আমরা অন্য একটি পোস্টে প্রাইভেট কোম্পানি নিয়ে আলোচনাকালে দেখেছি কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে, প্রাইভেট কোম্পানি বৃহৎ পরিসরে বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং সংগ্রহ করতে পারেনা।
স্বাভাবিকভাবেই বড় বিনিয়োগের অভাবে বৃহদায়তনে ব্যবসায় সম্প্রসারণে সুযোগ সীমিত থাকে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে এ অসুবিধাগুলো খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না। আসুন জেনে নিই, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য, এর সুবিধা-অসুবিধাসহ অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
পাবলিক কোম্পানির সদস্য যে কোনো সংখ্যক হতে পারে এ ব্যাপারে কোনো আইনগত বিধিনিষেধ নাই। এ কোম্পানি জনসাধারণকে শেয়ার ক্রয়ের আমন্ত্রণ জানাতে পারে। নিবন্ধনের পর পাবলিক কোম্পানিকে ব্যবসায় আরম্ভ করার জন্য নিবন্ধকের কাছ থেকে কার্যারনের অনুমতি নিতে হয়।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সংক্ষেপে পাবলিক কোম্পানি নামেও পরিচিত। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশ ও ভারতের আইনে এ ব্যবসায়কে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাকে বলে? এ সম্পর্কে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২(১-এ) ধারায় বলা হয়েছে, "পাবলিত কোম্পানি বলতে এ আইনে বা এ আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ কোনো আইনের অধীনে নির্গমিত (incorporated) এমন কোনো কোম্পানিকে বোঝাবে যা প্রাইভেট কোম্পানি নয়।"
আরও পড়ুন:- প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি কি?
১৯৫৬ সালের ভারতীয় কোম্পানি আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, "প্রাইভেট কোম্পানি নয় এরূপ কোম্পানিকেই পাবলিক কোম্পানি বলে।"
সুতরাং আমরা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাকে বলে? এ সম্পর্কে বলতে পারি, পাবলিক কোম্পানি হলো সেই কোম্পানি যা জনগণের নিকট শেয়ার বা ঋণপত্র বিক্রয় করে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে, যার সদস্য সংখ্যা অধিক এবং সদস্যদের দায় ক্রীত শেয়ার এর মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ।
সদস্য সংখ্যা অধিক হওয়ায় একে ব্যাপক মালিকানার যৌথমূলধনী ব্যবসায়ও বলা হয়।
১. আইনসৃষ্ট সংগঠন :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত হয়। আইনের বিধান মতে একে সর্বক্ষেত্রেই অগ্রসর হতে হয়।
২. কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা :-
এ ধরনের কোম্পানি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী। এটি একজন মানুষের মতোই চুক্তি সম্পাদন করতে পারে ও অন্যের নামে মামলা করতে পারে।
৩. চিরন্তন অস্তিত্ব :-
পাবলিক কোম্পানি চিরন্তন অস্তিত্বের অধিকারী। শেয়ার হস্তান্তরিত হলে শেয়ারহোল্ডার দেউলিয়া হলে, এমনকি শেয়ারহোল্ডারের মৃত্যু হলেও কোম্পানির অবসান হয় না।
৪. সিলমোহরের ব্যবহার :-
এ কোম্পানি নিজস্ব সিলমোহর ব্যবহার করতে পারে। আইনই তাকে এই বৈধতা প্রদান করেছে।
৫. সীমিত দায় :-
পাবলিক কোম্পানির সদস্যদের দায় সীমাবদ্ধ। প্রত্যেক সদস্য যত টাকার শেয়ার কিনবে ঠিক ততো টাকা পর্যন্ত আয় সীমিত থাকবে।
৬. সদস্য সংখ্যা :-
এ কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ৭ জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে। আইনে সদস্যদের সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সামাজিক কল্যাণ সাধন, সঞ্চয়ে উৎসাহ দান, জালিয়াতি রোধের সুযোগ ইত্যাদি সুবিধাজনক দিক রয়েছে। আর এগুলো একটি দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
১. জটিল গঠনপ্রণালি :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির গঠন কিছুটা জটিল প্রকৃতির। এতে আইনের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় বেশি। ফলে অনেকেই কোম্পানি গঠনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
২. সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব :-
এরূপ কোম্পানি বৃহদায়তন হওয়ায় বহুবিধ আইনগত আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় বিধায় অনেক সময়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হয়।
৩. স্বজনপ্রীতি :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কিছু সংখ্যক পরিচালকের হাতে ন্যস্ত থাকে। অনেক সময়েই তারা শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় গ্রহণ করে। এতে ব্যবসায়ে দক্ষতা হ্রাস পায়।
৪. ব্যয় বহুল :-
বৃহদায়তনের এ ব্যবসায় সংগঠন পরিচালনা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক যেমন- সভা অনুষ্ঠান হিসাবের খাতাপত্র সংরক্ষণ, হিসাব নিরীক্ষা ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এ কারণে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়।
৫. ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা :-
এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব একজন বেতনভূক্ত কর্মচারীর ওপর নাজ থাকায় কোম্পানির পরিচালনায় অদক্ষতাসহ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি দেখা দেয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা বিরাজ করে।
৬. ন্যূনতম চাঁদা :-
পাবলিক কোম্পানির শেয়ার বণ্টন ও কার্যারম্ভের পূর্বে পরিমেল নিয়মাবপিতে উল্লিখিত ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহ করতে হয়। নতুবা কোম্পানি কার্য আরম্ভ করতে পারে না।
৭. কার্যারম্ভে বিলম্ব :-
পাবলিক কোম্পানি বিনন্ধন পাবার সাথে সাথে ব্যবসায় আরম্ভ করতে পারে না। ব্যবসায় শুরু করতে হলে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এতে কার্যারদ্ধে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
৮. আইনের কঠোরতা :-
এ কোম্পানির গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে আইনগত বিধি-বিধান অত্যন্ত কঠিনভাবে পালন করতে হয় যা ব্যবসায়ের স্বাভাবিক পরিচালনা ও এর বিকাশের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
৯. ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের অভাব :-
ব্যবস্থাপনা মালিকানা থেকে পৃথক হওয়ায় মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক থাকে না। এ প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না থাকার দরুন মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রায়শই বিরোধ লেগে থাকে।
১০. একচেটিয়া ব্যবসায় :-
বৃহদায়তন প্রকৃতির ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠার কারণে এর মাধ্যমে অনেক সময়ই একচেটিয়া ব্যবসায়ের উদ্ভব হয় যা সমাজের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি ব্যবসায় উন্নয়নের পথকে করে সীমিত।
১১. ব্যক্তিগত উৎসাহের অভাব :-
এরুপ কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গুটি কয়েক পরিচালকের হাতে ন্যস্ত থাকে বলে শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির মালিক হয়েও এর পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। ফলে অনেকেই ব্যবসায়ে ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহী হয় না।
১২. গোপনীয়তা রক্ষার অসুবিধা :-
পাবলিক কোম্পানিকে আইন অনুযায়ী বার্ষিক লাভ-ক্ষতি ও উদ্বৃত্তপত্রের অনুলিপি ও অন্যান্য দলিলপত্র কোম্পানির নিবন্ধক ও শেয়ারহোল্ডারদের নিকট প্রেরণ করতে হয়। এর ফলে ব্যবসায়ের গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বহুবিধ সুবিধা থাকলেও উল্লিখিত অসুবিধাসমূহের কারণে কেউ কেউ এতে বিনিয়োগের তেমন আগ্রহ বোধ করে না।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাকে বলে :-
যে কোম্পানি কমপক্ষে ৭ জন এবং সর্বোচ্চ যে কোনো সংখ্যক সদস্যসহ সীমিত দায়ের ভিত্তিতে অবাধে শেয়ার হস্তান্তরের অধিকার নিয়ে ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনা করে তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে।পাবলিক কোম্পানির সদস্য যে কোনো সংখ্যক হতে পারে এ ব্যাপারে কোনো আইনগত বিধিনিষেধ নাই। এ কোম্পানি জনসাধারণকে শেয়ার ক্রয়ের আমন্ত্রণ জানাতে পারে। নিবন্ধনের পর পাবলিক কোম্পানিকে ব্যবসায় আরম্ভ করার জন্য নিবন্ধকের কাছ থেকে কার্যারনের অনুমতি নিতে হয়।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সংক্ষেপে পাবলিক কোম্পানি নামেও পরিচিত। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশ ও ভারতের আইনে এ ব্যবসায়কে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাকে বলে? এ সম্পর্কে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২(১-এ) ধারায় বলা হয়েছে, "পাবলিত কোম্পানি বলতে এ আইনে বা এ আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ কোনো আইনের অধীনে নির্গমিত (incorporated) এমন কোনো কোম্পানিকে বোঝাবে যা প্রাইভেট কোম্পানি নয়।"
আরও পড়ুন:- প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি কি?
১৯৫৬ সালের ভারতীয় কোম্পানি আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, "প্রাইভেট কোম্পানি নয় এরূপ কোম্পানিকেই পাবলিক কোম্পানি বলে।"
সুতরাং আমরা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাকে বলে? এ সম্পর্কে বলতে পারি, পাবলিক কোম্পানি হলো সেই কোম্পানি যা জনগণের নিকট শেয়ার বা ঋণপত্র বিক্রয় করে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে, যার সদস্য সংখ্যা অধিক এবং সদস্যদের দায় ক্রীত শেয়ার এর মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ।
সদস্য সংখ্যা অধিক হওয়ায় একে ব্যাপক মালিকানার যৌথমূলধনী ব্যবসায়ও বলা হয়।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সীমিত দায় সম্পন্ন কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তাবিশিষ্ট একটি সংগঠন। এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে একে সম্পূর্ণ পৃথক করেছে। নিম্নে এ বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচিত হলো।১. আইনসৃষ্ট সংগঠন :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত হয়। আইনের বিধান মতে একে সর্বক্ষেত্রেই অগ্রসর হতে হয়।
২. কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা :-
এ ধরনের কোম্পানি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী। এটি একজন মানুষের মতোই চুক্তি সম্পাদন করতে পারে ও অন্যের নামে মামলা করতে পারে।
৩. চিরন্তন অস্তিত্ব :-
পাবলিক কোম্পানি চিরন্তন অস্তিত্বের অধিকারী। শেয়ার হস্তান্তরিত হলে শেয়ারহোল্ডার দেউলিয়া হলে, এমনকি শেয়ারহোল্ডারের মৃত্যু হলেও কোম্পানির অবসান হয় না।
৪. সিলমোহরের ব্যবহার :-
এ কোম্পানি নিজস্ব সিলমোহর ব্যবহার করতে পারে। আইনই তাকে এই বৈধতা প্রদান করেছে।
৫. সীমিত দায় :-
পাবলিক কোম্পানির সদস্যদের দায় সীমাবদ্ধ। প্রত্যেক সদস্য যত টাকার শেয়ার কিনবে ঠিক ততো টাকা পর্যন্ত আয় সীমিত থাকবে।
৬. সদস্য সংখ্যা :-
এ কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ৭ জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে। আইনে সদস্যদের সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই।
আরও পড়ুন:- কোম্পানি কাকে বলে?
৭. শেয়ার মূলধন :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি তার প্রত্যাশিত সমগ্র মূলধনকে কতকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমান অংশে বিভক্ত করে। প্রতিটি অংশকে এক একটি শেয়ার বলে। শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে এ কোম্পানি তার মূলধনের সংস্থান করে থাকে।
৮. শেয়ার হস্তান্তরযোগ্যতা :-
এ কোম্পানির শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। যে কোনো সদস্য যে কোনো সময় তার শেয়ার নিয়ম মাফিক অন্যের নিকট বিক্রি করতে পারে।
৯. শেয়ার ক্রয়ের আমন্ত্রণ :-
পাবলিক কোম্পানি বিবরণপত্র প্রচার করে জনগণকে শেয়ার ক্রয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
১০. ন্যূনতম পুঁজি :-
পাবলিক কোম্পানিকে কার্যারম্ভের পূর্বে ন্যূনতম পুঁজি সংগ্রহ করতে হয়।
১১. কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র :-
ব্যবসায় আরম্ভ করার পূর্বে নিবন্ধকের নিকট থেকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা পাবলিক কোম্পানির জন্য বাধ্যতামূলক।
১২. লিমিটেড শব্দের ব্যবহার :-
এ ধরনের কোম্পানির নামের শেষে লিমিটেড শব্দ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
১৩. বিবরণ প্রকাশ :-
পাবলিক কোম্পানিকে বিবরণপত্র বা বিকল্প বিবরণপত্র প্রকাশ করতে হয়।
১৪. পরিচালক সংখ্যা :-
এর পরিচালক সংখ্যা কমপক্ষে ৩ জন হতে হয়।
১৫. বিধিবদ্ধ সভা :-
পাবলিক কোম্পানির পক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিধিবদ্ধ সভা আহ্বান করা বাধ্যতামূলক।
১৬. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি পরিচালক নির্বাচন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি সকলক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলে। ফলে পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ কম থাকে।
১৭. হিসাব দাখিল :-
পাবলিক কোম্পানিকে বার্ষিক হিসাবপত্রাদি নিবন্ধকের নিকট বাধ্যতামূলকভাবেই দাখিল করতে হয়।
৭. শেয়ার মূলধন :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি তার প্রত্যাশিত সমগ্র মূলধনকে কতকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমান অংশে বিভক্ত করে। প্রতিটি অংশকে এক একটি শেয়ার বলে। শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে এ কোম্পানি তার মূলধনের সংস্থান করে থাকে।
৮. শেয়ার হস্তান্তরযোগ্যতা :-
এ কোম্পানির শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। যে কোনো সদস্য যে কোনো সময় তার শেয়ার নিয়ম মাফিক অন্যের নিকট বিক্রি করতে পারে।
৯. শেয়ার ক্রয়ের আমন্ত্রণ :-
পাবলিক কোম্পানি বিবরণপত্র প্রচার করে জনগণকে শেয়ার ক্রয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
১০. ন্যূনতম পুঁজি :-
পাবলিক কোম্পানিকে কার্যারম্ভের পূর্বে ন্যূনতম পুঁজি সংগ্রহ করতে হয়।
১১. কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র :-
ব্যবসায় আরম্ভ করার পূর্বে নিবন্ধকের নিকট থেকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা পাবলিক কোম্পানির জন্য বাধ্যতামূলক।
১২. লিমিটেড শব্দের ব্যবহার :-
এ ধরনের কোম্পানির নামের শেষে লিমিটেড শব্দ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
১৩. বিবরণ প্রকাশ :-
পাবলিক কোম্পানিকে বিবরণপত্র বা বিকল্প বিবরণপত্র প্রকাশ করতে হয়।
১৪. পরিচালক সংখ্যা :-
এর পরিচালক সংখ্যা কমপক্ষে ৩ জন হতে হয়।
১৫. বিধিবদ্ধ সভা :-
পাবলিক কোম্পানির পক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিধিবদ্ধ সভা আহ্বান করা বাধ্যতামূলক।
১৬. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি পরিচালক নির্বাচন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি সকলক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলে। ফলে পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ কম থাকে।
১৭. হিসাব দাখিল :-
পাবলিক কোম্পানিকে বার্ষিক হিসাবপত্রাদি নিবন্ধকের নিকট বাধ্যতামূলকভাবেই দাখিল করতে হয়।
আরও পড়ুন:- রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কাকে বলে?
ওপরে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যসমূহ উপস্থিত থাকলে তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে অভিহিত করা যায়।
১. সীমিত দায় :-
পাবলিক কোম্পানির সদস্যদের দায় সীমাবদ্ধ। প্রত্যেক সদস্য যত টাকার শেয়ার কিনবে, ঠিক তত টাকা পর্যন্ত আয় সীমিত থাকবে। ফলে জনগণ এতে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারে।
২. অধিক সংখ্যক সদস্য :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে অধিক সংখ্যক সদস্য রাখার সুযোগ রয়েছে। এর সদস্য সংখ্যা ৭ জন এবং ঊর্ধ্বে স্মারকালীপতে বর্ণিত শেয়ারের সংখ্যা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
৩. মূলধনের পর্যাপ্ততা :-
মূলধনের পর্যাপ্ততা এ কোম্পানির একটি বড় ধরনের সুবিধা। আবার জনগণের নিকট শেয়ার বা ঋণপত্র বিলি করেও মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
৪. বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠার ফলে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা লাভ করতে পারে। যেমন- অধিক পরিমাণ পণ্য ক্রয়বিক্রয়ের সুবিধা, ব্যয় হ্রাস করার সুযোগ ইত্যাদি।
৫. ব্যাপক উৎপাদন :-
পর্যাপ্ত মূলধন ও বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা থাকায় এ ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যাপক উৎপাদন কার্য সহজ হয়। এ কারণেই অনেকে এ ধরনের কোম্পানি প্রতিষ্ঠার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
৬. শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় :-
পাবলিক কোম্পানি জনসাধারণের নিকট শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় করতে পারে। ফলে যে কোনো ব্যক্তি এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে মালিক হবার গৌরব অর্জন করতে পারে।
৭. দক্ষ ব্যবস্থাপনা :-
পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সঙ্গতি থাকায় পাবলিক কোম্পানি অধিক অর্থ ব্যয়ে সুদক্ষ ব্যবস্থাপক নিয়োগ করতে পারে। এতে কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কার্য দক্ষতার সাথে সম্পাদিত হতে পারে।
৮. শেয়ারের হস্তান্তরযোগ্যতা :-
পাবলিক কোম্পানির সদস্যরা তাদের শেয়ার অবাধে হস্তান্তর বা অন্যের নিকট বিতরণ করতে পারে। এর জন্য কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
৯. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি :-
বৃহদায়তন সুবিধা থাকায় এ কোম্পানিতে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, যা দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
১০. ঝুঁকি বণ্টন :-
এ কোম্পানির ঝুঁকি ও দায়সমূহ শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে বন্টনের সুযোগ রয়েছে। ফলে এর শেয়ার ক্রয় করে অনেকেই কোম্পানির মালিকানা লাভে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
১১. জনগণের আস্থা :-
অধিক সদস্য, আর্থিক সঙ্গতি, চিরন্তন অস্তিত্ব ইত্যাদি কারণে এর প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে জনগণ এ জাতীয় কোম্পানিতে অধিক বিনিয়োগে উৎসাহ বোধ করেন।
১২. ঋণের সুবিধা :-
চিরন্তন অস্তিত্ব, পৃথক আইনগত সত্তা, ব্যাপক উৎপাদন ইত্যাদি সুবিধা থাকায় পাবলিক কোম্পানি যে কোনো ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো উৎস হতে সহজেই ঋণ পায়। একই কারণে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানের জন্য ঋণপত্র ইস্যু করেও এ কোম্পানি ইতিবাচক সাড়া পেয়ে থাকে।
১৩. সম্প্রসারণের সুযোগ :-
মূলধনের আধিক্য, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় দক্ষতা এবং জনগণের আস্থা ইত্যাদি কারণে এ কোম্পানির সম্প্রাসারণ এর সুযোগ অধিক।
১৪. গণতান্ত্রিক নীতি :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি পরিচালক নির্বাচনে ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করে থাকে, যা এর আরও একটি সুবিধাজনক দিক।
১৫. অর্থনৈতিক উন্নয়ন :-
বৃহদায়তন উৎপাদন, কটন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় পাবলিক কোম্পানি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন:- সমবায় সমিতি কাকে বলে?
ওপরে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যসমূহ উপস্থিত থাকলে তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে অভিহিত করা যায়।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সুবিধাসমূহ :-
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির তুলনায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিশেষ সুবিধা বৃহদায়তন সংগঠন হিসেবে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায় সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণি হিসেবে এক বিশেষ আসনে অধিষ্ঠিত। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ সংগঠনটির কিছু সুবিধা আলোচনা করা হলো।১. সীমিত দায় :-
পাবলিক কোম্পানির সদস্যদের দায় সীমাবদ্ধ। প্রত্যেক সদস্য যত টাকার শেয়ার কিনবে, ঠিক তত টাকা পর্যন্ত আয় সীমিত থাকবে। ফলে জনগণ এতে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারে।
২. অধিক সংখ্যক সদস্য :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে অধিক সংখ্যক সদস্য রাখার সুযোগ রয়েছে। এর সদস্য সংখ্যা ৭ জন এবং ঊর্ধ্বে স্মারকালীপতে বর্ণিত শেয়ারের সংখ্যা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
৩. মূলধনের পর্যাপ্ততা :-
মূলধনের পর্যাপ্ততা এ কোম্পানির একটি বড় ধরনের সুবিধা। আবার জনগণের নিকট শেয়ার বা ঋণপত্র বিলি করেও মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
৪. বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠার ফলে বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা লাভ করতে পারে। যেমন- অধিক পরিমাণ পণ্য ক্রয়বিক্রয়ের সুবিধা, ব্যয় হ্রাস করার সুযোগ ইত্যাদি।
৫. ব্যাপক উৎপাদন :-
পর্যাপ্ত মূলধন ও বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা থাকায় এ ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যাপক উৎপাদন কার্য সহজ হয়। এ কারণেই অনেকে এ ধরনের কোম্পানি প্রতিষ্ঠার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
৬. শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় :-
পাবলিক কোম্পানি জনসাধারণের নিকট শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় করতে পারে। ফলে যে কোনো ব্যক্তি এ কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে মালিক হবার গৌরব অর্জন করতে পারে।
৭. দক্ষ ব্যবস্থাপনা :-
পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সঙ্গতি থাকায় পাবলিক কোম্পানি অধিক অর্থ ব্যয়ে সুদক্ষ ব্যবস্থাপক নিয়োগ করতে পারে। এতে কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কার্য দক্ষতার সাথে সম্পাদিত হতে পারে।
৮. শেয়ারের হস্তান্তরযোগ্যতা :-
পাবলিক কোম্পানির সদস্যরা তাদের শেয়ার অবাধে হস্তান্তর বা অন্যের নিকট বিতরণ করতে পারে। এর জন্য কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
৯. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি :-
বৃহদায়তন সুবিধা থাকায় এ কোম্পানিতে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, যা দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
১০. ঝুঁকি বণ্টন :-
এ কোম্পানির ঝুঁকি ও দায়সমূহ শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে বন্টনের সুযোগ রয়েছে। ফলে এর শেয়ার ক্রয় করে অনেকেই কোম্পানির মালিকানা লাভে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
১১. জনগণের আস্থা :-
অধিক সদস্য, আর্থিক সঙ্গতি, চিরন্তন অস্তিত্ব ইত্যাদি কারণে এর প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে জনগণ এ জাতীয় কোম্পানিতে অধিক বিনিয়োগে উৎসাহ বোধ করেন।
১২. ঋণের সুবিধা :-
চিরন্তন অস্তিত্ব, পৃথক আইনগত সত্তা, ব্যাপক উৎপাদন ইত্যাদি সুবিধা থাকায় পাবলিক কোম্পানি যে কোনো ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো উৎস হতে সহজেই ঋণ পায়। একই কারণে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানের জন্য ঋণপত্র ইস্যু করেও এ কোম্পানি ইতিবাচক সাড়া পেয়ে থাকে।
১৩. সম্প্রসারণের সুযোগ :-
মূলধনের আধিক্য, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় দক্ষতা এবং জনগণের আস্থা ইত্যাদি কারণে এ কোম্পানির সম্প্রাসারণ এর সুযোগ অধিক।
১৪. গণতান্ত্রিক নীতি :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি পরিচালক নির্বাচনে ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করে থাকে, যা এর আরও একটি সুবিধাজনক দিক।
১৫. অর্থনৈতিক উন্নয়ন :-
বৃহদায়তন উৎপাদন, কটন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় পাবলিক কোম্পানি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন:- সমবায় সমিতি কাকে বলে?
উপরিউক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সামাজিক কল্যাণ সাধন, সঞ্চয়ে উৎসাহ দান, জালিয়াতি রোধের সুযোগ ইত্যাদি সুবিধাজনক দিক রয়েছে। আর এগুলো একটি দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির অসুবিধাসমূহ :-
শেয়ারের হস্তান্তরযোগ্যতা, অধিক সংখ্যক সদস্য ইত্যাদি কিছু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে উন্নীত করলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে এর অসুবিধাও রয়েছে। এগুলো সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব।১. জটিল গঠনপ্রণালি :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির গঠন কিছুটা জটিল প্রকৃতির। এতে আইনের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় বেশি। ফলে অনেকেই কোম্পানি গঠনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
২. সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব :-
এরূপ কোম্পানি বৃহদায়তন হওয়ায় বহুবিধ আইনগত আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় বিধায় অনেক সময়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হয়।
৩. স্বজনপ্রীতি :-
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কিছু সংখ্যক পরিচালকের হাতে ন্যস্ত থাকে। অনেক সময়েই তারা শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় গ্রহণ করে। এতে ব্যবসায়ে দক্ষতা হ্রাস পায়।
৪. ব্যয় বহুল :-
বৃহদায়তনের এ ব্যবসায় সংগঠন পরিচালনা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক যেমন- সভা অনুষ্ঠান হিসাবের খাতাপত্র সংরক্ষণ, হিসাব নিরীক্ষা ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এ কারণে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়।
৫. ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা :-
এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব একজন বেতনভূক্ত কর্মচারীর ওপর নাজ থাকায় কোম্পানির পরিচালনায় অদক্ষতাসহ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি দেখা দেয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা বিরাজ করে।
৬. ন্যূনতম চাঁদা :-
পাবলিক কোম্পানির শেয়ার বণ্টন ও কার্যারম্ভের পূর্বে পরিমেল নিয়মাবপিতে উল্লিখিত ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহ করতে হয়। নতুবা কোম্পানি কার্য আরম্ভ করতে পারে না।
৭. কার্যারম্ভে বিলম্ব :-
পাবলিক কোম্পানি বিনন্ধন পাবার সাথে সাথে ব্যবসায় আরম্ভ করতে পারে না। ব্যবসায় শুরু করতে হলে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এতে কার্যারদ্ধে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
৮. আইনের কঠোরতা :-
এ কোম্পানির গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে আইনগত বিধি-বিধান অত্যন্ত কঠিনভাবে পালন করতে হয় যা ব্যবসায়ের স্বাভাবিক পরিচালনা ও এর বিকাশের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
৯. ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের অভাব :-
ব্যবস্থাপনা মালিকানা থেকে পৃথক হওয়ায় মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক থাকে না। এ প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না থাকার দরুন মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রায়শই বিরোধ লেগে থাকে।
১০. একচেটিয়া ব্যবসায় :-
বৃহদায়তন প্রকৃতির ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠার কারণে এর মাধ্যমে অনেক সময়ই একচেটিয়া ব্যবসায়ের উদ্ভব হয় যা সমাজের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি ব্যবসায় উন্নয়নের পথকে করে সীমিত।
১১. ব্যক্তিগত উৎসাহের অভাব :-
এরুপ কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গুটি কয়েক পরিচালকের হাতে ন্যস্ত থাকে বলে শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির মালিক হয়েও এর পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। ফলে অনেকেই ব্যবসায়ে ব্যক্তিগতভাবে উৎসাহী হয় না।
১২. গোপনীয়তা রক্ষার অসুবিধা :-
পাবলিক কোম্পানিকে আইন অনুযায়ী বার্ষিক লাভ-ক্ষতি ও উদ্বৃত্তপত্রের অনুলিপি ও অন্যান্য দলিলপত্র কোম্পানির নিবন্ধক ও শেয়ারহোল্ডারদের নিকট প্রেরণ করতে হয়। এর ফলে ব্যবসায়ের গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বহুবিধ সুবিধা থাকলেও উল্লিখিত অসুবিধাসমূহের কারণে কেউ কেউ এতে বিনিয়োগের তেমন আগ্রহ বোধ করে না।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.