সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে ক্রিয়ার দ্বারা বাকা সম্পূর্ণ হয়, তার নাম সমাপিকা ক্রিয়া।যেমন -
বিকি সারাদিন খেলেছিল। (ক্রিয়া অকর্মক কাল অতীত)।
আমি তোমাকে একটি বই উপহার দেব। (ক্রিয়া-দ্বিকর্মক, কাল-ভবিষ্যৎ)।
আরও পড়ুন :- ভাষন কি? ভাষন দেওয়ার নিয়ম?
যেমন- আমি খাওয়া দাওয়া সারিয়া শহরে যাইব।
চলিত ভাষায় ইয়া হলে ‘এ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন ক'রে, খেয়ে, অন্যে, দেখে, শু’নে ইত্যাদি।
১. এক কর্তা -
বাক্যস্থিত সমাপিকা ও অসামাপিকা ক্রিয়ার কর্তা এক বা অভিন্ন হতে পরে। যথা-
তুমি চাকরি পেলে আর কি দেশে আসবে? 'পেলে' (অসমাপিকা ক্রিয়া) এবং 'আসবে' (অসমাপিকা ক্রিয়া উভয় ক্রিয়ার কর্তা এখানে 'তুমি'।
২. অসমান কর্তা -
বাক্যস্থিত সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা এক না হলে সেখানে কর্তাগুলোকে অসমান কর্তা বলা হয়। অসমান কর্তা আবার দুই ধরনের। যেমন :-
ক. শর্তাধীন কর্তা -
এ জাতীয় কর্তাদের ব্যবহার শর্তাধীন হতে পারে। যেমন- তোমরা বাড়ি এলে আমি রওনা হব। এখানে 'এলে' অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা 'তোমরা' এবং 'রওনা হব' সমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা 'আমি'।
তোমাদের বাড়ি আসার ওপর আমার রওনা হওয়া নির্ভরশীল বলে এ জাতীয় বাক্যে কর্তৃপক্ষের ব্যবহার শর্তাধীন।
খ. নিরপেক্ষ কর্তা -
শর্তাধীন না হয়েও সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার ভিন্ন ভিন্ন কর্তৃপদ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম কর্তৃপদটিকে বলা হয় নিরপেক্ষ কর্তা।
যেমন- সূর্য অস্তমিত হলে যাত্রীদল পথ চলা শুরু করল। এখানে 'যাত্রীদের' পথ চলার সঙ্গে 'সূর্য' অন্তমিত হওয়ার কোনো শর্ত বা সম্পর্ক নেই বলে 'সূর্য' নিরপেক্ষ কর্তা।
আরও পড়ুন :- শুদ্ধ বানানরীতীর নিয়ম?
যে দুটি ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যৌগিক ক্রিয়া সম্পাদন করে তার একটিকে সহায়ক ক্রিয়া (Auxiliary) এবং অপরটিকে মূখ্য ক্রিয়া (Principal verb) বলা যায়।
সাধারণত সহায়ক ক্রিয়া মুখ্য ক্রিয়ার অর্থকে নানাভাবে বিস্তৃত করে এর অর্থ সম্প্রসারণে সাহায্য করে। যেমন -
এমনটি আর কোথাও দেখা যায় না।
আমাকে দেখিয়া সে হঠাৎ কাঁদিয়া ফেলিল।
তিনি চমৎকার বলিতে পারবেন।
উদ্ধৃত বাক্য তিনটিতে - দেখা যায়, কাঁদিয়া ফেলা এবং বলিতে পারা যৌগিক ক্রিয়া এবং যাওয়া, ফেলা ও পারা সহায়ক ক্রিয়া আর দেখা, কাঁদিয়া, বলিতে মুখ্য ক্রিয়া। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, যৌগিক ক্রিয়ার প্রথমটি মূখ্য ক্রিয়া এবং দ্বিতীয়টি সহায়ক ক্রিয়া।
কয়েকটি বিশেষ ক্রিয়া বা ধাতু সহায়ক ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সব ধাতুর ক্ষেত্রে এই নিয়ম সিদ্ধ নয়। এই শ্রেণীর কয়েকটি প্রধান সহায়ক ক্রিয়া নিম্নরূপ আসা, উঠা যাওয়া, ফেলা, পারা, দেওয়া, তুলা, পড়া, থাকা, লাপা, লওয়া, সহা ইত্যাদি। এই সহায়ক ক্রিয়াগুলো ইয়া, ইতে প্রত্যয়ান্ত মুখ্য ক্রিয়ার পরে বসে।
আসলাম বাড়ি গেল। এই বাক্যে 'গেল' সমাপিকা ক্রিয়া
গাছ থেকে আম পড়ল। এই বাক্যে 'পড়ল' সমাপিকা ক্রিয়া।
সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে? তার জানলাম এবার আমরা সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন সম্পর্কে আলোচনা করবো।
সুব্রত বই পড়ে। (ক্রিয়া সকর্মক, কল-বর্তমান)।
গাছ থেকে আম পড়ল। এই বাক্যে 'পড়ল' সমাপিকা ক্রিয়া।
সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে? তার জানলাম এবার আমরা সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন সম্পর্কে আলোচনা করবো।
সমাপিকা ক্রিয়ার গঠন :-
সমাপিকা ক্রিয়া সকর্ষক, অকর্মক ও দ্বিকর্মক হতে পারে। ধাতুর সঙ্গে বর্তমান, অতীত বা ভবিষ্যৎ কালের বিভক্তি যুক্ত হয়ে সমাপিকা ক্রিয়া গঠিত হয়। যথাসুব্রত বই পড়ে। (ক্রিয়া সকর্মক, কল-বর্তমান)।
বিকি সারাদিন খেলেছিল। (ক্রিয়া অকর্মক কাল অতীত)।
আমি তোমাকে একটি বই উপহার দেব। (ক্রিয়া-দ্বিকর্মক, কাল-ভবিষ্যৎ)।
অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে :-
যে ক্রিয়ার দ্বারা বাক্য শেষ হয় না, বক্তার আরো বলবার আকাঙ্ক্ষা তাকে থাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন অধিক নাস্তা খেয়ে স্কুলে রওয়ানা হল। এই বাক্যে 'খেনো' অসমাপিকা ক্রিয়া।আরও পড়ুন :- ভাষন কি? ভাষন দেওয়ার নিয়ম?
অসমাপিকা ক্রিয়ার ব্যবহার :-
অসমাপিকা ক্রিয়ার বিভক্তি হলো- ইয়া, ইলে, ইতে, ইবার। এই সকল প্রত্যয়ান্ত ক্রিয়ার সাহায্যে এক একটি বাক্যাংশের সমাপ্তি হয়।যেমন- আমি খাওয়া দাওয়া সারিয়া শহরে যাইব।
চলিত ভাষায় ইয়া হলে ‘এ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন ক'রে, খেয়ে, অন্যে, দেখে, শু’নে ইত্যাদি।
অসমাপিকা ক্রিয়ার গঠন :-
অসমাপিকা ক্রিয়া ঘটিত বাক্যে একাধিক কর্তা (কর্তৃকারক) দেখা যায়১. এক কর্তা -
বাক্যস্থিত সমাপিকা ও অসামাপিকা ক্রিয়ার কর্তা এক বা অভিন্ন হতে পরে। যথা-
তুমি চাকরি পেলে আর কি দেশে আসবে? 'পেলে' (অসমাপিকা ক্রিয়া) এবং 'আসবে' (অসমাপিকা ক্রিয়া উভয় ক্রিয়ার কর্তা এখানে 'তুমি'।
২. অসমান কর্তা -
বাক্যস্থিত সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা এক না হলে সেখানে কর্তাগুলোকে অসমান কর্তা বলা হয়। অসমান কর্তা আবার দুই ধরনের। যেমন :-
ক. শর্তাধীন কর্তা -
এ জাতীয় কর্তাদের ব্যবহার শর্তাধীন হতে পারে। যেমন- তোমরা বাড়ি এলে আমি রওনা হব। এখানে 'এলে' অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা 'তোমরা' এবং 'রওনা হব' সমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা 'আমি'।
তোমাদের বাড়ি আসার ওপর আমার রওনা হওয়া নির্ভরশীল বলে এ জাতীয় বাক্যে কর্তৃপক্ষের ব্যবহার শর্তাধীন।
খ. নিরপেক্ষ কর্তা -
শর্তাধীন না হয়েও সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার ভিন্ন ভিন্ন কর্তৃপদ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম কর্তৃপদটিকে বলা হয় নিরপেক্ষ কর্তা।
যেমন- সূর্য অস্তমিত হলে যাত্রীদল পথ চলা শুরু করল। এখানে 'যাত্রীদের' পথ চলার সঙ্গে 'সূর্য' অন্তমিত হওয়ার কোনো শর্ত বা সম্পর্ক নেই বলে 'সূর্য' নিরপেক্ষ কর্তা।
আরও পড়ুন :- শুদ্ধ বানানরীতীর নিয়ম?
যোগিক ক্রিয়া কাকে বলে :-
দুটি ক্রিয়া পদ একসঙ্গে মিলে বা যুক্ত হয়ে যদি সম্মিলিতভাবে একটা ভাব প্রকাশ করে তবে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।যে দুটি ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যৌগিক ক্রিয়া সম্পাদন করে তার একটিকে সহায়ক ক্রিয়া (Auxiliary) এবং অপরটিকে মূখ্য ক্রিয়া (Principal verb) বলা যায়।
সাধারণত সহায়ক ক্রিয়া মুখ্য ক্রিয়ার অর্থকে নানাভাবে বিস্তৃত করে এর অর্থ সম্প্রসারণে সাহায্য করে। যেমন -
এমনটি আর কোথাও দেখা যায় না।
আমাকে দেখিয়া সে হঠাৎ কাঁদিয়া ফেলিল।
তিনি চমৎকার বলিতে পারবেন।
উদ্ধৃত বাক্য তিনটিতে - দেখা যায়, কাঁদিয়া ফেলা এবং বলিতে পারা যৌগিক ক্রিয়া এবং যাওয়া, ফেলা ও পারা সহায়ক ক্রিয়া আর দেখা, কাঁদিয়া, বলিতে মুখ্য ক্রিয়া। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, যৌগিক ক্রিয়ার প্রথমটি মূখ্য ক্রিয়া এবং দ্বিতীয়টি সহায়ক ক্রিয়া।
কয়েকটি বিশেষ ক্রিয়া বা ধাতু সহায়ক ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সব ধাতুর ক্ষেত্রে এই নিয়ম সিদ্ধ নয়। এই শ্রেণীর কয়েকটি প্রধান সহায়ক ক্রিয়া নিম্নরূপ আসা, উঠা যাওয়া, ফেলা, পারা, দেওয়া, তুলা, পড়া, থাকা, লাপা, লওয়া, সহা ইত্যাদি। এই সহায়ক ক্রিয়াগুলো ইয়া, ইতে প্রত্যয়ান্ত মুখ্য ক্রিয়ার পরে বসে।
আরও পড়ুন :- অনুসর্গ কাকে বলে?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.