অবরোহী পদ্ধতি কী :-
আরোহী পদ্ধতির সম্পূর্ণ বিপরীত পদ্ধতি হলো অবরোহী পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মূল কথা হলো সূত্র থেকে উদাহরণে যাওয়া এবং সাধারণ সত্য থেকে বিশেষ সত্যে উপনীত হওয়া। ব্যাকরণের বিভিন্ন অধ্যায়ের সূত্রগুলো শিক্ষার্থীরা প্রথমে আয়ত্ত করে এবং বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে সূত্রগুলো প্রয়োগ করে শুদ্ধতা যাচাই করে।অবরোহী পদ্ধতিতে আগেই একটি প্রমাণিত সূত্রকে গ্রহণ করা হয়। পরে এই সূত্রকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে না। এ পদ্ধতি তাই মনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয় না। তবে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ব্যাকরণ পঠন-পাঠনে ও পাঠ মূল্যায়ন অংশে অবরোহী পদ্ধতি সহায়ক বলে বিবেচিত।
আরও পড়ুন :- আরোহী পদ্ধতি কি?
অবরোহী পদ্ধতির সুবিধা :-
- এই পদ্ধতি সংক্ষিপ্ত এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের উপযোগী, এ কারণে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের সকল স্তরে এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে দেখা যায়।
- এ পদ্ধতিতে স্মরণশক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। যাদের স্মরণশক্তি কম তাদের সর্বদা সূত্রের তালিকা ব্যবহার করতে হয়। সূত্র স্থূল হলে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না।
- আরোহী পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হলে এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীর মননশীলতার বিকাশে সহায়ক হয়।
- ব্যাকরণ পঠন-পাঠনে মুল্যায়ন স্তরে এ পদ্ধতি যথেষ্ট কার্যকর।
অবরোহী পদ্ধতির অসুবিধা :-
- সূত্রের সকল সাংকেতিক প্রতীক সম্পর্কে অবহিত না হয়ে শুধু সূত্র মুখস্থ করে এ পদ্ধতিতে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করা কঠিন।
- সকল শিক্ষার্থীর পক্ষে সূত্র মুখস্থ করা এবং সঠিকভাবে মনে রাখা সম্ভব হয় না- এ জন্য যথেষ্ট অনুশীলনের প্রয়োজন হয়।
- এ পদ্ধতিতে যৌক্তিকতার অনুশীলন হয় না।
- ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনে এ পদ্ধতি সহায়ক এবং কার্যকরী নয়।
- আরোহী এবং অবরোহী পদ্ধতি দীর্ঘদিন থেকেই প্রচলিত। বিভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
- শিক্ষকের দক্ষতা, জ্ঞান ও কৌশলের ওপর এ পদ্ধতির সার্থকতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে।
আরও পড়ুন :- মুক্ত প্রশ্ন কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.