কোড কাকে বলে? এর উদাহরণ?

কোড কাকে বলে :-

কম্পিউটারের মূলনীতিতে কেবলমাত্র সংখ্যার ব্যবহার রয়েছে। এ সংখ্যা হলো 0 ও 1, যা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি নামে পরিচিত।

বাইনারি সংখ্যার সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা, বর্ণ, অক্ষর, চিহ্ন, শব্দ, বিশেষ চিহ্ন, অর্থাৎ‍ বিভিন্ন প্রকার উপাত্তকে অদ্বিতীয় সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করার পদ্ধতিই হলো কোড

কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পাদনের প্রয়োজনে এ ধরনের নির্দিষ্ট সংকেতে রূপান্তরের পদ্ধতিকে বলা হয় এনকোডিং (Encoding)।

কম্পিউটারের উপাত্ত বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল বা আউটপুট মানুষের বোধগম্য করার জন্য আবার আউটপুটকে সংখ্যা, বর্ণ বা বিশেষ চিহ্নে রূপান্তর করা হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ডিকোডিং (Decoding)।

বিভিন্ন প্রকার কত কোড :-

কাজেই কম্পিউটারের মাধ্যমে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ বা উপস্থাপনে কোডের ভূমিকা অপরিহার্য। ডেটা প্রক্রিয়াকরণ তথা কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য বহুল ব্যবহৃত কোডগুলো হলো:

  • বিসিডি কোড (BCD Code)
  • অ্যাসকি কোড (ASCII Code)
  • ইবিসিডিক কোড (EBCDIC Code)
  • ইউনিকোড (Unicode); ইত্যাদি।
কোড কাকে বলে

বিসিডি কোড (BCD code) :-

BCD শব্দের পূর্ণরূপ হলো Binary Coded Decimal. দশমিক সংখ্যায় ব্যবহৃত অংকগুলোর বাইনারি রূপান্তরই হলো বিসিডি কোড। এটি কম্পিউটারে ব্যবহৃত সূচনালগ্নের কোডগুলোর মধ্যে একটি এবং সহজেই দশমিক সংখ্যার বাইনারি রূপান্তরের একটি কোড। কালের বিবর্তনে এবং কম্পিউটারে প্রয়োগের ভিত্তিতে কম্পিউটার গবেষকগণ বিভিন্ন ধরনের বিসিডি কোড আবিষ্কার করেছেন। যেমন

4-বিট বিসিডি কোড (4-Bit BCD Code)
6-বিট বিসিডি কোড (6-Bit BCD Code)
৪-বিট বিসিডি কোড (8-Bit BCD Code); ইত্যাদি।

অ্যাসকি কোড (ASCII Code) :-

ASCII শব্দের পূর্ণরূপ হলো American Standard Code for Information Interchange, 1963 সালে আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউড (ANSI-American National Standards Institute) কর্তৃক ASCII কোডটি আবিষ্কৃত হয়।

এটি বহুল ব্যবহৃত একটি 7 বিটের কোড, যার দ্বারা 2" বা 128টি বিভিন্ন অংক, অক্ষরসহ বিভিন্ন চিহ্ন এবং আরো কতকগুলো বিশেষ চিহ্নকে প্রকাশ বা নির্দিষ্ট করা যায়। এটি ASCII-7 কোড নামে পরিচিত, যার বাম দিকের 3টি বিটকে জোন এবং ডান দিকের 4টি বিটকে সংখ্যাসূচক বিট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুন :- কম্পিউটার বাস কি?

ইবিসিডিক কোড (EBCDIC Code) :-

EBCDIC এর পূর্ণরূপ হলো Extended Binary Coded Decimal Information Code.

EBCDIC কর্তৃক তৈরীকৃত একটি ৪ বিটের কোড যার মাধ্যমে 25 বা 256টি বিভিন্ন অংক, অর্থদাসহ বিভিন্ন চিহ্ন এবং আরো কতকগুলো বিশেষ চিহ্নকে প্রকাশ বা নির্দিষ্ট করা যায়। এ ধরনের কোডের ডান দিকের চারটি বিটকে নিউমেরিক এবং বাম দিকের চারটি বিটকে জোন বলা হয়।

ইউনিকোড (Unicode) :-

Apple Computer Corporation এবং Xerox Corporation -এর বিভিন্ন প্রকৌশলী ১৯৯১ সালে Unicode আবিষ্কার করেন। Unicode-এর পুরো নাম হলো Universal Code.

একটি হলো 16 বিটের কোড যার সাহায্যে 25 বা 65536টি কোড গ্রুপ তৈরি করা যায়। কম্পিউটার টেকনোলজিতে ইউনিকাডকে কোড পয়েন্ট (Code Point) বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার ও টেক্সটকে প্রকাশ করার জন্য ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়। MS Windows, Mac OS, Linux ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম Unicode সাপোর্ট করে।

আরও পড়ুন :- ইমেইল কি?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ