প্রক্রিয়ায় অগ্রসর করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দেশনার জন্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। নির্দেশনা এবং নেতত্ব অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। নেতৃত্ব কী তা বোঝার আগে আমাদের জেনে নেয়া দরকার নির্দেশনা কাকে বলে।
কোনো কাজ কখন, কোন পদ্ধতিতে সম্পাদন করতে হবে যে সম্পর্কে কর্মীদেরকে যে নির্দেশ জারি করা হয় তাই নির্দেশনা।
কোনো কাজ কখন, কোন পদ্ধতিতে সম্পাদন করতে হবে যে সম্পর্কে কর্মীদেরকে যে নির্দেশ জারি করা হয় তাই নির্দেশনা।
নির্দেশনা শুধুমাত্র আদেশ জারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের সাথে জড়িত উপদেশ, পরামর্শ, ইচ্ছার প্রকাশ, অবহিতকরণ, প্ররোচনাদান, আদিষ্ট কাজের তদারতিকরণ ইত্যাদি সবই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত। নির্দেশনা সর্বদাই ওপর হতে নিচের দিকে আসে অর্থাৎ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিই অধস্তনদেরকে নির্দেশ দিয়ে থাকে। এবার আসুন জেনে নিই নেতৃত্ব কাকে বলে।
যে ব্যক্তি কোন দল বা গোষ্ঠীকে তার মতের দিকে নিয়ে যান বা প্রভাবিত করেন, তাকে নেতা বলে। নিচে এ বিষয়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হলঃ
১. নেতৃত্ব কি? এ সম্পর্কে ভ্যান ফ্লিট (Van Fleet) এর মত, “নেতৃত্ব হল একটি প্রভাব-প্রক্রিয়া যা অন্যদের আচরণ পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়।"
২. নেতৃত্বের সংজ্ঞা সম্পর্কে কিথ্ ডেভিস (Keith Davis) বলেন, "নেতৃত্ব হল উদ্দেশ্য অর্জনের নিমিত্তে অন্যান্য লোকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসাহিত ও সাহায্য করার একটি প্রক্রিয়া"।
৩. আর, ডাব্লিউ গ্লিফিন (R.W. Griffin) এর মতে, “অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাকে নেতৃত্ব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, বিশেষ লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতিপয় ব্যক্তি বা দলের কর্মতৎপরতাকে প্রভাবিত করার প্রক্রিয়াই হল নেতৃত্ব।
১. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব (Formal leadership) :-
এ নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিক কাঠামো থেকে সৃষ্টি। বৈধ ক্ষমতার বলে ঊর্ধ্বতন অধস্তনদের নেতা হিসেবে গণ্য হন। একটি কলেজের অধ্যক্ষ এ ধরনের নেতৃত্বের উদাহারণ। অনেকটা পদাধিকার বলে এ ধরনের নেতার জন্ম হয়।
২. অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব (Informal leadership) :-
আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের বাহিরেও যে নেতৃত্ব গড়ে ওঠে তাকে অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলা হয়ে থাকে। এ ধরনের নেতার কোনো বিধিবদ্ধ ক্ষমতা থাকে না। তাদের ব্যক্তিত্ব দ্বারা মানুষকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন:- পরিকল্পনা কাকে বলে?
১. স্বৈরতান্ত্রিক বা স্বেচ্ছাচারী নেতৃত্ব (Autocratic leadership) :-
নেতা যখন অনুসারীদের সাথে স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণ করেন তখন তাকে স্বেচ্ছাচারী নেতৃত্ব বলে।
স্বেচ্ছাচারী নেতার ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করে রাখেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেন না বরং নিজের সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দেন, নেতার ইচ্ছানুসারে কাজ না করা হলে কর্মীদের শাস্তির ভয় দেখান কিংবা চাকরিচ্যুত করেন। তবে এরূপ নেতৃত্বের প্রধান সুবিধা হলো এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।
২. অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব (Participative leadership) :-
যে ধরনের নেতৃত্বে কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বা অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব বলে।
এরূপ নেতৃত্বের সুবিধা হলো কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকে এবং কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিলম্বিত হয়।
৩. অবাধ বা লাগামহীন নেতৃত্ব (Free-rein leadership) :-
যে নেতৃত্বে নেতা বা ব্যবস্থাপক নিজের ক্ষমতা নিচের স্তরে বিন্যস্ত করে কর্মীদের স্ব-স্ব কালে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দেন তাকে অবাধ নেতৃত্ব বলে। একে মুক্ত নেতৃত্বও বলে।
এক্ষেত্রে নেতা ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিহার করে চলে, কর্মী দলকেই তাদের সমস্যা সামাল দেবার পরামর্শ দেয় এবং এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতা তেমন ভূমিকা গ্রহণ করেন না। কর্মীদলের যোগ্যতার ওপর অবাধ নেতৃত্বের সাফল্য নির্ভর করে। সুষ্ঠু সমন্বয়ের অভাবে এ ধরনের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কাজের মধ্যে বিশৃংখলা দেখা দেবার সম্ভাবনা থাকে।
নেতৃত্ব কাকে বলে :-
নেতৃত্ব হচ্ছে বিশেষ কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য অন্যদেরকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাজকে কিংবা তাদের আচরণকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে নিয়ে আসার ক্ষমতাকেই নেতৃত্ব বলা হয়।যে ব্যক্তি কোন দল বা গোষ্ঠীকে তার মতের দিকে নিয়ে যান বা প্রভাবিত করেন, তাকে নেতা বলে। নিচে এ বিষয়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হলঃ
আরও পড়ুন:- ব্যবস্থাপক বা ম্যানেজার কাকে বলে?
১. নেতৃত্ব কি? এ সম্পর্কে ভ্যান ফ্লিট (Van Fleet) এর মত, “নেতৃত্ব হল একটি প্রভাব-প্রক্রিয়া যা অন্যদের আচরণ পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়।"
২. নেতৃত্বের সংজ্ঞা সম্পর্কে কিথ্ ডেভিস (Keith Davis) বলেন, "নেতৃত্ব হল উদ্দেশ্য অর্জনের নিমিত্তে অন্যান্য লোকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসাহিত ও সাহায্য করার একটি প্রক্রিয়া"।
৩. আর, ডাব্লিউ গ্লিফিন (R.W. Griffin) এর মতে, “অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাকে নেতৃত্ব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, বিশেষ লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতিপয় ব্যক্তি বা দলের কর্মতৎপরতাকে প্রভাবিত করার প্রক্রিয়াই হল নেতৃত্ব।
নেতৃত্ব কত প্রকার ও কি কি :-
নেতাকে স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয় এবং এতে তাঁর আচারআচরণ, ক্ষমতা, ব্যক্তিত্ব, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদিও ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে নেতৃত্বের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো।ক) আনুষ্ঠানিকতাভিত্তিক নেতৃত্ব :-
আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে নেতৃত্বকে দুভাগে ভাগ করা যায়১. আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব (Formal leadership) :-
এ নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিক কাঠামো থেকে সৃষ্টি। বৈধ ক্ষমতার বলে ঊর্ধ্বতন অধস্তনদের নেতা হিসেবে গণ্য হন। একটি কলেজের অধ্যক্ষ এ ধরনের নেতৃত্বের উদাহারণ। অনেকটা পদাধিকার বলে এ ধরনের নেতার জন্ম হয়।
২. অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব (Informal leadership) :-
আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের বাহিরেও যে নেতৃত্ব গড়ে ওঠে তাকে অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলা হয়ে থাকে। এ ধরনের নেতার কোনো বিধিবদ্ধ ক্ষমতা থাকে না। তাদের ব্যক্তিত্ব দ্বারা মানুষকে প্রভাবিত করে।
খ) ক্ষমতাভিত্তিক নেতৃত্ব :-
নেতার ক্ষমতা প্রয়োগের ভিত্তিতে নেতৃত্বকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।আরও পড়ুন:- পরিকল্পনা কাকে বলে?
১. স্বৈরতান্ত্রিক বা স্বেচ্ছাচারী নেতৃত্ব (Autocratic leadership) :-
নেতা যখন অনুসারীদের সাথে স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণ করেন তখন তাকে স্বেচ্ছাচারী নেতৃত্ব বলে।
স্বেচ্ছাচারী নেতার ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করে রাখেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেন না বরং নিজের সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দেন, নেতার ইচ্ছানুসারে কাজ না করা হলে কর্মীদের শাস্তির ভয় দেখান কিংবা চাকরিচ্যুত করেন। তবে এরূপ নেতৃত্বের প্রধান সুবিধা হলো এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।
২. অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব (Participative leadership) :-
যে ধরনের নেতৃত্বে কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বা অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব বলে।
এরূপ নেতৃত্বের সুবিধা হলো কর্মীরা সন্তুষ্ট থাকে এবং কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিলম্বিত হয়।
৩. অবাধ বা লাগামহীন নেতৃত্ব (Free-rein leadership) :-
যে নেতৃত্বে নেতা বা ব্যবস্থাপক নিজের ক্ষমতা নিচের স্তরে বিন্যস্ত করে কর্মীদের স্ব-স্ব কালে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দেন তাকে অবাধ নেতৃত্ব বলে। একে মুক্ত নেতৃত্বও বলে।
এক্ষেত্রে নেতা ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিহার করে চলে, কর্মী দলকেই তাদের সমস্যা সামাল দেবার পরামর্শ দেয় এবং এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতা তেমন ভূমিকা গ্রহণ করেন না। কর্মীদলের যোগ্যতার ওপর অবাধ নেতৃত্বের সাফল্য নির্ভর করে। সুষ্ঠু সমন্বয়ের অভাবে এ ধরনের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কাজের মধ্যে বিশৃংখলা দেখা দেবার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন:- বন্ঠন প্রনালি কি?
8. পিতৃসুলভ নেতৃত্ব (Paternalistic leadership) :-
এ ধরনের নেতৃত্বে যেখানে নেতা কর্মীদের সাথে পিতৃসুলভ আচরণ করেন। এক্ষেত্রে নেতা কর্মীদেরকে স্নেহের ছোরে আবদ্ধ করে। এ নেতৃত্ব কখনো সুফল বয়ে আনলেও কর্মীর সৃষ্টিশীলতায় এটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
8. পিতৃসুলভ নেতৃত্ব (Paternalistic leadership) :-
এ ধরনের নেতৃত্বে যেখানে নেতা কর্মীদের সাথে পিতৃসুলভ আচরণ করেন। এক্ষেত্রে নেতা কর্মীদেরকে স্নেহের ছোরে আবদ্ধ করে। এ নেতৃত্ব কখনো সুফল বয়ে আনলেও কর্মীর সৃষ্টিশীলতায় এটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.