কর্মকারক কাকে বলে :-
কর্তা যাকে অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্মকারক বলে।অর্থাৎ কর্মকারক কাকে বলে? তা বলতে ক্রিয়াকে 'কি' বা 'কাকে' জিজ্ঞেস করে যে উত্তর পাওয়া যায় তা কর্ম এবং ক্রিয়া পদের সঙ্গে কর্মের সম্বন্ধই কর্মকারক।
সে ফল কিনছে। সে কী কিনছে? ফল। সুতরাং ফল কর্মকারক।
সায়েমা অর্ককে মারছে। সায়েমা কাকে মারছে? অর্ককে। তাহলে অর্ক, কর্মকারক।
কোনো কোনো ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে। এর একটিকে বলা হয় মুখ্য কর্ম অন্যটি গৌণ কর্ম। বোঝাই যায়, গৌণ কর্মের চেয়ে মুখ্য কর্মের গুরুত্ব বেশি। মুখ্য কর্ম দিয়েই ক্রিয়ার কাজ পূর্ণ হয়। সাধারণত মুখ্য কর্ম বস্তুবাচক এবং গৌণ কর্ম ব্যক্তিবাচক বা প্রাণিবাচক হয়ে থাকে। যেমন
আরও পড়ুন :- কর্তৃকারক কাকে বলে?
শিক্ষক ছাত্রকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন। এই বাক্যে 'প্রশ্ন' মুখ্য কর্ম, ছাত্র গৌণ কর্ম।
অর্থাৎ কর্ম প্রধানত দুই প্রকার মুখ্য কর্ম এবং গৌণ কর্ম।
এখন প্রশ্ন হলো মুখ্য কর্ম এবং গৌণ কর্ম বলতে কী বোঝায়?
মুখ্য কর্ম কাকে বলে :-
কোনো কোনো বাক্যে দুটি কর্ম থাকে। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার অপ্রাণিবাচক বা বস্তুবাচক কর্মটিকে বলা হয় মুখ্য কর্ম।
যেমন- সুমি রিপনকে একটি কলম দিয়েছে। এ বাক্যে দুটি কর্ম রয়েছে- রিপন এবং কলম। কলম হলো বজ্রবাচক কর্ম: অতএব কলম হলো মুখ্য কর্ম।
যেমন- জয়নাল, ফারুককে একটি বই দিয়েছিল। এ বাক্যের ব্যক্তিবাচক কর্ম হলো জয়নাল। অতএব ফারুক হলো গৌণ কর্ম।
খ) প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম: ছেলেটিকে বিছানায় শোয়াও।
গ) সমধাতুজ কর্ম : খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
ঘ) উদ্দেশ্য ও বিধেয় : দ্বিকর্মক ক্রিয়ার দুটি পরস্পর আপেক্ষিক কর্মপদ থাকলে প্রধান কর্মপদটিকে বলা হয় উদ্দেশ্য কর্ম এবং অপেক্ষিত কর্মপদটিকে বলা হয় বিধেয় কর্ম। যেমন দুধকে (উদ্দেশ্য কর্ম) মোরা দুগ্ধ (বিধেয় কর্ম) বলি, হলুদকে (উদ্দেশ্য কর্ম) বলি হরিদ্রা (বিধেয় কর্ম)।
আরও পড়ুন :- পাঠ্যপুস্তক কাকে বলে?
যেমন- সুমি রিপনকে একটি কলম দিয়েছে। এ বাক্যে দুটি কর্ম রয়েছে- রিপন এবং কলম। কলম হলো বজ্রবাচক কর্ম: অতএব কলম হলো মুখ্য কর্ম।
গৌণ কর্ম কাকে বলে :-
দ্বিকর্মক ক্রিয়ার ব্যক্তিবাচক কর্মকে বলা হয় গৌণ কর্ম।যেমন- জয়নাল, ফারুককে একটি বই দিয়েছিল। এ বাক্যের ব্যক্তিবাচক কর্ম হলো জয়নাল। অতএব ফারুক হলো গৌণ কর্ম।
কর্মকারক কত প্রকার ও কি কি :-
ক) সকর্মক ক্রিয়ার : কর্ম রিমা ফুল তুলছে।খ) প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম: ছেলেটিকে বিছানায় শোয়াও।
গ) সমধাতুজ কর্ম : খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
ঘ) উদ্দেশ্য ও বিধেয় : দ্বিকর্মক ক্রিয়ার দুটি পরস্পর আপেক্ষিক কর্মপদ থাকলে প্রধান কর্মপদটিকে বলা হয় উদ্দেশ্য কর্ম এবং অপেক্ষিত কর্মপদটিকে বলা হয় বিধেয় কর্ম। যেমন দুধকে (উদ্দেশ্য কর্ম) মোরা দুগ্ধ (বিধেয় কর্ম) বলি, হলুদকে (উদ্দেশ্য কর্ম) বলি হরিদ্রা (বিধেয় কর্ম)।
আরও পড়ুন :- পাঠ্যপুস্তক কাকে বলে?
কর্ম কারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার :
ক) প্রথমা বা শূন্য অ বিভক্তি : ডাক্তার ডাক ।খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি : তাকে বল।
গ) ষষ্ঠী বা র বিভক্তি : তোমার দেখা পেলাম না।
ঘ) সপ্তমীর বিভক্তি : জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।' (বীদায়)।
করণ কারক কাকে বলে :-
'করণ' শব্দের অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের উপকরণ বা উপায়কে বলা হয় করণ কারক। অন্যভাবে বলা যায়, কর্তা যে পদের সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলা হয় করণ কারক। ক্রিয়াপদকে কিসের দ্বারা, কিসের হায্যে বা কী উপায়ে ইত্যাদি প্রশ্ন করলে।
নীলু ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। নীলু কী দিয়ে ঘর সাজায়? ফুল দিয়ে সুতরাং 'ফুল' করণ কারক।
কাঠুরে কুড়াল দ্বারা গাছ কাটে। কাঠুরে কী দ্বারা গাছ কাটে? কুড়াল দ্বারা। 'কুড়াল' করণ কারক।
নীলু ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। নীলু কী দিয়ে ঘর সাজায়? ফুল দিয়ে সুতরাং 'ফুল' করণ কারক।
কাঠুরে কুড়াল দ্বারা গাছ কাটে। কাঠুরে কী দ্বারা গাছ কাটে? কুড়াল দ্বারা। 'কুড়াল' করণ কারক।
আরও পড়ুন :- মূল্যায়ন পদ্ধতি কি?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.