প্রতিষ্ঠানই একটি সামাজিক সংগঠন। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমাজের মানুষদের নিয়েই যাবতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে। ধরুন, আপনি একটি ওষুধ কোম্পানির ব্যবস্থাপক। আপনি বৃহত্তর সমাজের একজন সদস্য হিসেবে সমাজের মানুষের অসুস্থতা দূরীকরণের জন্য ওষুধ প্রস্তুত করেন।
কাজেই রোগীদের প্রতি তথা সমাজের প্রতি আপনার একটি দায়িত্ব আছে। আর তা হলো, মানসম্পন্ন উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করা যাতে কারো জীবনহানি না ঘটে এবং তাতে যদি মুনাফা কমও হয়। শুধু মুনাফা অর্জনের জন্য আপনি যে কোনো উপাদানে ওষুধ প্রস্তুত করতে পারেন না।
মুনাফা অর্জন অপেক্ষা সামাজিক দায়িত্ববোধ আপনাকে সর্বনাশা কাজ থেকে বিরত রাখে। কাজেই আপনার মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকেরই সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। মানুষের সভ্যতার উন্নতি যতো বেশি ঘটেছে সামাজিক দায়িত্ববোধ ততো বাড়ছে। এখন প্রশ্ন হলো ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলতে কী বোঝায়? তার আলোচনা করা।
“ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এমনভাবে পরিচালিত হতে হবে যাতে তা জনকল্যাণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত কল্যাপসাধন করতে পারে"
Oliver Sheldon এর উক্তিতেও যেন Peter F. Drucker-এর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শুনতে পাই আমরা-
"শিল্পকে শুধুমাত্র পয়সা সংগ্রহের যন্ত্র হিসেবে গণ্য করার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, মূলধনকে শিল্পের মাধ্যমে জনসেবার প্রত্যক্ষ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে, নতুবা একে শিল্প ক্ষেত্র হতে সটকে পড়তে হবে।"
সুতরাং গ্রন্থকারদ্বয়ের বক্তব্য থেকে এটা আমরা বলতে পারি, ব্যবসায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ যেমন ব্যবসায়ের শেয়ার হোল্ডার বা বিনিয়োগকারী, ক্রেতা সাধারণ, সরবরাহকারী ও পাওনাদার, শ্রমিক-কর্ম, সমাজের সাধারণ জনগণ ও সরকারের প্রতি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে মালিক বা পরিচালকগণ বা উদ্যোক্তগণকে যে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাকে ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলা যায়।
অর্থাৎ, ব্যবসায় তার আনুষ্ঠানিক সংগঠনের বাহিরেও সমাজব্যবস্থার সাথে যে সম্পর্ক রক্ষ করে তাকে ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলা যায়।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে যেসব পক্ষের সাথে এ সম্পর্ক রক্ষা করে চলতে হয় তারা হচ্ছে ব্যবসায়ের মালিক শেয়ারহোল্ডার, ক্রেতা সাধারণ, সমাজের সাধারণ জনগণ, সরবরাহকারী ও পাওনাদার, শ্রমিক-কর্মী, সরকার প্রমুখ।
নিম্নে বিভিন্নপক্ষের সাথে ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্বসমূহের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বোঝানো হয়েছে-
১. ক্রেতা ও ভোক্তার প্রতি দায়িত্ব :-
ব্যবসায় কার্যক্রমের মূল লক্ষ্যবিন্দু হচ্ছে ক্রেতা ও ভোক্তা। সুতরাং ক্রেতা ও ভোক্তাদের সন্তুষ্টি ব্যবসায়ের সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। ক্রেতা ও ভোক্তার প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হয় তা হচ্ছে
২. সমাজের সাধারণ জনগণের প্রতি দায়িত্ব :-
সমাজের সাধারণ জনগণের প্রতি ব্যবসায়ের দায়িত্ব অপরিসীম। এ দায়িত্ব নিম্নরূপ
৩. শ্রমিক-কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব :-
শ্রমিক-কর্মীরা ব্যবসায়ের উৎপাদান প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সুতরাং তাদের প্রতিও ব্যবসায়ের দায়িত্ব অসীম। এ দায়িত্বসমূহ হচ্ছে
৪. বিনিয়োগ বা শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দায়িত্ব :-
মুনাফা লাভের প্রত্যাশায় অর্থের যোগান দিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার মুখ্য ভূমিকায় থাকে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রতি ব্যবসায়ের দায়িত্বসমূহ হচ্ছে
৫. সরকারের প্রতি দায়িত্ব :-
একটি দেশের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা ভূমিকায় থাকে সরকার। কাজেই সরকারের প্রতি ব্যবসায়কে নিম্নোক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়
৬. পাওনাদার ও সরবরাহকারীদের প্রতি দায়িত্ব :-
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনের সময় অর্থ ঋণ দিয়ে, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সেবা সরবরাহ করে থাকে পাওনাদার ও সরবরাহকারী। তাদের প্রতি ব্যবসায়ের কর্তব্য হচ্ছে
৭. স্থানীয় জনগণের প্রতি দায়িত্ব :-
যে এলাকায় ব্যবসায়-বাণিজ্য গড়ে ওঠে সে এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা অসুবিধা যেমন-পরিবেশগত দিক, সাংস্কৃতিক বিষয়াদিও বিবেচনা করতে হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ের দায়িত্বসমূহ নিম্নরূপ
উল্লিখিত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, কেবল মুনাফা অর্জনই নয়, ব্যবসায়কে এই পরিবেশে বিদ্যমান বিভিন্ন পক্ষের প্রতি ও বহুবিধ দায়িত্ব পালন করতে হয়। এসব দায়িত্ববোধের মধ্যে নিহিত রয়েছে ব্যবসায়ের সত্যিকারের উদ্দেশ্য।
কেননা সমাজের অনেক চাহিদা থাকে যেগুলো কোন ব্যক্তি বা পরিবারের দ্বারা করা সম্ভব হয় না। সেগুলি স্থাপন ও পরিচালনা করা সরকারের দায়িত্ব বলে গণ্য করা হয়।
কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এত বিশাল কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পালন অনেকসময়ই সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই সমাজের প্রত্যেকটি শ্রেণিরই কিছু না কিছু সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন:- পরিকল্পনা কাকে বলে?
ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজের মানুষ যেমন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে তেমনি রাষ্ট্রের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হয়।
কাজেই রোগীদের প্রতি তথা সমাজের প্রতি আপনার একটি দায়িত্ব আছে। আর তা হলো, মানসম্পন্ন উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করা যাতে কারো জীবনহানি না ঘটে এবং তাতে যদি মুনাফা কমও হয়। শুধু মুনাফা অর্জনের জন্য আপনি যে কোনো উপাদানে ওষুধ প্রস্তুত করতে পারেন না।
মুনাফা অর্জন অপেক্ষা সামাজিক দায়িত্ববোধ আপনাকে সর্বনাশা কাজ থেকে বিরত রাখে। কাজেই আপনার মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকেরই সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। মানুষের সভ্যতার উন্নতি যতো বেশি ঘটেছে সামাজিক দায়িত্ববোধ ততো বাড়ছে। এখন প্রশ্ন হলো ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলতে কী বোঝায়? তার আলোচনা করা।
ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব কাকে বলে :-
ব্যবস্থাপনা বিশারদ Peter F. Drucker তার The Practice of Management গ্রন্থে বলেছেন,“ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এমনভাবে পরিচালিত হতে হবে যাতে তা জনকল্যাণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত কল্যাপসাধন করতে পারে"
Oliver Sheldon এর উক্তিতেও যেন Peter F. Drucker-এর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শুনতে পাই আমরা-
"শিল্পকে শুধুমাত্র পয়সা সংগ্রহের যন্ত্র হিসেবে গণ্য করার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, মূলধনকে শিল্পের মাধ্যমে জনসেবার প্রত্যক্ষ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে, নতুবা একে শিল্প ক্ষেত্র হতে সটকে পড়তে হবে।"
সুতরাং গ্রন্থকারদ্বয়ের বক্তব্য থেকে এটা আমরা বলতে পারি, ব্যবসায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ যেমন ব্যবসায়ের শেয়ার হোল্ডার বা বিনিয়োগকারী, ক্রেতা সাধারণ, সরবরাহকারী ও পাওনাদার, শ্রমিক-কর্ম, সমাজের সাধারণ জনগণ ও সরকারের প্রতি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে মালিক বা পরিচালকগণ বা উদ্যোক্তগণকে যে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাকে ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলা যায়।
ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্বসমূহ :-
ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলতে সমাজবদ্ধ বিভিন্ন পক্ষের সাথে ব্যবসায়ের করণীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যকে বোঝায়। অর্থাৎ মুনাফা অর্জনের বাহিরেও সেসব সামাজিক কল্যাণমুখী কর্তব্য ও দায়িত্ব ব্যবসায়কে পালন করতে হয় তাকে ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলা যায়।অর্থাৎ, ব্যবসায় তার আনুষ্ঠানিক সংগঠনের বাহিরেও সমাজব্যবস্থার সাথে যে সম্পর্ক রক্ষ করে তাকে ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলা যায়।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে যেসব পক্ষের সাথে এ সম্পর্ক রক্ষা করে চলতে হয় তারা হচ্ছে ব্যবসায়ের মালিক শেয়ারহোল্ডার, ক্রেতা সাধারণ, সমাজের সাধারণ জনগণ, সরবরাহকারী ও পাওনাদার, শ্রমিক-কর্মী, সরকার প্রমুখ।
নিম্নে বিভিন্নপক্ষের সাথে ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্বসমূহের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বোঝানো হয়েছে-
১. ক্রেতা ও ভোক্তার প্রতি দায়িত্ব :-
ব্যবসায় কার্যক্রমের মূল লক্ষ্যবিন্দু হচ্ছে ক্রেতা ও ভোক্তা। সুতরাং ক্রেতা ও ভোক্তাদের সন্তুষ্টি ব্যবসায়ের সফলতার অন্যতম চাবিকাঠি। ক্রেতা ও ভোক্তার প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হয় তা হচ্ছে
- চাহিদা অনুযায়ী পণ্যসামগ্রী সরবরাহ।
- পণ্য ও সেবার গুণগতমান সংরক্ষণ।
- ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ।
- বাজার তথ্য সরবরাহ।
- ক্রেতাদের প্রতি সদাচারণ।
- ধার ক্রয়ের সুবিধা প্রদান।
২. সমাজের সাধারণ জনগণের প্রতি দায়িত্ব :-
সমাজের সাধারণ জনগণের প্রতি ব্যবসায়ের দায়িত্ব অপরিসীম। এ দায়িত্ব নিম্নরূপ
- কর্ম-সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
- দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা।
- পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা।
- জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ।
- নির্ভেজাল পণ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া।
- সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
৩. শ্রমিক-কর্মীদের প্রতি দায়িত্ব :-
শ্রমিক-কর্মীরা ব্যবসায়ের উৎপাদান প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সুতরাং তাদের প্রতিও ব্যবসায়ের দায়িত্ব অসীম। এ দায়িত্বসমূহ হচ্ছে
- শ্রমিক-কর্মীদের ন্যায্য মজুরি প্রদান।
- তাদের বাসস্থান সুবিধা প্রদান।
- চাকরির স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা।
- তাদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান।
- যোগ্য ও দক্ষ কর্মীর পদোন্নতি প্রদান।
৪. বিনিয়োগ বা শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দায়িত্ব :-
মুনাফা লাভের প্রত্যাশায় অর্থের যোগান দিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার মুখ্য ভূমিকায় থাকে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রতি ব্যবসায়ের দায়িত্বসমূহ হচ্ছে
- বিনিয়োজিত অর্থের সদ্ব্যবহার করা।
- বিনিয়োগকৃত অর্থের নিরাপত্তা বিধান।
- ন্যায্য হারে মুনাফা প্রদান।
- ব্যবসায়ের প্রকৃত অবস্থা জ্ঞাত করা।
- অর্থের অপচয় রোধ করা।
৫. সরকারের প্রতি দায়িত্ব :-
একটি দেশের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা ভূমিকায় থাকে সরকার। কাজেই সরকারের প্রতি ব্যবসায়কে নিম্নোক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়
- সময়মত কর ও রাজস্ব প্রদান।
- সরকারি নিয়মনীতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা।
- বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান।
- সরকারের উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ করা।
- কর্মসংস্থানের সরকারকে সহায়তা করা ইত্যাদি।
৬. পাওনাদার ও সরবরাহকারীদের প্রতি দায়িত্ব :-
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনের সময় অর্থ ঋণ দিয়ে, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সেবা সরবরাহ করে থাকে পাওনাদার ও সরবরাহকারী। তাদের প্রতি ব্যবসায়ের কর্তব্য হচ্ছে
- যথাসময়ে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধ।
- পাওনাদারদের অর্থের সঠিক হিসাব রাখা।
- সরবরাহকারীদের মালামালের সঠিক মূল্য প্রদান।
- এদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
- সম্পাদিত কোনো চুক্তির শর্তাবলি পালন করা ইত্যাদি।
৭. স্থানীয় জনগণের প্রতি দায়িত্ব :-
যে এলাকায় ব্যবসায়-বাণিজ্য গড়ে ওঠে সে এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা অসুবিধা যেমন-পরিবেশগত দিক, সাংস্কৃতিক বিষয়াদিও বিবেচনা করতে হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ের দায়িত্বসমূহ নিম্নরূপ
- সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখা।
- এলাকায় জনকল্যাণমূলক স্থাপন করা।
- এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণে সহায়তা করা।
- ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পুনর্বাসনে সহায়তা করা।
উল্লিখিত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, কেবল মুনাফা অর্জনই নয়, ব্যবসায়কে এই পরিবেশে বিদ্যমান বিভিন্ন পক্ষের প্রতি ও বহুবিধ দায়িত্ব পালন করতে হয়। এসব দায়িত্ববোধের মধ্যে নিহিত রয়েছে ব্যবসায়ের সত্যিকারের উদ্দেশ্য।
ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতার গুরুত্ব :-
ব্যবসায়ে সামাজিক দায়িত্বের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ব্যবসায়ী সমাজ সামাজিক দায়িত্ব পালন সম্পর্কে যতবেশি সচেতন হবে সমাজ ততবেশি উন্নত থেকে উন্নততর হবে।কেননা সমাজের অনেক চাহিদা থাকে যেগুলো কোন ব্যক্তি বা পরিবারের দ্বারা করা সম্ভব হয় না। সেগুলি স্থাপন ও পরিচালনা করা সরকারের দায়িত্ব বলে গণ্য করা হয়।
কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এত বিশাল কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পালন অনেকসময়ই সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই সমাজের প্রত্যেকটি শ্রেণিরই কিছু না কিছু সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন:- পরিকল্পনা কাকে বলে?
ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজের মানুষ যেমন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে তেমনি রাষ্ট্রের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.