ব্যবসায়ের কিছু সীমাবদ্ধতা ও অসুবিধার জন্য কালক্রমে ব্যবসায়ীগণ সংযুক্ত মালিকানার ব্যবসায়ের দিকে এগিয়ে আসে। অংশীদারি ব্যবসায়ে কয়েকজন মালিক থাকে বলে মূলধন সংগ্রহ, দক্ষতর পরিচালনা ও ঝুঁকি বহনে অধিক সুবিধা পাওয়া যায়।
এবং তুলনামূলকভাবে বৃহৎ ব্যবসায় সংগঠিত করা যায়। ব্যবসায়ী জগতের প্রাচীনতম অধ্যায়েই এ অংশীদারি ব্যবসায়ের সূত্রপাত। সম্মিলিতভাবে মূলধন সরবরাহ করা যায় এবং ঝুঁকি বহন করা যায় বলে কালক্রমে এ ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এ ব্যবসায়ে সাধারণত অংশীদারগণ নিজেরাই চুক্তির শর্ত অনুসারে মূলধন সরবরাহ করে থাকে। অংশীদারি ব্যবসায় সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে অথবা সকলের পক্ষ হতে একজনের দ্বারা পরিচালিত হয়। এরূপ ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ২ জন ও সর্বোচ্চ ২০ জন। তবে ব্যাংকিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ জন অংশীদার থাকতে পারে। অংশীদারি ব্যবসায়ের কয়েকটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে? এস. ই. থমাস এর মতে, “মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তির দ্বারা সংগঠিত সংঘ কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসায়ই অংশীদারি ব্যবসায় নামে পরিচিত"
১৮৯০ সালের ব্রিটিশ অংশীদারি আইনের ১ ধারায় অংশীদারি ব্যবসায় কী? এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, "অংশীদারি ব্যবসায় হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির একটি সংথ যারা মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে সহমালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় পরিচালনা করে"
৫. লাভ-লোকসান বণ্টন (Distribution of profit-loss) :-
অংশীদারি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে লাভ লোকসান চুক্তি মোতাবেক বন্টন করতে হবে। অর্থাৎ লাভ-লোকসান সব অংশীদারের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার রীতি থাকতে হবে।
৬. অংশীদারিদের যোগ্যতা ( Capability of partners) :-
চুক্তি সম্পাদনের জন্য যোগ্য সকল ব্যক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের অংশীদার হবার যোগ্য। চুক্তি সম্পাদনের অযোগ্যতার কারণেই নাবালক, পাগল, দেউলিয়া ব্যক্তি অংশীদারি হতে পারে না।
৭. পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা (Administration & management) :-
অংশীদারি ব্যবসায়ের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সকল অংশীদার বা সকল অংশীদারের পক্ষে এক বা একাধিক অংশীদারের ওপর ন্যস্ত থাকতে পারে।
৮. পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস (Mutual confidence & trust) :-
এ ব্যবসায়ের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। কেননা পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস ব্যতীত অংশীদারি ব্যবসায়ে সাফল্য লাভ করা যায় না। এ কারণেই অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তিকে চরম সম্বিশ্বাস এর চুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
ওপরে আলোচিত উপাদানসমূহ উপস্থিত থাকলে কোনো ব্যবসায়কে অংশীদারি ব্যবসায় হিসেবে গণ্য করা যায়।
এবং তুলনামূলকভাবে বৃহৎ ব্যবসায় সংগঠিত করা যায়। ব্যবসায়ী জগতের প্রাচীনতম অধ্যায়েই এ অংশীদারি ব্যবসায়ের সূত্রপাত। সম্মিলিতভাবে মূলধন সরবরাহ করা যায় এবং ঝুঁকি বহন করা যায় বলে কালক্রমে এ ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জনপ্রিয়তা লাভ করে।
অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে :-
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে যে ব্যবসায় গঠন করে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে।এ ব্যবসায়ে সাধারণত অংশীদারগণ নিজেরাই চুক্তির শর্ত অনুসারে মূলধন সরবরাহ করে থাকে। অংশীদারি ব্যবসায় সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে অথবা সকলের পক্ষ হতে একজনের দ্বারা পরিচালিত হয়। এরূপ ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ২ জন ও সর্বোচ্চ ২০ জন। তবে ব্যাংকিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ জন অংশীদার থাকতে পারে। অংশীদারি ব্যবসায়ের কয়েকটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে? এস. ই. থমাস এর মতে, “মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তির দ্বারা সংগঠিত সংঘ কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসায়ই অংশীদারি ব্যবসায় নামে পরিচিত"
আরও পড়ুন:- অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব?
১৮৯০ সালের ব্রিটিশ অংশীদারি আইনের ১ ধারায় অংশীদারি ব্যবসায় কী? এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, "অংশীদারি ব্যবসায় হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির একটি সংথ যারা মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে সহমালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় পরিচালনা করে"
অংশীদারি ব্যবসায় কত প্রকার ও কি কি :-
ব্যবসায়ের প্রকৃতি, চুক্তির শর্ত ও অংশীদারদের দায়দায়িত্বের ভিত্তিতে অংশীদারি ব্যবসায়কে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। রেখাচিত্রের সাহায্যে এ অংশীদারি ব্যবসায়ের প্রকারভেদ গুলো প্রদর্শিত হলো।১. সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায় (Ordinary partnership) :-
সকল অংশীদারের অসীম দায় বিশিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকেই সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায় বলে। ব্যবসায়ের দায় বা ঋণের জন্য সকল অংশীদার যৌথভাবে এবং এককভাবে এক্ষেত্রে দায়ী থাকে। সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায় আবার দু প্রকার হয়ে থাকে। যথা -
ক. বিশেষ অংশীদারি ব্যবসায় (Particular partnership) :-
যে অংশীদারি ব্যবসায় কোনো বিশেষ কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের জন্য গঠিত হয় তাকে বিশেষ অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
বিশেষ অংশীদারি ব্যবসায় আবার দুই প্রকার:
• নির্দিষ্ট কাজের অংশীদারি ব্যবসায় (Partnership for a particular purpose) :-
অংশীদারি ব্যবসায় যখন নির্দিষ্ট কোনো কার্য সম্পাদনের জন্য গঠিত হয় এবং উক্ত কার্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে ব্যবসায়ের বিলুপ্তি ঘটে তখন তাকে নির্দিষ্ট কাজের অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
• নির্দিষ্ট মেয়াদের অংশীদারি ব্যবসায় (Partnership for a particular term) :-
কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য যে অংশীদারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে নির্দিষ্ট মেয়াদের অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
ক. বিশেষ অংশীদারি ব্যবসায় (Particular partnership) :-
যে অংশীদারি ব্যবসায় কোনো বিশেষ কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের জন্য গঠিত হয় তাকে বিশেষ অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
বিশেষ অংশীদারি ব্যবসায় আবার দুই প্রকার:
• নির্দিষ্ট কাজের অংশীদারি ব্যবসায় (Partnership for a particular purpose) :-
অংশীদারি ব্যবসায় যখন নির্দিষ্ট কোনো কার্য সম্পাদনের জন্য গঠিত হয় এবং উক্ত কার্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে ব্যবসায়ের বিলুপ্তি ঘটে তখন তাকে নির্দিষ্ট কাজের অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
• নির্দিষ্ট মেয়াদের অংশীদারি ব্যবসায় (Partnership for a particular term) :-
কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য যে অংশীদারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে নির্দিষ্ট মেয়াদের অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
আরও পড়ুন:- ব্যবসায়ের পরিবেশ আলোচনা কর?
খ. ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় (Partnership at will) :-
যদি কোনো অংশীদারি ব্যবসায় কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা কোনো বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য গঠিত হয় এবং উক্ত সময় উত্তীর্ণ বা কার্য সম্পাদিত হবার পরও ব্যবসায়টি বিলুপ্ত না হয় তবে তাকে ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়।
এ ধরনের অংশীদারি ব্যবসায় যে কোনো অংশীদার নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ের অসীম দায়ও ঋণের জন্য সীমিত দায়ের অংশীদারগণ শুধু পূর্ব নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত দায়ী থাকে। এরূপ ব্যবসায়ে কমপক্ষে একজন অংশীদারের দায় অবশ্যই সীমিত থাকবে।
১. দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সম্মিলন;
২. চুক্তি সম্পাদন,
৩. চুক্তি রেজিস্ট্রিকরণ,
8. ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ:
৫. অন্যান্য সরকারি দপ্তরের অনুমতি;
৬. কার্য আরম্ভ।
১. দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সম্মিলন (Union of two or more persons) :-
অংশীদারি ব্যবসায় গঠনের জন্য ২ হতে ২০ জন (ব্যাঙ্কিং ব্যবসায়ে সর্বোচ্চ ১০ জন) লোক স্বেচ্ছায় লাভ-লোকসান বণ্টনের মাধ্যমে বৈধ ব্যবসায় পরিচালনার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম মিলিত হয়ে থাকে। এভাবেই একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের সূত্রপাত হয়।
খ. ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় (Partnership at will) :-
যদি কোনো অংশীদারি ব্যবসায় কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা কোনো বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য গঠিত হয় এবং উক্ত সময় উত্তীর্ণ বা কার্য সম্পাদিত হবার পরও ব্যবসায়টি বিলুপ্ত না হয় তবে তাকে ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়।
এ ধরনের অংশীদারি ব্যবসায় যে কোনো অংশীদার নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে।
২. সীমিত অংশীদারি ব্যবসায় (Limited partnership business) :-
যে অংশীদারি ব্যবসায়ে এক বা একাধিক অংশীদারের দায়দায়িত্ব সীমিত থাকে তাকে সীমিত অংশীদারি ব্যবসায় বলে।এক্ষেত্রে ব্যবসায়ের অসীম দায়ও ঋণের জন্য সীমিত দায়ের অংশীদারগণ শুধু পূর্ব নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত দায়ী থাকে। এরূপ ব্যবসায়ে কমপক্ষে একজন অংশীদারের দায় অবশ্যই সীমিত থাকবে।
অংশীদারি ব্যবসায়ের গঠন :-
সুস্থ মস্তিষ্ক এবং পরিণত বয়সের কতিপয় ব্যক্তি স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হয়ে মূলধন একত্রিত করে অংশীদারি ব্যবসায় শুরু করতে পারে। অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করতে হলে নিম্নবর্ণিত ধাপগুলো অতিক্রম করতে হবে।১. দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সম্মিলন;
২. চুক্তি সম্পাদন,
৩. চুক্তি রেজিস্ট্রিকরণ,
8. ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ:
৫. অন্যান্য সরকারি দপ্তরের অনুমতি;
৬. কার্য আরম্ভ।
১. দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সম্মিলন (Union of two or more persons) :-
অংশীদারি ব্যবসায় গঠনের জন্য ২ হতে ২০ জন (ব্যাঙ্কিং ব্যবসায়ে সর্বোচ্চ ১০ জন) লোক স্বেচ্ছায় লাভ-লোকসান বণ্টনের মাধ্যমে বৈধ ব্যবসায় পরিচালনার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম মিলিত হয়ে থাকে। এভাবেই একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন:- ব্যবসায়ের গুরুত্ব আলোচনা কর?
২. চুক্তি সম্পাদন (Making contract) :-
অংশীদারদের পারস্পরিক অধিকার, মূলধন সরবরাহের পরিমাণ, লাভ লোকসান বণ্টনের হার ইত্যাদি আলোচনার মাধ্যমে স্থির করার নামই চুক্তি সম্পাদন। চুক্তি ছাড়া অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হতে পারে না। চুক্তি লিখিত বা মৌখিক উভয়ই হতে পারে।
৩. চুক্তি রেজিস্ট্রিকরণ বা নিবন্ধন (Registration of contract) :-
চুক্তি লিখিত হলে তা দেশের আইনের বিধান অনুযায়ী রেজেস্ট্রি করানো যায়। নির্ধারিত ফর্মে প্রয়োজনীয় ফিসহ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের অফিস এ ব্যাপারে আবেদন করতে হয় এবং তিনি সন্তুষ্ট হলে ব্যবসায়টি নিবন্ধন করে নেন। তবে অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
৪. ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ (Collecting trade license) :-
এ পর্যায়ে ব্যবসায় শুরু করার নিমিত্তে পৌরসভা হতে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ঠিকানা ও নির্দিষ্ট ফিসহ আবেদন করলে পৌরসভা কতিপয় কার্য সমাপনাঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে থাকে।
৫. অন্যান্য সরকারি দপ্তরের অনুমতি (Permission of other government officers) :-
ব্যবসায়ের প্রকৃতি অনুসারে প্রয়োজনমত সরকারের অন্যান্য দপ্তরির অনুমতি সংগ্রহ করতে হয়। যেমন আমদানি কিংবা রপ্তানি ব্যবসায়ের জন্য আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের অফিস হতে লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।
৬. কার্য আরম্ভ (Commencement of business) :-
ওপরে আলোচিত কার্যাবলি সমাপনান্তে অংশীদারগণ প্রকৃত ব্যবসায়ী কার্য শুরু করেন। অর্থাৎ উৎপাদন, ক্রয়বিক্রয় বা সেবাদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের প্রচেষ্টা ও পর্যায়ে বাস্তবে শুরু করা হয়।
১. পারস্পরিক সম্মতি (Mutual consent) :-
অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করতে হলে অংশীদারদের পারস্পরিক সম্মতি থাকতে হবে। সম্মতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে অংশীদারি ব্যবসায়ে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না।
২. চুক্তি (Contract) :-
অংশীদারি সম্পর্ক শুধু চুক্তিদ্বারা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কারও জন্মগত অধিকার বা অন্য কোনরূপ সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যবসায়ের জন্য একত্রিত হলে তা অংশীদারি ব্যবসায় বলে বিবেচিত হবে না। অর্থাৎ অংশীদারি ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে একাধিক একত্রিত হতে হলে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমেই হতে হবে।
৩. সদস্য সংখ্যা (Number of members) :-
অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য একাধিক হতে হয়। এরূপ ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা ২ থেকে সর্বাধিক ২০ জন পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবসায়ে সর্বোচ্চ সংখ্যা ১০ জনে সীমিত থাকে।
৪. আইন সম্মত ব্যবসায় (Legal business) :-
অংশীদারি ব্যবসায় দেশের আইনের দৃষ্টিতে বৈধ হতে হবে। অর্থাৎ ব্যবসায় সংগঠনের মাধ্যমে রাষ্ট্র কিংবা সমাজবিরোধী ও অকল্যাণকর কোনো কাজ করা যাবে না।
২. চুক্তি সম্পাদন (Making contract) :-
অংশীদারদের পারস্পরিক অধিকার, মূলধন সরবরাহের পরিমাণ, লাভ লোকসান বণ্টনের হার ইত্যাদি আলোচনার মাধ্যমে স্থির করার নামই চুক্তি সম্পাদন। চুক্তি ছাড়া অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হতে পারে না। চুক্তি লিখিত বা মৌখিক উভয়ই হতে পারে।
৩. চুক্তি রেজিস্ট্রিকরণ বা নিবন্ধন (Registration of contract) :-
চুক্তি লিখিত হলে তা দেশের আইনের বিধান অনুযায়ী রেজেস্ট্রি করানো যায়। নির্ধারিত ফর্মে প্রয়োজনীয় ফিসহ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের অফিস এ ব্যাপারে আবেদন করতে হয় এবং তিনি সন্তুষ্ট হলে ব্যবসায়টি নিবন্ধন করে নেন। তবে অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
৪. ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ (Collecting trade license) :-
এ পর্যায়ে ব্যবসায় শুরু করার নিমিত্তে পৌরসভা হতে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ঠিকানা ও নির্দিষ্ট ফিসহ আবেদন করলে পৌরসভা কতিপয় কার্য সমাপনাঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে থাকে।
৫. অন্যান্য সরকারি দপ্তরের অনুমতি (Permission of other government officers) :-
ব্যবসায়ের প্রকৃতি অনুসারে প্রয়োজনমত সরকারের অন্যান্য দপ্তরির অনুমতি সংগ্রহ করতে হয়। যেমন আমদানি কিংবা রপ্তানি ব্যবসায়ের জন্য আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের অফিস হতে লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।
৬. কার্য আরম্ভ (Commencement of business) :-
ওপরে আলোচিত কার্যাবলি সমাপনান্তে অংশীদারগণ প্রকৃত ব্যবসায়ী কার্য শুরু করেন। অর্থাৎ উৎপাদন, ক্রয়বিক্রয় বা সেবাদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের প্রচেষ্টা ও পর্যায়ে বাস্তবে শুরু করা হয়।
অংশীদারি ব্যবসায়ের উপাদান :-
দুই বা ততোধিক ব্যক্তির চুক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই অংশীদারি ব্যবসায় সৃষ্টি হয়। সুতরাং চুক্তি অংশীদারি ব্যবসায়ের একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে আরও কিছু উপাদান রয়েছে যা এ ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। অংশীদারি ব্যবসায়ের এ উপাদানসমূহ নিয়ে আলোচিত হলো।১. পারস্পরিক সম্মতি (Mutual consent) :-
অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করতে হলে অংশীদারদের পারস্পরিক সম্মতি থাকতে হবে। সম্মতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে অংশীদারি ব্যবসায়ে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না।
২. চুক্তি (Contract) :-
অংশীদারি সম্পর্ক শুধু চুক্তিদ্বারা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কারও জন্মগত অধিকার বা অন্য কোনরূপ সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যবসায়ের জন্য একত্রিত হলে তা অংশীদারি ব্যবসায় বলে বিবেচিত হবে না। অর্থাৎ অংশীদারি ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে একাধিক একত্রিত হতে হলে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমেই হতে হবে।
৩. সদস্য সংখ্যা (Number of members) :-
অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য একাধিক হতে হয়। এরূপ ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা ২ থেকে সর্বাধিক ২০ জন পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবসায়ে সর্বোচ্চ সংখ্যা ১০ জনে সীমিত থাকে।
৪. আইন সম্মত ব্যবসায় (Legal business) :-
অংশীদারি ব্যবসায় দেশের আইনের দৃষ্টিতে বৈধ হতে হবে। অর্থাৎ ব্যবসায় সংগঠনের মাধ্যমে রাষ্ট্র কিংবা সমাজবিরোধী ও অকল্যাণকর কোনো কাজ করা যাবে না।
৫. লাভ-লোকসান বণ্টন (Distribution of profit-loss) :-
অংশীদারি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে লাভ লোকসান চুক্তি মোতাবেক বন্টন করতে হবে। অর্থাৎ লাভ-লোকসান সব অংশীদারের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার রীতি থাকতে হবে।
৬. অংশীদারিদের যোগ্যতা ( Capability of partners) :-
চুক্তি সম্পাদনের জন্য যোগ্য সকল ব্যক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের অংশীদার হবার যোগ্য। চুক্তি সম্পাদনের অযোগ্যতার কারণেই নাবালক, পাগল, দেউলিয়া ব্যক্তি অংশীদারি হতে পারে না।
৭. পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা (Administration & management) :-
অংশীদারি ব্যবসায়ের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সকল অংশীদার বা সকল অংশীদারের পক্ষে এক বা একাধিক অংশীদারের ওপর ন্যস্ত থাকতে পারে।
৮. পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস (Mutual confidence & trust) :-
এ ব্যবসায়ের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। কেননা পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস ব্যতীত অংশীদারি ব্যবসায়ে সাফল্য লাভ করা যায় না। এ কারণেই অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তিকে চরম সম্বিশ্বাস এর চুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
ওপরে আলোচিত উপাদানসমূহ উপস্থিত থাকলে কোনো ব্যবসায়কে অংশীদারি ব্যবসায় হিসেবে গণ্য করা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.