti-Virus, Norton Antivirus, PC-Cillin Antivirus, Mcafee Anti-Virus, Panda Antivirus, AVG Anti-Virus; ইত্যাদি।
আরও পড়ুন :- কম্পিউটার কি? এর কাজ?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.